‘‘ভারত-আওয়ামীলীগ এর ইসলাম ও মুসলিম বিদ্বেষের কারন’’ -এম.আবদুল্লাহ..(১৪তম পর্ব)

লিখেছেন লিখেছেন দূর্বল ঈমানদার ৩০ অক্টোবর, ২০১৫, ১২:৩৩:০২ দুপুর

আগের পর্ব: ১৩তম পর্ব

(৫) রবীন্দ্র মানস- আওয়ামী লীগ ও বামপন্থী দলসমূহ এবং বুদ্ধিজীবীরা দুই ব্যক্তির প্রশংসায় জীবনপাত করে সে দুই ব্যক্তি হলেন হিন্দু কবি রবীন্দ্রনাথ ও ভারতের জাতির পিতা গান্ধী। গান্ধীর স্বরূপ ইতিপূর্বে সংক্ষিপ্তভাবে উন্মোচন করা হয়েছে। রবীন্দ্র মানস সম্পর্কে কয়েকটি তথ্য নিম্নরূপ-

(ক) রবীন্দ্রনাথ বাঙালি হিন্দুদের কবি ছিলেন, মুসলমানদের নয়। যথা- “বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথের বিশ্বভারতীয় আকাশে কতবার শরতের চন্দ্রোদয় হয়েছে, তাতে শারদীয় পূজায় ‘আনন্দময়ী মা’ কতবার এসেছে গিয়েছে, কিন্তু একদিনের তরেও সে বিশ্বের আকাশে ঈদ-মোহররমের চাঁদ উঠেনি। সে চাঁদ উঠাবার ভার ছিল নজরুল ইসলামের উপর। এতে দুঃখ করার কিছু নেই। কারণ এটা স্বাভাবিক। কাজেই কঠোর সত্য।” (বাংলাদেশের কালচার, আবুল মনসুর আহমদ, পৃষ্ঠা-১০৩)

(খ) রবীন্দ্র সাহিত্য হিন্দু সংস্কৃতিনির্ভর এবং বাংলাদেশের জাতীয় সংস্কৃতির বিপরীতে অবস্তিত। সুতরাং এরূপ সাহিত্যে বাংলাদেশের কোনো কল্যাণ নেই। যথা- “দেশের প্রাণ প্রকৃতিকে উপেক্ষা করে মনগড়া অথবা পরদেশী সংস্কৃতি বা সাহিত্যের প্রবর্তনে পৃথিবীর কোনো জাতির কখনোই মঙ্গল হয়নি। মূল বৃক্ষের ন্যায় সংস্কারকেও একেবারে মাটির অন্ধকার ফুঁড়ে উঠতে হবে।” (শ্রী সজনী কান্ত দাস, দীপালী উৎসব, পৃষ্ঠা-১৩৯)

(গ) বিংশ শতাব্দীর দ্বিতীয় দশকে খেলাফত ও অসহযোগ আন্দোলনকালে গান্ধীর নেতৃত্বে যখন হিন্দু-মুসলিম ঐক্যবদ্ধভাবে ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ে তখন রবীন্দ্রনাথ হিন্দুদেরকে সতর্ক করে দিয়ে বললেন, “ভারতে স্বায়ত্বশাসন এলে মুসলমান শসন কায়েম হয়ে যাবে।” তিনি হিন্দুদেরকে যৌথ আন্দোলন থেকে বিরত থাকার উপদেশ দেন।”

(সূত্র : জাতির উত্থান-পতন সূত্র, প্রাগুক্ত, পৃষ্ঠা-১০৭)

(তৎসূত্র : সাপ্তাহিক সুলতান, ১৯২৩ সালের জ্যেষ্ঠ সংখ্যা)

(ঘ) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার বিরুদ্ধে ১৯১২ সালের ২৮ মার্চ কলকাতার গড়ের মাঠে হিন্দুরা প্রতিবাদ সভা ডাকে। উক্ত সভায় সভাপতিত্ব করেন রবীন্দ্রনাথ। কারণ তিনি ছিলেন জমিদার। তিনি মুসলমান প্রজাদের মনে করতেন গৃহপালিত পশু। (নীরদ চন্দ্র চৌধুরী, দি অটোবায়োগ্রাফি অব আননোন ইন্ডিয়া)

(ঙ) মুসলমান শ্রমিকদের ইংরেজবিরোধী আন্দোলনে বিরক্ত হয়ে রবীন্দ্রনাথ লিখলেন- “কিছুদিন হইল একদল ইতর শ্রেণীর অবিবেচক মুসলমান কলিকাতার রাজপথে লোষ্ঠ্রখণ্ড হাতে উপদ্রবের চেষ্টা করিয়াছিল। তাহার মধ্যে বিস্ময়ের ব্যাপার এই যে, লক্ষ্যটা বিশেষরূপে ইংরেজের প্রতি। তাহাদের যথেষ্ট শাস্তিও হইয়াছিল। ...কেহ বলিল মুসলমান বস্তিগুলো একেবারে উডাইয়া, পুডাইয়া দেওয়া যাক। (রবীন্দ্র রচনাবলী, ১০ম খ-, পৃষ্ঠা ৪২৮-৪২৯)

(অথচ কবিবাবু হিন্দু সন্ত্রাসীদের বাড়িঘর উডাইয়া পোডাইয়া দেওয়ার কথা কখনও লেখেননি)

বই:‘‘ভারত-আওয়ামীলীগ এর ইসলাম ও মুসলিম বিদ্বেষের কারন’’ , লেখক-এম.আবদুল্লাহ.. পৃষ্টা-৩৩-৩৪

অসমাপ্ত......

[চলবে, সাথেই থাকুন]

পরের পর্ব:পরের পর্ব: ১৫তম পর্ব

বিষয়: বিবিধ

১১৭৬ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

347832
৩০ অক্টোবর ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:০৭
শেখের পোলা লিখেছেন : রবীন্দ্র নাথ আর মুজিব না জন্মালে নাকি বাঙ্গালীর জন্মই হতনা৷ এ দুয়ের বন্দনা সামনের দিনে আইন করেই হয়ত পাশ করা হতে পারে৷ এদের সাদা পাঞ্জাবীতে দাগ লাগাবেন না৷
০২ নভেম্বর ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:৩৫
289090
দূর্বল ঈমানদার লিখেছেন : দাগ লাগাতে চাই না, লেখকের লেখায় কেন যে দাগ লেগে যাচ্ছে বুঝতে পারছি না ।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File