শেখ হাসিনা শান্তিতে নোবেল পেতে যাচ্ছে.....কি...?
লিখেছেন লিখেছেন Eng Arif ১০ মার্চ, ২০১৩, ১২:২৬:০৪ দুপুর
প্রিয় পাঠক শিরোনাম টি দেখে কি চমকে উঠবেন ? না এটা দেখে চমকানোর কিছু নাই। আপনারা কি জানেন রাজধানীতে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ‘বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনে’র উদ্যোগে বাংলাদেশে মানবাধিকার রক্ষায় অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ‘বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন পদক-২০১৩’ পেলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহিউদ্দীন খান আলমগীর। এবার আসা যাক আমার কথায়,কালকে একটি সংবাদ শুনে লিখতে না বসে পারলাম না । কয়েকটি পত্রিকায় দেখলাম বাংলাদেশের অন্যতম রাজাকার (রেফরেন্সে:বঙ্গবীর কাদরে সিদ্দীকী), বর্তমান সময়ের আলোচিত গণহত্যার হুকুমদাতা সররাষ্ট্রমন্ত্রী মানবাধিকার পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। বাহ কি চমৎকার আরামে মানুষ হত্যা করে মানবাধিকার পুরস্কার । চলুন দেখা যাক কিছু পত্রিকার সংবাদ-
মজার একটা কার্টুন দেখায় আপনাদের-তাহলে বিষয়টা বুজতে পারবেন-
.সেই সময় তিনি এক মানবাধিকার কর্মীর প্রতিবাদের মুখে পড়েছিলেন। হায় আপসোস আমাদের দেশের শিক্ষীত পন্ডিতেরা কিভাবে অন্ধ বধীর হয়ে নির্লজ্জ একটা কাজ করতে পারে,যাদের রয়েছে বড়,বড় ডিগ্রী। বাংলাদেশে অশিক্ষীত, কৃষক, কুলি, পাগলদরেকে দ্বারা যদি বর্তমানে মানবাধিকার জরপি করানো হয় তবুও মানবাধিকার লঙ্ঘনের পুরস্কার বর্তমান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর হাতে যাবে। মানবাধিকার কর্মীদের জাতীয় মহাসমাবেশে এক মানবাধিকার কর্মী নাকি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে পুরস্কার দেওয়ার প্রতিবাদ করেছেন। আমার কথা হচ্ছে সেখানে কি মাত্র একজনি বিবেকবান মানুষ ছিল, অন্যরা সব ছিল বিবকেহীন। আমি আমার বিবেকের পক্ষ্য থেকে এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আর যারা মানবাধিকার চর্চা করেন,মানবাধিকার রক্ষার ফার্ম খুলে বসে আছেন তাদের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে বলছি,বিবেক একবার জাগ্রত করেন এবং প্রমথ চৌধুরীর সেই বানীগুলো একবার চিন্তা করেন। তোশামদি কারে বলে বিশ্ব এই বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ‘বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনে’র কাছ থেকে দেখলো। এই ক্ষেত্রে সরকারি মানবাধিকার কমিশনে’র চেয়ারমেন একটু চিন্তাগ্রস্ত হবেন এই ভেবে যে,আমার পদটা বোধয় গেল। আপনার চিন্তা করার কিছু নেই, আপনি এখন তাদেরেক ওভারটেক করে বর্তমান প্রধামন্ত্রীকে আর একটা পুরস্কার দেওয়ার ব্যবস্থা করেন আর সেটা হবে"শান্তিতে নবেল পুরস্কার"। কারন এটা পাবার জন্য তিনি খুবি উৎসুক। এই জন্য এখন আরেকটা মন্চ করা হোক নাম দওয়া হোক"মেডেল মন্চ",স্থান হবে: হোইয়াট হাউসের সামনে,মূখপাত্র হবেন মানবাধিকার কমিশনে’র চেয়ারমেন ড:মিজানুর রহমান। দাবী তোলা হবে এই বলে যে, বাংলাদেশর মানুষের শান্তির জন্য বর্তমান প্রধামন্ত্রীর সোনার ছেলেরা অনেক মহৎ কাজ আন্জাম দিয়েছেন যেগুলো হল-ছাত্রলীগ কতৃক ইডেন কলেজের দেহব্যবসা যার দ্বারা তারা অনেক শান্তি পেয়েছে,পদ্বা সেতু, গ্রামীন ব্যাংক,ডেসটিনি,শেয়ার বাজার,হলমাক,কুইক রেন্টাল, জালানীর মূল্য বৃদ্ধি,ছাত্রলীগের টেন্ডারবাজী এই সব কিছুর টাকা দিয়ে তাদের লোকজনের শান্তি দেয়ার যোগ্যতা অর্জন করেছেন। তাছাড়া এখন শান্তিতে থাকা ছাত্রলীগ, যুবলীগ,... সবলীগ দিয়ে পাড়ায় পাড়ায় বাকশাল গঠন করে নির্বিচারে গনহত্যা করে বাংলাদেশে শুধুমাত্র আয়ামীলীগ সমর্থক বাংলাদেশী নাগরীকদের শান্তিতে ঘুমানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। তাই শান্তির জন্য এত কিছু পদক্ষেপ নেওয়ার পরও কেন উনাকে শান্তিতে নোবেল দেয়া হবেনা।এই পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করতে পারলেই ড:মিজানুর রহমান আপনার চিন্তা দূর হবে এবং আপনি প্রধামন্ত্রীর সুনজরে পরিনত হবেন । উনি (ড:মিজানুর রহমান) এটা করাতে পারবনে, যদি কোনদিন বাংলাদেশ থেকে নবেল কমিটি গঠন করে বিশ্বে নবেল পুরস্কার দেবার ব্যবস্থা করা হয়। আর অন্যরা আরও কোন বড় পুরস্কার দেয়োর জন্য প্রস্তুতি নিতে থাকবে এবং এইভাবে চলতে থাকবে আমাদের সোনার বাংলাদেশকে ধংস্ব করার চরম খেলা। কি বুঝেলন..
বিষয়: বিবিধ
৩৭৩৩ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন