পদ্মযুগল পা সমাচার।
লিখেছেন লিখেছেন জারা ২৩ মে, ২০১৩, ০৪:০৭:১২ বিকাল
গত ঈদ-উল-আজহার দিন চারেক আগে বাবার বাড়ি থেকে মেহেরপুরে এসেছি। বাবার বাড়িতে এক সপ্তাহ আগে গিয়েছিলাম ছোট বোনের বিয়ে উপলক্ষে। অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন আর চার দিন পরেই কোরবানীর ঈদ, এই সময়ে কি কেউ বাবার বাড়ী থেকে চলে যায়। তাদের বোঝানোর চেষ্টা করলাম যে, এটা তেমন কোন ব্যাপার না। কিন্তু কেউই বুঝতে চাচ্ছিলো না। শেষমেশ আমি প্রবল আপত্তির মুখেও অনেকটা জোর করেই চলে আসলাম। আসার সময়ে আমার বেবীটার প্রচন্ড আপত্তি সে তার প্রিয় নিনি ও নানাভাই কে ছেড়ে আসবে না। তার কান্নার দমকে আমারও একসময় খারাপ লেগেছিলো। যাই হোক আমার বেবী তার নতুন আংকেলের কাছ থেকে এত বেশী পরিমান চকোলেট উপহার পেয়েছিলো যে সে তার সব দুঃখ বেদনা ভূলে চকোলেট খাওয়া নিয়ে মেতে উঠলো। আর আমার বাসাতে ফিরে দেখলাম আমার বরও কক্সবাজার থেকে একগাদা বার্মিজ আচার ,চকোলেট ও শুটঁকি মাছ নিয়ে এসেছে। শুটঁকি মাছের দূর্গন্ধে অস্হির আমি। বরকে বললাম এগুলো এনেছো ক্যানো। বললো অফিসের সবাই কিনলো তাই আমিও কিছু কিনলাম। আরও বললো ,আমিই সবার থেকে কম শুটঁকি মাছ কিনলাম, অফিসের অন্যে স্টাফরা তো পাঁচ/ছ,কেজি করে কিনেছে।
# এদিকে আবার কোরবানীরও বেশীদিন বাকী নেই। আমাদের কোরবানী দেয়ার জন্য গরু বা ছাগল কোনটাই কেনা হয়নি। এরকমই অগোছালো অবস্হার মধ্যেই আমাদের ফ্লাট জুরে শুধুমাত্র দু গ্রুপ ভাড়াটিয়া আছি। আমরা চারতলাতে আর এক গ্রুপ দোতলাতে। বাকীরা কোরবানীর ঈদ উপলক্ষে যার যার দেশের বাড়ীতে চলে গেছে। এমন ই ফাঁকা পরিবেশে আমার খারাপও লাগতে শুরু করলে ভাবলাম দোতলার ওই ভাবীদের কোরবানীর ঈদের দাওয়াতটুকু দিয়ে আসি। ওনারাও যেহেতু একারা আছে। কোরবানীর আগের দিন সন্ধ্যার কিছু পরেই ওনার বাসাতে গেলাম। ভাবী আমাদেরকে দেখে অত্যন্ত খুশী হলেন। এবং বাসার ভেতরে নিয়ে গেলেন। সেদিন আমরা অনেকক্ষন বসে বসে গল্প করছিলাম, একসময় ভাবী আমার হাতের আংটি দেখে বললো বেশ সুন্দর তো আপনার হাতের আংটিটা! আমি তখনই প্রথমবার ভাবীর হাতের দিকে তাকালাম, ভাবীর হাতের আংগুলগুলো তার গায়ের রংগের মতোই সুন্দর। বললাম ভাবি আপনাকে তো আংটি পরলে আমার থেকেও বেশ ভালো লাগবে। বলার পরেই শুরু হলো ভাবীর বিবাহপূর্ব ইতিহাস।
# তখন ভাবী ক্লাস এইট কি নাইনে পড়ছে। একদিন তারা বেড়াতে গিয়েছিলো গ্রামের বাড়ীতে খালাতো বোনদের সাথে নিয়ে। ভাবীর পায়ে কাদাঁ লেগে যাওয়াতে তাদের গ্রামের আত্ত্বীয়দের বাড়ীর টিউবয়েলে গিয়েছে পা পরিষ্কার করতে। পা ধোয়ার এক পর্যায়ে তার গ্রামের এক আত্ত্বীয় তার পা খানা দেখে মন্তব্যে করা শুরু করলো এই ভাবে......কন্যার পা দেখিয়াই ছেলের পক্ষ পছন্দ করিবে , বাকীকিছু দেখার প্রয়োজনবোধ করিবে না।
আমি তঃক্ষনাৎ ভাবীর পায়ের দিকে তাকালাম । ভাবলাম আসলেই মানুষের পা এত সুন্দর হয় কি করে!!!!!!!
বিষয়: বিবিধ
৫৫০৫ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন