‘‘ভারত-আওয়ামীলীগ এর ইসলাম ও মুসলিম বিদ্বেষের কারন’’ -এম.আবদুল্লাহ....(৮ম পর্ব)
লিখেছেন লিখেছেন দূর্বল ঈমানদার ১৯ অক্টোবর, ২০১৫, ০২:৪২:৪০ দুপুর
আগের পোষ্ট: ৭ম পর্ব
(পূর্বে প্রকাশিতের পর)
অনেকেই হয়ত বলবেন পাকিস্তানী সামরিক বাহিনী যদি গণতন্ত্র হত্যা না করত, ইয়াহিয়া খান যদি ’৭১ সালে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করত তাহলে পাকিস্তান খণ্ডিত হয়ে বাংলাদেশের জন্ম হত না। উপরে বর্ণিত আওয়ামী লীগের জন্ম বৃত্তান্ত, লক্ষ্য উদ্দেশ্য সম্পর্কিত তথ্যাবলী এবং নিম্নে উল্লেখিত তথ্যাবলী একথা প্রমাণে যথেষ্ট হবে যে, অখণ্ড ভারত প্রতিষ্ঠায় অঙ্গীকারাবদ্ধ ব্রাহ্মণবাদী ভারত ১৯৪৭ সাল থেকেই পাকিস্তানকে ধ্বংস করার জন্য যে কার্যক্রম পরিচালনা করছে এদেশের ভারতসৃষ্ট ও ভারত লালিত দল ও গোষ্ঠীসমূহ ভারতীয় এজেন্ডা বাস্তবায়নে ভারতের সাথে হাত মিলিয়ে নিজ দেশ ও জাতির সর্বনাশ সাধন করেছে এবং করছে। এরা নিজ জাতির সম্মুখে মিথ্যা তথ্য উপস্থাপন করে, অলীক সোনার বাংলার স্বপ্ন দেখিয়ে জাতিকে বিভক্ত করেছে এখনো করছে এবং দেশ ও জাতিকে প্রতারিত করেছে এবং এখনো করছে। জাতি যদি এখনো এসকল বিদেশী এজেন্টদেরকে চিহ্নিত করে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে সক্ষম না হয় তবে জাতির কপালে ব্রাহ্মণ্যবাদের গোলামী অবধারিত। ১৯৪৭ সালের পর থেকেই এরা যুক্তরাষ্ট্র-ইসরাইল-ব্রিটেন ও ভারতের মদদে পাকিস্তানের অস্তিত্ব মূলে আঘাত হেনেছে। আমরা বর্তমান বাংলাদেশের নাগরিকরা এদের সকল কিছু মেনে নিতাম যদি আমরা দেখতাম তারা বাংলাদেশ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করে এদেশকে সমৃদ্ধ সোনার বাংলায় পরিণত করেছে।
এদেশে স্থিতিশীল গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছে,
দেশের মানুষের মৌলিক মানবিক অধিকার ও নাগরিক অধিকার নিশ্চিত করেছে।
কিন্তু আমরা যা দেখছি তা হলো-
তারা আমাদেরকে গণতন্ত্র উপহার দিবে বলে বাকশাল দিয়েছে,
বৈষম্য অবসান করবে বলে সর্বত্র দলীয়করণ করছে,
সোনার বাংলা উপহার দিবে বলে ভিক্ষুকের বাংলা উপহার দিয়েছে,
সার্বভৌম বাংলা উপহার দিবে বলে ভারতের ‘তাবেদার বাংলা’ উপহার দিয়েছে।
নাগরিক অধিকার প্রদানের ওয়াদা দিয়ে নিজ দেশের নাগরিকদেরকে হত্যা করছে, গুম করছে, ধর্ষণ করছে, অকথ্য নির্যাতন করছে, মিথ্যা মামলায় হয়রানি করছে,
নাগরিকদের সম্ভ্রম, সম্মান, মর্যাদা ভুলুণ্ঠিত করে নিজ দেশে পরবাসী করছে।
নাগরিকদের রাজনীতি করার অধিকার, কথা বলার অধিকার, লেখার অধিকার, ধর্ম পালনের অধিকারের উপর হামলা করছে।
চুরি, ডাকাতি, রাহাজানি, টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি, ইভটিজিং করে জনজীবনকে দুর্বিষহ করে তুলছে।
নিজেদের জাতীয় স্বাতন্ত্রবোধ, ধর্মীয় মূল্যবোধ ও গণতন্ত্র ছিল আমাদের ১৯৪৭-এর স্বাধীনতার মূল বুনিয়াদ। ভারত সৃষ্ট ও ভারত লালিত দল ও গোষ্ঠী ১৯৪৭ থেকে অদ্যাবধি এই তিনটি ভিত্তি ধ্বংসের কাজে নিজেদেরকে নিয়োজিত রেখেছে। তারা মুসলিম জাতীয়তাবোধকে বাঙালি জাতীয়তাবোধে বিলীন করতে চায়, ইসলাম ও মুসলমানদেরকে বিনাশ করতে চায় এবং গণতন্ত্র হত্যার জন্য সব সময় সামরিক বাহিনীকে রাজনীতিতে নাক গলাবার সুযোগ করে দেয়। এতদসংক্রান্ত তথ্যাবলী নিম্নরূপ-
গণতন্ত্র হত্যা ও আইয়ুবের সহযোগী মুজিব এবং আওয়ামী লীগ-
