তথাকথিত "জামায়াতে ইসলামীর" প্রতিষ্ঠাতা মওদুদী যে কারনে আলেম সমাজের নিকট প্রত্যাখ্যাত হলেন।
লিখেছেন লিখেছেন অপ্রিয় সত্য কথা ২৮ জুলাই, ২০১৫, ১২:১৬:৫৫ দুপুর
=নবী- রাসুলগণের প্রতি ধৃষ্টতাপূর্ণ উক্তি : নবী- রাসুলগণ সকলেই মাসুম, তারা সকলেই নিষ্পাপ-এই হলো ইসলামী আকীদা।
তবে জনাব আবুল আলা মওদুদী ইসলামের বদ্ধমূল এ আকীদার উপর কুঠারাঘাত করে এবং কুরআনও সুন্নাহর চিরন্তন শিক্ষাকে পদদলিত করে আম্বিয়ায়ে কেরামের এ পূত পবিত্র জামাতের প্রতি কলংক লেপন করার উদ্দেশ্যে এমন ধৃষ্টতাপূর্ন কথা বলেছেন, যা কোন মুসলমানের পক্ষে বরদাস্ত করা সম্ভব নয়।
=প্রসিদ্ধ নবী দাউদ (আ.) সম্পর্কে: “হযরত দাউদ (আ.) এর কাজের মধ্যে নফস ও আভ্যন্তরীন কুপ্রবৃত্তির কিছুটা দখল ছিল। অনুরুপভাবে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার অপব্যবহারের সাথেও তার কিছুটা সম্পর্ক ছিল। আর তা ছিল এমন ধরনের কাজ, যা হক পন্থায় শাসনকারী কোন মানুষের পক্ষেই শোভা পায়না।” [তাফহিমুল কোরআন (উর্দু):৪র্থ খন্ড, সুরা সাদ, ৩২৭পৃ. ১ম সংস্করণ, অক্টোবর ১৯৬৬ইং]
=“হযরত দাউদ (আ.)ততকালীন যুগে ইসরাঈলী সোসাইটির দ্বারা প্রভাবান্বিত হয়ে এক বিবাহিতা যুবতীর উপর আসক্ত হয়ে তাকে বিবাহ করার জন্য তার স্বামীর নিকট তালাক দেওয়ার জন্য আবেদন করেছিলেন” [তাফহিমাত ২য় খন্ড: ৪২পৃ. ২য় সংস্করণ ; নির্বাচিত রচনাবলী (বাংলা) ২য় খন্ড, ৭৩ পৃ, আধুনিক প্রকাশনী, ১ম প্রকাশ ১৯৯১ইং]
=হযরত নূহ (আ.) সম্পর্কে: “হযরত নূহ (আ.) চিন্তাধারার দিক থেকে দ্বীনের চাহিদা হতে দূরে সরে গিয়েছিলেন।
তার মধ্যে জাহিলিয়াতের জযবা স্থান পেয়েছিল।” [তাফহিমুল কোরআন: ২য়খন্ড, ৩৪৪পৃ. ৩য় সংস্করণ, ১৯৬৪ ইং]
=হযরত মুছা (আ.) সম্পর্কে: “নবী হওয়ার পূর্বে মুছা(আ.) দ্বারা একটি বড় গুনাহ হয়েছিল। তিনি এক ব্যাক্তিকে কতল করেছিলেন।” [রাসায়েল ও মাসায়েল, ১ম খন্ড, ৩১ পৃ.] “মুছা (আ.) এর দৃষ্টান্ত হচ্ছে ঐ অধৈর্য্যশীল বিজয়ীর মত যে তার শাসন ক্ষমতা সুপ্রতিষ্ঠিত না করেই মার্চ করে সম্মুখে চলে যায় আর পিছনে ফেলে যাওয়া এলাকায় বিদ্রোহের দাবানল দাউ দাউ করে ছড়িয়ে পড়ে।” [তরজমানুল কোরআন ২৯/৪-৫]
=হযরত ইব্রাহীম (আ.) সম্পর্কে: “এখানে আর একটি প্রশ্নের উদ্রেক হয় যে, হযরত ইব্রাহীম (আ.) যখন নক্ষত্র দেখে বলেছিলেন, এটা আমার প্রতিপালক এবং চন্দ্র- সূর্য দেখে এগুলোকেও নিজের প্রতিপালক হিসাবে অবহিত করেন, তখন সাময়িক ভাবে হলেও কি তিনি শিরকে নিপতিত হননি?” [তাফহিমুল কোরআন ১মখন্ড, ৫৫৮ পৃ.]
=হযরত ইসা (আ.) সম্পর্কে: “হযরত ইসা (আ.) মারা গেছেন একথাও বলা যাবেনা, বরং বুঝতে হবে ব্যাপারটি অস্পষ্ট।” [তাফহিমুল কোরআন ১মখন্ড(সুরা নিসা), ৪২১ পৃ.]
=হযরত ইউসুফ (আ.) সম্পর্কে: “হযরত ইউসুফ (আ.)- ‘আমাকে মিসরের রাজকোষের পরিচালক নিয়োগ করুন’-
এ কথাটি বলে শুধু অর্থমন্ত্রী হওয়ার জন্যই প্রার্থনা করেননি।
কারো কারো ধারনা, বরং তিনি এ বলে ডিকটিটরীই চেয়েছিলেন মৌলিকভাবে। এরই ফলশ্রুতিতে বর্তমান ইতালীর মুসোলিনির যে মর্যাদা তিনিও এর কাছাকাছি মর্যাদার অধিকারী হয়েছিলেন।” [তাফহীমাত : ২য় খন্ড, ১২২ পৃ. ৫ম সংস্করন এবং নির্বাচিত রচনাবলী (বাংলা) ২য় খন্ড, ১৫১ পৃ, আধুনিক প্রকাশনী, ১ম সংস্করন ১৯৯১ইং]
বিষয়: বিবিধ
২১৬৩ বার পঠিত, ৩৭ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আপনি এত কষ্ট করেছেন-আল উস্তদের একটা ছবি উপহার নিন..
মনে পড়ে নজরুলের সেই কবিতা :- দুনিয়া যখন এগিয়ে চলেছে আমরা চলেছি পিছে,
বিবি তালাকের ফতোয়া খুজছি কোরান হাদিস চষে
অনেক কস্ট করলেন !নেন আপনার মউদুদীরে-
মোহাম্মদ আব্দুল মতিন মুন্সি- তাহলে এখন কোরআন - হাদিস রেখে মউদুদীর পূজা শুরু করতে হবে ?
ধোলাই দিতে এসে খেয়ে যেও না।
নাস্তিক আর আপনাদের এই জায়গায় খুব মিল। জামাতকে মওদুদীবাদী প্রচার করা। কিন্তু এতে লাভ কি? তাদের দলে সকল ধরনের মানুষ যোগ দিচ্ছে এবং জনসমর্থন কেমন গত উপজেলা নির্বাচনে দেখা গেছে।
নাস্তিকরা আর আপনাদের পরিণতিও সমান। সর্বজন গ্রহণযোগ্যতা নেই।
নাস্তিকরা মউদুদীর জামাতের বিরোধিতা করে না,বরং বিশ্বের বড় বড় কাফেরেরা মউদুদী পূজারিদের রক্ষার জন্য কান্না-কাটি করে তাও আমরা দেকছি।
এই ব্যাটা ফকরুল বলে মন হচ্ছে
এই ব্যাটা ফকরুল বলে মন হচ্ছে
এই ব্যাটা ফকরুল বলে মন হচ্ছে
এই ব্যাটা ফকরুল বলে মন হচ্ছে
এই ব্যাটা ফকরুল বলে মন হচ্ছে
আপনাকে ক্বাওমী সংশ্লিষ্ট বলেই মনে হচ্ছে!
স্বীয় মাজহাব ঠিক রাখতে কত সহিহ হাদিসের মন গড়া ব্যাখ্যা দাড় করানো হয় তা তো জানেন? ইমাম বুখারী রহ ভূল করেছেন এমন কয়েকটা জায়গা নির্দিষ্ট আছে বুখারী শরীফেও,যাকে اصح الكتاب بعد القرأن الكريم বলা হয়!
বর্তমান আহলে হাদিস নামধারীরা তো একটা বড় ফেতনা! অন্ততঃ আমি তাই মনে করি!
বিত্তশালীদের হারাম উপার্জনের বড় একটা অংশ তাবিল করে ব্যয় ক্বাওমী খাতে এটা তো সত্য না-কী?
কোরান খতম-চল্লিশা ইত্যাদি ব্যবসা বন্ধ হলে খবর আছে!
কিছু কিছু ক্বাওমী মাদ্রাসার এ সবের উর্ধ্বে!
ওদের কারণেই বাকীরা টিকে আছে এখনো!
পাওয়া যায়। মনে হচ্ছে তাবলীগ।
জামাতের ব্যাপারে জামাতের শত্রুদের রি-েকশনের মাত্রা দেখেই বুঝা যায় তারা কতটুটকু কার্যকরী।
তাদের নেতাদের নাটক সাজিয়ে হত্যা করার পরও জেহেলিয়্যাতিরা শান্তি বা সিকিউর্ড ফীল করছে না।
That proves how much real impact Jamat has.
যেসব মেরুদন্ডহীনের ঈমানের শক্তি কম আর শয়তানে(হাসিনা)র ভয় বেশী তারাই নিজেদের পিঠ বাচাতে মজলুমদের ব্যাপারে আরো ন্যাক্কারজনক কর্মকান্ড করবেই।
[img]http://www.monitor-bd.net/blog/bloggeruploadedimage/alhajj/1438776134.
jpg[/img]
/blog/bloggeruploadedimage/alhajj/1438776217.jpg[/img] jpg[/img]
বাজে কাট/ছাট ছবি দিয়ে নিজের চেহারাই দেখিয়ে দেয়াতে ধন্যবাদ
এত আমার বিকৃত চেহারা!!!
বেটা মউদুদীর গোস্ঠি !
অপকর্ম করার সময় লজ্জা লাগে না।
আমি তোদের অপকর্ম গুলি শুধু স্নরন করিয়ে দিলাম ,এতই আমার দোষ???
আহ ! আল্লাহ ।
যেসব মেরুদন্ডহীনের ঈমানের শক্তি কম আর শয়তানে(হাসিনা)র ভয় বেশী তারাই নিজেদের পিঠ বাচাতে মজলুমদের ব্যাপারে আরো ন্যাক্কারজনক কর্মকান্ড করবেই।
একজন কত বড় বড় দরবইশ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন