জমের হাতের ইসলাম!!

লিখেছেন লিখেছেন অপ্রিয় সত্য কথা ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৪, ০৪:০০:৫৫ বিকাল

ইসলাম ও মুসলমানদের জন্য যা না যায়েজ নিজেদের দলের স্বার্থে তাই যায়েজ!!!এর নামই হল জমের হাতের ইসলাম।

বহু রকমের ইসলাম ওরা এ পযর্ন্ত আামদেরকে দেখালো।

ক্ষমতাতে যাওয়ার আগে নারী নেতৃত্ব হারা....ম।

ক্ষমতাতে যাওয়ার জন্য তাই আবার জায়েয।

লম্বা লম্বা ওয়াজ করে কত শুনালো নারী নেতৃত্ব হারা.............ম।

আবার সেই নারীর আচঁলের নিচেই এখন ওদের ইসলাম।এর বিকল্প রাস্তা আবাদত বন্ধ!!

সেই লক্ষে এখন সারা দেশে নারীদেরকে কথিত ইসলামের নামে বেশ্যা বানানোর জন্য নির্বাচনমূখী করে তাদেরকে এখন রাস্তা নামানোর অপচেস্টার সূচনা করলো মাত্র।









এ সকল গুনবতি নেত্রীগন খালেদার নেক দৃস্টিতে এবার ইসলাম কায়েমের জন্য উপজেলা নির্বাচনে জমের হাতের ইসলামের পক্ষ থেকে নির্বাচিত হওয়া জমের বন্ধুরা আনন্দে গর্ববতী আরে দূর থুক্কু আত্নহারা।

এখন আবার নতুন ওয়াজ শুনা যাবে,এগুলি ওদের কৌশল।

আল্লাহর আইন চায়, আর সৎ লোকের শাসন চায়।



আমলি জিন্দেগীতে এগুলো দরকার নাই।

সুন্নাতেরই দ্বার দ্বারে না,পাগড়ি ,টুপির নাইরে খোজ

টাখনুর নিচে কাপড় পড়ে,দাড়ি চাটে,চাচে প্রতি রোজ।



রাজনীতির ঐ রঙ্গ মন্ঞে ওরাই গলাবাজ

কথা বলে সাধুর মত আবার উল্টা করে কাজ।

ওরা মোহা ধোকা বাজ,ওরা মোহা ধোকা বাজ!!

###########সাধু সাবধান#############

বিষয়: বিবিধ

৩৭১৮ বার পঠিত, ২৬ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

180727
২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ বিকাল ০৪:০৫
সজল আহমেদ লিখেছেন : হুঁ
২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ বিকাল ০৪:১৫
133548
অপ্রিয় সত্য কথা লিখেছেন : :Thinking Tongue
২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:৩৬
133609
প্রবাসী আব্দুল্লাহ শাহীন লিখেছেন : http://bdfactcheck.com/2013/06/07/fake-photo-by-a-facebook-page-named-bangla-amar-maa/
২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:৪০
133614
প্রবাসী আব্দুল্লাহ শাহীন লিখেছেন : এখানে দেখানো হচ্ছে শাহবাগের একই মেয়ে পরে আবার শাহবাগ বলতেছে এটা বিদেশের ফটো
180736
২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ বিকাল ০৪:৫৫
অজানা পথিক লিখেছেন : নারী নেতৃত্বের প্রশ্নে জামায়াতকে এককভাবে দোষারোপ যৌক্তিক নয়। মুফতি আমিনী এবং শায়খুল হাদীস আল্লামা আজীজুল হক সাহেবরাও সে কাতারেই ছিলেন। এ ক্ষেত্রে জামায়াত আর ইসলামী ঐক্যজোটের বক্তব্যের ব্যখ্যারও অভিন্নতা রয়েছে। আমি তাদের ব্যখ্যাকে সঠিক মনে করি।

আপনি আপত্তির প্রশ্ন তুললে শাইখুল হাদীস সাহেবদেরকেও একি কাতারে বন্দি করুন। তবেই আপনার বক্তব্যের উদ্দেশ্য পরিষ্কার হবে।

নিছক জামায়াত বিরোধীতার জন্যে হলে নারী নেতৃত্বের ইস্যুটি প্রাসঙ্গীক মনে করিনা। জামায়াতের আমীর খালেদা জিয়া নন। আমীর একজন পুরুষ। আর খালেদা জিয়া হলেন উনিশ দলীয় জোটের নেত্রী। সে উনিশ দলের ভেতর বেশ কয়েকটি ইসলামী দল ও রয়েছে।
২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ বিকাল ০৫:০৫
133580
অপ্রিয় সত্য কথা লিখেছেন : আমিনি এবং শায়খুল হাদীস সাহেবারা সবাই মিলেও যদি একটি কুরআন-হাদীস বিরোধী কাজকে যায়েজ বলে,তা কখনও যায়েজ হবে না।
বাকি মুফতি আমিনী আর শায়খুল হাদীসের জোট আর জামাতের জোটের সাথে দিন-রাত পার্থক্য আছে।
কর্ম-কান্ডের মধ্যেও আছে বিস্তর ফারাক।
জামাতের বিরোধিতা যুগ যুগ দরে ওলামায়েকরাম করে আসছে ভ্রান্ত মউদুদী মতবাদের জন্য।যার বিরোধীতা এখনও বহাল আছে।
জামাতের আমীর পুরুষ আপনি ঠিকই বলেছেন,তবে মেরুদন্ডহীন।
আর মহিলা আমীর খালেদা-হাসিনারা হল মেরুদন্ড ওয়ালা।
যা জামাতের ইতিহাসে সাক্ষি।
২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:০১
133601
অজানা পথিক লিখেছেন : একই কাজ জামায়ত করলে হিসেব একরকম আর অন্য কেউ করলে আরেক রকম। ব্যপারটি এমন হলে আমার আর কথা বলার ইন্টারেষ্ট নেই। আপনার নিকট আরও উদার মানষিকতা আশা করেছিলাম
২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সকাল ১০:২৪
133878
অপ্রিয় সত্য কথা লিখেছেন : আপনার কথার সুন্দর এবং স্পস্ট জবাব আমি দিয়েছি।কিন্তু দলীয় মোহে আপনি এতই অন্ধযে আপনি সঠিক বুঝার মনোভাব হারিয়ে ফেলেছেন।
অপকর্ম যে করবে সে অপরাধি।
আপনি আমার পোস্ট নিয়ে কুরআন-হাদীসের আলোকে কথা বলুন।
180788
২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:২৮
প্রবাসী আব্দুল্লাহ শাহীন লিখেছেন : অপপ্রচার করে লাভ নেই মানুষ সব বুঝে এখন। কাজেই অপপ্রচার বন্ধ করেন।
২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সকাল ১১:২০
133895
অপ্রিয় সত্য কথা লিখেছেন : অপপ্রচার বলতে আপনি কি বুঝাইলেন??জমাতের ইসলাম যে এখন জমের হাতের ইসলামে পরিনত হয়েছে তার মধ্যে কোন সন্দেহ আছে।
মানুষ এতই যখন বুঝে-তাহলে খালেদা-হাসিনার পিছে ঘুরেন কেন???
মানুষের ধোকা আর কত দিবেন?
180792
২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:৩০
অজানা পথিক লিখেছেন : আমি আপনাকে একজন রুচীশীল লেখক বলে ভাবতাম। তবে এ ধরনের অসত্য এবং নোংরা রেফারেন্স দেওয়াতে হতবাক হয়েছি। নীচের থেকে দু নম্বর ছবিতে শিবির নেতা মোহাইমিনের কথা বলছেন। অথচ এ ছবিটা কার এটা যদি আপনি জানতেন! বহুল পরিচিত এই ইনডিয়ার সিনেমার কথা জানেনা এমন লোকের সংখ্যা কম। কারন ইতো পূর্বে এ ছবি দিয়ে অনেকেই

আমি চাইলে বিষয়টি পোষ্ট করে হাজারো ব্লগার আর ভিজিটরের দৃষ্টি আকর্ষন করতে পারি। আমি চাইনা আপনার সন্মানহানি হোক।

আপনার অপ্রিয় সত্যকথার আড়ালে এমনভাবে মিথ্যামিশ্রিত থাকবে ভাবতেও পারিনা।
আফসোস! নিছক বিরোধীতার স্বার্থে আপনি এমন একটি মিথ্যাচারের আশ্রয় নিলেন।

ফেসবুকে আপনার সাথে এড নেই বলে এখানেই ব্যাপরটি লিখতে হলো। নচেৎ মেসেজ দিয়ে জানাতাম। আপত্তিকর মনে করলে আমার এ কমেন্টটি পড়ার পর মুছে দিয়েন।

আমি সকল মুসলিম ভাইদের ভালোবেসে বুকে টেনে নিতে চাই। কিন্তু এ ধরনের ব্যপারগুলো বড় বাধা হয়ে দাড়ায়। তবুও শুভকামনা । আশাকরি ব্যপারটি যথাযথ অনুধাবন করবেন
২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ১০:০৫
133688
অপ্রিয় সত্য কথা লিখেছেন : আপনার কথার জবাব দিবো ইনশা আল্লাহ ।অপেক্ষ করুন ।
২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ১১:৩৫
133720
সাগর কন্যা লিখেছেন : ছিঃ ছিঃ ছিঃ
অপ্রিয় সত্য কথা ভাই!
২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সকাল ১০:২১
133876
অপ্রিয় সত্য কথা লিখেছেন : নিজের দল মতের বিরুদ্ধে গেলে তখন আর রুচিশীল থাকে না!ইহা আজ আমাদের স্বভাব গত অভ্যাসে পরিনত হয়েছে।
অপ্রিয় সত্য কথা বললে সবার কাছে রুচিশিীল লাগে না ইহাই সত্য।
# বহুল প্রচারিত ইন্ডিয়ান ছবির কথা কোন মুসলমান খবর রাখতে পারে না।একমাত্র সুবিধাবাদী ইসলাম যারা চায় তারাই এগুলির খবর রাখে।আর আপনাদের শিবির নেতাদের চরিত্র এর চেয়ে কোন অংশেই ভাল নয়।এরকম হাজারো জামাত-শিবিরের কুকর্ম আমার আশে-পাশে অহররহ হয়।প্রয়োজনে দলিল প্রমান এবং তাদের মোবাইল নং সহ আাপনাকে দিবো।
#আপনি যে ভয় আমাকে দেখান,আমি ঐ সুবিধাবাদী নয়।ইজ্জত-বেইজ্জত আপনাদের মত খালেদা-হাসিনার কাছে মনে করি না।অতএব আপনার প্রচার আপনি করে যান।এর আগে আপনার জাতি ভাইরা আমাকে নিয়ে বহু পোস্ট করছে।আপনি এব্যপারে চিন্তা মুক্ত কাজ করুন।
180802
২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:৩৬
২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:৩৯
133613
প্রবাসী আব্দুল্লাহ শাহীন লিখেছেন : এখানে দেখানো হচ্ছে শাহবাগের একই মেয়ে পরে আবার শাহবাগ বলতেছে ইটা বিদেশের ফটো
180884
২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ১০:০৭
হতভাগা লিখেছেন : নারীরা ঘরের বাইরে আসলেই অশান্তির সৃষ্টি হয়
180913
২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ১১:১০
সঠিক ইসলাম লিখেছেন : বাংলাদেশে কুরআনী আইন চালু করার একমাত্র যোগ্য দল হল জামাতে ইসলাম। গনতান্ত্রিক পন্থায় জনগণকে বুঝিয়ে সাথে নিয়ে তাদের ভোটেই কুরআনের আইন চালু করতে চায় ভারত উপমহাদেশের জামাতে ইসলাম, মিশরের ইখওয়ান আর তুরষ্কের একে পার্টি। আর এ পদ্ধতির বিরোধিতা কারী সবচাইতে বড় ইসলামি দল হল ওলামায় দেওবন্দ। তারা দাওয়াত-তাবলীগ ও জিহাদে বিশ্বাসী। তাদের জিহাদী কার্যক্রমের প্রতিনিধিত্ব করে আফগানিস্তানের তালেবান দল। কিন্তু এটি চরম বাস্তবতা যে, তালেবান খমতায় গিয়েও গার্লর্স স্কুল বন্ধ করে দেয়া, নারীদের চাকুরী বন্ধ করে দেয়া সহ কতিপয় অবিবেচক কর্মকান্ডের জন্য আফগান জনগনের সমর্থন হারায় এবং কুরআনী আইন চালু করতে অপারগ হয়। এখানে আমাদেরকে একটি কথা বুঝতে হবে যে, কুরআনী আইন মানি কি শুধুই কতিপয় ফৌজদারী দন্ডবিধির বাস্তবায়ন নাকি সামগ্রিক ভাবে আইনের শাসন ও সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা ? যে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করার প্রেক্ষাপট তৈরী করার জন্যই একবার দুর্ভিক্ষ কালে হযরত ওমর (র.) চুরির হাত কাটার কুরআনী বিধান কিছু দিনের জন্য স্থগিত রেখেছিলেন। তাই আমাদেরকে আগে কুরআনী আইন বাস্তবায়নের প্রেক্ষাপট তৈরী করতে হবে। বেকার দের কর্মসংস্থান তৈরী করতে হবে, পতিতাদের সুস্থ জীবনের ব্যাবস্থা করতে হবে, তার আগে যেনার শাস্তিও কার্যকর করা যাবে না। যাই হোক এগুলো ইজতিহাদী ব্যাপার, যা ফুকাহায় কেরামগণ বিস্তারিত লিপিব্ধ করে গিয়েছেন, মূল কথা হলো আগে কুরআনী আইন প্রয়োগ করার আগে পয়োগের ক্ষেত্র প্রস্তুত করতে হবে। আর এ ক্ষেত্র প্রস্তুতের কাজেই আপাতত মনযোগ দিচ্ছে জামাতে ইসলাম সহ গনতান্ত্রিক পন্থায় ইসলামী আইন চালুর চেষ্টায় রত দল গুলো। আর সে প্রচেষ্টার