হযরত শাহজালাল (রা এর মাজার জিয়ারতে বিড়ম্বনা।
লিখেছেন লিখেছেন জারা ০১ এপ্রিল, ২০১৩, ০৫:০২:১২ বিকাল
সিলেটে আমরা থাকাকালীন সময়ে আমার শাশুরী মা একদিন আবদার করে বসলেন। তার ছেলের কাছে, বাবা আমাকে একটু দরবেশ সাহেব এর মাজারে নিয়ে চল। শুনে মায়ের ছেলে বলল ঠিক আছে মা আগামী শুক্রবারে তোমাকে মাজার জিয়ারতে নিয়ে যাব। কথামত শুক্রবার এ মাকে নিয়ে মাজারে যাবার সময় কি মনে করে আমাকে আমার বর বলল, তুমিও চল। তখন আছরের সময় তাই আমি অজু সেরে যাওয়ার জন্য তৈরী হলাম। উদ্দেশ্য মাজার শরীফে গিয়ে নামাজ আদায় করব। আমরা হযরত শাহজালাল (রা এর মাজারে বিশ মিনিটের মধ্যে পৌছে গেলাম। অতপর: আমার বর আমাদের ছোট্র বেবীকে নিয়ে নামাজ আদায় করতে চলে গেলে আমি আর আমার শাশুড়ী মা, মহিলাদের জন্য নির্ধারিত নামাজ পড়ার স্হানে চলে এলাম। ভিতরে ঢুকে দেখি প্রচন্ড ভীর , কোনমতে মাকে একটা স্হান দেখে বললাম আপনি এখানে বসে নামাজ পড়ুন। আমি পরে জায়গা খালি হলে নামাজ আদায় করবো। আমার শাশুড়ী মা নামাজ পড়তে শুরু করলো। ইতিমধ্যে আমি আমার শাশুড়ীর থেকে একটু দুরে একটা জায়গা খালি হলে ওখানে নামাজ পড়তে দাড়িয়ে গেলাম। তো আমার দু পাশে দুজন মহিলা বসে পবিএ কুরআন শরীফ তেলাওয়াতে মগ্ন। এমনি সময় মাজারের খাদেমগন এসে বলতে শুরু করলো, আপনারা যার যার মোবাইল , ব্যাগ সামলে রাখবেন, এখানে কয়েকদিন থেকে মহিলা চোরের উপদ্রব শুরু হয়েছে। কাজেই সাবধান। এরকম
সাবধান বানী শুনিয়ে খাদেম ভাইয়েরা চলে গেলে। আমি আমার সংগে আনা লেডিস ব্যাগটি আমার সামনে রাখলাম যাতে মহিলা চোর না নিতে পারে। যথারীতি নামাজ পড়া শেষ করে ব্যাগের দিকে তাকাতেই আমার চক্ষু ছানাবড়া, আমার ব্যাগের চেন খোলা। এবং পাশের পবিএ কোরআন শরীফ তেলাওয়াতকারী মহিলা দুজন ততক্ষনে ভোজবাজীর মতো হাওয়ায় মিলিয়ে গেছে। আমি তাড়াতাড়ি ব্যাগে হাত দিলাম দেখলাম টাকা রাখার ছোট্র পার্সটি নেই। কি মনে হতেই আবারও ব্যাগে হাত ঢুকালাম । না আমার সাধের মোবাইলখানা বহাল তবিয়তের সাথেই আছে। সম্ভবত ওটা নেয়ার সময় পায়নি। আমি আমার শাশুড়ী মায়ের কাছে গিয়ে বললাম , সব শুনে মা বললো চল বাসায় চলে যাই। এখানে আর একমুহুর্ত নয়।
বিষয়: বিবিধ
১৩৪৩ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন