ধারাবাহিক প্রকাশনা * #মওদূদীবাদের স্ব রূপ # #৩য় পর্ব#
লিখেছেন লিখেছেন অপ্রিয় সত্য কথা ০৫ মে, ২০১৪, ০৬:৫৪:৫২ সন্ধ্যা
২. মুসলমানদের বিশ্বাষ,কুরআনেরএকটি আয়াতও যদি কেউ অস্বীকার করে তবে সে কাফির হয়ে যায় । কিন্তু আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাঃ সম্পর্কে মওদূদী লিখেন . তাঁর মত একজন উচ্চ মর্যাদার সাহাবি সম্পর্কে বলা হয়েছে যে , তিনি নাকি এ সূরাদ্বয়কে ( ফালাক ও নাস ) কুরআনের সূরাই মানতেন না ।... ... বস্তুত এ ধরনের বর্ণনার কারণে ইসলামের দুশমনদের পক্ষে কুরআনের বিরুদ্ধে সন্দেহ সৃষ্ঠির একটি অতি বড় সুযোগ লাভ সম্ভবপর হয়েছে ।তারা বলার সুযোগ পেয়েছে যে , ( নাউযু বিল্লাহ ) কুরআন মজীদ বুঝি বিকৃত ও রদ বদলের হস্তক্ষেপ থেকে সুরক্ষিত নয় । ... ... এ আক্রমণ থেকে কুরআনকে রক্ষা করার জন্য কাযী আবূ বকর আল - বাকিল্লানী ও কাযী ইয়ায ইবনে মাসঊদের উপরিউক্ত কথারএকটা ব্যাখ্যা দিয়েছেন । তারা বলেছেন ইবনে মাসঊদ সূরা দুটির কুরআনের অংশ হওয়ার কথা অস্বীকার করতেন না । ...... কিন্তু এ ব্যাখ্যা যুক্তিযুক্ত ও নির্ভরযোগ্য নয় ।... ... কিন্তু কুরআনের এ সূরা দুটিকে অস্বীকার করার দরূণ (নাঊযুবিল্লাহ) তিনি কাফের হয়ে গেছেন , এমন কথা বলার দুঃসাহস কেউই করেনি । (তাফহিমুল কুরআন,মূল .আবুল আলা মওদুদী , অনুবাদ : মুহাম্মাদ আব্দুর রহিম,পৃষ্ঠা ৩১৩- ৩২০ , ১৯শ খন্ড,২২প্রকাশ : এপ্রিল ২০১১, আধুনিক প্রকাশনি,ঢাকা ) পাঠকদের কাছে আবেদন , একটু ভেবে দেখুন এখানে মওদূদী কিভাবে আব্দুল্লাহ ইবনে মাসঊদ রাঃ ন্যায় একজন মর্যদাশীল সাহাবীর উপর কুরআনের দুটি সুরা অস্বীকারের মত জঘন্য একটা অপবাদ দিলেন । আর এ মিথ্যা অপবাদের ফলাফল এই দাড়াল যে,কেউ কুরআনের দু এক সুরা অস্বীকার করলেও কাফির হয়না । অপরদিকে তিনি ইসলামের দুশমনদের জন্য একথা বলার সুযোগ করে দিলেন যে, কুরআনে করীম বিকৃতি ও রদবদলের হাত থেকে রক্ষা পায়নি ।
### হাদিসের উপর আক্রমণ ১. মওদূদী লিখেছেন , হাদিস বর্ণনার মূলনীতি বাদ দেন ।আধুনিক এ যুগে প্রাচিনকালের আজেবাজে কথা কে শুনে ? (তরজমানুল কুরআন ,পৃষ্টা -১১১ , খন্ড -১৪ , সংখ্যা-২ ) ২, মওদূদী বলেন , আপনাদের মতে মুহাদ্দিসগণ যেসব রেওয়ায়াতকে সনদের দিক থেকে সহিহ্ বলেছেন তার প্রতিটি রেওয়ায়াতকেই হাদিস রাসুল হিসেবে স্বীকার করে নেয়া জরুরী । কিন্তু আমাদের মতে এটা জরুরী নয় । সনদের বিশুদ্ধতাকে হাদিসের বিশুদ্ধতার ক্ষেত্রে আমরা অত্যাবশ্যক দলীল মনে করিনা । ( রাসায়েল ও মাসায়েল , মূল আবুল আলা মাওদূদী , অনুবাদ : আবদুস শহিদ নাসিম , পৃষ্টা - ১৭৩ , ১ম খন্ড , ৬ষ্ট মুদ্রণ : সেপ্টেম্বর ২০০৮ , শতাব্দী প্রকাশনী , ঢাকা ) ৩. মওদূদী আরো বলেন , হাদিস সমুহ কিছু সংখ্যক মানুষের কাছ থেকে কিছু সংখ্যক মানুষের কাছে পৌছেছে। এর দারা বেশি থেকে বেশি যদি অর্জিত হয় তা সহিহ্ হওয়ার ধারণা , তার উপর দৃঢ় বিশ্বাষ বা ইয়াকিন রাখা যায়না । ( তরজমানুল কুরআন , পৃষ্টা -২৬৭, খন্ড -২৬ , সংখ্যা - ৩ )
৪. বুখারী শরিফে ইবরাহিম আঃ এর ঘটনা বর্ণিত আছে যে, তিনি সারা আঃ কে স্বীয় বোন বলেছেন । হাদিসে বর্ণিত এঘটনা সম্পর্কে মওদূদী বলেন , এটা একেবারেই মিথ্যা । (রাসায়েল মাসায়েল , মুল : আবুল আ লামওদূদী , অনুবাদ আব্দুল মান্নান তালিব ও আব্দুল আযীয , পৃষ্টা -২৯, ২য় খন্ড ,৬ষ্ট মুদ্রণ : জুন ২০০৯,শতাব্দী প্রকাশনী ঢাকা ) ৫ . মওদূদী আরো লিখেছেন , কুরআন - সুন্নাহর শিক্ষা সর্বাগ্রে । কিন্তু তাফসির ও হাদিসের পুরাতন ভান্ডার থেকে নয় । (তানকিহাত,আবুল আ লা মওদূদী , পৃষ্টা - ১৪৮ , প্রথম প্রকাশ : ফেব্রুয়ারি ২০০৩ , মারকাযী মাকতাবায়ে ইসলামি পাবলিশার্স , নয়া দিল্লি ) পাটকগণ, একটু চিন্তা করুন হাদিস অস্বীকার কারি পারভেজি মতবাদিদের উক্তি থেকে মওদূদীর উক্তিগুলো কোন অংশে কম কি ?
#চলবে #
**শুধু মাত্র সঠিক দিনের পথে ফিরে এসে সঠিক দ্বীনের উপর চলার জন্যই ক্ষুদ্র প্রয়াস।
আল্লাহ যাকে বুঝ দেন ,কে তাকে গোমড়া করবে।আর যাকে গোমড়া করেন কে তাকে বুঝ দান করবেন।
বিষয়: বিবিধ
১৭০৮ বার পঠিত, ১৯ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
**শুধু মাত্র সঠিক দিনের পথে ফিরে এসে সঠিক দ্বীনের উপর চলার জন্যই ক্ষুদ্র প্রয়াস।
আল্লাহ যাকে বুঝ দেন ,কে তাকে গোমড়া করবে।আর যাকে গোমড়া করেন কে তাকে বুঝ দান করবেন।
একজন সাহাবীর কুরআনের আয়াত অস্বিকার! এটা ভাবা যায়! আবার এটাকে পূঁজি করে কেউ কেউ ফতোয়াও দিচ্ছেন যে, কুরআনের আয়াত অস্বিকার করলে কাফির হয় না!!
মুওদুদীর বক্তব্য ভাল করে পড়ুন, কিছু সামনে থেকে কিছু পিছন থেকে নিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করবেন না।
এ সূরা দু’টি কুরআনের অংশ কিনা (মওদুদীর বক্তব্য)
এ সূরা দু’টির বিষয়বস্তু ও মূল বক্তব্য অনুধাবন করার জন্য ওপরের আলোচনাটুকুই যথেষ্ট। তবুও হাদীস ও তাফসীর গ্রন্থগুলোয় এদের সম্পর্কে এমন তিনটি বিষয়ের আলোচনা এসেছে যা মনে সংশয় ও সন্দেহ সৃষ্টি করতে পারে , তাই আমরা সে ব্যাপারটিও পরিষ্কার করে দিতে চাই। এর মধ্যে সর্বপ্রথম যে বিষয়টির প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করা যায় সেটি হচ্ছে , এ সূরা দু’টির কুরআনের অংশ হবার ব্যাপারটি কি চূড়ান্তভাবে প্রমাণিত অথবা এর মধ্যে কোন প্রকার সংশয়ের অবকাশ আছে ? এ প্রশ্ন দেখা দেবার কারণ হচ্ছে এই যে , হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদের মতো উন্নত মর্যাদা সম্পন্ন সাহাবী থেকে বিভিন্ন রেওয়ায়াতে একথা উদ্ধৃত হয়েছে যে , তিনি এ সূরা দু’টিকে কুরআনের সূরা বলে মানতেন না এবং নিজের পাণ্ডুলিপিতে তিনি এ দু’টি সূরা সংযোজিত করেননি। ইমাম আহমাদ , বাযযার , তাবারানী , ইবনে মারদুইয়া , আবু ইয়ালা , আবদুল্লাহ ইবনে আহমাদ ইবনে হাম্বল , হুমাইদী , আবু নু’আইয , ইবনে হিব্বান প্রমুখ মুহাদ্দিসগণ বিভিন্ন সূত্রে এবং বেশীর ভাগ ক্ষেত্রে সহীহ সনদের মাধ্যমে একথা হযরত ইবনে মাসউদ (রা) থেকে উদ্ধৃত করেছেন। এ হাদীসগুলোতে কেবল একথাই বলা হয়নি যে , তিনি এই সূরা দু’টিকে কুরআনের পাণ্ডুলিপি থেকে বাদ দিতেন বরং এই সাথে একথাও বলা হয়েছে যে , তিনি বলতেন : “ কুরআনের সাথে এমন জিনিস মিশিয়ে ফেলো না যা কুরআনের অংশ নয়। এ সূরা দু’টি কুরআনের অন্তরভুক্ত নয়। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে এর মাধ্যমে একটি হুকুম দেয়া হয়েছিল। তাঁকে বলা হয়েছিল , এ শব্দগুলোর মাধ্যমে আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাও।” কোন কোন রেওয়ায়াতে আরো বাড়তি বলা হয়েছে যে , তিনি নামাযে এ সূরা দু’টি পড়তেন না।
এ রেওয়ায়াতগুলোর কারণে ইসলাম বিরোধীরা কুরআনের বিরুদ্ধে সন্দেহ সৃষ্টির এবং ( নাউযুবিল্লাহ ) কুরআন যে বিকৃতিমুক্ত নয় একথা বলার সুযোগ পেয়ে গেছে। বরং আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদের (রা) মতো বড় সাহাবী যখন এই মত পোষণ করছেন যে , কুরআনের এ দু’টি সূরা বাইর থেকে তাতে সংযোজিত হয়েছে তখন না জানি তার মধ্যে আরো কত কি পরিবর্তন - পরিবর্ধন করা হয়েছে। এ ধরনের সংশয় ও সন্দেহ সৃষ্টির সুযোগ তার সহজেই পেয়ে গেছে। কুরআনকে এ ধরনের দোষারোপ মুক্ত করার জন্য কাযী আবু বকর বাকেল্লানী ও কাযী ইয়ায ইবনে মাসউদের বক্তব্যের একটি ব্যাখ্যা দিয়েছেন। তারা বলেছেন , ইবনে মাসউদ সূরা ফালাক ও সূরা নাসের কুরআনের অংশ হবার ব্যাপারটি অস্বীকার করতেন না বরং তিনি শুধু এ সূরা দু’টিকে কুরআনের পাতায় লিখে রাখতে অস্বীকার করতেন। কারণ তাঁর মতে কুরআনের পাতায় শুধুমাত্র তাই লিখে রাখা উচিত যা লিখার অনুমতি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম দিয়েছিলেন । কিন্তু তাদের এ জবাব ও ব্যাখ্যা সঠিক নয়। কারণ ইবনে মাসউদ (রা) এ সূরা দু’টির কুরআনের সূরা হওয়ার কথা অস্বীকার করেছেন , একথা নির্ভরযোগ্য সনদের মাধ্যমে প্রমাণিত । ইমাম নববী , ইমাম ইবনে হাযম , ইমাম ফখরুদ্দীন রাযী প্রমুখ অন্য কতিপয় মনীষী ইবনে মাসউদ যে এ ধরনের কোন কথা বলেছেন , একথাটিকেই সরাসরি মিথ্যা ও বাতিল গণ্য করেছেন। কিন্তু নির্ভরযোগ্য ঐতিহাসিক সত্যকে সনদ ছাড়াই রদ করে দেয়া কোন সুস্থ জ্ঞানসম্মত পদ্ধতি নয়।
এখন প্রশ্ন থেকে যায় , ইবনে মাসউদ (রা) সংক্রান্ত এ রেওয়ায়াত থেকে কুরআনের প্রতি যে দোষারোপ হচ্ছে তার জবাব কি ? এ প্রশ্নের কয়েকটি জবাব আমরা এখানে পর্যায়ক্রমে বর্ণনা করেছি।
এক : হাফেয বাযযার তাঁর মুসনাদ গ্রন্থে ইবনে মাসউদ (রা) সংক্রান্ত এ রেওয়ায়াতগুলো বর্ণনা করার পর লিখেছেন : নিজের এ রায়ের ব্যাপারে তিনি একান্তই নিঃসংগ ও একাকী। সাহাবীদের একজনও তাঁর এ বক্তব্য সমর্থন করেননি।
দুই : সকল সাহাবী একমত হওয়ার ভিত্তিতে তৃতীয় খলীফা হযরত উসমান রাদিয়াল্লাহু আনহু কুরআন মজীদের যে অনুলিপি তৈরি করেছিলেন এবং ইসলামী খেলাফতের পক্ষ থেকে ইসলামী বিশ্বের বিভিন্ন কেন্দ্রে সরকারী পর্যায়ে পঠিয়েছিলেন তাতে এ দু’টি সূরা লিপিবদ্ধ ছিল।
তিন : রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের মুবারক যুগ থেকে নিয়ে আজ পর্যন্ত সমগ্র ইসলামী দুনিয়ায় কুরআনের যে কপির ওপর সমগ্র মুসলিম উম্মাহ একমত তাতেই সূরা দু’টি লিখিত আছে। হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মসউদের (রা) একক রায় তাঁর বিপুল ও উচ্চ মর্যাদা সত্ত্বেও সমগ্র উম্মাতের এ মহান ইজমার মোকাবেলায় কোন মূল্যই রাখে না।
চার : রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামে অত্যন্ত নির্ভুল ও নির্ভরযোগ্য হাদীস অনুযায়ী একথা প্রমাণিত হয় যে , তিনি নামাযে এ সূরা দু’টি নিজে পড়তেন , অন্যদের পড়ার আদেশ দিতেন এবং কুরআনের সূরা হিসেবেই লোকদেরকে এ দু’টির শিক্ষা দিতেন। উদাহরণ স্বরূপ নিম্নোক্ত হাদীসগুলো দেখুন।
ইতিপূর্বে মুসলিম , আহমাদ , তিরমিযী ও নাসাঈর বরাত দিয়ে আমরা হযরত উকবা ইবনে আমেরের (রা) একটি রেওয়ায়াত বর্ণনা করেছি। এতে রসূলুল্লাহ (সা) সূরা ফালাক ও সূরা নাস সম্পর্কে তাঁকে বলেন : আজ রাতে এ আয়াতগুলো আমার ওপর নাযিল হয়েছে। উকবা ইবনে আমরে (রা) থেকে বর্ণিত নাসায়ীর এক রেওয়ায়াতে বলা হয়েছে : রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এ দু’টি সূরা ফজরের নামাযে পড়েন । ইবনে হিব্বানও এই হযরত উকবা ইবনে আমের (রা) থেকে রেওয়ায়াত করেছেন , নবী করীম (সা) তাঁকে বলেন : “ যদি সম্ভব হয় তোমার নামাযসমূহ থেকে এ সূরা দু’টির পড়া যেন বাদ না যায়। ” সাঈদ ইবনে মনসুর হযরত মু’আয ইবনে জাবালের রেওয়ায়াত উদ্ধৃত করেছেন । তাতে বলা হয়েছে , নবী করিম (সা) ফজরের নামাযে এ সূরা দু’টি পড়েন। ইমাম আহমাদ তাঁর মুসনাদে সহীহ সনদ সহকারে আরো একজন সাহাবীর হাদীস উদ্ধৃত করেছেন। তাতে বলা হয়েছে , নবী (সা) তাঁকে বলেন : যখন তুমি নামায পড়বে , তাতে এ দু’টি সূরা পড়তে থাকবে। মুসনাদে আহমাদ , আবু দাউদ ও নাসাঈতে উকবা ইবনে আমেরের (রা) একটি হাদীসে বর্ণিত হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে , রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাকে বলেন : “ লোকেরা যে সূরাগুলো পড়ে তার মধ্যে সর্বোত্তম দু’টি সূরা কি তোমাকে শেখাবো না ? তিনি আরজ করেন , অবশ্যি শিখাবেন। হে আল্লাহ রসূল ! একথায় তিনি তাকে এ আল ফালাক ও আন নাস সূরা দু’টি পড়ান। তারপর নামায দাঁড়িয়ে যায় এবং নবী করীম (সা) এ সূরা দু’টি তাতে পড়েন। নাময শেষ করে তিনি তার কাছ দিয়ে যাবার সময় বলেন : “ হে উকাব ( উকবা) ! কেমন দেখলে তুমি ?” এরপর তাকে হিদায়াত দিলেন , যখন তুমি ঘুমাতে যাও এবং যখন ঘুম থেকে জেগে উঠো তখন এ সূরা দু’টি পড়ো। মুসনাদে আহামদ , আবু দাউদ তিরমিযী , নাসাঈতে উকবা ইবনে আমেরের (রা) অন্য একটি রেওয়ায়াত বলা হয়েছে : রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁকে প্রত্যেক নামাযের পর “ মুআওবিযাত ” (অর্থাৎ সূরা ইখলাস , সূরা আল ফালাক ও সূরা আন নাস ) পড়তে বলেন । নাসায়ী ইবনে মারদুইয়ার এবং হাকেম উকবা ইবনে আমেরের আর একটি রেওয়ায়াত উদ্ধৃত করেছেন। তাতে বলা হয়েছে : একবার নবী করিম (সা) সওয়ারীর পিঠে চড়ে যাচ্ছিলেন এবং আমি তাঁর পবিত্র পায়ে হাত রেখে সাথে সাথে যাচ্ছিলাম। আমি বললাম , আমাকে কি সূরা হূদ সূরা ইউসুফ শিখিয়ে দেবেন ? বললেন : “আল্লাহর কাছে বান্দার জন্য ‘ কুল আউজু বিরাব্বিল ফালাক - এর চাইতে বেশী বেশী উপকারী আর কোন জিনিস নেই। ” নাসাঈ , বায়হাকী , বাগাবী ও ইবনে সা’দ আবদুল্লাহ ইবনে আবেস আল জুহানীর রেওয়ায়াত উদ্ধৃত করেছেন। তাতে বলা হয়েছে , নবী করিম (সা) আমাকে বলেছেন : “ইবনে আবেস , আমি কি তোমাকে জানাবো না , আশ্রয় প্রার্থীরা যতগুলো জিনিসের মাধ্যমে আল্লাহর কাছে আশ্রয় চেয়েছে তার মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ কোনগুলো ?” আমি বললাম , অবশ্যি বলবেন হে আল্লাহর রসূল ! বললেন : “ কূল আউযু বিরব্বিল ফালাক ” ও “ কুল আউযু বিরব্বিন নাস ” সূরা দু’টি । ” ইবনে মারদুইয়া হযরত ইবনে সালমার রেওয়ায়াত উদ্ধৃত করেছেন। তাতে বলা হয়েছে : “ আল্লাহ যে সূরাগুলো সবচেয়ে বেশী পছন্দ করেন তা হচ্ছে ” , কুল আউযু বিরব্বিল ফালাক ও কুল আউযু বিরব্বিন নাস।”
এখানে প্রশ্ন দেখা যায় , এ দু’টি কুরআনে মজীদের সূরা নয় , হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা) এ ধরনের ভুল ধারণার শিকার হলেন কেমন করে ? দু’টি বর্ণনা একত্র করে দেখলে আমরা এর জবাব পেতে পারি।
একটি বর্ণনায় বলা হয়েছে : হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা) বলতেন , এটিতো আল্লাহর একটি হুকুম ছিল । রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে হুকুম দেয়া হয়েছিল , আপনি এভাবে আল্লাহর কাছে আশ্রয় চান। অন্য বর্ণনাটি বিভিন্ন সূত্রে উদ্ধৃত হয়েছে। ইমাম বুখারী সহীহ আল বুখারীতে , ইমাম মুহাম্মাদ তাঁর মুসনাদে , হাফেজ আবু বকর আল হুমাইদী তাঁর মুসনাদে , আবু নু’আইম তাঁর আল মুসতাখরাজে এবং নাসাঈ তাঁর সুনানে যির ইবনে জুবাইশের বরাত দিয়ে সামান্য শাব্দিক পরিবর্তন সহকারে কুরাআনী জ্ঞানের ক্ষেত্রে সাহাবায়ে কেরামের মধ্যে বিশিষ্ট মর্যাদার অধিকারী হযরত উবাই ইবনে কা’ব থেকে এটি উদ্ধৃত করেছেন। যির ইবনে হুবাইশ বর্ণনা করেছেন , আমি হযরত উবাইকে (রা) বললাম , আপনার ভাই আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ তো এমন এমন কথা বলেন । তাঁর এ উক্তি সম্পর্কে আপনার বক্তব্য কি ? তিনি জবাব দিলেন : “ আমি এ সম্পর্কে রসূলূল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে জিজ্ঞেস করেছিলাম। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন , আমাকে বলা হয়েছে , ‘ কুল ’ (বলো ) , কাজেই আমি বলেছি ‘কুল’ । তাই আমরাও তেমনিভাবে বলি যেভাবে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলতেন। ” ইমাম আহমাদের বর্ণনা মতে হযরত উবাইয়ের বক্তব্য ছিল নিম্নরূপ : “ আমি সাক্ষদিচ্ছি , রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাম আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাকে বলেছেন , জিব্রীল আলাইহি ওয়া সালাম তাঁকে বলেছিলেন , কুল আউযু বিরব্বিল ফালাক ” তাই তিনিও তেমনি বলেন । আর জিব্রীল ( আ) ‘ কুল আউযু বিরব্বিন নাস ’ বলেছিলেন , তাই তিনি ও তেমনি বলেন । কাজেই রসূল (সা) যেভাবে বলতেন আমরাও তেমনি বলি। ” এ দু’টি বর্ণনা সম্পর্কে গভীরভাবে চিন্তা করলে দেখা যাবে , হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা) উভয় সূরায় ‘ কুল’ (বলো ) শব্দ দেখে এ ভুল ধারণা করেছিলেন যে , রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে “ আউযু বিরব্বিল ফালাক ( আমি সকাল বেলার রবের আশ্রয় চাচ্ছি ) ও “ আউযু বিরব্বিন নাস ” ( আমি সমস্ত মানুষের রবের আশ্রয় চাচ্ছি ) বলার হুকুম দেয়া হয়েছিল। কিন্তু তিনি রসূলে করিমকে ( সা) এর এ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করার প্রয়োজন অনুভব করেননি। হযরত উবাই ইবনে কা’বের (রা) মনে এ সম্পর্কে প্রশ্ন জেগেছিল। তিনি রসূলের (সা) সামনে প্রশ্ন রেখেছিলেন। রসূলুল্লাহ (সা) বলেছিলেন : জিব্রীল আলাইহিস সালাম যেহেতু ‘ কুল’ বলেছিলেন তাই আমি ও ‘কুল’ বলি। একথাটিকে এভাবে ও ধরা যায় যদি কাউকে হুকুম দেয়ার উদ্দেশ্য থাকে এবং তাকে বলা হয় , , “ বলো , আমি আশ্রয় চাচ্ছি।” বরং সে ক্ষেত্রে ‘ বলো ’ শব্দটি বাদ দিয়ে “ আমি আশ্রয় চাচ্ছি’ বলবে। বিপরীত পক্ষে যদি উর্ধতন শাসকের সংবাদবাহক কাউকে এভাবে খবর দেয় , “ বলো , আমি আশ্রয় চাচ্ছি” এবং এ পয়গাম তার নিজের কাছে রেখে দেবার জন্য নয় বরং অন্যদের কাছেও পৌঁছে দেবার জন্য দেয়া হয়ে থাকে , তাহলে তিনি লোকদের কাছে এ পয়গামের শব্দগুলো , হুবহু পৌঁছে দেবেন । এর মধ্য থেকে কোন একটি শব্দ বাদ দেবার অধিকার তাঁর থাকবে না। কাজেই এ সূরা দু’টির সূচনা ‘ কুল’ শব্দ দিয়ে করা একথা সুস্পষ্টভাবে প্রমাণ করে যে , এটি অহীর কালাম এবং কালামটি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ওপর যেভাবে নাযিল হয়েছিল ঠিক সেভাবেই লোকদের কাছে পৌঁছিয়ে দিতে তিনি বাধ্য ছিলেন। এটি শুধু নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে দেয়া একটি হুকুম ছিল না। কুরআন মজীদে এ দু’টি সূরা ছাড়াও এমন ৩৩০ টি আয়াত আছে যেগুলো ‘কুল’ শব্দ দিয়ে শুরু করা হয়েছে। এ আয়াতগুলোতে ‘কুল’ ( বলো ) থাকা একথাই সাক্ষ্য বহন করে যে , এগুলো অহীর কালাম এবং যেসব শব্দ সহকারে এগুলো নবী করিম (সা) -- এর ওপর নাযিল হয়েছিল হুবুহু সেই শব্দগুলো সহকারে লোকদের কাছে পৌঁছিয়ে দেয়া তাঁর জন্য ফরয করা হয়েছিল। নয়তো প্রত্যেক জায়গায় ‘কুল’ (বলো ) শব্দটি বাদ দিয়ে শুধু সেই শব্দগুলোই বলতেন যেগুলো বলার হুকুম তাঁকে দেয়া হয়েছিল। এ ক্ষেত্রে তিনি এগুলো কুরআনে সংযোজিত করতেন না। বরং এ হুকুমটি পালন করার জন্য শুধু মাত্র সেই কথাগুলোই বলে দেয়া যথেষ্ট মনে করতেন যেগুলো বলার হুকুম তাঁকে দেয়া হয়েছিল।
এখানে সামান্য একটু চিন্তা ভাবনা করলে একথা ভালোভাবে অনুধাবন করা যেতে পারে যে , সাহাবায়ে কেরামকে ভুল ত্রুটি মুক্ত মনে করা এবং তাদের কোন কথা সম্পর্কে ‘ ভুল’ শব্দটি শুনার সাথে সাথেই সাহাবীদের অবমাননা করা হয়েছে বলে হৈ চৈ শুরু করে দেয়া কতইনা অর্থহীন। এখানে দেখা যাচ্ছে , হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা) - এর মত উচ্চ মর্যাদাসম্পন্ন সাহাবীর কুরআনের দু’টি সূরা সম্পর্কে কত বড় একটি ভুল হয়ে গেছে। এতবড় উচ্চ মর্যাদাসম্পন্ন সাহাবীর যদি এমনি একটি ভুল হয়ে যেতে পারে তাহলে অন্যদেরও কোন ভুল হয়ে যাওয়া সম্ভব । আমরা ইলমী তথা তাত্ত্বিক গবেষণার জন্য এ ব্যাপারে যাচাই - বাছাই করতে পারি। তবে যে ব্যক্তি ভুলকে ভুল বলার পর আবার সামনে অগ্রসর হয়ে তাঁদের প্রতি ধিক্কার ও নিন্দাবাদে মুখর হবে সে হবে একজন মস্তবড় জালেম। এ “ মু’আওবিযাতাইন ” প্রসংগে মুফাসসির ও মুহাদ্দিসগণ হযরত ইবনে মসাউদ (রা) এর রায়কে ভুল বলেছেন। কিন্তু তাঁদের কেউই কথা বলার দুঃসাহস করেননি যে , ( নাউযুবিল্লাহ) কুরআনের দু’টি সূরা অস্বীকার করে তিনি কাফের হয়ে গিয়েছিলেন।
ইনারা উক্তির অনুসারী, কখনও মূল টেক্সট ঘেটে দেখে না।
কিন্তু আমার মূল বিষয়তো ইহা নয়।
১। মোস্তফা চরিত - মাওলানা আকরাম খাঁ
২। স্প্রিরিট অফ ইসলাম - স্যার আমীর আলী
৩। স্যার আব্দুর রহীমের ইসলামী আইনতত্ব - গাজী শামসুর রহমান।
(যদি পড়া থাকে খুবই ভালো। ইসলাম বুঝতে বাংলা ভাষায় এই বইগুলো অনন্য।)
ইখতিলাফী মাসায়ালায় স্কলারদের মধ্যে মতভেদ আছে, থাকবে - তার মানে যে ভাবে খুশী মুনাফিক, কাফের ইত্যাদি বলা ঠিক নয়।
যে লোক ইসলাম ছাড়া অন্য কোন জীবনব্যবস্থা তালাশ করে, কস্মিণকালেও তা গ্রহণ করা হবে না এবং আখেরাতে সে ক্ষতি গ্রস্ত।" (সুরা-৩, আয়াত-৮৫) - এই আয়াতের অর্থ মানুষকে বুঝান। ব্লগ লেখুন, প্রচার করুন।
মানুষের পার্থিব জীবনে ইসলামী আইন অনুযায়ী ছয়টি মৌলিক চাহিদা আছে (অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসা, বিবাহের অধিকার) (সেক্যুলারদের কাছে পাঁচটি) - আর এই ছয়টি পার্থিব মৌলিক চাহিদার সমাধান মুসলিমদেরকে ইসলামের মাধ্যমে করতে হবে, জীবনে ক'জন আলেমকে এই ব্যাপারে বলতে শুনেছেন, আমরা নিজে ইসলাম দিয়ে কয়টির বাস্তবায়ন করেছি? এই বিষয়গুলো ব্লগে তুলে আনুন।
রক্তপাত ছাড়া কোন স্বাধীনতা আসেনি, কোন বড় কিছু অর্জন হয় নাই। মক্কা বিজয়ের দিনেও কয়েকজনকে ক্ষমা করা হয় নাই। শহীদ হওয়া মানেই ব্লাডশেড। অমুসলিম দেশে ইসলাম পালন খুবই সহজ। কিন্তু যে ভুখন্ডে মুসলিমরা সংখ্যাগুরু সেখানে ইসলাম পালন খুবই কঠিন, কুরআন-সুন্নাহ'র আইন যদি না থাকে। এবং এই ভুখন্ডে ইসলামী হুকুমত কায়েম করা মুমিনের উপর ফরজ হয়ে যায়। ইসলামী আইন সবসময় একটি রাষ্ট্র চায়। রাস্ট্র ছাড়া ইসলামী আইন বাস্তবায়ন করা যায় না, এই বিষয়গুলো মানুষকে বুঝান, ব্লগ লিখুন। উই ডিভাইড এন্ড দে রুল - এই নীতি কেন?
অজথা কাদাছোড়াছুড়ি বাদ দিয়ে কমন প্রবলেমগুলোর দিকে দৃষ্টি দেই। ৫ই মে, ২০১৩- গুলি কিন্তু ফেরকার উপরে করা হয় নাই, মুমিন-মুসলমানের উপর করা হয়েছিল।
আল্লাহ্ আমাদের হেফাজত করুন।
আগে জমিন থেকে আগাছা পরিস্কার করুন।তারপর সার প্রয়োগ করুন ফলন ভাল হবে ।আগাছা রেখে যতই চেস্টা করেন শেষ ফল শূন্যই হবে।
জানিনা আপনি মউদুদী এসকল মত গুলিকে কিভাবে দেখেন??
আমার কাছে এগুলো মোটেও ছোট বিষয় নয়।
আজ মউদুদীর মতাদর্শ মানার কারনে হাজার হাজার জামাত-শিবিরের নেতা-কর্মী ভিতরে ইসলামের অনুসরন-অনুকরন নাই।
আপনি কি চান না! এই মানুষ গুলি সঠিক দ্বীনের উপর ফিরে আসুক?
৫মে র ঘটনা ফেরকার কারনে জ্বালিমের এত সাহস পেয়েছে।
যতটুকু মউদুদী বাদ জানা আছে ততটুকু আপনি বলতে পারছেন।থলিতে কিছু থাকলে ঢালুন।
ইবনে কাসীর রহ.একজন সাহাবির সম্মান আরো বেড়ে গেল,আর মউদুদীর ব্যাখা ইসলামের দুশমনদের খুত খোজার রাস্তা সহজ হল।
এ দুনিয়ায় আর কোন সমস্যা নাই? মওদুদীই কি একমাত্র সমস্যা?
মওদুদীর বিরুদ্ধে ৫০ বছর ধরে লেখা হচ্ছে, তাতে মওদুদীর জামায়াত কি কমছে না বাড়ছে?
আজ বিশ্বে মুসলমানরা অস্তত্বেের সংকটে ভুগছে । কাফের, মোনাফেক, মোশরেক সব আজ একাট্টা হয়েছে মুসলমানদের অস্তিত্ব মিটিয়ে দিতে । কিন্তু এ চক্ষুষ্মান অন্ধরা তা দেখছেনা । ওদের জন্যই কি আল্লাহ নাযিল করেছের এ আয়াত
وَلَقَدْ ذَرَأْنَا لِجَهَنَّمَ كَثِيرًا مِّنَ الْجِنِّ وَالْإِنسِ ۖ لَهُمْ قُلُوبٌ لَّا يَفْقَهُونَ بِهَا وَلَهُمْ أَعْيُنٌ لَّا يُبْصِرُونَ بِهَا وَلَهُمْ آذَانٌ لَّا يَسْمَعُونَ بِهَا ۚ أُولَـٰئِكَ كَالْأَنْعَامِ بَلْ هُمْ أَضَلُّ ۚ أُولَـٰئِكَ هُمُ الْغَافِلُونَ
আর আমি সৃষ্টি করেছি দোযখের জন্য বহু জ্বিন ও মানুষ। তাদের অন্তর রয়েছে, তার দ্বারা বিবেচনা করে না, তাদের চোখ রয়েছে, তার দ্বারা দেখে না, আর তাদের কান রয়েছে, তার দ্বারা শোনে না। তারা চতুষ্পদ জন্তুর মত; বরং তাদের চেয়েও নিকৃষ্টতর। তারাই হল গাফেল, শৈথিল্যপরায়ণ।(সূরা আরাফ-১৭৯)
মন্তব্য করতে লগইন করুন