কাঁদো আহলে হাদীস কাঁদো। . . .
লিখেছেন লিখেছেন অপ্রিয় সত্য কথা ৩০ এপ্রিল, ২০১৪, ০৮:৫৩:৩৩ রাত
কথিত আহলে হাদীসের জন্য দু:সংবাদ। আমাদের কথিত আহলে হাদীস ভাইদের যখন আহলে হাদীস বিষয়ক কোন প্রশ্ন বা ভুল দেখানে হত তখন তারা এই বলে পার পাওয়ার চেষ্টা করত যে আমরা আহলে হাদীস নই, আমরা মুসলিম।
কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাদের সে কৌশলে পানি ঢেলে দিলেন উনাদেরই শায়খ abdullah al kafi . তিনি ঘোষনা দিয়েছেন,
“আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের উলাামায়ে কেরামকে যারা ঢালাওভাবে প্রত্যাখ্যান করে শুধু ‘মুসলিম’ নাম ধারণ করে থাকতে চায় তারা এই উম্মতের নতুন ‘খারেজী’। ”
আশা করি এখন থেকে কেহ নিজেকে মুসলিম পরিচয় দিয়ে “খারেজী” (আপনাদের শায়েখের মতে) ট্যাগ খাওয়ার খায়েশ করবেন না।
তাই বলছি আহলে হাদীস ভাইরা কাঁদো, আহলে হাদীস ভাইরা কাঁদো . . .
বিষয়: বিবিধ
২০৭৫ বার পঠিত, ২৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
(জবাব না পাওয়ায় আর প্রশ্ন করার উৎসাহ হারাতে বসেছি)
লা-মাযহাবী ভাইদের (আহলে হাদীস ভাইদের) কাছে প্রশ্ন (১)
https://www.facebook.com/photo.php?fbid=816122491751187&set=a.190632714300171.56824.100000603328604&type=3&src=https://fbcdn-sphotos-e-a.akamaihd.net/hphotos-ak-frc3/t1.0-9/10264520_816122491751187_6878194757615732998_n.jpg&size=723,377
লা-মাযহাবী ভাইদের (আহলে হাদীস ভাইদের) কাছে প্রশ্ন (2)
https://www.facebook.com/photo.php?fbid=815031961860240&set=a.190632714300171.56824.100000603328604&type=3&theater;
লা-মাযহাবী ভাইদের (আহলে হাদীস ভাইদের) কাছে প্রশ্ন (3)
http://www.somewhereinblog.net/blog/asksumon0000/29607789
লা-মাযহাবী ভাইদের (আহলে হাদীস ভাইদের) কাছে প্রশ্ন (4)
http://www.somewhereinblog.net/blog/asksumon0000/29683743
লা-মাযহাবী ভাইদের (আহলে হাদীস ভাইদের) কাছে প্রশ্ন (5)
http://www.somewhereinblog.net/blog/asksumon0000/29695552
লা-মাযহাবী ভাইদের (আহলে হাদীস ভাইদের) কাছে প্রশ্ন (6)
https://www.facebook.com/photo.php?fbid=791832900846813&set=a.793470177349752.1073741831.100000603328604&type=3&src=https://fbcdn-sphotos-h-a.akamaihd.net/hphotos-ak-frc1/t1.0-9/10007036_791832900846813_225632411_n.jpg&size=589,404
লা-মাযহাবী ভাইদের (আহলে হাদীস ভাইদের) কাছে প্রশ্ন (7)
https://www.facebook.com/photo.php?fbid=791292804234156&set=a.793470177349752.1073741831.100000603328604&type=3&src=https://fbcdn-sphotos-e-a.akamaihd.net/hphotos-ak-prn2/t31.0-8/10012852_791292804234156_86073387_o.jpg&smallsrc=https://fbcdn-sphotos-e-a.akamaihd.net/hphotos-ak-frc3/t1.0-9/1911816_791292804234156_86073387_n.jpg&size=1257,475
লা-মাযহাবী ভাইদের (আহলে হাদীস ভাইদের) কাছে প্রশ্ন (8)
https://www.facebook.com/photo.php?fbid=682365358460235&set=a.793470177349752.1073741831.100000603328604&type=3&src=https://scontent-b-sin.xx.fbcdn.net/hphotos-prn1/t1.0-9/1234694_682365358460235_1867109449_n.jpg&size=905,477
লা-মাযহাবী ভাইদের (আহলে হাদীস ভাইদের) কাছে প্রশ্ন (9)
https://www.facebook.com/photo.php?fbid=776162875747149&set=a.793470177349752.1073741831.100000603328604&type=3&src=https://fbcdn-sphotos-a-a.akamaihd.net/hphotos-ak-prn2/t31.0-8/1655447_776162875747149_385858728_o.jpg&smallsrc=https://fbcdn-sphotos-a-a.akamaihd.net/hphotos-ak-prn1/t1.0-9/1017479_776162875747149_385858728_n.jpg&size=1090,682
লা-মাযহাবী ভাইদের (আহলে হাদীস ভাইদের) কাছে প্রশ্ন (10)
https://www.facebook.com/photo.php?fbid=634761483220623&set=a.793470177349752.1073741831.100000603328604&type=3&src=https://scontent-a-sin.xx.fbcdn.net/hphotos-ash3/t1.0-9/580459_634761483220623_381459655_n.jpg&size=787,843
লা-মাযহাবী ভাইদের (আহলে হাদীস ভাইদের) কাছে প্রশ্ন (11)
https://www.facebook.com/photo.php?fbid=801061016590668&set=a.793470177349752.1073741831.100000603328604&type=3&src=https://scontent-b-sin.xx.fbcdn.net/hphotos-ash3/t1.0-9/10013924_801061016590668_1213752882_n.jpg&size=787,467
লা-মাযহাবী ভাইদের (আহলে হাদীস ভাইদের) কাছে প্রশ্ন (12)
https://www.facebook.com/photo.php?fbid=801137703249666&set=a.793470177349752.1073741831.100000603328604&type=3&src=https://fbcdn-sphotos-a-a.akamaihd.net/hphotos-ak-ash3/t1.0-9/10151158_801137703249666_1816482165_n.jpg&size=960,720
লা-মাযহাবী ভাইদের (আহলে হাদীস ভাইদের) কাছে প্রশ্ন (13)
https://www.facebook.com/photo.php?fbid=801631396533630&set=a.793470177349752.1073741831.100000603328604&type=3&src=https://fbcdn-sphotos-h-a.akamaihd.net/hphotos-ak-prn1/t1.0-9/10151276_801631396533630_1860774904_n.jpg&size=960,720
লা-মাযহাবী ভাইদের (আহলে হাদীস ভাইদের) কাছে প্রশ্ন (14)
https://www.facebook.com/photo.php?fbid=681343768562394&set=a.793470177349752.1073741831.100000603328604&type=3&src=https://fbcdn-sphotos-a-a.akamaihd.net/hphotos-ak-prn1/t1.0-9/1185800_681343768562394_1943450007_n.jpg&size=558,502
লা-মাযহাবী ভাইদের (আহলে হাদীস ভাইদের) কাছে প্রশ্ন (15)
https://www.facebook.com/photo.php?fbid=681343768562394&set=a.793470177349752.1073741831.100000603328604&type=3&src=https://fbcdn-sphotos-a-a.akamaihd.net/hphotos-ak-prn1/t1.0-9/1185800_681343768562394_1943450007_n.jpg&size=558,502
লা-মাযহাবী ভাইদের (আহলে হাদীস ভাইদের) কাছে প্রশ্ন (16)
https://www.facebook.com/photo.php?fbid=688770984486339&set=a.793470177349752.1073741831.100000603328604&type=3&src=https://scontent-a-sin.xx.fbcdn.net/hphotos-prn2/t1.0-9/1230030_688770984486339_693653759_n.jpg&size=100,100
লা-মাযহাবী ভাইদের (আহলে হাদীস ভাইদের) কাছে প্রশ্ন (17)
https://www.facebook.com/photo.php?fbid=810891622274274&set=a.793470177349752.1073741831.100000603328604&type=3&src=https://fbcdn-sphotos-g-a.akamaihd.net/hphotos-ak-prn2/t31.0-8/1980047_810891622274274_4198638954442731325_o.jpg&smallsrc=https://fbcdn-sphotos-g-a.akamaihd.net/hphotos-ak-prn2/t1.0-9/10151436_810891622274274_4198638954442731325_n.jpg&size=1163,941
লা-মাযহাবী ভাইদের (আহলে হাদীস ভাইদের) কাছে প্রশ্ন (18)
https://www.facebook.com/photo.php?fbid=810892388940864&set=a.793470177349752.1073741831.100000603328604&type=3&permPage=1
লা-মাযহাবী ভাইদের (আহলে হাদীস ভাইদের) কাছে প্রশ্ন (19)
https://www.facebook.com/photo.php?fbid=681116735251764&set=a.793470177349752.1073741831.100000603328604&type=3&src=https://fbcdn-sphotos-f-a.akamaihd.net/hphotos-ak-prn2/t1.0-9/1240098_681116735251764_295483084_n.jpg&size=535,83
প্রশ্ন- উসমান, আলি, এবং মুয়াবিয়া রাদিআল্লাহু আনহুম এদের সময় থেকে খারেজি টাইপের ফেতান শুরু। তো, ঐ সময় সাহাবী রাদিআল্লাহু আনহুমগণ নিজেদেরকে 'মুসলিম' ছাড়া অন্যকোন পরিচয় দিয়েছিলেন কি?
১,আলি (রা)
২, মুয়াবিয়া (রা.)
জানার জন্য বলছি।
ঈগল আপনি একজন বিচক্ষণ ব্যাক্তি এবং আপনার কমেন্ট থেকে আমি চিন্তার খোরাক পাই।
সাহাবিরা রা. কেন,আমরাতো আমাদেরকে মুসিলম পরিচয় দিয়ে থাকি। কিন্তু আহলে হাদীস শব্দ টা কোথায় থেকে : : :
আমি ব্যাক্তিগত ভাবে অনেক আহলে হাদীস ভাইদেরকে ভালো এবং অনেক ভালো দেখেছি, হা তাদের কিছু আমাল এবং আমাদের কিছু আমালের মধ্যে কিছুটা মতপার্থক্য আছে। স্বাভাবিক এটা থাকবেই।
তাদের সাথে আমি পড়ালেখা করেছি, উঠাবসা করেছি, চাকরিও করছি।
ফেসবুকে আমার কিছু পরিচিত ভাই আছেন আহলে হাদীস কিন্তু কখনও তাদেরকে ফিতনা করতে দেখিনাই।
আহলে হাদীস ভাইদেরকে নিয়ে অনেকে ফিতনা করে, মতভেদপূর্ণ আমাল নিয়ে যুদ্ধ বাধাতে চায় কুরআন হাদীস নিয়ে মিথ্যার আশ্রয় নেয় তারা যাই হোক আমি সন্দিহান তারা সত্যিকারের মুসলমান (!) কিনা?
যেমন ধরুন আটরশির চালচলন সত্যিকারের মুসলমান না। তেমনি যারা কুরআন হাদিস নিয়ে মিথ্যা বলে তারা আটরশি থেকে জঘন্য এবং নিকৃষ্ট বলে মনে করি।
তবে তাদের হেদায়াতের জন্য রবের দরবারে দুয়া করি আল্লাহ আমাদের সবাইকে ক্ষমা করুন হেদায়াত দান করুন।
তাই বলছি আমরা সবাই মুসলমান এবং আমরা ভাই ভাই। ধন্যবাদ আপনাকে।
পড়াশোনা শেষ করার পর পেড়িয়ে গেছে বেশ কিছু বছর। নেট জগতে আগমণের বয়স প্রায় ৪ বছর। ব্লগিং জীবনেও আছে অনেক তিক্ত অভিজ্ঞতা। বিডিনিউজ২৪ ব্লগে সংবাদ দেখতে গিয়ে ঢুকে যাই বিডিনিউজ ব্লগে।
এক নতুন অভিজ্ঞতা। অবাক বিস্ময়ে দেখলাম কতিপয় মানুষরূপী পশুর দাম্ভিকতা আর মিথ্যাচারের ভাগাড়ময় পোষ্ট। ইসলাম ও মুসলমান সম্পর্কে জঘন্য সব লেখার সমাহার।
জেগে উঠল ঈমানী চেতনা। অনভিজ্ঞতা সত্বেও খুললাম আইডি। জবাব দিতে চেষ্টা করলাম নাস্তিকদের মিথ্যাচারের নিজের সাধ্যানুযায়ী। বাহাস হল, আইরিন সুলতানাসহ বেশ কিছু হাফ নাস্তিক ও ফুল নাস্তিকদের সাথে। তারপর একে একে প্রথম আলো ব্লগ, আমার ব্লগ ইত্যাদিতেও লেখতে চেষ্টা করলাম। প্রতিজ্ঞা নিলাম, নাস্তিক ও খৃষ্টান মিশনারীদের অভিযোগকৃত সকল অভিযোগের জবাব লিখবো নিজের সাধ্যের সবটুকু দিয়ে।
কিন্তু হোচট খেলাম। আগ্রহ আর উদ্দীপনার স্পীডটা থেমে গেল হঠাৎ। মাথাটা চক্কর দিয়ে উঠে সোনার বাংলাদেশ ব্লগ এবং আমার বর্ণমালা ব্লগে আইডি খুলে।
একি তাজ্জব! এখানেতো দেখি পুরাই কুরুক্ষেত্র! আমি কিসের উপর দাঁড়িয়ে নাস্তিক আর অমুসলিমদের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে যাচ্ছি? এখানে যে আমার অস্তিত্ব আর বিশ্বাসের উপরই কুঠারাঘাত করছে আমারই কিছু জ্ঞাতি ভাই। অবাক বিস্ময়ে দেখলাম-খাঁটি মুসলিমদের মুশরিক, কাফের প্রমাণের মিশনে একদল উন্মাতাল ব্যক্তিদের অবাধ আস্ফালন। একদিকে লাখো যুবক ছুটছে নাস্তিকতার দিকে। ধর্মদ্রোহিতার দিকে। আর এদিকে খাঁটি মুসলিমদেরও কাফের, মুশরিক বানিয়ে দেয়ার মিশনে ব্যস্ত কথিত বেতনভূক্ত দাঈদের দল। দেখলাম আব্দুল্লাহ শাহেদ, আব্দুল্লাহিল হাদিসহ আরো কত বেতনভূক্ত দাঈদের হুংকার।
বে-নামাযীকে নামাযী বানানোর দাঈ নয়, সুদখোরকে সুদ ছেড়ে দেয়ার আহবানের দাঈ নয়, নয় নাস্তিকদের দ্বীনের পথে ডেকে আনার দাঈ, এরা বিজ্ঞ ব্যক্তির অনুসরণে শরীয়ত মানা ছেড়ে দিয়ে ইচ্ছেমত বাংলা অনুবাদ পড়ে আল্লামা সাজার দাঈ। উপমহাদেশের ধর্মীয় একতার প্লাটফর্ম হানাফী মাযহাব ত্যাগ করে মনের পূজার মাযহাব অনুসরণের আহবানকারী দাঈ। এরা মুতাওয়াতির সূত্রে পৌঁছা সুন্নতের দাঈ নয়, আমীন জোরে বলার দাঈ। রফয়ে ইয়াদাইনের দাঈ। কিরাত খালফাল ইমামের দাঈ। উমর রাঃ এর আমল থেকে জারি হওয়া সুন্নত বিশ রাকাত তারাবীহ ছেড়ে দেয়ার দাঈ। তাবলীগী ভাইদের প্রাণান্তকর মেহনতে মসজিদে আসা মুসল্লির মনে ওয়াওয়াসা সৃষ্টির দাঈ।
ওরে বাপরে! সে সব দাঈদের সে কি দাপট! কোন কিছু বলার আগেই হামলে পড়ছে। মুশরিক, কাফের ফাতওয়া দিয়ে দুনিয়া বিজয় করে ফেলার তৃপ্তি হাসি হাসছে। ভাবটা এমন যে, মুসলিম ও ইসলামের যদি কোন শত্রু থাকে, তাহলে তারা যেন কেবল উলামায়ে দেওবন্দেরাই। নিজের অর্থ খরচ করে মানুষের দুয়ারে দুয়ারে ছুটে গিয়ে দ্বীনভোলা মানুষকে মসজিদে নিয়ে আসা তাবলীগী ভাইয়েরাই। যদি কোন শত্রু থাকে, তাহলে তারা শুধু ঐ সকল ব্যক্তিরাই যারা নিজের পেটে পাথর বেঁধে সারা উপমহাদেশে দ্বীনের আলো ছড়িয়েছেন তারাই ইসলামের সবচে’ বড় শত্রু।
যাদের মেহনত-মোজাহাদায় জাহান্নামী পৌত্তলিক ধর্ম ছেড়ে জান্নাতী ধর্মে দিক্ষীত হলাম তারাই নাকি দ্বীনে ইসলামের সবচে’ ক্ষতিকারক। তারাই সবচে’ বড় দুশমন।
মিথ্যাচার, প্রোপাগান্ডা, অপপ্রচার, ধোঁকাবাজী, গলাবাজীর বাগাড়াম্বরতা দেখে ভড়কে গেলাম। চমকে উঠলাম। এ যে আমার অস্তিত্বের উপর আঘাত। ভাবতে লাগলাম-
নাস্তিকতো আমাকে জাহান্নামী বলে না। ধর্মদ্রোহীতো আমাকে নরকের কিট বলে না! মুরতাদগুলোতো আমাকে ইসলামের শত্রু বলে না। ইসলাম! যার প্রতি নিস্কলুশ মোহাব্বত আমার রগ-রেশায় মিশে আছে। এ যে আমার শরীরের শেষ রক্তবিন্দুর চেয়েও প্রিয়। আমার অস্তিত্ব। আমার জীবন। যার জন্য উৎসর্গিত হতে আমার শরীরের প্রতিটি পারদকে প্রস্তুত করেছি।
কিন্তু কথিত এসব দাঈরাতো আমাকে মুশরিক বলছে। আমাকে ইসলামের দুশমন বলছে। ইসলাম থেকে বহিস্কৃত বলছে।
আমি এখন কী করবো? যাদের দ্বারা ইসলাম পেলাম। যাদের রক্ত নদী পেড়িয়ে আমার দুয়ারে ইসলামের স্নিগ্ধালো আছড়ে পড়েছে তারা মুশরিক? তারাই অমুসলিম? তারাই ইসলামের শত্রু? এও কি হয়?
আহ! কলমটা ঘুরিয়ে দিতে বাধ্য হলাম। মনের তীব্র কষ্ট নিয়ে নাস্তিকদের বিরুদ্ধে লেখা ছেড়ে নিজেকে মুসলিম প্রমাণ করতে মেহনত করতে শুরু করলাম। খুলে দিতে চেষ্টা করলাম কথিত দাঈদের মিথ্যার মুখোশ। দিনের পর দিন চলতে লাগল কলম যুদ্ধ। হাত ব্যথা হয়ে গেল। ডান হাত ছেড়ে বাম হাতে মাউস তুলে নিলাম। কম্পিউটার স্ক্রীনে তাকিয়ে থাকতে থাকতে চশমার পাওয়ার বেড়ে গেল।
কিন্তু কী পেলাম? কতটুকু সফল হলাম? মিথ্যুকদের জবান থামাকে পারলাম কি না? এ প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। এখনো মাঝে মাঝে বসে কাঁদতে মনে চায়, কখনো কখনো লিখতে বসে চোখে পানিও চলে আসে।
কেন লিখতে হচ্ছে এসব আমাকে? আর এত মিথ্যাচার আর ধোঁকাবাজী ওরা কেনইবা করছে আমাদের সাথে? নিজেকে দাবি করছে দ্বীনের দাঈ। পরিচয় দিচ্ছে তার নাম মুসলিম। কিন্তু কাজ করছে চরম ইসলাম বিদ্বেষীর। একজন অমুসলিমও মুসলমানদের বিরুদ্ধে এত জঘন্য সব ভাষা ব্যবহার করে কি না? সন্দেহে পড়ে যাই!
এসব মিথ্যাচারের নাম ইসলাম প্রচার? এরকম ধোঁকাবাজীর নাম ইসলামের দাওয়াত?
নিজেকে আত্মরক্ষা করার এ সংগ্রামে কতশত জনের সাথে পরিচয় হল। কত বন্ধু পেলাম। আবার কত প্রতিবাদী কিংবা প্রতিশোধী বা বিরুদ্ধবাদী পেলাম।
কিন্তু আফসোস রয়ে গেল। চোখে আঙ্গুল দিয়ে ভুলটি ধরিয়ে দেয়ার পরও অভিশপ্ত জামাতটির লোকেরা ফিরে আসার পথ দেখতে পায় না। মুখরোচক স্লোগানের নাম সর্বস্ব বক্তব্যের আধাঁরি পথেই গোড়পাক খেয়ে চলে দিনের পর দিন।
আলোচনায় আসে দাম্ভিকতার সাথে। আবার পালিয়ে যায় আগমণের চেয়েও দ্রুতগতিতে। আবার আসে উপদেশের ঢালি সাজিয়ে। আবার পালায়। এ যেন এক বিড়াল ইদুর খেলা।
প্রশ্ন করে এমন ভাব নিয়ে যে, এর জবাব বুঝি ইমাম আবু হানীফা রহঃ ও দিতে পারবেন না। কিন্তু জবাব শুনে খিস্তি খেইর করতে করতে পালিয়ে যান আবার।
মাযহাবটাই মনে হচ্ছে বড় ফ্যাক্টর তাদের কাছে। আসলে মাযহাব নয় একতাটা বড় বিষয়। এ উপমহাদেশে ইসলাম আসার পর থেকে এখানকার সকল মুসলমানরা হানাফী মাযহাব অনুযায়ী দ্বীনে শরীয়ত পালন করে আসছে। কিছু শাখাগত মাসায়েলে পার্থক্য থাকলেও মূল বিষয়ে বিরাজ করছিল এক অবিস্মরনীয় একতা।
কিন্তু মুসলমানদের মাঝের এ অনুপম ঐক্যবদ্ধতা সইবে কেন শয়তান? ইংরেজদের মাধ্যমে “মাযহাব ছেড়ে দিন, কুরআন ও সহীহ হাদীসের প্লাটফর্মে আসুন” নামক মুখরোচক স্লোগান দিয়ে নামিয়ে দিল আব্দুল হক বানারসীকে। সেই যে শুরু উপমহাদেশে মুসলিমদের মাঝে বিভক্তির ঢামাঢোল। আজো চলছে তা। আল্লাহ তাআলা কবে যে, এসব মুসলিম নামধারী একতার দুশমনদের হাত থেকে মুসলমানদের রক্ষা করবেন? তা আল্লাহ তাআলাই ভাল জানেন।
"মাজহাব মানার নির্দেশ কে দিয়েছেন? আল্লাহ্? রসুল সঃ? সাহাবিগন কোন মাজহাব মানতেন? হানাফি? আবু হানিফার বিশুদ্ধতার সার্টিফিকেট দিয়েছে?"
কি সুন্দর সব স্লোগান আর প্রচার।
আমরা যখন পাল্টা প্রশ্ন করিঃ
১- বুখারীকে অন্য কিতাবের উপর প্রাধান্য দেয়ার নির্দেশ কে দিয়েছেন?
২- সিহাহ সিত্তাকে অন্য কিতাবের উপর প্রাধান্য দেয়ার নির্দেশ কে দিয়েছেন?
৩- হাদীসকে সহীহ জঈফ বলার নির্দেশ কে দিয়েছেন?
৪- সাহাবাগণ কোন কিতাবের হাদীস এবং কোন ধরণের হাদীস মানতেন?
৫- কোন সাহাবী ইমাম বুখারী এবং সহীহ হাদীসের বিশুদ্ধতার সার্টিফিকেট দিয়েছেন?
আমাদের প্রশ্ন শুনে তাহারা পালিয়ে যান। জবাব দেন না। এভাবে আরেকদিন আসেন আরেক বিষয় নিয়ে। সেখানেও যখন জবাব দেয়া হয়, দাঁতভাঙ্গা জবাব পেয়ে আবারো পালিয়ে যান। এভাবে চলতে থাকে দিনের পর দিন।
কিন্তু এভাবে আর কত?
বিবেকটাকে খাটাবার সময় কি হয়নি এখনো?
হাশরের ময়দানে একদিন দাঁড়াতে হবে এ বিশ্বাস কি ভুলে যেতে বসেছেন?
প্রতিটি কথার জবাব আল্লাহর আদালতে দিতে হবে মনে আছে?
একবার নিজেকে বিবেকের কাঠগড়ায় দাঁড় করাই। একবার আল্লাহর সামনে দাঁড়ানোর ঈমান নিয়ে নিজের হিসেবটা কষে নেই। দুনিয়াতে মিথ্যা, ধোঁকা আর প্রতারণা করে পাড় পাওয়া যাবে, মানুষকে বিভ্রান্ত করা যাবে, কথিত শায়েখ হওয়া যাবে, হাদিয়া তোহফায় পেটটাকে ভরা যাবে, কিন্তু আখেরাতের সঙ্গীন পুলসিরাতও কি পাড় হওয়া যাবে ধোঁকা দিয়ে?
বিবেকটাকে কাজে লাগিয়ে। আখেরাতকে বিশ্বাস করে। হাশরকে বিশ্বাস করে। আসুন মিথ্যাচার বর্জন করি। ধোঁকাবাজী পরিহার করি। নাস্তিকতা, ধর্মদ্রোহিতা, ধর্মান্তরের ফিতনার বিরুদ্ধে এক হয়ে কাজ করি।
হে আল্লাহ! আমাদের সামনে সত্যকে সত্য হিসেবে উপস্থাপন করে দাও, যেন তা মানতে পারি। আর মিথ্যাকে মিথ্যা হিসেবে উপস্থাপন করে দাও, যেন তা থেকে বিরত থাকতে পারি।
আল্লাহ তাআলা আমাদের এক ও নেক হয়ে সত্যিকার দ্বীনের দাঈ হয়ে তার প্রিয় বান্দাদের কাতারে শামিল হওয়ার তৌফিক দান করুন। আমীন। ছুম্মা আমীন।
খুব চিন্তায় পড়লাম ফরায়েজি ভাই এর এই স্টাটাস পড়ে।
আল্লাহ তাআলা আমাদের এক ও নেক হয়ে সত্যিকার দ্বীনের দাঈ হয়ে তার প্রিয় বান্দাদের কাতারে শামিল হওয়ার তৌফিক দান করুন।
আমীন। ছুম্মা আমীন।
আসুন আমরা
নাস্তিকতা, ধর্মদ্রোহিতা, ধর্মান্তরের ফিতনার বিরুদ্ধে এক হয়ে কাজ করি।
আমিও আপনার মত ভূক্তভোগী।
সহজ কথাটা না বুঝতে পারার কারন আমার বুঝে আসে নাই।:
=======
==============
কোন আলেমের দ্বীনের কাছে বায়আত দেয় নি। অতএবং বর্তমান সময় পর্যন্ত আরবীয় থেকে বাঙালি কোন শায়খই আমার নেতা নয়। অনুরোধ, আমার ব্যাপারে কোন ট্যাগ লাগানো থেকে আল্লাহকে ভয় করুন।
==========
এখন আপনার যা ইচ্ছে তাই আমাকে বলতে পারেন। কাফির মুশরিক মুনাফিক বেদআতী, খারেজি ইত্যাদি ইত্যাদি।
আমি আহলে হাদীস বা মাজহাবি অর্থ্যা কুরআন-হাদীসের আলেকে যেই জীবন - যাপন করে তাকে ই আমি ভাল বাসি।
আপনি যদি ওদের মধ্যে হয়ে থাকেন,তাহরে আপনাকেও।আর যারা ফিতনা - ফাসাদ করার জন্য ক্যাচাল করে তাদেরকে নয়।
→→→→→→→→→→→
এক.
আমার মাদ্রাসার এক স্যার
কে নিয়ে ডাক্তারের
কাছে গেলাম।
স্যার
মোটামুটি কিছু ঔষধের নাম
জানেন।
তিনিও সেটা বুঝাতে চান
যে তিনিও
জানেন।
ডাক্তার তার
যন্ত্রপাতি দিয়ে আমায়
পরীক্ষা নিরীক্ষা করে টেবিলে বসলেন
প্রেস্ক্রিপশন লিখার জন্য।
আমার কাছে নিজের
জ্ঞান প্রকাশের
জন্য
স্যার ডাক্তার কে
একটি ঔষধের নাম
বলে অনুরোধ
করলেন
তা প্রেস্ক্রিপশনে লিখার
জন্য।
ডাক্তার কিছু
না বলে উনি উনার
মতোই লিখছিলেন।
তখন স্যার আবার
বলতে লাগলেন
লিখুন ডাক্তার......।
কথা শেষ করতে পারেন
নি পন্ডিত
স্যার।
এমনিতেই ডাক্তার এক ধমক
দিয়ে দাড়িয়ে গেলেন।
" স্টপ, আর ইউ ডক্টর, গেট আউট
এই
বলে তিনি রাগে কাপতে কাপতে পেস্ক্রিপশন
ছিরে ফেললেন।
মুহুর্তেই স্যারের মাথা নিচু
হয়ে গেলো।
আমি দাঁড়িয়ে করজোড়ে ডাক্তারের
কাছে ক্ষমা চাইতে লাগলাম।
" স্যার ভুল হয়ে গেছে।
মাফ করে দিন ডাক্তার
সাহেব, উনার
মাথায়
একটু সমস্যা
উনি একটু বেশি কথা বলেন "
ডাক্তার বাবু
রাগে বলছিলেন
" এমন পাগল সাথে আনেন
কেন?
উনাকে পাবনায় পাঠান।
উনার যদি এতই সখ হয়
পেস্ক্রিপশন
লিখার
তাহলে আমাদের
মতো পঁয়ত্রিশ বছর
পড়ুক।
কয়েকটা ঔষধের নাম
জেনেই যদি
উনি নিজেকে ডাক্তার
মনে করে তাহলেতো হবেনা "
দুই.
বড়ই আফসোস লাগে যখন
দেখি কয়েকটা বাংলা হাদিস
জেনে যখন কিছু
যুবকেরা হাদিসের
মুহাদ্দিসগনের
সাথে তর্ক
করেই
যাচ্ছে।
তাদেরও যদি ডাক্তারের
মতো ধমক
দিয়ে থামিয়ে দেয়া যেত
আর বলা যেত যে এতই
যদি সহিহ
হাদিসের সখ
থাকে তাহলে ষোলো বছর
হাদিসের
ক্লাস
করো,
তারপর এ বিষয়ে কথা বলো।
কিন্তু আজকালকার বেয়াদব
যুবকেরা কি ধমক মানবে।
উল্টো তারা আবু
হানিফা রহঃকেও
চিকিৎসা করে ছাড়বে।
যাদের আদব
আছে তারা প্রচার
করুন।
এবং বাস্তবতা মেনে নিন।
আপনি আরও লিখেছেন " আপনি একজন আহলে হাদিসের অনসারি।আর উনি আপনাদের একজন শায়েখ।
সহজ কথাটা না বুঝতে পারার কারন আমার বুঝে আসে নাই।:"
আমি আহলে হাদিস কিনা জানতে এই ব্যাপারে আপনি লিখেছেন "আপনি কি অস্বিকার করতে পারবেন???"????"
===========================
সম্মাণিত ভাই, আপনি আপনার কমেন্টেগুলি পুনরায় পড়ুন। দেখুনতো আপনি আমাকে আহলে হাদিসের অনুসারী হিসেবে চিহ্নিতকরার চেষ্টো করেছেন কি-না!
=====
কিন্তু ভাই, মারাত্মক দুঃখের সাথে লক্ষ্য করলাম আপনি শেষে বিষয়টি অস্বিকার করে লিখেছেন চোখের সামনেই যদি আপনি আপনার লিখিত বিষয়গুলিকে অস্বিকার করেন তাহলে আপনার অন্যান্য লিখাগুলি বিশ্বাস করবো কিভাবে? স্পষ্টভাবেই বলছি, এটা অন্যায় এবং অবশ্যই অন্যায়।
=============================
====================
দয়া করে আপনার এই পোস্টে আমার লিখিত কমেন্টেগুলি আপনি মুছে দিবেন। কেননা আশাংকা করছি, উক্তকমেন্টগুলির মাধ্যমে আমাদের দ্বীনী সম্পর্ক বিনিষ্ট হতে পারে। মহান আল্লাহ আমাদের অতিরিক্ত ধারণা থেকে রক্ষা করুন।
আমি আপনাকে বলেছি-আপনি একজন আহলে হাদিসের অনুসারি।
আপনি কি এ বিষয়টি অস্বিকার করতে পারেবেন।
মন্তব্য করতে লগইন করুন