এবার প্রথম আলোতে ছাপলো............

লিখেছেন লিখেছেন রাতদিন ২৩ মে, ২০১৩, ০৯:৪৫:৩৩ রাত

উদয়নে শিক্ষার্থীদের জামার হাতা কাটলেন শিক্ষক

রাজধানীর উদয়ন উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের স্কুল ইউনিফরমের ছেলেদের শার্ট ও মেয়েদের কামিজের লম্বা হাতা কেটে দিয়েছেন স্কুলের ভাইস প্রিন্সিপাল মাহবুবা খানম ও কয়েকজন শিক্ষক। শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে স্কুলের মধ্যে শিক্ষকদের এ ধরনের আচরণ অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা মেনে নিতে পারছে না।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অবস্থিত স্কুলটিতে গতকাল বুধবার এ ঘটনা ঘটেছে বলে স্কুল কর্তৃপক্ষ প্রথম আলো ডটকমের কাছে স্বীকার করেছে।

স্কুলের প্রিন্সিপাল উম্মে সালেমা বেগম প্রথম আলো ডটকমকে জানান, উদয়ন স্কুলে স্কুল ইউনিফরমের বেলায় বরাবরই কঠোর নিয়মকানুন পালন করা হয়। এ জন্য স্কুলটির সুনামও আছে। স্কুলের ড্রেসকোডের বিষয়টি দেখেন ভাইস প্রিন্সিপাল ও অন্যরা। ঘটনার দিন ভাইস প্রিন্সিপাল জানান, শিক্ষার্থীরা ড্রেসকোডের নিয়ম মানছে না। তাই এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। স্কুল ছুটির পর পাঁচ থেকে সাতজন শিক্ষার্থী এসে জানায়, তাদের জামার হাতা কেটে দেওয়া হয়েছে।

উম্মে সালেমা বলেন, শিক্ষার্থীরা যখন স্কুলে ভর্তি হয়, তখনই তাদের সঙ্গে এ বিষয়গুলিতে চুক্তি হয়ে যায়। অভিভাবকেরাও নিয়মের কড়াকড়ি সম্পর্কে জানেন। তবে তার পরও যদি কোনো অন্যায় হয়ে থাকে, তবে আগামী শনিবার স্কুল খুললে বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে।

স্কুলের ভেতরে শিক্ষার্থীদের জামা কেটে দেওয়ার বিষয়টি অন্যায় বলে মনে করছেন কি না, প্রশ্নের উত্তরে সালেমা বেগম বলেন, সব সময় এ ধরনের ঘটনা অন্যায় হবে না। এখানে নির্ভর করে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে শিক্ষকের সম্পর্ক কেমন, তার ওপর। এ স্কুলে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে বরাবরই ভালো সম্পর্ক বিরাজমান।

উম্মে সালেমা আরও বলেন, ‘মাহবুবা খানম শ্রমমন্ত্রী রাজিউদ্দীন আহমেদ রাজুর স্ত্রী। জামার হাতা কেটে দেওয়ার মাধ্যমে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার কথা বলে রাজনৈতিকভাবে বিষয়টিকে হয়তো কেউ অন্যভাবে দেখানোর চেষ্টা চালাচ্ছেন।’

এ বিষয়ে মাহবুবা খানম প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, ‘ছেলেদের শার্ট এবং মেয়েদের কামিজের হাতা কনুই পর্যন্ত হবে, এ নির্দেশনা স্কুলের ডায়েরিসহ বিভিন্ন জায়গায় দেওয়া আছে। তাদের বারবার সতর্কও করা হয়েছে। তার পরও নবম, দশম এবং দ্বাদশ শ্রেণীর কিছু শিক্ষার্থী (ছেলে ও মেয়ে) নিয়ম না মানায় আগে যে ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হতো, এবারও তা-ই নেওয়া হয়েছে।’

জামার হাতা কেটে দেওয়ার বিষয়টি শিক্ষার্থীদের জন্য মানসিক নির্যাতন নয় বলেও উল্লেখ করেন মাহবুবা খানম।

বিষয়: বিবিধ

১৭৪১ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File