অংশ হিসেবেই তারা সম্পূর্ণ দূনীতি মুক্ত ভাবে সফলরুপে দুটি মন্ত্রনালয় পরিচালনা করে বিশ্বকে দেখিয়ে দিয়েছে যে, পাচবার দুর্নিতে বিশ্বচ্যাম্পিয়ান দেশকে দুর্নিতি মুক্ত সফল রাষ্ট্রে পরিণত করতে সক্ষম একমাত্র জামাতে ইসলাম। আর কুরআনী ফৌজদারী আইনগুলো প্রয়োগ করার আগে দেশে এ রকম প্রেক্ষাপটই আগে তৈরী করতে হবে। আর এ দূরদক্ষিতার অভাবেই অনেকে জামাতের বিরুদ্ধে অযৌক্তিক দম্ভেক্তি করে থাকে যে, জামাত শুধু ক্ষমতায় যাবার জন্যই রাজনীতি করে। আর আমাদের দেশের দেওবন্দী ওলামাগণ না পারেন বাংলা না পারেন ইংরেজী অতএব তাদের পক্ষে ইসলামী রাষ্ট্র পরিচালনা করা সম্পূর্ণ অসম্ভব। আর যারা নিজেরাই চলেন যাকত ফেতরার দান সদকায় তারা কি করে দেশকে দারিদ্রতা মুক্ত সনির্ভব দেশে পরিনত করবেন ! বাংলদেশের চরম ভারতীয় আগ্রাসন এবং নাস্তিক্যবাদী হামলার সামন্য আচ উপলব্ধি করে মাদ্রাসা-মসজিদে থাকা এ দেওবন্দী ওলামাগণ অবশেষে হেফাজতে ইসলামরে ব্যানারে একবার মাত্র রাস্তায় নামতে সমর্থ হয়েছেন। কিন্তু তাদের সাংগঠিন বাস্তবতা এতটাই দূর্বল যে, ৫ মে তে কতজন শহিদ হয়েছেন তার একটি তালিকা পর্যন্ত তারা তৈরী করতে আজ অবধি সক্ষম হন নি। অতএব সাভাবিক ভাবেই বুঝাই যাচ্ছে ইসলামীর রাষ্ট্র পরিচালনায় তারা কতটা অযোগ্য। তাদের এ বোধদয় হওয়া প্রয়োজন যে, তাদের তের দফা কোন সরকার ই মানবেনা, একমাত্র জামাতে ইসলাম একক ভাবে ক্ষমতায় আসতে না পারলে। অতএব তাদের নিজেদের তেরদফা বাস্তবায়নের জন্য হয় তাদের নিজেদেরকেই রাজনীতিতে আসা বাধ্যতামূলক অথবা জামাতে ইসলাম কে সমর্থন করা তাদের জন্য ফরজ। কিন্তু যখনই জামাতে ইসলামকে সমর্থন করার কথা উঠে তখনই তারা মাওলানা মৌদুদীর প্রসঙ্গ টেনে এনে ঐক্যের পথে বাধা সৃষ্টি করে। অথচ তারা যেভাবে মুরব্বি চেতনায় উদ্ভুদ্ধ থাকে জামাত কখন সেভাবে মৌদুদীর নামটাও উচ্চারন করেনা তাদের কোন সভা-সমাবেশ বা সেমিনারে। জামাতের তেরদফার মাঝে কোথাও মৌদুদীর নামও উল্যেখ নেই। জামাতের মূল লক্ষ্য হলো দেশে কুরআনের আইন চালু করা। তাদের মুলনীতির বা মেনুফেষ্টার কোথাও মৌদুদীর নামও নেই। জামাতের প্রথম মূলনীতি দেশে আল্লাহর সারভোভৌমত্ব তথা আল্লাহর আইন চালু করার উল্লেখ থাকায় আওয়ামি নাস্তিক কোর্ট জামাতকে এ দেশের সংবিধান অস্বিকারকারী হিসেবে নিষিদ্ধ করার ঘোষনা দিয়েছে, তারপরেও কেউ যদি বলে যে জামাত ইসলামী দল নয়, তবে তার ইসলাম সম্পর্কে জ্ঞানের মাত্র সহজেই অনুমেয়। জামাতের মূলনীতি গুলো হলো – ১. দেশের সার্বভৌমত্বের মালিক আল্লাহ। ২. দেশের আইন আলকুরআন ও আস্সুন্নাহর ভিত্তিতে রচিত হবে। ৩. রাষ্ট্র ইসলামী আদর্শ ও নীতিমালার উপর সংস্থাপিত হবে। ৪. রাষ্ট্র মা‘রুফ প্রতিষ্ঠা করবে এবং মুনকার উচ্ছেদ করবে। ৫. রাষ্ট্র মুসলিম রাষ্ট্রগুলোর সাথে ভ্রাতৃত্ব ও ঐক্য সম্পর্ক মজবুত করবে। ৬. রাষ্ট্র সকল নাগরিকের মৌলিক প্রয়োজন পূরণের গ্যারান্টি দেবে। ৭. রাষ্ট্র শারীয়াহর নিরিখে নাগরিকদের সকল অধিকার নিশ্চিত করবে। ৮. আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে কাউকে শাস্তি দেওয়া যাবে না। ৯. স্বীকৃত মাযহাবগুলো আইনের আওতায় পরিপূর্ণ দীনী স্বাধীনতা ভোগ করবে। ১০. অমুসলিম নাগরিকগণ আইনের আওতায় পার্সোনাল ল’ সংরক্ষণ ও পূর্ণ ধর্মীয় স্বাধীনতা ভোগ করবে। ১১. রাষ্ট্র শারীয়াহ কর্তৃক নির্ধারিত অমুসলিমদের অধিকারগুলো নিশ্চিত করবে। ১২. রাষ্ট্রপ্রধান হবেন একজন মুসলিম পুরুষ। ১৩. রাষ্ট্রপ্রধানের হাতে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব অর্পিত হবে। ১৪. রাষ্ট্রপ্রধানকে পরামর্শ প্রদানের জন্য একটি মাজলিসে শূরা থাকবে। ১৫. রাষ্ট্রপ্রধান দেশের শাসনতন্ত্র সাসপেন্ড করতে পারবেন না। ১৬. সাধারণ সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে রাষ্ট্রপ্রধানকে পদচ্যুত করা যাবে। ১৭. রাষ্ট্রপ্রধান তাঁর কাজের জন্য মাজলিসে শূরার নিকট দায়ী থাকবেন এবং তিনি আইনের ঊর্ধ্বে হবেন না। ১৮. বিচার বিভাগ নির্বাহী বিভাগ থেকে স্বাধীন হবে। ১৯. সরকারী ও প্রাইভেট সকল নাগরিক একই আইনের অধীন হবে। ২০. ইসলামবিরোধী মতবাদের প্রচারণা নিষিদ্ধ হবে। ২১. দেশের বিভিন্ন অঞ্চল একই দেশের বিভিন্ন প্রশাসনিক ইউনিট বলে গণ্য হবে। ২২. আলকুরআন ও আস্সুন্নাহর পরিপন্থী শাসনতন্ত্রের যেই কোন ব্যাখ্যা বাতিল বলে গণ্য হবে।

মাওলানা মওদুদী (রহ) এর ব্যপারে জামায়াত এর দৃষ্টিভংগি-১

নিজের ব্যপারে মাওলানা মওদুদীর অবস্থানঃ

" পরিশেষে একটি কথা পরিষ্কার করে দিতে চাই,
ফিকাহ ও ইলমে কালামের বিষয়ে, আমার নিজস্ব একটি তরিকা রয়েছে।
আমার ব্যক্তিগত অনুসন্ধান, গবেষণার ভিত্তিতে আমি এটি নির্ণয় করেছি।
গত আট বছর যারা "তারজামানুল কুরআন পাঠ করেছেন তারা একথা ভালোভাবেই জানেন।

বর্তমানে এই সংগঠনের আমীরের পদে আমাকে অধিষ্ঠিত করা হয়েছে। কাজেই একথা পরিষ্কার ভাবে বলে দিতে হচ্ছে যে- ফিকাহ ও ইলমে কালামের ব্যপারে, ইতিপূর্বে আমি যা লিখেছি এবং ভবিষ্যতে যা লিখবো অথবা বলবো তা জামায়াতে ইসলামীর আমীরের ফয়সালা হিসেবে গন্য হবে না।
বরং তা হবে আমার ব্যক্তিগত মত।
এইসব বিষয়ে আমার ব্যক্তিগত রায়কে,
জামায়াত এর অন্যান্য আলেম বা গবেষক দের উপর চাপিয়ে দিতে আমি চাইনা!
এবং আমি এও চাই না যে,
জামায়াত এর পক্ষ থেকে,
আমার উপর এমন সব
বিধি-নিষেধ আরোপ করা হবে যে,
যার ফলে ইলমের ক্ষেত্রে,
আমার গবেষণা করার এবং মতামত প্রকাশের স্বাধীনতা ছিনিয়ে নেওয়া হবে।

জামায়াতের সদস্যদের কে আমি আল্লাহর দোহাই দিয়ে অনুরোধ করছি যে,
ফিকাহ ও কালাম শাস্ত্র সম্পর্কিত আমার কথাকে, আপনারা কেউ অন্যের সম্মুখে প্রমান স্বরুপ পেশ করবেন না।
অনুরুপ ভাবে আমার ব্যক্তিগত কার্যাবলীকেও, যেগুলোকে আমি নিজের অনুসন্ধান ও গবেষণার পর জায়েয মনে করেছি,
অন্য কেউ যেন প্রমান স্বরুপ গ্রহন না করে,
এবং নিছক আমি করেছি বলেই যেন বিনা অনুসন্ধান এ তার অনুসারী না হন।

এ ব্যপারে প্রত্যেকের পুর্ন স্বাধীনতা রয়েছে।
উপরন্তু এ ব্যপারে আমার বিপরীত মত পোষন করার এবং নিজেদের মত প্রকাশের স্বাধীনতা প্রত্যেকের রয়েছে" -

(জামায়াতে ইসলামীর কার্যবিবরনী-১মখন্ড, ২৮ পৃষ্টা)

এর পরেও দেওবন্দী ওলামাগণ যদি জামাতকে ইসলামী দল নয় বলে গলাবাজি করেন তবে তারা যে আসলে ইসলামি রাষ্ট্র পরিচালনায় জামাতের সফলতা-দক্ষতায় নিজেদের নিদারুন অপারগতায় হিংসুক হয়েই এ মিথ্যার ফুলঝুরি ছোটান এটা বুঝতে বেশি জ্ঞানের প্রয়োজন হয় বলে মনে করি না।

কেউ ইসলামী আন্দোলনের কাজ করলে দুনিয়ার যেখানে নারী নেতৃত্ব চলছে সবার বিরুদ্ধে কি জেহাদে নামতে হবে? কোরআনের কথা বলে এরকম ফালতু কথা বলা বড় মুর্খতা। যে কোন দেশের বাস্তব পরিস্থিতি বিবেচনা না করে যারা নারী নেতৃত্ব বিষয়ে ঢালাওভাবে কথা বলতে দ্বিধা-বোধ করেনা তারা জানেনা যে নেতৃত্বের পরিসর অনেক ব্যাপক। স্কুলের প্রধান, সংগঠনের প্রধান, কোম্পেনীর প্রধান, অফিসের ম্যনাজার সবাই তাদের আপন আপন স্থানে নেতৃত্বের পরিসরে। ইসলামী শাসন প্রতিষ্ঠা করেই কি বেছে বেছে সকল নারীদেরকে চাকুরিচুৎ করতে হবে না নেতৃত্বের বিভিন্ন পরিসর দেখতে হবে? না এ বিষয়ে বিবেচনা বা কোন ব্যাখ্যা বিশ্লেষণে যাবার দরকার আছে? কেউ যদি কোথাও চাকুরী করেন এবং সেই স্থানের নেতৃত্ব যদি কোন মহিলার হাতে থাকে তবে কি তার চাকুরী ছেড়ে চলে যেতে হবে? স্বয়ং রাসুল (সHappy এর জিবনী কি শিক্ষা দেয়? তাঁকেও তো আল্লাহ এক মহিলার নেতৃত্বের ব্যবসায় চাকুরী করিয়েছেন।

সদালাপের সুপ্রিয় পাঠক ভাই বোনদের খেদমতে আমার এক পোষ্টের মন্তব্যে এম অহমেদ ভাই এ প্রসঙ্গে কিছু প্রশ্ন রেখে ছিলেন যা এখানে উল্লেখ করতে চাই,

"নেতৃত্ব কি কাওম-প্রধানের সাথের বাস্তবতা, না সর্বব্যাপী বাস্তবতা -এসব কথা আলোচিত হতে হবে। তাছাড়া যারা নারী নেতৃত্বের দেশে বসবাস করেন তারা সবাই সেই নেতৃত্বের আওতাধীন। তারা সেই নেতৃত্ব পরিবর্তনের জন্য যদি কোন উদ্যোগ গ্রহণ না করে বসে বসে ফতোয়ার কথা বলেন এবং নির্বাচনের দিন নারী নেতৃত্বের বাক্সে ভোট দেন, তবে এর চেয়ে হাস্যকর অবস্থান আর কী হতে পারে? ‘ইসলামী রাষ্ট্রে নারী নেতৃত্ব নেই’ শুধু এতটুকু কারণেই এই প্রববক্তাদেরকে রাজনীতিতে নামতে হবে। কিন্তু তা না করে তারা যদি চুপসে চুপসে নারী নেতৃত্ব মেনে নেন তবে কিয়ামত পর্যন্ত পরিবর্তন আসবে না। এই বর্তমান সমাজের কিছু লোকের অবস্থান। তারা একদিকে নারী নেতৃত্বের বিপক্ষে বলবেন কিন্তু ভোটের দিন চুপসে নারীর বাক্সে ভোট দেবেন। এখানে যদি ধর্মীয় সমস্যা থেকে থাকে তবে এটা এই ধর্মের সকলের, কারো একার নয়।

জামাতের নেতা মৌ: দেলাওয়ার হুসেন সাঈদীকে বাংলা টিভিতে একবার প্রশ্ন করা হয়েছিল, আপনি এবং আপনার দল নারী নেতৃত্বের বিপক্ষে অথচ আপনারা খালেদার সাথে একজোট -এটা কেমনে হয়? (এই ইন্টার্ভিউটা হয়ত এখনো ইউটিউবে পাওয়া যেতে পারে)। উত্তরে সাঈদী যা বলেন এবং যতটুকু আমি স্মরণ করতে পারি তার বর্ননা এরূপ: আমরা বিএনপি নামক একটি দলের সাথে জোট করেছি, যে দল একজন নারীকে তাদের নেতা হিসেবে নির্বাচন করেছে, আমরা করিনি। জোট না বাঁধলেও তো বাংলাদেশে নারী নেতৃত্ব বিরাজিত, সবাই সেই বিরাজিত নেতৃত্বের অধীন। আমরা কিছু কমন উদ্দেশ্য সামনে রেখে এক সাথে কাজ করতে জোট করেছি। এর উদাহরণ ধরুন এমন যে আমরা এক স্থান থেকে আরেকটি স্থানে যেতে রাস্তায় নেমেছি। সেখানে আরও কিছু লোকজনকে পেয়েছি যারা সেই অভিলক্ষ্যে যাত্রা করছেন। এখন রাস্তায় যদি কিছু বাধা বিঘ্ন আসে, কিছু গাছ-বাঁশ সেই রাস্তা বন্ধ করে দেয়, তখন কী করা হবে? এমতাবস্থায় কার দলে নারী নেতৃত্ব আর কার দলে পুরুষ এই বাদাবাদিতে নেমে গেলে রাস্তার প্রতিবন্ধকতা দূর হবে না, কারো পক্ষে গন্তব্যে পৌঁছা সম্ভব হবে না। আমাদের জোট হচ্ছে এমনই অভিলক্ষ্যে। আমরা আলাদা দল, দেশের জনগণ আমাদের উদ্দেশ্য-বিধেয় জানেন। জোটের দলগুলো আলাদা আলাদা দল, আমরা সবাই একে অন্যের উদ্দেশ্য-বিধেয় জানি। তবে আমরা এটাও জানি এবং বুঝি আমাদের সকলের মধ্যে কিছু কিছু কাজ ও উদ্দেশ্য কমন রয়েছে যেগুলো আমরা সবাই মিলিতভাবে করতে পারি। আমাদের অবস্থানগত উদাহরণ এভাবেই।



ইসলাম সমসাময়িক বিশ্বব্যবস্থাকে সবসময় অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করে। এর জন্যে দুটি উদাহরণ আপনাদের সামনে তুলে ধরতে চাই। একঃ আপনারা সবাই জানেন কাবা ঘরে ৩৬০ টি মূর্তি ছিল। মহানবী (সঃ) এর মাক্কী জীবনের পুরোটা সময় এবং মক্কা বিজয় হওয়ার আগ পর্যন্ত এই ৩৬০ টি মূর্তি কাবাঘরেই ছিল। মহানবী (সঃ) এর মূল দাওয়াতই ছিল এই মূর্তির বিরুদ্ধে তদুপরিও তিনি মক্কা থাকাকালীন সময়ে কোন সাহাবীকে মূর্তি ভাঙ্গার নির্দেশ দেন নি বরং সেই সকল মুর্তি কাবাঘরে বর্তমান থাকা অবস্থাতেও কাবার চত্ত্বরে মূর্তি রেখেই নামাজ আদায় করেছেন। দুইঃ দ্বিতীয় ঘটনাটি হুদাইবিয়া সন্ধির সময়। যখন কুরাইশরা সন্ধি করতে প্রস্তুত হলো এবং এ সম্পর্কে আলোচনা করার জন্যে সুহাইল বিন্ আমরকে দূত বানিয়ে পাঠালো। তার সঙ্গে দীর্ঘ সময়ব্যাপী আলোচনা হলো এবং শেষ পর্যন্ত সন্ধির শর্তাবলী স্থিরিকৃত হলো। সন্ধিপত্র লেখার জন্যে হযরত আলী (রা)-কে ডাকা হলো। সন্ধিপত্রে যখন লেখা হলো ‘এই সন্ধি আল্লাহর রাসূল মুহাম্মদ (স)-এর তরফ থেকে তখন কুরাইশ প্রতিনিধি সুহাইল প্রতিবাদ জানিয়ে বললো : ‘আল্লাহর রাসূল’ কথাটি লেখা যাবে না; এ ব্যাপারে আমাদের আপত্তি আছে।’ একথায় সাহাবীদের মধ্যে প্রচন্ড ক্ষোভের সৃষ্টি হলো। সন্ধিপত্র লেখক হযরত আলী (রা) কিছুতেই এটা মানতে রাযী হলেন না। কিন্তু হযরত (স) নানাদিক বিবেচনা করে সুহাইলের দাবি মেনে নিলেন এবং নিজের পবিত্র হাতে ‘আল্লাহর রাসূল’ কথাটি কেটে দিয়ে বললেন : ‘তোমরা না মানো, তাতে কি? কিন্তু খোদার কসম, আমি তাঁর রাসূল। এবার আসা যাক যে হাদিসটার মাধ্যমে নারী নেতৃত্বকে হারাম মনে করা হয় সেটি জেনে নেই। “যখন রাসুল (সাঃ) এর কাছে খবর পৌছাল যে পারসিয়ানরা সম্রাট খসরুর মেয়েকে তাদের শাষক হিসাবে নির্বাচিত করেছে তখন তিনি (রাসুল (সাঃ)) বলেছিলেন, যে জাতি তাদের রাষ্ট্রের কতৃত্ব একজন মহিলার হাতে ন্যস্ত করে তারা কখনও উন্নতি করতে পারে না" (বুখারী)। হাদিসে কোথাও বলা হয়নি নারী নেতৃত্ব হারাম, বলা হয়েছে অকল্যাণকর , তাই জামায়াতও আনুষ্ঠানিকভাবে কখোনো নারী নেতৃত্বকে হারাম ঘোষণা করেনি। তবে জামায়াত হাদিসের ভাষ্য অনুযায়ী নারী নেতৃত্বকে দেশ ও জাতির জন্য অকল্যাণকর জানে এবং মানে। দলীয়ভাবে জামায়াতের শীর্ষ নেতৃত্বে নারীর মনোনয়ন কিংবা নির্বাচনের কোন সুযোগ নেই। এবার আসুন উপরের ঘটনা দুটির সাথে হাদিসটি বিশ্লেষন করি। মহানবী (সঃ) বাস্তব অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে কাবা শরীফে মুর্তি থাকা অবস্থায় নামাজ পড়েছেন অথচ ইসলামের মূল বিশ্বাস “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ” এর সাথে সাংঘর্ষিক হচ্ছে মূর্তি। দ্বিতীয় ঘটনাটি ইসলামের দ্বিতীয় মূল বিশ্বাস “মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ” এর সাথে সাংঘর্ষিক। অথচ সয়ং রাসুলুল্লাহ (সঃ) সে সময়ের বাস্তব অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে এবং সমসাময়িক বিশ্বব্যবস্থার কথা বিবেচনা করে এদুটি পদক্ষেপ নিয়েছেন। গুরুত্বের বিবেচনায় এবার আপনারাই বলুন উপরিউক্ত দুটি ঘটনার সাথে নারী নেতৃত্ব সংক্রান্ত হাদিসটি কতটা গুরুত্ব বহন করে? রাজনৈতিক বিভিন্ন ইস্যুতে জোটবদ্ধভাবে জামায়াত বিএনপির সাথে জোট করেছে এবং অতীতে আওয়ামী লীগের সাথে জোট করেছিল। বিএনপি কি আওয়ামীলীগের নেতৃত্বে কে আছেন বা থাকবেন তা তো জামায়াত নির্ধারণ করার ক্ষমতা রাখেনা। জামায়াত দলের সাথে জোট করেছে এবং ঘটনাচক্রে সে দলের শীর্ষ ব্যক্তি মহিলা। রাজনৈতিক ক্রান্তিকালে স্বাধীনতার পূর্বে ও পরে অনেকবারই ইসলামী দলগুলো নারী নেতৃত্বকে সমর্থন দিয়েছিল অধিকতর নিকৃষ্ট শাসকের হাত থেকে বাঁচতে গিয়ে। বর্তমানে জামায়াতের অবস্থান তেমনই। প্রসঙ্গত, হযরত সুলাইমান আ. এর সাথে সাবার রানি বিলকিসের যোগাযোগের বিষয়টি তো সকলেরই জানা। এবার আসা যাক কোন প্রেক্ষাপটে বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে চার দলীয় ঐক্য হয়েছিল। ১৯৯৬ সালে হিজাব পড়ে এবং পুর্বের ভুলভ্রান্তির ক্ষমা প্রার্থনা করে ক্ষমতা নেয়ার পরেই শেখ হাসিনা মাথার পট্টি খুলে ইসলামের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে নেমে পড়েন। সে সময়ে শামসুর রহমান, হুমায়ুন আযাদ, শামসুল হক গং প্রকাশ্যে ইসলামের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অশ্লীল সাহিত্য, কবিতা লিখতে থাকেন এবং সরকার তাদের পূর্ণ পৃষ্ঠপোষকতা দিতে থাকে। অন্যদিকে ষাটোর্ধ্ব শাইখুল হাদিস আল্লামা আযিযুল হককে বিনা কারনে গ্রেফতার করে একমাস কারাগারে রাখে। ভারত তোষননীতি পূর্বের রেকর্ড ভঙ্গ করে। আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির ব্যাপক অবনতি হয়। বিভিন্ন জায়গায় তৈরী হয় গডফাদার। জয়নাল হাজারী, শামীম ওসমান, আবুল হাসনাত আবদুল্লাহ, তাহের উল্লেখযোগ্য। সন্ত্রাসের দৌড়াত্বে জনজীবন অতিষ্ট হয়ে উঠে। প্রতিদিন খুন, ধর্ষন ছিল পত্রিকার নিয়মিত খবর। এ অবস্থায় এ ইসলাম বিরোধী অপশক্তিকে রুখতে দেশব্যাপী বিরোধী দলগুলোর ঐক্য ছিল সময়ের দাবী। সে পরিপ্রেক্ষিতেই ১৯৯৯ সালে চারদলীয় জোট গঠিত হয়। বর্তমানে আবার ক্ষমতাসীন হয়ে আওয়ামী লীগ যেভাবে নাস্তিকদের তোষণ করেছে তা তো আপনারা চোখের সামনেই দেখছেন। এ অবস্থায় এই ইসলামবিরোধী অপশক্তিকে রুখতে হলে যে ব্যাপক ভিত্তিক ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের প্রয়োজন সেটা সবাই বুঝতে পারছে। এবং দেশবাসী এটাই চাচ্ছে। সুতরাং ইসলাম রক্ষায়, দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায়, রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসীদের হাত থেকে জনগণকে পরিত্রান দিতে বৃহৎ ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের কোন বিকল্প নেই। বাস্তবতার নীরিখে ইসলাম ও দেশের বৃহত্তর স্বার্থে জামায়াতে ইসলামী এ ব্যাপারে রাসুল (সঃ) এর বাস্তব কর্মপন্থার আলোকেই এ বিষয়ে কিছুটা ছাড় দিয়েছে। জামায়াত যেদিন জনগণের আস্থা অর্জন করে রাষ্ট্রক্ষমতার দায়িত্ব গ্রহণ করতে পারবে, সেদিন রাষ্ট্রের নেতৃত্বে একজন পুরুষই থাকবেন।

