আসুন শিখি অর্থ সহ দোয়া-ই কুনূত.......
লিখেছেন লিখেছেন কাহাফ ১০ নভেম্বর, ২০১৪, ১১:৫৭:০০ সকাল
ইহলৌকিক জীবনে সৃষ্টিকর্তা মহান আল্লাহর সার্বভৌমত্ব স্বীকার করে নেয়ার সাথে সাথেই যে বিষয়টি প্রথমেই বান্দার উপর অবশ্য কর্তব্য হয়ে দাড়ায় তা হল-পরাক্রমশালী রবের সামনে সেজদাবনত পুর্ণ আত্মসমর্পন তথা নামাজ।
'মুসলিম ও কাফেরের মাঝা-মাঝি সীমা রেখা হল এই নামাজ।
ইচ্ছাকৃত ভাবে নামাজ পরিত্যাগ কে 'কুফুরী' আখ্যা দেয়া হয়েছে!
সুস্হ্য মস্তিষ্কের অধিকারী বালেগ মুসলিমের জন্য দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা ফরজ(অবশ্যই করণীয়)।
এর সাথে ওয়াজিব-সুন্নাত হিসেবে আরো নামাজ আদায় করতে হয়।
এশার সময় ফরজ নামাজের পরে 'বিতর' নামে একটা নামাজও আদায় করা জরুরী! যদিও এই নামাজের রাকাত সংখ্যা ও আদায় পদ্ধতি নিয়ে আইম্মাদের মতবিরোধ আছে।
বিতর নামাজে 'দোয়া-ই কুনুত' নামে পঠিত চমৎকার আবেগময় কিছু কথা মালা অনেকেই সঠিক-শুদ্ধ ভাবে বলতে পারে না!
এই নামাজের বিস্তারিত বিষয়াদি 'জানে এমন'কারো কাছ থেকে অবহিত হওয়া উচিৎ।
প্রয়োজনীয় এই দোয়া টা বাংলা উচ্চারণে তুলে ধরলাম,
(যদিও সঠিক আরবী উচ্চারণ বাংলায় কষ্টকর।)
................দোয়া-ই কুনুত...........
"আল্লাহুম্মা ইন্না নাস্তায়ী'নুকা,ওয়ানাস্তাগ্ফিরুকা,ওয়া নু'মিনু বিকা,ওয়া নাতাওয়াক্কালু 'আলাইকা,ওয়া নুছনী আলাইকাল খাইরা।
ওয়া নাশকুরুকা,ওয়ালা নাকফুরুকা,ওয়া নাখলাউ',ওয়া নাতরুকু মাঁই ইয়াফজুরুকা।
আল্লাহুম্মা ইয়্যাকা নাবুদু,ওয়া লাকানুসাল্লী ওয়া নাসজুদু ওয়া ইলাইকা নাস'আ,ওয়া নাহফিদু,ওয়া নারজূ রাহমাতাকা,ওয়া নাখশা' আযাবাকা, ইঁন্না আযাবাকা বিল কুফ্ফারি মুলহিক।"
অর্থঃ
"হে আল্লাহ! আমরা তোমারই সাহায্য চাই, তোমার কাছেই ক্ষমা প্রা্র্থনা করি, তোমারই প্রতি ঈমান রাখি, ভরসা করি তোমারই, এবং সকল কল্যানকামিতা তোমারই দিকর ন্যস্ত করি।
তোমারই শুকরিয়া আদায় করি,তোমার(রহমত কে) অস্বীকার করিনা। তোমার পানেই চলি তোমার অবাধ্যদের পরিত্যাগ করে।
হে আল্লাহ! একমাত্র তোমারই দাসত্ব করি আমরা,তোমার জন্যেই নামাজ আদায় করি এবং তোমাকেই সেজদাহ করি।
আমরা তোমার দিকেই দৌড়ে যাই এবং এগিয়ে চলি(তোমার পথ)।
আমরা কেবল তোমারই রহমতের আশা করি এবং তোমার আযাব-শাস্তি কে ভয় করি। আর তোমার আযাব তো কাফেরদের জন্যেই নির্ধারিত।"
হ্রদয়ের গভীর থেকে উপলব্ধি করে চমৎকার এই সব কথামালার সাথে বাস্তব জীবনে মিলিয়ে চললে সকল প্রকার অনিষ্ট হতে আমরা বেচে থাকতে পারবো অবশ্যই!
আল্লাহ আমাদের কে দ্বীন-দুনিয়ার সকল অনিষ্ট থেকে রক্ষা করে তাঁর সকল আদেশ-নিষেধ যথাযথ পালনের তৌফিক দান করুন......আমিন!!
বিষয়: বিবিধ
৬৫১৯ বার পঠিত, ৩১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
হাসান ইবন আলী রাদিয়াল্লাহু আনহ থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেন: বিতরে পাঠের জন্য রাসূল (সা) আমাকে কিছু কালেমা শিখিয়েছেন।
اللَّهُمَّ اهْدِنِي فِيمَنْ هَدَيْتَ وَعَافِنِي فِيمَنْ عَافَيْتَ وَتَوَلَّنِي فِيمَنْ تَوَلَّيْتَ وَبَارِكْ لِي فِيمَا أَعْطَيْتَ وَقِنِي شَرَّ مَا قَضَيْتَ فَإِنَّكَ تَقْضِي وَلَا يُقْضَى عَلَيْكَ وَإِنَّهُ لَا يَذِلُّ مَنْ وَالَيْتَ تَبَارَكْتَ رَبَّنَا وَتَعَالَيْتَ
‘‘হে আল্লাহ ! যাদের আপনি হিদায়াত করেন তাদের সাথে আমাকেও হিদায়াত করুন, যাদের আপনি অকল্যাণ থেকে দূরে রেখেছেন তাদের সাথে আমাকেও অকল্যাণ থেকে দূরে রাখুন, যাদের আপনি আপনার অভিভাবকত্বে রেখেছেন তাদের সাথে আমাকেও আপনসার অভিভাবকত্বে রাখুন। আপনি যা দিয়েছেন তাতে আপনি বরকত দিন। আপনি আমার তাকদিরে যা রেখেছেন এর অসুবিধা থেকে আমাকে রক্ষা করুন, আপনিই তো ফয়সালা দেন, আপনার বিপরীত তো ফয়সালা দিতে পারে না কেউ। আপনি যার বন্ধু তাকে তো লাঞ্ছিত করতে পারবে না কেউ। হে আমার রবব ! আপনি তো বরকতময় এবং সুমহান।’’
(জামে'য় আত্ তিরমিজি :: বিতরের স্বলাত বা কিতাবুল বিতর অধ্যায়, অধ্যায় ৩ :: হাদিস ৪৬৪)
আবু ইসা বলেন:
قَالَ وَفِي الْبَاب عَنْ عَلِيٍّ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ لَا نَعْرِفُهُ إِلَّا مِنْ هَذَا الْوَجْهِ مِنْ حَدِيثِ أَبِي الْحَوْرَاءِ السَّعْدِيِّ وَاسْمُهُ رَبِيعَةُ بْنُ شَيْبَانَ وَلَا نَعْرِفُ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي الْقُنُوتِ فِي الْوِتْرِ شَيْئًا أَحْسَنَ مِنْ هَذَا وَاخْتَلَفَ أَهْلُ الْعِلْمِ فِي الْقُنُوتِ فِي الْوِتْرِ فَرَأَى عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْعُودٍ الْقُنُوتَ فِي الْوِتْرِ فِي السَّنَةِ كُلِّهَا وَاخْتَارَ الْقُنُوتَ قَبْلَ الرُّكُوعِ وَهُوَ قَوْلُ بَعْضِ أَهْلِ الْعِلْمِ وَبِهِ يَقُولُ سُفْيَانُ الثَّوْرِيُّ وَابْنُ الْمُبَارَكِ وَإِسْحَقُ وَأَهْلُ الْكُوفَةِ وَقَدْ رُوِيَ عَنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ أَنَّهُ كَانَ لَا يَقْنُتُ إِلَّا فِي النِّصْفِ الْآخِرِ مِنْ رَمَضَانَ وَكَانَ يَقْنُتُ بَعْدَ الرُّكُوعِ وَقَدْ ذَهَبَ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ إِلَى هَذَا وَبِهِ يَقُولُ الشَّافِعِيُّ وَأَحْمَدُ
এই বিষয়ে আলী রাদিয়াল্লাহু আনহ থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে।
ইমাম আবূ ঈসা তিরমিযী রহ. (র) বলেন : এই হাদীসটি হাসান। আবূল হাওরা আস্-সাদী (র)-এর সূত্র ছাড়া আর কোনভাবে আমরা এই হাদীসটি সম্পর্কে জানি না। আবূ হাওরা আস-সাদী এর নাম হল রাবীআ ইবন শায়বান।
দু’আ কুনুতের বিষয়ে রাসূল (সা) থেকে এর চেয়ে উত্তম কিছু বর্ণিত আছে বলে আমাদের জানা নেই।
বিতরে কুনূত পাঠ সম্পর্কে আলিমদের মতবিরোধ রয়েছে। ইবন মাসঊদ রাদিয়াল্লাহু আনহু সারা বছরেই কুনুত পাঠের কথা বলেন : তিনি রুকূ-এর পূর্বে কুনুত পাঠের অভিমত পসন্দ করেছেন। কতক আলিমের অভিমতও এই। সুফঈয়ান সাওরী (ইমাম আবূ হানীফা), ইবন মুবারক, ইসহাক ও কূফাবাসী আলিমগণও এই মত ব্যক্ত করেছেন।
আলী ইবন আবী তালিব রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত আছে, তিনি রমযান মাসের শেষ অর্ধাংশ ব্যতীত দু’আ কুনূত পাঠ করতেন না, আর তিনি রুকূ-এর পর তা পাঠ করতেন।
কতক আলিম এই মত গ্রহণ করেছেন। ইমাম শাফিঈ ও আহমদ (র)-এরও এই অভিমত।
শায়খ আলবানী হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন।
=====================
জাজাকাল্লাহু খায়রান।
জাযাকুমুল্লাহু খাইরান!
অনিন্দ্য সুন্দর বিস্তারিত মন্তব্যের জন্যে শুকরিয়া জানাচ্ছি আপনাকে!
ভাল থাকার দোয়া আল্লাহর কাছে!!!
আপনার পদচারণাই যথেষ্ঠ আমার জন্যে!
আপনাকেও অজস্র ধন্যবাদ ও শুভ কামনা!!
আজকাল মানুষ মানুষের কাছে সাহায্যের মুখাপেক্ষী হয়ে মানুষের উপরই ভরসা করে, ক্ষমা প্রার্থনা করে। সেই রকম মুসলমান কোথায় যে শুধুমাত্র দোয়া কুনুতের এই প্রথ স্তবকের আমল করে দেখাবে ১০০%?
ভালো লাগলো আপনার পোষ্টটি।
জাজাকাল্লাহু খাইর।
ব্যাখ্যাময় উৎসাহী এমন সুন্দর মন্তব্য আপনার!জাযাকুমুল্লাহু খাইরান!
আসলেই আমরা এগুলো শুধু মুখেই উচ্চারণ করে যাচ্ছি,অনুধাবনের চেষ্টাও করছি না!
পুর্ণ আল্লাহ মুখী হলেই আমরা এসবের হক্ব যথাযথ আদায় করতে পারবো! আমার জন্যে দোয়া চাই!
শ্রদ্ধেয় কর্ণেল কুতাইবা! আপনার আগমনে শুভেচ্ছা জানিয়ে নিজেকে ধন্য মনে করছি!
সাইমুম সিরিজের কুতাইবা হিসেবে আপনার বৈপ্লবিক পদচারণা যথার্থ হোক এই কামনা!
ওয়ালাইকুমুস্ সালাম ওয়ারাহমাতুল্লাহ শ্রদ্ধেয়া সন্ধাতারা আপুজ্বী!
আপনার উৎসাহী মন্তব্য বাড়তি প্রেরণার উৎস আমার জন্যে!
ভাল থাকার কামনা!জাযাকুমুল্লাহু খাইরান আপনাকে!!!
আল্লাহ আমাদের কে দ্বীন-দুনিয়ার সকল অনিষ্ট থেকে রক্ষা করে তাঁর সকল আদেশ-নিষেধ যথাযথ পালনের তৌফিক দান করুন......আমিন!!
ছোট্ট শ্রদ্ধেয়া আফরা মনি কেও অনেক অনেক ধন্যবাদ ও শুভ কামনা!
'খুশি-আনন্দ-প্রফুল্লতা'ময় নামের যথার্থ বিকাশ ঘটুক আপনার জীবনে করুণাময়ের কাছে এই দোয়া করি!জাযাকুমুল্লাহু খাইরান!!!>- >-
সুন্দর আবেগী দোয়ানয় মন্তব্যে আমিন ইয়া রাব্বাল আলামিন!
শ্রদ্ধেয় লজিকেল ভাইছা কে অনেক অনেক ধন্যবাদ ও জাযাকুমুল্লাহু খাইরান!!
আমিন আমিন
শ্রদ্ধেয় ফেরারী মন কে সুস্বাগতম জানাই!
মাঝে-মাঝে ব্লগ থেকেও ফেরার হয়ে যান না-কী? আপনার অনুপস্হিতি বোধ করি সদা!
ভাল থাকার কামনা সব সময়ের জন্যেই!
কিন্তু বাস্তবে আমরা ভারত আর আমেরিকার কাছে সাহায্য চাই৷
" তোমার পানেই চলি তোমার অবাধ্যদের পরিত্যাগ করে।" কিন্তু বাস্তবে তা করিনা, নাস্তিক মুনাফেক, কাফেরদের সালাম দিয়ে চলি৷ পরিত্যাগ করার চেষ্টাও করিনা৷
ধন্যবাদ৷
অনুষ্ঠান সর্বস্ব করে নিচ্ছি আমরা ইসলাম কে!যার কারণ এর সুমহান বৈশিষ্ট আমাদের জীবনে প্রতিফলিত হচ্ছে না!
আল্লাহর কাছে ইসলাম কে পুর্ণ মানার তৌফিক চাই!
আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ ও জাযাকাল্লাহু খাইরান!
ঠিক তাই শ্রদ্ধেয় ইবনে আহমাদ ভাই!
অন্ততঃ আমার মধ্যে যেন তা প্রতিফলিত হয় এই দোয়া চাই!
ভাল থাকবেন আল্লাহর কাছে এই কামনা!!!
ওয়ালাইকুমুস্ সালাম ওয়ারাহমাতুল্লাহ শ্রদ্ধেয় বাজলবী ভাই!
ভাল লাগার পরশ আপনিও বুলিয়ে গেলেন!অনেক ধন্যবাদ জানাই!
বহুল পঠিত আয়াত-দোয়াগুলুর অর্থ জানা থাকা আসলেই ভাল!
আপনার দোয়ার সাথে আমিন!
আস্ সালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ! শ্রদ্ধেয় বাজলবী ভাই!
অযাচিত ভূল টা ধরিয়ে দেয়ায় আন্তরিক ধন্যবাদ ও জাযাকাল্লাহু খাইরান জানাচ্ছি আপনাকে!
সংশোধন করে দিলাম এখন!
ভালো থাকবেন অনেক এই দোয়া আমার!
ভাল লাগার অনুপমতা ছড়িয়ে যাক আপনার জীবনের প্রতি ক্ষেত্রে- মহান রবের কাছে এই আর্জি আপনার জন্যে শ্রদ্ধেয় নাছির আলী!
মন্তব্যের মধুময়তায় আপ্লুত আমি!
আপনাকেও জাযাকাল্লাহু খাইরান জানাই.....
দোয়াময় অনুভূতি রেখে গেলেন!আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ ও জাযাকাল্লাহু খাইরান...
আপনাকেও আল্লাহ দ্বীন-দুনিয়ার কল্যাণ দান করুন!আমিন!
মন্তব্য করতে লগইন করুন