তথাকথিত "জামায়াতে ইসলামীর" প্রতিষ্ঠাতা মওদুদী যে কারনে আলেম সমাজের নিকট প্রত্যাখ্যাত হলেন।
লিখেছেন লিখেছেন অপ্রিয় সত্য কথা ০৫ ডিসেম্বর, ২০১৫, ০২:০৪:৩৫ দুপুর
=নবী- রাসুলগণের প্রতি ধৃষ্টতাপূর্ণ উক্তি : নবী- রাসুলগণ সকলেই মাসুম, তারা সকলেই নিষ্পাপ-এই হলো ইসলামী আকীদা।
তবে জনাব আবুল আলা মওদুদী ইসলামের বদ্ধমূল এ আকীদার উপর কুঠারাঘাত করে এবং কুরআনও সুন্নাহর চিরন্তন শিক্ষাকে পদদলিত করে আম্বিয়ায়ে কেরামের এ পূত পবিত্র জামাতের প্রতি কলংক লেপন করার উদ্দেশ্যে এমন ধৃষ্টতাপূর্ন কথা বলেছেন, যা কোন মুসলমানের পক্ষে বরদাস্ত করা সম্ভব নয়।
=প্রসিদ্ধ নবী দাউদ (আ.) সম্পর্কে: “হযরত দাউদ (আ.) এর কাজের মধ্যে নফস ও আভ্যন্তরীন কুপ্রবৃত্তির কিছুটা দখল ছিল। অনুরুপভাবে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার অপব্যবহারের সাথেও তার কিছুটা সম্পর্ক ছিল। আর তা ছিল এমন ধরনের কাজ, যা হক পন্থায় শাসনকারী কোন মানুষের পক্ষেই শোভা পায়না।” [তাফহিমুল কোরআন (উর্দু):৪র্থ খন্ড, সুরা সাদ, ৩২৭পৃ. ১ম সংস্করণ, অক্টোবর ১৯৬৬ইং]
=“হযরত দাউদ (আ.)ততকালীন যুগে ইসরাঈলী সোসাইটির দ্বারা প্রভাবান্বিত হয়ে এক বিবাহিতা যুবতীর উপর আসক্ত হয়ে তাকে বিবাহ করার জন্য তার স্বামীর নিকট তালাক দেওয়ার জন্য আবেদন করেছিলেন” [তাফহিমাত ২য় খন্ড: ৪২পৃ. ২য় সংস্করণ ; নির্বাচিত রচনাবলী (বাংলা) ২য় খন্ড, ৭৩ পৃ, আধুনিক প্রকাশনী, ১ম প্রকাশ ১৯৯১ইং]
=হযরত নূহ (আ.) সম্পর্কে: “হযরত নূহ (আ.) চিন্তাধারার দিক থেকে দ্বীনের চাহিদা হতে দূরে সরে গিয়েছিলেন।
তার মধ্যে জাহিলিয়াতের জযবা স্থান পেয়েছিল।” [তাফহিমুল কোরআন: ২য়খন্ড, ৩৪৪পৃ. ৩য় সংস্করণ, ১৯৬৪ ইং]
=হযরত মুছা (আ.) সম্পর্কে: “নবী হওয়ার পূর্বে মুছা(আ.) দ্বারা একটি বড় গুনাহ হয়েছিল। তিনি এক ব্যাক্তিকে কতল করেছিলেন।” [রাসায়েল ও মাসায়েল, ১ম খন্ড, ৩১ পৃ.] “মুছা (আ.) এর দৃষ্টান্ত হচ্ছে ঐ অধৈর্য্যশীল বিজয়ীর মত যে তার শাসন ক্ষমতা সুপ্রতিষ্ঠিত না করেই মার্চ করে সম্মুখে চলে যায় আর পিছনে ফেলে যাওয়া এলাকায় বিদ্রোহের দাবানল দাউ দাউ করে ছড়িয়ে পড়ে।” [তরজমানুল কোরআন ২৯/৪-৫]
=হযরত ইব্রাহীম (আ.) সম্পর্কে: “এখানে আর একটি প্রশ্নের উদ্রেক হয় যে, হযরত ইব্রাহীম (আ.) যখন নক্ষত্র দেখে বলেছিলেন, এটা আমার প্রতিপালক এবং চন্দ্র- সূর্য দেখে এগুলোকেও নিজের প্রতিপালক হিসাবে অবহিত করেন, তখন সাময়িক ভাবে হলেও কি তিনি শিরকে নিপতিত হননি?” [তাফহিমুল কোরআন ১মখন্ড, ৫৫৮ পৃ.]
=হযরত ইসা (আ.) সম্পর্কে: “হযরত ইসা (আ.) মারা গেছেন একথাও বলা যাবেনা, বরং বুঝতে হবে ব্যাপারটি অস্পষ্ট।” [তাফহিমুল কোরআন ১মখন্ড(সুরা নিসা), ৪২১ পৃ.]
=হযরত ইউসুফ (আ.) সম্পর্কে: “হযরত ইউসুফ (আ.)- ‘আমাকে মিসরের রাজকোষের পরিচালক নিয়োগ করুন’-
এ কথাটি বলে শুধু অর্থমন্ত্রী হওয়ার জন্যই প্রার্থনা করেননি।
কারো কারো ধারনা, বরং তিনি এ বলে ডিকটিটরীই চেয়েছিলেন মৌলিকভাবে। এরই ফলশ্রুতিতে বর্তমান ইতালীর মুসোলিনির যে মর্যাদা তিনিও এর কাছাকাছি মর্যাদার অধিকারী হয়েছিলেন।” [তাফহীমাত : ২য় খন্ড, ১২২ পৃ. ৫ম সংস্করন এবং নির্বাচিত রচনাবলী (বাংলা) ২য় খন্ড, ১৫১ পৃ, আধুনিক প্রকাশনী, ১ম সংস্করন ১৯৯১ইং]
বিষয়: বিবিধ
১৬০১ বার পঠিত, ১১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
দেখুন---
=হযরত ইব্রাহীম (আ.) সম্পর্কে: “এখানে আর একটি প্রশ্নের উদ্রেক হয় যে, হযরত ইব্রাহীম (আ.) যখন নক্ষত্র দেখে বলেছিলেন, এটা আমার প্রতিপালক এবং চন্দ্র- সূর্য দেখে এগুলোকেও নিজের প্রতিপালক হিসাবে অবহিত করেন, তখন সাময়িক ভাবে হলেও কি তিনি শিরকে নিপতিত হননি?” [তাফহিমুল কোরআন ১মখন্ড, ৫৫৮ পৃ.]
ভাল করে নিজে গিয়ে চেক করে আসুন যে এটা তার কথা নয় বরং একজন এই কথা বলাতে তিনি এর জবাব দিয়েছিলেন যে হযরত ইব্রাহিম আঃ কখনোই শিরকে পতিত হন নাই।
যদি সত্য জানতে চান নিজে যাচাই করবেন আর যদি শত্রুতা করতে চান তবে আখেরাতে ফায়সালা হবে ইনশা আল্লাহ
রেফারেন্স সহ দিলাম।সাহস থাকলে খন্ডন করুন।
জামাতের পিছনের গন্ধ ছড়ানো? নাকি সঠিক ইসলাম প্রতিষ্ঠা করে হাসিনা নামক পিশাচ আর আওয়ামী নামক কুকুরদের মূলোৎপাটন করা?
যেহেতু সেটা করছেন না, তাতে স্পষ্ট আপনি যে একটু সৎ আছে তাকেও জালিমদের কাতারে নিয়ে যাওয়া আপনার কাজ। কারণ আপনি জালিমের দূত।
প্রবাদ মতে-চোরের মায়ের বড় গলা।
খালেদা আর হাসিনা আচলের নিচে গিয়ে ইসলাম খুজেন ,তাহলে মউদুদী ইসলাম বাস্তবায়ন হবে।
কারণ আপনাদের ঈমান ওত শক্ত না। হাসিনা একটু হুমকি দিলেই ঈমান শেষ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন