তোমরা যারা লুচ্চামি কর
লিখেছেন লিখেছেন আস্তিক ব্লগার ২৮ এপ্রিল, ২০১৪, ০২:৩৮:১৯ দুপুর
বুঝতেই পারছেন, কাকে নিয়ে এই লেখা। হ্যা আমাদের বর্তমান ফেসবুক একটিভিষ্টদের কাছে একটি জনপ্রিয় নাম, জনপ্রিয় বিষয় জাফর ষাড়ের কথাই বলছি। আমার মনে হয়, যাদের স্পেনে বুল ফাইটিং দেখার অভিজ্ঞতা আছে এবং একই সাথে বাংলাদেশী অনলাইন একটিভিষ্ট ওয়ার্ল্ডেও পদচারণা করছেন, তারা বলতে বাধ্য হবেন, বাংলাদেশে নাস্তিক এক্টিভিষ্ট ছাড়া সবাই যেভাবে জাফর ষাড় কে খুচায়, সেভাবে হয়তো স্পেনিয়ার্ডরাও তাদের ষাড়কে খুচাতে পারেনা। অথচ দেখুন কি বিশাল পার্থক্য। বুল ফাইটের ওই ষাড়টা ছোট্ট একটা লাল কাপড় দেখেই কিভাবে খেপে যায়। পক্ষান্তরে এতো খুচানোর পরেও আমরা জাফর ষাড় কে কি সুন্দর একটা অমায়িক হাসির সাথে মিডিয়াতে দেখি। বিশেষ করে যখন ছাত্রীদের সাথে ছবি তুলেন তখন যেন হাসিটা আরও বিস্তৃত হয়। কি ভূবণ ভোলানো হাসি! তবে আমার মনে হয় এই হাসিটা শুধুই ক্যামেরার জন্য অথবা শুধুই ছাত্রীদের জন্য। কারণ হাজার হোক তিনিও তো রক্ত মাংসের মানুষ। তাই এতো খুচানোর পর তিনি রাগবেন না এটা হতেই পারেনা। যদি তাই হয়, তাহলে ব্যাপারটা এরকম দাড়ায়, পিছনটা রক্তাক্ত লাল কিন্তু মুখে ভূবণ ভুলানো হাসি।
এই ষাড়কে নিয়ে নিয়মিত যিনি গবেষনা চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি হলেন অনেকেরই প্রিয় ব্লগার আমান আবদুহু। আমি শুনেছি তিনি সিডনীতে পিএইচডি করছেন। কিন্তু কোন বিষয়ে করছেন তা আমি জানিনা। তবে তার লেখা দেখে মনে হয় তিনি যদি জাফর ষাড়ের উপর পিএইচডি করতেন তাহলে এতোদিন কয়েকটি পাবলিকেশন সাবমিট করে ফেলতেন। যাই হোক সম্প্রতি তিনি আবারও জাফর ষাড় কে নিয়ে একটা পোষ্ট দিয়েছেন। সেই পোষ্ট নিয়ে কমেন্টসও হয়েছে অসংখ্য। তার সেই পোষ্ট ও পোষ্টের উপর চমৎকার কমেন্টস গুলো দেখে তাকে নিয়েই ব্লগে আমার আবারও লিখতে ইচ্ছা হলো। ব্লগে নিয়মিত লেখার ইচ্ছা থাকলেও সময়ের অভাবে হয়ে উঠেনা। কিন্তু ব্লগে ঢুকতে যেয়ে দেখি পাসওয়ার্ডই ভুলে গেছি। অনেক কষ্টে লগ ইন করার পর দেখলাম সেই ডিসেম্বরে আমি শেষবারের মতো ঢুকেছি। যাই হোক, আজ নিজের থেকে কোন লেখা আর লিখবনা। শুধুমাত্র আমান আবদুহুর পোষ্ট ও পোষ্টের কমেন্টস গুলোই তুলে ধরবো আপনাদের জন্য।
চেতনাগুরু ষাঁড় জাফর ইকবাল ট্রিলজিঃ এটাই হলো আবদুহুর পোষ্টের শিরোনাম। শিরনামের পর ষাড়ের তিনিটি ছবি। প্রথমটি ষাড়ের সেই বিখ্যাত ছবি। যেটি তিনি তুলেছিলেন তার প্রিয় ছাত্রীদের সাথে সুইমিংপুলে জলকেলি খেলার সময়। এই ছবিটির নাম দেয়া হয়েছে “আমি রাজনীতি বুঝিনা”। দ্বিতীয় ছবিটা সম্ভবতঃ কোন মডেলের সাথে। ষাড় এবং সেই মডেল এতো ঘনিষ্টভাবে ছবিটা তুলেছেন যে, অনেকে স্বামী স্ত্রীর ছবি বলে ভুল করতে পারেন। এই ছবিটার নাম দেয়া হয়েছে “আমি রাজনীতি বুঝিনা রিলোডেড”। তৃতীয় ছবিটাও আরেকটি ছাত্রীর সাথে। এই ছবিটা আরও অদ্ভুদ। এক ধরণের রহস্য ঘেরা। তারা দুজন এতো ঘনিষ্ট হয়ে দাড়িয়ে আছেন যে, বোঝা যাচ্ছে দুই জনের কোন একজন আরেকজনকে জড়িয়ে ধরে আছেন। কিন্তু কে জড়িয়ে ধরেছেন সেটা বোঝা যাচ্ছেনা। যাই হোক, এই ছবিটার নাম দেয়া হয়েছে, “আমি রাজনীতি বুঝিনা রেভুল্যুশন আলটিমেট”। এতো টুকুই, আর কিছু নেই। কিন্তু বিষয়টি সবারই নজর কেড়েছে। তাইতো কমেন্টসের ফুল ঝুড়ি চলেছে তার সেই পোষ্ট। সেই কমেন্টসগুলো থেকে সিলেক্টেড কিছু কমেন্টস তুলে ধরা হলো।
একজন লেখেছেনঃ তবে লুছ্ছামি বুজি
কমেন্টস ২ >>> ইস! আমি যদি রাজনীতি না বুঝতাম
কমেন্টস ৩ >>> চেতনায় তেঁতুল
কমেন্টস ৪ >>> এরশাদের দিন শেষ, জাফর ষাড়ের বাংলাদেশ ।
কমেন্টস ৫ >>> যত দোষ শুধু পরিমলের
কমেন্টস ৬ >>> তোমরা যারা" আমার ছোট ছোট মেয়ে দের সাথে ছবি তোলা দেখে হিংসা কর"
আমান আবদুহু >> ষাড় ছাত্রী ও ভক্ত অনুরক্তদের সাথে ছবি তুলেন। এইটা ব্যাপার না। একটু ঘনিষ্ঠ হয়ে দীক্ষা দেন। ষাড়কে শ্রদ্ধা করে তো সবাই। তাই ঐটাও ব্যাপার না হয়ে যাচ্ছে
কমেন্টস ৭ >>> লাস্ট এপিসোড কুতায় হপে? লাল পর্দার রুমে?
কমেন্তস ৮ >>> এইতো লালসালুর সেই মজিদের ডিজিটাল ভার্সন!!!
কমেন্তস ৯ >>> শেষ ছবিটার ক্যাপশন হওয়া উচিৎ "ইঞ্জিনটা একটু গরম কইরা দে রে মাইয়া,কোমর দোলাইয়া মনটা ভইরা দে" !
ইতিমধ্যেই কমেন্টস এর পাশাপাশি কেউ কেউ আরও কিছু ছবি আপলোডও করেছে। যে ছবিগুলো পোষ্ট করা তিনিটি ছবি থেকে কোন অংশে কম নয়। সেটা দেখে আমান আবদুহু লিখেছেনঃ “নতুন আরো কিছু ছবি দেখা গেলো। স্যার তো মারহাবা বেশ রোমান্টিক লোক। এই ভদ্রলোক সামনে আরো কত কিছু যে দেখাবেন খোদা মালুম।”
এই কমেন্টস এর পর আরও একজন কমেন্টস করেন এভাবে “ রোমান্টিকতার কি দেখছেন ভাইডি... ষাড় অনেক লাজুক। লন এক খান” (কমেন্টেস এর পর তিনিও আরেক রোমান্টিক ছবি জুড়ে দেন।)
এতোগুলো কমেন্টস দেখে একজন এভাবে লিখেছেন “মারাত্বক, মারাত্বক! ইয়াস্মিন আণ্টি ব্রেকফ্য়াল করবে।”
আরেকজন লিখেছেন >>> মাইন্ড খাইলাম। কাজটা ভালো হয় নাই। তবুও কাহিনীর সইত্যতা যাচাই করতেছি। ঘটনা সত্যি হৈলে ভূপেনকে দিয়া এক কাপ কফি আর একটা টোস্ট বিস্কুট পাঠামু।
প্রতি কমেন্টস এ অন্যজন বলছেন >>> ওরে ভূপেন এই বেকুবের পাছায় গান্ধিজির ছড়ি চাইয়া নিয়া একটা চটাশ কৈরা বাড়ি দে।
আরও কমেন্টেস এর ছড়াছড়ি সেখানে। তবে সব কমেন্টেসগুলো নিয়ে আলোচনা আর না করে একটি কৌতুক দিয়েই লেখাটা শেষ করতে চাই। তবে কৌতুকটি আমার নয়। এটিও একজন কমেন্টস হিসেবে সেখানে তুলে ধরেছেন। কমেন্টস টা নীচে দেয়া হলোঃ
ষাঁড় -বাচ্চারা বল তো আমার হাতে কি? (হাত পেচনে রেখে )
শাহবাগী বাচ্চারা - কেনো ষাঁড়? আপনার হাতে কি ড্রোন?
ষাঁড় - এইতো ধরতে পেরেছো তুমরা।
শাহবাগী বাচ্চারা- কিন্তু ড্রোন হাতে! কিভাবে ষাড়?
ষাঁড় - তোমরা কি ভেবেছো এটা সেই ড্রোন? এটা হচ্ছে জন্মনিরোধক ড্রোন।
এবার বাচ্চারা আর কোন প্রশ্ন নয় এবার তোমরা খেলতে যাও .আমি ড্রোনটা পরিক্ষা করব।
বিষয়: বিবিধ
১৮৬১ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
তুমারে একখান অটোগ্রাপ দিমু......
মন্তব্য করতে লগইন করুন