কত বোকা ছিলাম
লিখেছেন লিখেছেন কামরুল হাছান মাসুক ০২ এপ্রিল, ২০১৩, ০৯:২০:১৮ সকাল
ছোট কালের ঘটনা। এই কালে যে শুনে সেই হাসে। হাসার কথাই। এমন ঘটনা ঘটলে না হেসে উপায় আছে। তবে হাসিতে যেন কারো মৃত্যু না ঘটে। অনেকে নাকি হাসতে হাসতে মারা যায়। এই ধরণের মারা যাওয়া দুঃখজনক। অনেক সময় দেখা যায় নিজের দল জিতে গেলে অত্যার্ধিক খুশিতে হৃদপিন্ড বন্ধ হয়ে মারা যায়। ঘটনা হচ্ছে, আমি ছিলাম ভীষণ পাজি। গ্রামের উঠাতে গর্ত দেখলেই প্রস্রাব করতে যেতাম। গ্রামে এক ধরণের ভুরি ছিল। এরা গর্তের মধ্যেই থাকত। এদের গর্তে পানি দিলে এরা উপরে উঠে আসত। আমি প্রত্যেকদিন এরকম গর্ত দেখে প্রস্রাব করতাম। ভুরি উপরে উঠে আসলে তাদের মারার চেষ্টা করতাম। না মারতে পারলেও আমার অনেক ভাল লাগত। একদিন ভুরির গর্তের মধ্যে প্রস্রাব করতে গিয়েছি। হঠাৎ করে গোপন জায়গার মধ্যে কামড় অনুভব করলাম। চিৎকার দিয়ে উঠলাম। গোপন জায়গা থেকে রক্ত পড়ছে। সবাই ছোটে এসে ভাবল সাপে মনে হয় কামড় দিয়েছে। নুনু এমনিতেই ছোট্ট ছিল। ছোট কালে কিরকম থাকে সবাই জানেন। এখানে সাপে কাঁটার ভান দেওয়া অনেক কঠিন বিষয়। মা, খালা, চাচী সবাই এটাকে নিয়ে টানাটানি করছে। কে ভান দিবে। এই টানাটানির দৃশ্যটা ছেলেরা মেয়েরা তাকিয়ে তাকিয়ে দেখছে। আমার অবস্থা তখন ভয়াবহ রকমের খারাপ। আমিও ভেবেছেলাম গর্তের মধ্যে সাপ থাকতে পারে। ছোট্ট সাপ নাকি গর্তেই থাকে। এর মধ্যেই উজা এসে গেল। তিনিও আমার জিনিষটা নিয়ে ঘাটাঘাটি করতে লাগলেন। আমি প্রায় টানা ছয় সাত ঘন্টা কাপড়বিহীন ছিলাম। ছোট ছিলাম বলে, এত ছোট ছিলাম না। ছয় সাত ঘন্টা কাপড় বিহীন এমনিতে কেউ দাঁড়িয়ে থাকলে বললে জীবনেও দাঁড়িয়ে থাকতাম না। ঐ দিন দ^াঁড়িয়ে থাকতে হয়েছিল। আসলে ঘটনা ঘটেছে কি? সাপ আমাকে কামড় দেয় নি। এক ধরণের বিষ মান্দাল নাম বলে। গর্তের মধ্যে এগুলো ছিল। এগুলিই আমাকে কামড় দিয়েছে। আমার মা মরণ কান্না শুরু করে দিয়েছিলেন। ঘটনা ফাঁস হয়ে যাওয়ার পর যা হাসির একটা রুল উঠেছিল। বলার মত না। এখনও ঘটনা আমার মনে হলে হাসি পায়। গ্রামে গর্ত দেখলে চট করেই অতীতের ঘটনা মনে পড়ে যায়।
বিষয়: বিবিধ
২০৮৫ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন