‘‘ভারত-আওয়ামীলীগ এর ইসলাম ও মুসলিম বিদ্বেষের কারন’’ -এম.আবদুল্লাহ....(২৭তম পর্ব)

লিখেছেন লিখেছেন দূর্বল ঈমানদার ১২ ডিসেম্বর, ২০১৫, ০৯:২৯:২৬ সকাল

আগের পর্ব:২৬ তম পর্ব

(পূর্বে প্রকাশিতের পর)


ঘটনার আরও গভীরে গেলে আমরা যা পাই তা হলো-

(ক) নিহতদের ক্ষতিপূরণ দেয়ার জন্য তাদের আত্মীয়-স্বজনকে আবেদন করতে ১৯৭২ সালে মুজিব সরকার একটি প্রজ্ঞাপন জারী করে। নিহতদের পক্ষে আবেদনপত্র জমা পড়ে ৯৫ হাজার। আবার এর মধ্যে একই নিহতের জন্য ২টি বা তিনটি আবেদনও জমা পড়ে। যাচাই বাছাই এর পর আবেদনপত্রের সংখ্যা দাঁড়ায় ৫৫ হাজার। সম্ভবত এই সংখ্যাটিই স্নল ও সিঙ্গার (১৯৮২) তাদের জরীপ প্রকাশনায় সি ডব্লিউর সূত্রে উল্লেখ করেন।

(খ) মুজিব তার সরকারের কর্মকর্তাদের নিকট আবেদনকারী ও নিহতের সংখ্যার একটা ধারণা পেয়ে এতদসংক্রান্ত সকল নথিপত্র জ্বালিয়ে ফেলার জন্য নির্দেশ দেন। কেননা ঐসব নথিপত্র সংরক্ষিত হলে মুজিব একজন মিথ্যাবাদী বলে প্রমাণিত হবেন।(এম টি হোসেন, প্রাগুক্ত, পৃ.-৫১)।

এতদসংক্রান্ত নথি দলিল-দস্তাবেজ ধ্বংস করার প্রক্রিয়ার সময় মোট ৯ হাজার নিহতদের পরিবার পরিজনদের ক্ষতিপূরণের অর্থ প্রদান করা হয়। ক্ষতিপূরণের তালিকায় দুই লক্ষ নিখোঁজ অথবা নিহত অবাঙ্গালীর তথ্য প্রদান করেন জনৈক আবদুল মালেক। তবে তাদেরকে কোনো ক্ষতিপূরণ দেয়া হয়নি। (এম টি হোসেন, প্রাগুক্ত-পৃ.-৫২)

(গ) একই কায়দায় মহিলা নির্যাতন ও ধর্ষণের সংখ্যাতত্ত্ব প্রণয়নের জন্য ১৯৭২ সালে সারাদেশে প্রচুর বীরাঙ্গনা রেজিস্ট্রেশন কেন্দ্র খোলা হলেও তা অচিরেই বন্ধ করে দেয়া হয়। কেননা ঐসব কেন্দ্রে নিবন্ধিত হওয়ার জন্য নির্যাতিত-ধর্ষিতা মহিলাদের পাওয়া যাচ্ছিল না। (প্রাগুক্ত-পৃ-৫২)

(ঘ) ১৯৭০ সালে আমার (প্রবন্ধকার) বয়স ছিল ১১ বছর। ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে পড়তাম। আমাদের হাইস্কুল সংলগ্ন বাজারে দুই-একজন ইত্তেফাক পত্রিকা রাখত। পত্রিকা মারফত এবং আওয়ামী লীগের জনসভায় গিয়ে শেখ মুজিবের বক্তৃতায় যা শুনতাম তা হলো-

১. আমাদের কর্ণফুলী কাগজ কলে কাগজ উৎপন্ন হয়। পাকিস্তানীরা এ কাগজে সীল মারার জন্য করাচী নিয়ে যায়। করাচী থেকে এনে আমাদের নিকট বিক্রয় করে। ফলে কাগজের দিস্তা বর্তমানে প্রতি দিস্তা ১০ আনা (৬০ পয়সা)। আওয়ামী লীগকে ভোট দেয়া হলে কাগজের দিস্তা হবে ৮ আনা (৫০ পয়সা)। কিন্তু স্বাধীনতার পর ৭২ সালেই কাগজের দিস্তা হয়েছিল ৬ টাকা।


২. তখন গ্রামে গঞ্জে মোটা চাউলের প্রতি সেরের মূল্য ছিল ১০ আনা। আওয়ামী নেতারা জনগণকে বললেন, আমরা ক্ষমতায় গেলে চাউলের সের আট আনা করে দেব। কিন্তু ১৯৭২ সালের শেষ দিকেই দেখলাম প্রতিসের চাউলের দাম ৬-৭ টাকা এবং ৭৪ সালে ১০ টাকায় পৌঁছে। তখন একজন দিনমজুরের বেতনও হয় দশ টাকা।

এই দলটির চরিত্র পূর্বাপর একই রয়ে গেছে। ২০০৮ সালের নির্বাচনী প্রচারণায়ও এরা জনগণকে বলেছিল ১০ টাকা কেজি চাল দেবে, বিনামূল্যে সার দেবে, ঘরে ঘরে চাকরি দেবে। এরা এসব ওয়াদা রক্ষা করেছে কিনা পাঠকরাই ভেবে দেখবেন। .....

অসমাপ্ত, চলবে , সাথেই থাকুন


[বই: ‘‘ভারত-আওয়ামীলীগ এর ইসলাম ও মুসলিম বিদ্বেষের কারন’’ -এম.আবদুল্লাহ-----পৃষ্টা: ৫৭ ]

পরের পর্ব:

# ইতিহাস জানুন, অন্যথায় অন্ধকারেই থেকে যাবেন

বিষয়: বিবিধ

১৩৮৭ বার পঠিত, ৬ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

353633
১২ ডিসেম্বর ২০১৫ দুপুর ১২:২২
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : দুর্ভাগ্যজনক ভাবে আমরা সেই মিথ্যা কে বিশ্বাস করে গেছি!
২৯ ডিসেম্বর ২০১৫ রাত ১০:২১
295354
দূর্বল ঈমানদার লিখেছেন : এখনও হয়তো সময় আছে.....
353636
১২ ডিসেম্বর ২০১৫ দুপুর ১২:৩৪
egypt12 লিখেছেন : ভাইয়ের ঈমান তো দূর্বল না ভয়ংকর রকম শক্ত!!! Rolling Eyes
২৯ ডিসেম্বর ২০১৫ রাত ১০:২২
295355
দূর্বল ঈমানদার লিখেছেন : ভয়ংকর মন্তব্য
353705
১২ ডিসেম্বর ২০১৫ রাত ০৯:০৩
শেখের পোলা লিখেছেন : মিথ্যা আশ্বাসকে সত্য ভেবেই আজ আমরা ভিখারী হয়েছি৷প্রতারিত হয়েছি৷ কেউ না মানলেও আমি মানি৷ধন্যবাদ৷
২৯ ডিসেম্বর ২০১৫ রাত ১০:২৪
295356
দূর্বল ঈমানদার লিখেছেন : আপনার মানার ভিত্তি থেকেই তৈরী হোক বিশাল জনগৌষ্ঠী...

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File