ধারাবাহিক প্রকাশনা # মওদূদীবাদেরস্বরূপ # ৬ষ্টপর্ব #
লিখেছেন লিখেছেন অপ্রিয় সত্য কথা ১১ মে, ২০১৪, ০৭:৫১:৫৮ সন্ধ্যা
# # সম্ভবত মওদূদীএ ধরনের শব্দ প্রয়োগকে আদবের পরিপন্থী মনে করেন না । তাইতো আম্বিয়ায়ে কিরামের মত সর্বোচ্চ মর্যদাসম্পন্ন ব্যক্তিদের বেলায়ও এধরনের শব্দ ব্যবহার সটিক মনে করেছেন । অথচ মুসলমানদেরবিশ্বাস হল আম্বিয়ায়ে কিরামের শানে বেয়াদবিমূলক শব্দ প্রয়োগ করা ঈমান থেকে বঞ্চিত হওয়ার কারণ । এখন যদি ঐ একই শব্দগুলো মওদূদীর নিজ চরিত্রে লেপন করা হয় যা তিনি আম্বিয়া আঃ এর শানে ব্যবহার করেছেন তবে আশা করি তিনি কিংবা তার ভক্ত ও অনুসারীদের কাছে অপছন্দনীয় হবে না । যেমন বলা যেতে পারে - অনেক সময় কোন জটিল কুপ্রবৃত্তিগত বিষয়ে মওদূদীর মত উচ্চ মর্যাদাশীল ব্যাক্তিও মানবিক দুর্বলতার কাছে পরাজিত হয়ে যেতেন , যা ছিল জাহিলিয়াতের অনুভূতির ফলস্বরুপ । তিনি তার যুগের ইসরাঈলী সাধারণ সমাজ প্রথায় প্রভাবান্বিত হয়ে পড়তেন ।মওদূদী থেকে নেতৃত্বের দায়িত্ব আদায়েও বেশ কিছু ত্রুটি হয়ে গিয়েছিল,খুব সম্ভব সময় আসার পূর্বেই তিনি অধৈর্য হয়ে নিজ অবস্থান পরিবর্তন করতেন । তার কর্মে কুপ্রবৃত্তির দখল ছিল ,তার ক্ষমতায় অসংগত ও অশোভনীয় ব্যাবহারের সম্পর্ক ছিল, আর তা ছিল এমন ধরনের কাজ যা হক পন্থায় নেতৃত্বদানকারি কোন নেতার পক্ষেই শোভা পায়না । আসলে তার দাবী কেবলমাত্র সংগঠনের তত্ত্বাবধায়কের পদই ছিলনা যেমন কোন কোন লোক ধারণা করে থাকেন , বরংতা ছিল ডিক্টেটরশীপ লাভের দাবি । এর ফলে মওদূদী যে পজিশন লাভ করেছিলেন তা প্রায় ঐ ধরনেরই ছিল যা ইটালীর মসোলিনি ও জার্মানীর হিটলার অর্জন করেছিলেন । মোটকথা মওদূদী থেকে প্রকাশিত এসব মানবিক দূর্বলতারস্বরুপ বুঝে নিতে হবে যে , শয়তানের উস্কানীর ছত্রছায়ায় জন্ম নেয়া তাৎক্ষণিক আবেগ তাকে আত্মভোলা করে ফেলত আর আত্ম নিয়ন্ত্রণের বাঁধন শিথিল হতেই তিনি আল্লাহর আনুগত্যের উচ্চ মর্যদা থেকে নাফরমানীর নিম্নস্তরে পতিত হতেন ।
কিন্তু আমার ধারণা , কোন মওদুদী প্রেমিক মওদূদী সম্পর্কে উল্লেখিত ভাষ্য বরদাশত করতে পারবে না । যদি ঐসব কথা মওদূদীর ক্ষেত্রে সামাজ্ঞস্য পুর্ণ না হয় অর্থাৎ যদি মওদূদীর জন্য অবমাননা সূচক হয় বা তার জন্য বেয়াদবীমূলক হয় তাহলে চিন্তা করুন ও ইনসাফের সাথে বলুন তা আম্বিয়ায়ে কিরামের শানে সাজবে কি ?
মওদূদী বাদীদের লীডার দু . এক নবীর ব্যাপারে নয় , আম্বিয়া আলাইহিমুস সালামের শানে যখন ঐ সমুস্ত কুউপাদি ও বেয়াদবীমুলক শব্দ প্রয়োগ করেছেন তখন তার অনূসরণ ও অনুকরণ কারিদের তা বরদাশত হয়ে যাওয়া সাভাবিক হয়ে গেছে , বরং তার ঐ সবকে সটিক বলে স্বীকার করে নিয়েছে । তারা ঐগুলোকে দুষনীয় এমনকি ভুলও মনে করে না ।অন্যথায় তারা ঢাক -ঢোল পিটিয়ে ঘোষণা করত যে , মওদূদী ও মওদূদিয়াত প্রকাশ্য গুমরাহ্ ও বদদীন ।বরঞ্চ তাদের লীডার মওদূদীকে ঐ সব উপাধিতে ভুষিত করা হলে তারা উলামায়ে কিরাম ও মুসলমানদের উপর রেগে ফেটে পড়ে এবং লোকদের ধোঁকা দেয়ার লক্ষ্যে চতুর্দিকে আওয়াজ তুলে ও মিছিল দিতে থাকে - মৌলভীদের ফতওয়াবাজিতে কান দিও না । তার সাথে সাথে এসব মওদূদীবাদীরা খোদ মুসলমানদের দীন ধ্বংস করতে থাকে এবং আম্বিয়া আলাইহিমুস সালামের সমালোচনা ও দোষচর্চা করতে থাকে আর আইম্মা , মাশায়িখ ও উলামায়ে হক্কানীকে হেয় করতে থাকে । হে আল্লাহ , তামাম মুসলিম জাতিকে এদের ধোঁকা থেকে হিফাযত করুন । আমীন ।
# চলবে।
মউদুদী মতবাদের যে সকল বন্ধুরা জবাব দিচ্ছেন,তাদেরকে বলবে ওহেতুক পাও ক্যাচাল না করে আমি যা লিখছি শুধু তার উপর ভিত্তি করেই আমার লেখা খন্ডন করুন।
**শুধু মাত্র সঠিক দিনের পথে ফিরে এসে সঠিক দ্বীনের উপর চলার জন্যই ক্ষুদ্র প্রয়াস।
আল্লাহ যাকে বুঝ দেন ,কে তাকে গোমড়া করবে।আর যাকে গোমড়া করেন কে তাকে বুঝ দান করবেন।
বিষয়: বিবিধ
১২২৭ বার পঠিত, ২৮ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
কুরআন-হাদীসের অপব্যাখ্যা ইসলামে ইতিহাসে মউদুদীর মত অন্য কেউ করেছে তা আমার জানা নাই।
ভোদাই তো ঐ ব্যাক্তিই যে কুরআন-হাদীস উপেক্ষা করে মউদুদীর ঈমানা বিধ্বংসি লেখা পড়ে এবং সে মতে আমল করে।
আমি লিখেছি - এসব ফিতনা ছেড়ে-
আমার কথা খন্ডন করতে না পেরে এখন মিথ্যা বকা -ঝকা শুরু করলেন।
আহারে মুসলমান।
এই জন্যই আলেমরা বার বার তার অনুসােদেরকে এই ভূল গুলি পরিহার করে সঠিক দ্বীনের উপর চলার আহবান করেছিল । কিন্ত দুঃখের বিষয়।তার অনুসারিরা সেই আহবানে সারা নাদিয়ে উল্টো আলেমদেরকে তুলোধুনো করেছে।
আর আমি মউদুদীর চেয়ে ভাল কিছু করার জন্যই মউদুদীর কুরআন+হাদিসের অপব্যাখা গুলি তুলে দরলাম।এআর কি।
কাছেও নয়। আমেরিকার লাইব্রেরীতে তার বই পাওয়া যায়।
আর হ্য তার বইতো আমিরিকাই পাওয়া যাবে।কারন তাদেরকে খুশি করার জন্যইতো সে কুরআন-হাদিসের মনগড়া অপব্যাখা করেছে।
মারিয়া
পরীবানু
মরুর মুসাফির
পরীবানু ,সততার আলো
অশ্বথমা
অপ্রতিরোধ্য স্বাধীন সমালোচক
পরমা ,নীলমণীলতা
বিলকিস লায়লা
দস্তার
রুপবান
মুক্তিযুদ্ধ ৭১
দ্রাবীড় বাঙাল
লেয়লা ইসলাম
বিলকিস
বাংলা ৭১
ভিক্টোরিয়া
হেলেনা
পল্লব প্রভাতে
খালেদ
রুশো তামজিদ
বারাংগনা
মধুবালা
সখি
ফয়সাল১
মাঝি-মাল্লা, ,
লায়লার
লায়লা০০৭
রাতুল দাস
চকো চকো
সায়েদ-রিয়াদ
বিভ্রান্ত নাবিক
ফাজিল
অপ্রতিরোধ্য স্বাধীন সমালোচক
মুক্তিযুদ্ধ ৭২
দ্রাবীড় বাঙাল
পিচ্চি পোলা
কাওসাইন হক
চাষা
jahed_ullah
নীরু
সাদা মন
সাদা মন
চোথাবাজ
আমি বিপ্লবী
সততার আলো সকাল সন্ধ্যা
এই নেরিকুত্তার এত নিক
আর হ্য তার বইতো আমিরিকাই পাওয়া যাবে।কারন তাদেরকে খুশি করার জন্যইতো সে কুরআন-হাদিসের মনগড়া অপব্যাখা করেছে।
এ দুনিয়ায় আর কোন সমস্যা নাই? মওদুদীই কি একমাত্র সমস্যা?
মওদুদীর বিরুদ্ধে ৫০ বছর ধরে লেখা হচ্ছে, তাতে মওদুদীর জামায়াত কি কমছে না বাড়ছে?
আজ বিশ্বে মুসলমানরা অস্তত্বেের সংকটে ভুগছে । কাফের, মোনাফেক, মোশরেক সব আজ একাট্টা হয়েছে মুসলমানদের অস্তিত্ব মিটিয়ে দিতে । কিন্তু এ চক্ষুষ্মান অন্ধরা তা দেখছেনা । ওদের জন্যই কি আল্লাহ নাযিল করেছের এ আয়াত
وَلَقَدْ ذَرَأْنَا لِجَهَنَّمَ كَثِيرًا مِّنَ الْجِنِّ وَالْإِنسِ ۖ لَهُمْ قُلُوبٌ لَّا يَفْقَهُونَ بِهَا وَلَهُمْ أَعْيُنٌ لَّا يُبْصِرُونَ بِهَا وَلَهُمْ آذَانٌ لَّا يَسْمَعُونَ بِهَا ۚ أُولَـٰئِكَ كَالْأَنْعَامِ بَلْ هُمْ أَضَلُّ ۚ أُولَـٰئِكَ هُمُ الْغَافِلُونَ
আর আমি সৃষ্টি করেছি দোযখের জন্য বহু জ্বিন ও মানুষ। তাদের অন্তর রয়েছে, তার দ্বারা বিবেচনা করে না, তাদের চোখ রয়েছে, তার দ্বারা দেখে না, আর তাদের কান রয়েছে, তার দ্বারা শোনে না। তারা চতুষ্পদ জন্তুর মত; বরং তাদের চেয়েও নিকৃষ্টতর। তারাই হল গাফেল, শৈথিল্যপরায়ণ।(সূরা আরাফ-১৭৯)
এখন প্রশ্ন হলো আলেম বলতে তিনি ঠিক কাদেরকে বুঝাচ্ছেন? ওলামায়ে দেওবন্দীদেরকেই কি তিনি বুযাচ্ছেন? যদি তাই হয়ে থাকে তবে প্রশ্ন হচ্ছে পৃথিবীর প্রায় একশত পচিশ কোটি মুসলমান সবাই কি ওলামায়ে দেওবন্দীদের অনুসারী? দেওবন্দীদেরও অনেক পুরাতন প্রতিষ্ঠান মিশরের আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের যুগ শ্রেষ্ঠ আলেমরা যেখানে সাইয়েদ আবুল আলা মওদুদীকে বিংশ শতাব্দির একজন বড় মাপের মুজাদ্দিদ হিসেবে শ্রদ্ধা করছেন তখন তাদেরকে কি মুসলিম উম্মাহর আলেম হিসেবে কি স্বীকৃতি দেয়া যাবে না? নাকি এসব আকাবেরদেরকে আলেম হওয়ার জন্য দেওবন্দীদের থেকে সার্টিফিকেট নিতে হবে? পাকিস্থানের বিখ্যাত দেওবন্দী আলেম ও খ্যাতনামা মোনাজির আল্লামা সাদিক কৌহাটি সাহেবের সাম্প্রতিক কিছু লেকচার শুনতে পারেন এক্ষেত্রে। তিনি মাওলানা আশ্রাফ আলী থানবী (রা), মাওলানা মাহমুদুল হাসান গাঙ্গুহি (রা), মাওলানা ইলিয়াছ সাহেবসহ বেশ কয়েকজন বিখ্যাত দেওবন্দী আকাবেরদের লিখিত বিভিন্ন কিতাবের মধ্যে মারাত্মাক গোমরাহী এবং শিরকী ফিতনা ফ্যাসাদের ব্যাপারে হুশিয়ারী করেছেন উম্মাহকে। মাওলানা সাদিক কৌহাটি সাহেব এসব আকাবেরদেরকে একবাক্যে মুশরিকিনদের অন্তভুক্ত বলে উল্লেখ করেছেন বিভিন্ন কিতাবগুলোর বিভ্রান্তিমূলক শিরকী মসলকতের রেফারেন্স উল্লেখ করে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন ওলামায়ে দেওবন্দীদের গোমরাহীর ব্যাপারে। অথচ তিনি নিজেও একজন দেওবন্দী আলেম। দেওবন্দী আলেমরা এক সময়ে তাকে মাথার তাজ হিসেবে শ্রদ্ধা করতো। যখনই তিনি পূর্ববর্তী আকাবেরদের লিখিত কিতাবগুলোতে বিভিন্ন গলদগুলো তুলে ধরলেন তখনই তাকে হত্যা করার জন্য বেশ কয়েকবার ব্যর্থ প্রচেষ্টা পর্যন্ত চালিয়েছে কিছু বকধার্মিক তথাকথিত দেওবন্দের অনুসারী হকপন্থী দাবীদার মাওলানারা।
ইউটিউবে মাওলানা সাদিক কৌহাটি লিখে সার্চ দিলেই বিস্তারিত অনেক কিছুই জানতে পারবেন।
যার বাস্তব উদাহার আপনি।
ধইন্যা।
মন্তব্য করতে লগইন করুন