ক্ষমতার মোহ ও জঙ্গীবাদ
লিখেছেন লিখেছেন বাংলার বন্ধু ২৫ অক্টোবর, ২০১৪, ০৮:০৪:০২ সকাল
বর্তমান আওয়ামীলীগ সরকার ঠিকই বুঝতে পেরেছে যে তাদের ক্ষমতা ছেড়ে দেওয়া মানে অস্তীত্বের উপর হুমকী আসা। তাইতো তারা তাদের সকল কৌশল প্রয়োগ করে ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করেছে এবং সফলও হয়েছে। চেষ্টা করবে না কেন? কারো প্রাণ যখন যায় যায় তখন সে যেকোন কিছুর অবলম্বনের বাঁচতে চায় তারাও চাইবে না কেন? কিন্তু আমার প্রশ্ন সেখানে না। আমার প্রশ্ন হলো রাজনীতি করার অধিকার সবারই আছে আর ক্ষমতাও চিরস্থায়ী নয়। একদিন না একদিন ক্ষমতা চলে যাবে তখন যে বিদায়টা খুবই মর্মান্তিক হবে এটা কি কেউ ভেবেছে কখনো। একদিকে সরকারের পেছনে আছে বিরোধী রাজনৈতিক দল অন্য দিকে বিরোধী দলের পেছনে আছে সরকার। এক পক্ষ অন্য পক্ষের পেছনে লেগেই আছে। এতে করে সমস্যা কেবল সাধারণ জনগণেরই। তাদেরতো কিছু করার নাই। তারাতো অসহায়। তাদের কাছেতো আর অস্ত্র নাই যে, অস্ত্র নিয়ে হুঙ্কার ছেড়ে বলবে তোমরা সরে যাও তোমাদের আমরা চাই না। অস্ত্র ছাড়া হুঙ্কার দিয়ে লাভ নেই। কারণ হুঙ্কার দিতে গেলে তাদের টাকায় কেনা অস্ত্রগুলোর গুলি খেয়ে যে তাদেরই মরতে হবে। যাইহোক এবার আসল কথায় আসি। এই যে দু'পক্ষের কাদা ছোড়াছুড়ি তাতে দেশের হালতো খুবই খারাপ হয়ে যাচ্ছে। ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার জন্য সরকার প্রশাসনকে ব্যবহার করছে আর প্রশাসনও সরকারের এ দূর্বল অবস্থানে যা ইচ্ছে তাই করে যাচ্ছে। আইন শৃঙ্খলা রক্ষকারী বাহিনী এখন আইন শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বে নয় বরং কিভাবে দু'পয়সা বাড়তি কামানো যায় সে চিন্তায় আসে। এতে করে গ্রামে গঞ্জে, শহরের অলীতে গলীতে চুরি, চিনতাই, খুন, রাহাজানি বেড়েই চলেছে। গ্রামাঞ্চলেও এখন মাদক দ্রব্য ও বিভিন্ন নেশার বস্তু সহজলভ্য হয়ে গেছে। অপরাধী সনাক্ত করেও বিচার হচ্ছে না। সমাজ ব্যবস্থা কবই নিয়ন্ত্রনের বাহিরে চলে যাচ্ছে। এভাবে চলতে থাকতে পারে না। মানুষের ধৈর্য়্যের একটা সীমা থাকে। ধৈর্য্যের সীমা অতিক্রম করলে আর তাদের দাবিয়ে রাখা যাবে না। এভাবে চলতে থাকলে নির্যাতিত মানুষগুলো হাটতে থাকবে অন্য পথে তারা অন্যের দারস্থ হবে। অন্যের সাহায্য চাইবে এটা থেকে পরিস্ত্রান পাওয়ার জন্য। যা হবে দেশের জন্য ভয়াবহ। জনগণ হাত মেলাবে বহিঃবিশ্বের বিরোধী গোষ্ঠীর সাথে। শুরু হয়ে যাবে জঙ্গীবাদ। যার নমুনা আমরা ইতোমধ্যেই দেখছি। বাংলাদেশীরা ভারতের জঙ্গী গোষ্ঠীর সাথে প্রশিক্ষন নিচ্ছে এটাতো কোন শুভ সংবাদ হতে পারে না। তাই আসুন সবাই মিলে এই তিরিশ লক্ষ শহীদের রক্ষের বিনিময়ে অর্জিত দেশটাকে সুন্দর করে সাজাই। ক্ষমতার ত্যাগ করে গণতান্ত্রিক পরিবেম পিরিয়ে আনি। সকল জনগণের অংশগ্রহণের ভিত্তিতে একটি গ্রহনযোগ্য সরকার গঠন করে একটি সুখী, সমৃদ্ধশালী, ক্ষুদা ও দারিদ্রমুক্ত ডিজিটাল সোনার বাংলা গড়ে তুলি।
বিষয়: বিবিধ
১২৭০ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন