‘‘ভারত-আওয়ামীলীগ এর ইসলাম ও মুসলিম বিদ্বেষের কারন’’ -এম.আবদুল্লাহ....(২৮তম পর্ব)
লিখেছেন লিখেছেন দূর্বল ঈমানদার ০১ জানুয়ারি, ২০১৬, ০৯:৩৪:১৯ সকাল
আগের পর্ব:২৭তম পর্ব: Click this link
পূর্বে প্রকাশিতের পর
জাতির সাথে আওয়ামী লীগের প্রতারণা
প্রতারণা, ধোকাবাজি, মিথ্যাচার জন্মলগ্ন থেকে আওয়ামী লীগের মজ্জাগত। ১৯৭১ সালের যুদ্ধ ও দেশভাগও ছিল আওয়ামী লীগের জাতীয় প্রতারণার একটি নজির। কয়েকটি ঐতিহাসিক তথ্য দিলে বিষয়টি বোধগম্য হবে। বাংলাদেশের ইতিহাসে, বক্তৃতায় আমরা যা দেখি ও শুনি তা হলো ৭০-এর নির্বাচনে জনগণ আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়েছে দেশ পরিচালনার জন্য কিন্তু পাকিস্তানি শাসকেরা নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর না করে অতর্কিতে বাঙালী জাতির উপর ২৫ মার্চ হামলা চালালে জনগণ রুখে দাঁড়ায় এবং যুদ্ধে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়। কিন্তু আওয়ামী লীগ যা বলে নাই তা যদি জনগণ জানতো তাহলে আওয়ামী লীগকে কখনও ক্ষমা করতো না। এ সংক্রান্ত চাপাপড়া তথ্য হলো নিম্নরূপ -
(১) ১৯৭০ সালের নির্বাচনী প্রচারণায় মুজিব জনসভায় ঘোষণা করেন, পাকিস্তান টিকে থাকতে এসেছে। এমন কোনো শক্তি নেই তাকে ধ্বংস করে। কিন্তু L.F.O ঘোষণার পর মুজিব তাঁর গোপন ক্যাবিনেটের সদস্যদের উদ্দেশে স্পষ্ট বলতে শোনা গেছে, আমার আসল লক্ষ্য বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করা। নির্বাচনের পর আমি L.F.O . ছিঁড়ে ফেলব। তখন কে আমাকে চ্যালেঞ্জ করবে। এ ব্যাপারে বাইরের সূত্র (ভারত) থেকে সাহায্য আসবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। (G.W. chowdhury. প্রাগুক্ত পৃ.-৮৯)
(২) মুজিবের সমস্ত দাবি মেনে নেয়ার পরও সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলোর সংলাপ ব্যর্থ হয়। সেজন্য সরকার দায়ী নয়, দায়ী শেখ মুজিব এবং ভুট্টোর রহস্যজনক ভূমিকা। মুজিব সংলাপের বেলায় বিশ্বস্ত ছিলেন না। ইয়াহিয়াকে বারবার কথা দিয়েছেন নির্বাচন হয়ে গেলেই তিনি ৬ দফায় পরিবর্তন আনবেন এবং পাকিস্তানের ঐক্য বজায় রাখবেন। কিন্তু সেকথা রাখেননি। ইয়াহিয়া তাকে সরল মনে বিশ্বাস করে লম্বা দড়ি ছেড়ে দেন। (প্রাগুক্ত-পৃ.-১৮৩)
(৩) ’৭১ সালের রাজনৈতিক লক্ষণাদি পর্যালোচনা করলে দেখা যাবে, ৭১-এর সেই দুঃখজনক পরিণতির দায় কেবল পাকিস্তান সরকার বা তার আর্মির নয়, বরং বেশির ভাগই শেখ মুজিবের। তিনি শুধু পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় সরকারর সহিত অসৎ খেলা খেলেননি। তাঁর নিজের জাতির সাথে খেলেছেন। (প্রাগুক্ত-পৃ.-১৮৪)
(৪) শেখ মুজিবের সাথে আলোচনার মাধ্যমে ইয়াহিয়া খান ৬ দফা মেনে নিয়ে সমস্যা সমাধানের উদ্দেশে ২৩ মার্চ শেখ মুজিবের সাথে একটি চুক্তির ব্যাপারে সম্মত হয়ে ২৫ মার্চ শেখ মুজিবকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হিসাবে শপথ করাতে এক সিদ্দান্তে পৌঁছেন। শেখ মুজিবও ৬ দফার ভিত্তিতে পাকিস্তানের ভবিষ্যৎ শাসনতন্ত্র তৈরীর প্রতিশ্রুতি দিয়ে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর শপথ নিতে সম্মত হন। বিষয়টি আওয়ামী লীগের যুবকর্মীরা জানতে পেরে তারা গোপন বৈঠকে শেখ মুজিবের পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর শপথ নেয়াকে বানচাল করার পদক্ষেপ নেয়। যুব সমাজের প্রতিনিধি হিসাবে বিশিষ্ট ৭ জন যুবনেতা ২৩ মার্চ দিবাগত রাত প্রায় ১টায় শেখ মুজিবের ধানমন্ডির ৩২নং রোডস্থ বাসায় মিলিত হলে তাঁকে তাদের মতামত জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীর শপথ না নেয়ার জন্য অনুরোধ করে। ঐ ৭ জন যুবনেতা হলেন ১। সিরাজুল আলম খান, (২) শেখ ফজলুল হক মনি, (৩) আবদুর রাজ্জাক, (৪) তোফায়েল আহমদ, (৫) আ স ম আবদুর রব, (৬) শাহজাহান সিরাজ, (৭) শেখ শহীদুল ইসলাম। (সূত্র : ইতিহাস সঠিক কথাই বলে, প্রাগুক্ত পৃ-৫৩)
অসমাপ্ত, চলবে , সাথেই থাকুন
[বই: ‘‘ভারত-আওয়ামীলীগ এর ইসলাম ও মুসলিম বিদ্বেষের কারন’’ -এম.আবদুল্লাহ-----পৃষ্টা: ৫৭ ]
পরের পর্ব:
# ইতিহাস জানুন, অন্যথায় অন্ধকারেই থেকে যাবেন
বিষয়: বিবিধ
১৩১৭ বার পঠিত, ৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন