ধারাবাহিক প্রকাশনা #মওদূদী বাদের স্বরূপ #২য়পর্ব #
লিখেছেন লিখেছেন অপ্রিয় সত্য কথা ০৫ মে, ২০১৪, ০৩:০৫:৩৪ দুপুর
# কুরআনের উপর আক্রমন #
মুসলমানের বিশ্বাষ ,কুরআন আল্লাহ্ তা,য়ালা নাযিল করেছেন এবং কিয়ামত পর্যন্ত তিনিই এর শব্দ ও অর্থের হিফাযাত করবেন ।আল্লাহ তা য়ালা কুরআনে বলেছেন , নিশ্চয় আমি কুরআন নাযিল করেছি এবং আমিই এর হিফাযাত করব । ( সূরা হিজর ,আয়াত - ৯ )
কিন্তু মওদূদী লিখেন , কুরআন অবতীর্ন হওয়ার সময় এ শব্দগুলোর (অর্থাৎ কুরআনেয চারটি পরিভাষা যথা দীন , ইলাহ্ , রব, ইবাদত) যে মূল অর্থ প্রচলিত ছিল ,পরবর্তী শতকে ধীরে ধীরে তা পরিবর্তিত হতে থাকে । শেষ পর্যন্ত এক একটি শব্দ তার সম্পূর্ণ ব্যাপকতা হারিয়ে একান্ত সীমিত বরং অস্পষ্ট অর্থেরজন্য নির্দিষ্ট হয়ে পরে ।... ... এটা সত্য যে কেবল এ চারটি মৌলিক পরিভাষার তাৎপর্যে আবরণ পড়ে যাওয়ার কারনে কুরআনর তিন - চতুর্থাংশের চেয়েও বেশি শিক্ষা বরং তার সত্যিকার স্পিরিটই দৃষ্টি থেকে প্রচ্ছন্ন হয়ে যায় । ( কুরআনের চারটি মৌলিক পরিভাষা , মূল : আবুল আ ,লা মওদূদী , অনুবাদ : গোলাম সোবহান সিদ্দিকী , পৃষ্ঠা : ১৪ -১৫, ২য় প্রকাশ : মে ২০১০,আধুনিকপ্রকাশনীঁ , ঢাকা ) (পৃষ্ঠা নং ২)
এ কথার অর্থ কি এই দাঁড়ায় না যে, আল্লাহ তা য়ালা কুরআন হিফাযাতের যে দায়িত্ব নিয়েছিলেন তা সম্পূর্ণ মিথ্যা । তার ভাষায় , একশ বছর পরের ক্ষনজন্মা উলামায়ে কিরাম ও ইমামগণ যাঁদের মধ্যে ইমাম আবু হানিফা , শাফিয়ী , মালিক , আহমদ বিন হাম্বাল , বুখারী , মুসলিম , তিরমিযী , আশয়ারী , মাতুরিদী , গাযালী, রাযী , বড় পীর আব্দুল কাদির জিলানী , খাজা ময়ীনুদ্দীন চিশ্তী , শাহ্জালাল ইয়ামানী , হুসাইন আহমাদ মাদানী , মুশাহিদ বাইয়মপুরী , শাইখে কোড়িয়া রাহিমাহুমুল্লাহর মত লক্ষ লক্ষ পীর -আউলিয়া , ইমাম , মুজতাহিদ , মুফাস্ সির , মুহাদ্দিস রয়েছেন। কেউই কুরআনে করীমের সঠিক অর্থ বুঝেননি ও মানুষকে শিক্ষা দিতে পারেননি । অপরদিকে সমগ্র উম্মাত যখন কুরআনের মর্ম হিফাযাতে অবহেলার পাপে নিমজ্জিত ছিলেন কিংবা কুরআনের মর্ম বিকৃতিতে মত্ত ছিলেন তখন এমন পাপী ও অসাধু কুরআনের শত্রুদের মাধ্যমে পৌছা কুরআনের শব্দের বিশুদ্দতা কিভাবে নির্ভরযোগ্য হতে পারে ? অত এব মওদূদীর কুরআনের মর্ম -বিকৃতির আকিদার অপরিহার্য ফল কি এই দাঁড়ায় না. যে , কুরআনের শব্দ বিকৃত হয়ে গেছে । আর তিনি কুরআনের সঠিক অর্থ কোত্থেকে পেলেন ?
অথচ তার হাদিস - তাফসিরের কোন উস্তাদই নেই ।
#চলবে#
**শুধু মাত্র সঠিক দিনের পথে ফিরে এসে সঠিক দ্বীনের উপর চলার জন্যই ক্ষুদ্র প্রয়াস।
আল্লাহ যাকে বুঝ দেন ,কে তাকে গোমড়া করবে।আর যাকে গোমড়া করেন কে তাকে বুঝ দান করবেন।
বিষয়: বিবিধ
১৫৫০ বার পঠিত, ৩০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
ইতিহাস কাউকে ক্ষমা করবেনা।একদিন সবই স্পস্ট হবে ইনশাআল্লাহ।
নিচের লিংকে ঘুরে আসেন সম্পূর্ণ বইটা পাবেন।
Click this link
পরিভাষা চুতষ্টয়ের গুরুত্ব> ভুল ধারণার মূল কারণ এই অংশের দ্বিতীয় প্যারায় আপানার লেখার অংশটা আছে। একটু কষ্টকরে পড়ে নেন। আর তার উপর কি মিথ্যা আরপ করলেন সেটাও একটু বুঝে নেন। পাঠকদের উদ্দেশ্যে আমি ঐ অংশের স্কৃণশট দিলাম। তারাই সবকিছু বিচার করুক ।
হাজার হাজার মানাুষের ঈমান ধ্বংসকারি মউদুদী!সে দিক থেকে যে অনেক যোগ্য।
সঠিক বলেছেন ধন্যবাদ
শেষ পর্যন্ত এক একটি শব্দ তার সম্পূর্ণ ব্যাপকতা হারিয়ে একান্ত সীমিত বরং অস্পষ্ট অর্থেরজন্য নির্দিষ্ট হয়ে পরে ।... ... এটা সত্য যে কেবল এ চারটি মৌলিক পরিভাষার তাৎপর্যে আবরণ পড়ে যাওয়ার কারনে কুরআনর তিন - চতুর্থাংশের চেয়েও বেশি শিক্ষা বরং তার সত্যিকার স্পিরিটই দৃষ্টি থেকে প্রচ্ছন্ন হয়ে যায়।
ঐ মিয়া এই হানে কি ভুল দেখলা, তিনি তো আল্লাহরে গালি দেন নাই, সমালোচনা করেন নাই। তিনি যা বইললেন সেইটা মানুষের গাফেলতির কথা কইলেন। আমনের দাদা কোন দোষ করছিল নতুবা, আমার লাইনে আমনের মত আরেক মুর্খ সন্তানের জন্ম দিয়া আমনের বাবা মা শরমিন্দা হইত না।
এটা ঠিক বলেছেন কারণ আপনার গোমরা হতে বাকী কিছুই দেখছি না।
এ দুনিয়ায় আর কোন সমস্যা নাই? মওদুদীই কি একমাত্র সমস্যা?
মওদুদীর বিরুদ্ধে ৫০ বছর ধরে লেখা হচ্ছে, তাতে মওদুদীর জামায়াত কি কমছে না বাড়ছে?
আজ বিশ্বে মুসলমানরা অস্তত্বেের সংকটে ভুগছে । কাফের, মোনাফেক, মোশরেক সব আজ একাট্টা হয়েছে মুসলমানদের অস্তিত্ব মিটিয়ে দিতে । কিন্তু এ চক্ষুষ্মান অন্ধরা তা দেখছেনা । ওদের জন্যই কি আল্লাহ নাযিল করেছের এ আয়াত
وَلَقَدْ ذَرَأْنَا لِجَهَنَّمَ كَثِيرًا مِّنَ الْجِنِّ وَالْإِنسِ ۖ لَهُمْ قُلُوبٌ لَّا يَفْقَهُونَ بِهَا وَلَهُمْ أَعْيُنٌ لَّا يُبْصِرُونَ بِهَا وَلَهُمْ آذَانٌ لَّا يَسْمَعُونَ بِهَا ۚ أُولَـٰئِكَ كَالْأَنْعَامِ بَلْ هُمْ أَضَلُّ ۚ أُولَـٰئِكَ هُمُ الْغَافِلُونَ
আর আমি সৃষ্টি করেছি দোযখের জন্য বহু জ্বিন ও মানুষ। তাদের অন্তর রয়েছে, তার দ্বারা বিবেচনা করে না, তাদের চোখ রয়েছে, তার দ্বারা দেখে না, আর তাদের কান রয়েছে, তার দ্বারা শোনে না। তারা চতুষ্পদ জন্তুর মত; বরং তাদের চেয়েও নিকৃষ্টতর। তারাই হল গাফেল, শৈথিল্যপরায়ণ।(সূরা আরাফ-১৭৯)
মন্তব্য করতে লগইন করুন