সংসদে শেখ হাসিনাঃ আমার পূত্রবধূ ইহুদী নয় খৃষ্টান

লিখেছেন লিখেছেন আস্তিক ব্লগার ২১ জুন, ২০১৩, ১১:৫৯:২৫ সকাল

শেখ হাসিনা সংসদে বলেছেন তার পুত্রবধু ইহুদী নয় খৃষ্টান।এরপর আবার ফতোয়া দেয়ার আকারে বলেছেন খৃষ্টানরা আহলে কিতাব। তার এই কথাতেই বুঝা যায়, ধর্মের ব্যাপারে তার জ্ঞানের সীমাবদ্ধতা। আহলে কিতাব কি শুধু খৃষ্টান ? ইহুদীরাও তো আহলে কিতাব। এই জ্ঞানটা তাকে কে দেবে ?

একজন অর্ধশিক্ষিত মানুষের অল্প জেনেই জ্ঞানীদের মতো কথা বলতে গেলে শিক্ষিত লোকের কাছে হাসির পাত্র হয়ে যান। সেখানে যদি একটি দেশের প্রধানমন্ত্রী এই রকম মূর্খের মতো কথা বলেন তখন যে তিনি বাংলাদেশের মানুষের মান সম্মানকে ধূলি ধুসরিত করে ফেলেন। এটা তাকে কে বোঝাবে?

এর আগে তিনি একবার সংসদে বলেছিলেন, রাসূল (সাঃ) বলেছেন, লাকুম দ্বীনুকুম ওল ইয়াদিন। এটা যে কোরআনের বাণী এটা তাকে কে বলে দেবে ?

আরও আগে একবার তিনি কাদিয়ানী নিয়ে না যেনে বুঝে কথা বললে মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী তাকে কঠোরভাবে তিরস্কার করে বলেছিলেন, ধর্মের স্পর্শকাতর বিষয় নিয়ে কথা বলতে হলে পড়াশোনা করে বলা উচিৎ। কিন্তু সবজান্তা হাসিনা সে উপদেশ নেয়ার মতো ছাত্রী বিদ্যালয়ে থাকার সময়ই ছিলেন না। তখন তো তিনি প্রধানমন্ত্রী ! কাজেই সেই উপদেশে যে কাজ হয়নি সেটাতো এখন পরিস্কার।

শরীয়া আইনে বিচার হবে বলে তিনি যে মন্তব্য করে হৈচৈ ফেলে দিয়েছিলেন সেটাও সবার মনে আছে নিশ্চয়। এই সম্পর্কেও যদি তার বিন্দুমাত্র ধারণা থাকতো তাহলেও তিনি এমন কথা বলার সাহস রাখতেন না। হিন্দুদের তীলক মাথায় দেয়া, গজে চড়ে দেবী আসায় ফসল ভালো হওয়া বিশ্বাস করা, বেপর্দা হয়ে চলাচল করার মতো অসংখ্য কাজের জন্য শরীয়া আইনে তিনি কতো শত বেত্রাঘাত খেতেন, সেটা তাকে কে মনে করিয়ে দেবে?

আবারও তিনি কথা বলেছিলেন, মদীনা সনদ নিয়ে। সেখানেও বোঝা গেছে তিনি এই সনদ সম্পর্কে কিছুই জানেন না। এই অশিক্ষিত মহিলাকে শিক্ষিত করার দায়িত্ব কে নেবে ?

আবার গুঞ্জন রয়েছে, আরবদের সাথে কূটনৈতিক তৎপরতার সময়, তাঁর পা চাটারা শেখ হাসিনার শেখ শব্দকে শাইখ বলে তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন। আরবরা শাইখকে সর্বোচ্চ সম্মান দেন। শাইখ হচ্ছে সর্বোচ্চ জ্ঞানী পন্ডিতদেরকে বলা হয়। একজন আরব আমার কাছে অবাক হয়ে বলেছেন তোমাদের প্রধানমন্ত্রী শাইখ। কে বোঝাবে তাকে তিনি শাইখ নন শেখ। তিনি শিক্ষিত নন অর্ধ শিক্ষিত।

যাই হোক, যে প্রসংগে এই লেখা। তিনি সংসদে বলেছেন, তার পুত্রবধূ ইহুদী নয়, খৃষ্টান। আর আহলে কিতাবদের বিয়ে করা যায়েজ আছে বলে তিনি ফতোয়ায়ে হাসিনা দেয়ারও চেষ্টা করেছেন। আমি এই বিষয়ে তর্কে না যেয়ে, তিনি যেহেতু জবাবদিহিতা করেছেন তাই তাকে আরও কিছু প্রশ্ন তুলে ধরতে চাই। জয় যে, এই বিয়ের আগে আরেকটি শিখ মেয়েকে বিয়ে করেছিল, সেটাও কি আহলে কিতাবের মধ্য থেকে করেছিল? তিনি নিজেও ডঃ ওয়াজেদকে বিয়ে করার পূর্বে যে, একজন হিন্দু ছেলেকে বিয়ে করেছিলেন সেটাও কি আহলে কিতাবের মধ্য থেকে হয়েছিল ?

আসলে ধর্ম নিয়ে ব্যাবসা আর রাজনীতি ছাড়া ধর্মকে আপনারা থোড়াই কেয়ার করেন। আপনাদের মন যখন যা চাই আপনারা প্রথমেই সেটা করেন। অতঃপর মানুষকে আই ওয়াশ করার জন্য ধর্মের তলে আশ্রয় খোজেন। আর একজন খাঁটি মুসলমান কাজ করার আগেই ভাবে এই কাজটি ইসলাম সম্মত কি’না ? এটাই হলো আপনাদের মতো ভন্ড মুসলমানদের সাথে খাঁটি মুসলমানের পার্থক্য। জাতি যত দ্রুত বিষয়টি উপলব্ধি করতে পারবে ততোই তাদের জন্য মঙ্গল হবে। আর যদি তারা বুঝতে না পারে তাহলে ৭৩,৭৪,৭৫ এর মতো যেমন ১১,১২,১৩ এসেছে তেমনি আরও অসংখ্যবার এই সংখ্যাগুলো আসা যাওয়া করবে। আল্লাহ আমাদেরকে এই ভন্ড প্রতারকদের থেকে রক্ষা করুন। আমিন।

বিষয়: রাজনীতি

১৩৫৪ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File