ভারতের ওলামায় হিন্দ বা দেওবন্দী আলেমগণও কিন্তু সোনিয়া গান্ধির নেতৃত্বাধিন কংগ্রেসকে সমর্থন দিয়েছে। এমনকি তারা দেওবন্দ মাদ্রাসার বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথিও বানাচ্ছেন এই মুশরিকাকে !!!

ইসলাম কখনোই সমাজের কোন কোন ব্যাপারে মেয়েদের ভূমিকাকে অন্যদের তুলনায় সীমিত করেনি। সর্বপ্রথম যে ব্যাক্তিটি নবী মুহাম্মাদ (সাঃ) এর দাওয়াত কবুল করে ইসলাম ধর্ম কবুল করেছিলেন তিনি ছিলেন একজন নারী। ইসলামের প্রথম শহীদ ছিলেন একজন নারী, ঠিক তেমনি প্রথম মুহাজির ও ছিলেন একজন নারী। শত শত বছর ধরে নারীরা উচ্চ উচ্চ পদে দায়িত্তপালন করেছেন, তারা ছিলেন শাসক, বিচারক, যোদ্ধা, শিক্ষক, মুফতি, ইত্যাদি। ইসলামের ইতিহাসের যে কোন সৎ ছাত্রই এই সাক্ষী দেবে।

রাষ্ট্রের প্রধানের ব্যাপারে একটি হাদিস আছে যা পরোক্ষভাবে নারী নেতৃত্বকে নিষিদ্ধ করেছে, হাদিসে বলা হয়েছে, যেসব লোক কোন নারীকে তাদের নেতা নিয়োগ করে তারা উন্নতি করতে পারবে না( দেখুন টীকা-১) । অবশ্য, ইসলামের ইতিহাসে বিভিন্ন সময়ে পঞ্চাশেরও বেশি নারী শাসক দেখা যায়, যেমন মিশরের সিত আল-মুলক, সিনায় রানী আসমা ও আরওয়া, আল-আন্দালুসে জায়নাব আল-নাফযাভিয়া, দিল্লিতে সুলতানা রাজিয়া, মিশরে শাজারাত আল-দুর ইত্যাদি। বিভিন্ন সামাজিক জীবনে, যুদ্ধে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে, পুলিশে ( হিসবা), এবং বাজারে নারীদের অংশগ্রহনের ক্ষেত্রে রসুলুল্লাহর সম্মতির ব্যাপারে কোন বিতর্ক নাই।

উপরে উল্লেখিত হাদিসের কারনে, অনেক ইসলামিক স্কলাররা নারীদের রাষ্ট্র প্রধান হওয়াকে নিষিদ্ধ বলে মনে করেন। হানাফি মাজহাবে কিছুটা সীমিত পরিসরে নারীদের বিচারক হওয়াকে জায়েজ বলে মনে করা হয়। অবশ্য , নারীদের বিচারক ও রাষ্ট্র প্রধান হওয়াকে সম্পূর্ণ ভাবে জায়েজ বলে মত দিয়েছেন কেউ কেউ, যেমন ইবনে জারির আল-তাবারি, ইবনে হাজম আল-যাহিরি, আবু আল ফাতহ ইবনে তারার, ইবনে আল-কাসিম, ইত্যাদি।

এটা মনে রাখা খুবই গুরুত্ত পূর্ণ যে এই হাদিসটি একটি বিশেষ পরিপ্রেক্ষিতে ও অবস্থায় রসুলুল্লাহর উক্তি, যখন কিনা পারস্যবাসীরা শেষ উপায় ( কিসরা, ও তার ছেলের নিহত হওয়ার পর) হিসাবে একজন নারীকে (কিসরার কন্যাকে) তাদের প্রধান নিয়োগ করেছিলেন। নবীর এই হাদিসটি নির্দেশনা হিসাবে গ্রহন করা যাবে না, বরং ইহা পারস্যদের পতনের একটি ইঙ্গিত। আইনশাস্ত্রের মুলনীতিতে এটি পরিস্কার যে একটি বিশেষ ঘটনা (খাস) সর্ব অবস্থায় (আম) প্রয়োগ করা যায় না। অধিকন্তু, আল্লাহ্‌ নিজেই বিলকিস, শেবার রানী, এর যোগ্যতা ও বিচক্ষণতার প্রশংসা করেছেন কুর’আনে।

ইসলামে খলিফার উচ্চস্থান এবং সমসাময়িক রাষ্ট্রের প্রধানের মধ্যে যে বিশেষ পার্থক্য আছে সে বিষয়টিও খেয়াল রাখতে হবে। খলিফা একটি ধর্মীয় পদ, যার অনেকগুলি দায়িত্তের একটি যা বর্তমান শাসকদের করতে হয়না তা হল মুসলিমদের নামাজের ইমামতি করা, এই শর্তটির ব্যাপারে সকল স্কলাররাই একমত। অন্যদিকে, সমসাময়িক রাষ্ট্রের প্রধানের পদটি একটি সরকারি পদ যেখানে সকল মুসলিম উম্মার প্রধান হওয়ার বিষয়টি নেই। সুতরাং, এই পদটিতে আসীন হওয়ার সকল অধিকার নারীদের আছে।

টীকা-১, এই হাদিসটি বর্ণনা করেছেন আবু বাকরাহ ( খলিফা আবু বকর (রাঃ) না) যিনি একটি ব্যাভিচারের বিচারে মিথ্যা সাক্ষী দেওয়াতে হজরত উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) তাকে ৮০ বেত্রাঘাত করেন। আল্লাহ্‌ বলেছেন

আর যারা সতী-সাধ্বী নারীর ওপর অপবাদ লাগায়, তারপর চারজন সাক্ষী আনে না , তাদেরকে আশিটি বেত্রাঘাত করো এবং তাদের সাক্ষ কখনো গ্রহণ করো না ৷ তারা নিজেরাই ফাসেক। (সূরা নূর, আয়াতঃ ৪)

তাহলে এই ব্যাক্তির বর্ণিত হাদিস গ্রহন করার সুযোগ কতটুকু? যদিও হাদিসটি বুখারী শরীফের অন্তর্ভুক্ত, তথাপি, ইবনে হাজম ও নাসির উদ্দিন আলবানী এই হাদিসটিকে গ্রহন করেন নি কেবল রাবীর কারনে। উল্লেখ্য, ইমান ইবনে বুখারী(রহঃ) একজন মানুষ ছিলেন তাই উনার ভুল হওয়াটা অস্বাভাবিক নয়।

নেতৃত্ব কি??

নেতৃত্ব হল নেতার একটি বিশেষ গুণ, যার মাধ্যমে সে তার সকল কর্মীবাহিনীকে নিয়ন্ত্রন করে।

অথবা, যে বাক্তির কথাই কোন একটি দল,কোন একটি সংগঠন, অথবা কোন একটি গোষ্ঠী পরিচালিত হয় তাকে নেতা বলে। আর নেতার সকল গুনাবলিই নেতৃত্ব।

সন্ধি কি?

বিশেষ কিছু শর্ত সাপেক্ষে কোন একটি জাতি, কোন একটি গোষ্ঠী, অথবা কোন একটি দলের সাথে একটি সময় সীমার জন্য চুক্তি করাই হল সন্ধি। সন্ধির শর্ত পুরন হয় কেবল কিছু সময় পর্যন্ত। পক্ষান্তরে নেতার নেতৃত্ব ততদিন মানতে হয় যতদিন সে নেতা থাকে। সুতারাং সন্ধির শর্ত পুরন করা আর নেতৃত্ব মানা এক নয়!

নারি নেতৃত্ব কি?

নারি নেতৃত্ব হল একটি দলের/গোষ্ঠীর সকল প্রকার ক্ষমতা নারির হাতে তুলে দেওয়া। নারি যেইভাবে বলবে সেই ভাবে পালন করা।

জামাআত-শিবির নারি নেতৃত্বকে হালাল মনে করে এবং নারি নেতৃত্ব মানে এই কথাটা সত্যিকিনা? নাকি এটা জামাআত-শিবিরের নামে অপবাদ??

আমি আগেই বলছি নেতৃত্ব মানা আর সন্ধির শর্ত মানা এক নয়! জামায়াত কি তাদের দলের সকল কার্যক্রম নারির হাতে তুলে দিয়েছে? জামায়াতের প্রোগ্রাম কি বি.এন.পি পরিচালনা করে? নাকি জামায়াতের প্রোগ্রাম জামায়াত পরিচালনা করে? জামায়াতের কোন মিছিলে কি বি.এন.পি যোগদান করে? বি.এন.পি এর কোন মিছিলে কি জামায়াত যোগদান করে? না করেনা!!!! বরং জামায়াত যেহেতু বি এন পি এর সাথে জোটবদ্ধ অথবা সন্ধি চুক্তিতে আবদ্ধ সেহেতু জামায়াত সেই সকল প্রোগ্রাম অথবা মিছিলে উপস্থিত থাকে যা জোটের পক্ষ থেকে ডাকা হয়। যেহেতু বি এন পি এর সাথে জামায়াত জোটবদ্ধ, এবং বি এন পি এর নেতা নারি। সেহেতু জোটের নেতা হল খালেদা জিয়া। এখন কেউ যদি বলে জামায়াত খালেদার নেতৃত্ব মানে তাহলে আমি বলব সে একটি ভুল ধারনার মধ্যে আছে। বরং জামায়াত সেই সকল প্রোগ্রাম বা মিছিল বি.এন.পি এর সাথে একসাথে পালন করে যা জোটের সকল দলের অংশগ্রহনে সিদ্ধান্ত হয়। আর যেই সকল প্রোগ্রাম জামায়াতের দলীয় প্রোগ্রাম তা বাস্তবায়ন করে জামায়াত। সুতারাং জামায়াত যদি নারি নেতৃত্ব মানতো তাহলে সকল কাজ করার ক্ষেত্রে বি এন পি কে জিজ্ঞাসা করেই করত।

এখন কেউ যদি বলে জামায়াত যদি নারি নেতৃত্ব না মানে তাহলে জামায়াত কেন বি এন পি এর সাথে জোট করেছে?

তাদেরকে শুধু একটি কথা বলব যে জামায়াত এটা কুরআন থেকে শিক্ষা গ্রহন করেছে। এই প্রেক্ষিতে একটি প্রশ্ন করব যে রাসুল সঃ হুদাইবিয়ার সন্ধি কাদের সাথে করেছে?

কেন করেছে? কোন প্রেক্ষাপটে করেছে? রাসুলুল্লাহ সঃ কাফেরদের সাথে সন্ধি করছেন! যখন মুসলমানদের কে বিভিন্ন ভাবে নির্যাতন করা হচ্ছে, দেশ ত্যাগ করতে বাধ্য করা হচ্ছে, ঠিক সেই মুহূর্তে রাসুল সঃ কাফিরদের সাথে সন্ধি করেন। যার ফলে ইসলামের দাওয়াত দিক বিদিক ছুটে যায়। সকল মানুষের মাঝে ইসলামের দাওয়াত পৌঁছে যায়, ইসলামের শক্তি হাজার গুনে বৃদ্ধি হয়। এখন কেও যদি বলে, (নাউজুবিল্লাহ) রাসুলুল্লাহ সঃ যেহেতু কাফিরদের সাথে সন্ধি করেছেন সেহেতু তিনি কাফিরদের নেতৃত্ব মেনে নিয়েছেন তা কি সঠিক? না সঠিক নয়!!! সুতারাং জামায়াত বি.এন.পি এর সাথে সন্ধি করার কারনে নারি নেতৃত্ব মেনে নিয়েছেন এই কথা কিভাবে সঠিক হয়???? যখন বাংলাদেশে আওয়ামিলীগ ইসলাম পন্থিদেরকে নির্যাতন করা শুরু করে, কুকুরের মাথাই টুপি পরাই, মসজিদের ভিতর জুতা নিয়ে প্রবেশ করে, বিশ্ববিদ্যালয়ে ধর্ষণে সেঞ্চুরি করে মিষ্টি বিতরন করে, আলেম ওলামাদেরকে নির্যাতন করা শুরু করে, মাদ্রাসাকে জঙ্গিবাদের আখড়া বলে আক্ষায়িত করে, সংবিধান থেকে আল্লাহর নাম বাদ দিয়ে দেই, সংবিধান থেকে বিসমিল্লাহ কে বাদ দিয়ে দেই, তখন বাংলাদেশের সকল মুসলমান এই জালিম সরকারের নির্যাতন থেকে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করে, যাতে করে দেশের মানুষ জালিমের হাত থেকে রক্ষা পাই। আর তখন বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দল ছিল বি.এন.পি এবং জামায়াত। জামায়াত দেখল যে, যদি জামায়াত ও বি এন পি আলাদা নির্বাচন করে তাহলে ভোট কাটা গিয়ে আওয়ামিলিগ আবারো ক্ষমতাই চলে আসবে। আর বি এন পি ও উপলব্ধি করল যে একা নির্বাচন করলে আওয়ামিলীগ কে হটানো যাবেনা। তখন দেশের ক্রান্তিলগ্নে বাংলাদেশ জামায়াতে-ইসলামী আওয়ামি সরকারকে হটানোর জন্য এবং ইসলামী আন্দোলনের বৃহত্তর কথা চিন্তা করে বি এন পি এর সাথে ৩ নিরবাচনের সন্ধি চুক্তিতে আবদ্ধ হয়। সুতারাং চুক্তি শেষ হয়ে গেলে এবং ইসলামি আন্দোলনের/সংগঠনের শক্তি মজবুত হলেই জামায়াতে ইসলামী বি.এন.পি থেকে বের হয়ে এসে আলাদা নির্বাচন করবে। এটাই হল বাস্তব সত্য কথা।

http://www.onbangladesh.net/blog/blogdetail/detail/6214/Hasikhusi710/16943#.UvtGlSdknIV

http://www.onbangladesh.net/blog/blogdetail/detail/1864/fakhrul/27157#.UvtF6lMYwy8

http://www.somewhereinblog.net/blog/neel_supto/29801633
২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সকাল ১০:৩৮
133884
অপ্রিয় সত্য কথা লিখেছেন : সমসাময়িক সামন্যজ্ঞান আপনার আছে বলে মনে হয় না।থাকলে আপনি ইসলাম কায়েমের জন্য গনতান্ত্রিক পন্হায় মউদুদী জামাতকে যোগ্য মনে করতেন না।
ইখওয়ানের মত একটি শক্তিশালী দল এত বিশাল আকারে নির্বাচিত হয়ে থাকতে পারে নাই।আর আপনি তালেবানদের ব্যাপারে আপনার বক্তব্য একদম হাস্যপ্রদ বলতে হয়।যার বিহঃশক্তির সাথে মোকাবেল করে আজো টিকে আছে একমাত্র ঈমানের বলে বলিয়ান হয়েই।
আর ইখওয়ান আর জামাতের ইসলামী আন্দোলনের মধ্যে আছে বিস্তর ফারাক।
জামাতের ব্যাপারে আপনার অত্রাধিক অন্ধভক্তিই আপনাকের এরকম দুঃস্বপ্ন দেখায়।
হুদাবিয়ার সন্ধি হয়েছিল ওহীর আলোকে এবং কুরআন-সুন্নাহের উপর অটল থেকে।কিন্তু বর্তমান জামাত কোন ওহীর আলোকে কুরআন-সুন্নাহর বাহিরে গিয়ে সন্ধি করলো এবং কি কি চুক্তির আলোকে সন্ধি করছে আপনার জানা থাকলে জানাবেন।
এত লম্বা অহেতুক পাও ক্যাচাল না দিয়ে অল্প কথায মন্তব্য করুন।
আসুন দেখি আসলে জামাতের ইসলাম নাকি জমের হাতের ইসলাম একটু গবেষনা করি।
180923
২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ১১:৩৮
সাগর কন্যা লিখেছেন : ছিঃ ছিঃ ছিঃ
অপ্রিয় সত্য কথা ভাই!
আপনারে তো এমুন মনে করতাম না।
চার নাম্বার বক্সের মন্তব্যটা পড়লাম। কি মারাত্মক ব্যপার স্যাপার!!!

ছিঃ আপনার জামায়াত বিরোধীতা আপনাকে মিথ্যাচার করতে বাধ্য করলো। আফসোস
২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সকাল ১১:১৭
133893
অপ্রিয় সত্য কথা লিখেছেন : ছিঃ ছিঃ করার কিে পেলেন?? উনি ইন্ডিয়ান বহুল প্রচারিত ছবির উদাহারন দিয়েছেন ইহা আপনার কাছে সঠিক মনে হয়েছে।অথচ আমি ছবি সহ অপকর্ম তুলে দরলাম তা আপনার কাছে সঠিক মনে না হওয়ার কারন কি???
অন্ধ জামাত প্রীতি এর এাকমাত্র কারন।
মিথ্যাচার করার দরকার কি,জামাত - শিবিরের ছেলে-মেয়েদের চরিত্র এর চেয়ে ভাল নাকি?? হাজারো ঘটনার সাক্ষী এবং বিচারক আমি এই গোমড়া মউদুদী অনুসারিদের।
181114
২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ দুপুর ০১:০৯
অজানা পথিক লিখেছেন : ঠিকআছে। যথার্থ । আর প্রয়োজন নেই।
আমার বক্তব্য রেখে গেলাম। হয়তো কেউ আপনার বক্তেব্যর সাথে মিলিয়ে দেখতেও পারে। আর রিপলাই হবেনা। আমার ভুল হলে আল্লাহ আমাকে ক্ষমা করুন। আমি আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে সকল মুসলিমকে ভালোবাসতে চাই। চরমপন্থা অবলম্বনকারী দের আমি ভালোবাসি না। সে জামায়াত হোক আর অন্য কেউ হোক। ভালথাকুন ভাই
২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ দুপুর ০১:৩৩
133921
অপ্রিয় সত্য কথা লিখেছেন : শুকরিয়া,সঠিক উপলব্দি করেই কি ক্ষান্ত হলেন?? নাকি রাগ করে??
আলোচনা-সমালোচনা চলবে।তবে তা যেন হয় শুধু মাত্র আল্লাহর সন্তুস্টি এবং কুরআন-সুন্নাহের আলোকে।
তাতে আমার ভাল লাগুক বা খারাপ লাগুক।
আল্লাহ আমাদের সকলকে সহী বুঝ দান করুন।
১০
192593
১৫ মার্চ ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:০৮
মোঃ ওহিদুল ইসলাম লিখেছেন : নীচ থেকে দ্বিতীয় ছবিটা মুছে দিন। বিদেশের ছবিকে ফটোশপে এডিট করে অন্যের নামে মিথ্যা অপবাদ দিচ্ছেন।
আপনি মহানবী(স) এর হাদীস শব্দটি বিকৃত করে লিখেছে ‘খবীস’ (নাউজুবিল্লাহ)।
লজ্জা করেনা আপনাদের? আবার ইসলাম শেখান মানুষদের? যত্তসব ভাঁওতাবাজি।
১১
192742
১৫ মার্চ ২০১৪ রাত ১০:৫১
লোকমান বিন ইউসুপ লিখেছেন : নারী নেতৃত্ব, দাড়ি, টাখনুর নীচে কাপড় সংক্রান্ত বিধান কুরআন হাদীসের রেফারেন্স ব্যবহার করে বিশ্লেষন করুন। জানতে আগ্রহী। এই রকম সস্তা পোস্ট বহুত দেয়া যায়।
১২
192968
১৬ মার্চ ২০১৪ দুপুর ০৩:৪৮
নকীব কম্পিউটার লিখেছেন : নিজেরা নিজেরা.... মারামারি করে, ভিনদেশীদের ইচ্ছা পূরণের সুযোগ দেয় একমাত্র বাঙালীরাই।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File