১. বস্তুতঃ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের খাঁটি অনুচর পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন একই পদার্থের তৈরি। ক্ষমতার লোভে দেশ ও জাতিকে বিকাইয়া দিতে তাঁহারা উভয়ে বিবেকের সামান্যতম দংশন অনুভব করেননি। (সূত্র : জাতীয় রাজনীতি ১৯৪৫ থেকে ৭৫, অলি আহাদ, পৃ: ১৬৯)
(ভারতের সাথে প্রকাশ্য ও গোপন চুক্তি প্রসঙ্গে অলি আহাদ)
২. ৭৫ পয়সা বাকিজনিত ঘটনায় ঢাকার চকবাজারের পানদোকানী ও কারারক্ষীর মধ্যে হাতাহাতি-মারামারি শুরু হইলে পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ সাধারণ সম্পাদক ও পূর্ববঙ্গ আইন পরিষদের সদ্য নির্বাচিত সদস্য শেখ মুজিবুর রহমান এক উচ্ছৃঙ্খল জনতার কাফেলা লইয়া জেলগেট আক্রমণ করে। এ দাঙ্গায় ১ শিশু নিহত হয়, মুজিবকে গ্রেফতার করা হয় ও কিছুক্ষণ পর ছেড়ে দেয়া হয়। রাজনৈতিক ফায়দা লুটার জন্যই মুজিব তাৎক্ষণিক এ তুচ্ছ ঘটনায় জড়িয়ে পড়েন। (প্রাগুক্ত পৃ-১৮৩)
মূলত যুক্তফ্রন্ট সরকারের ফজলুল হক মন্ত্রীসভায় স্থান না পেয়ে ক্ষুব্ধ মুজিব সরকারকে বিব্রত করতে এ কাণ্ড ঘটায়। এরপর মুজিবকে যুক্তফ্রন্ট সরকারের মন্ত্রীত্ব প্রদান করা হয়। (প্রাগুক্ত পৃ-১৮৪)
৩. বিরোধী দলে থাকার সময় শেখ মুজিব পাক-মার্কিন সামরিক চুক্তিকে কঠোর ভাষায় নিন্দা করে ২১-০৪-৫৪ ইং তারিখে বিবৃতি দেন কিন্তু ১৯৫৬ সালে সরকারি দলে আসার পর উক্ত চুক্তি, বাগদাদ চুক্তি ও সিয়াটো চুক্তির গোঁড়া সমর্থকে পরিণত হন। (প্রাগুক্ত পৃ-১৬৮)
৪. ১৭ ফেব্রুয়ারি ১৯৫৫ ইং তারিখে শেখ মুজিবের নেতৃত্বে যুক্তফ্রন্ট সরকারের পতন ঘটানোর লক্ষ্যে শেরে বাংলার বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনা হয় তবে মুজিব ব্যর্থ হন। মার্কিন ইন্ধনে যুক্তফ্রন্ট সরকার ভাঙার জন্য এ কাজ করা হয়। (প্রাগুক্ত পৃ-১৯৩)
৫. সোহরাওয়ার্দীর মন্ত্রীসভার শিল্প-বাণিজ্য ও দুর্নীতি দমনমন্ত্রী শেখ মুজিবুর রহমান কর্মীদিগকে অন্যায় প্রশ্রয় দিতেন। দুর্নীতির বিষফলার ছোবলে সমগ্র সমাজদেহ বিষে জর্জরিত হইয়া উঠে। দুর্নীতি দমন মন্ত্রী শেখ মুজিবুর রহমান নিজেই হুঙ্কার ছাড়তেন যে, তিনি পয়সার পোস্টকার্ডে লিখিয়া জানাইলেই তিনি দুর্নীতিবাজদের কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করিবেন। হুঙ্কারের তুবডিতে দুর্নীতি কতটুকু মূলোৎপাটিত হইয়াছে- দেশবাসী তাহা উত্তমরূপে অবগত আছে। ঢাকার ধানমণ্ডি এলাকার ৩২ নং রোডে নির্মিত তাঁহার তেতলা বাড়িটি দুর্নীতি দমন প্রচেষ্টার এক দুর্বোধ্য ও বৈচিত্র নজীর। (প্রাগুক্ত-পৃ-২১৮)
৬. ১৯৫৫ সালে গৃহীত আওয়ামী লীগ গঠনতন্ত্রের ৬৬ ধারা মোতাবেক মন্ত্রীত্ব গ্রহণের পর সংগঠনের পদ থেকে ইস্তফা দেয়ার বিধান থাকা সত্ত্বেও মুজিব সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে পদত্যাগ করেননি। সংগঠনের অভ্যন্তরে এ নিয়ে কথা উঠলে মুজিব এই মর্মে প্রস্তাব আনেন যে, কোনো সদস্য যুগপৎ আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের সদস্য থাকিতে পারিবে না (প্রাগুক্ত-পৃ-২২৭)
৭. আওয়ামী লীগ ও স্পীকার শাহেদ আলী হত্যা
(ক) ২৩-০৯-১৯৫৮ ইং তারিখে দেওয়ান মাহবুব আলী (ন্যাপ) আওয়ামী লীগের স্পীকার আবদুল হালিমের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনার প্রশ্নে ডেপুটি স্পীকার শাহেদ আলী স্পীকারের দায়িত্ব নেন।
(খ) অনাস্থা প্রস্তাব পাশ হইলে সরকারি দলভুক্ত সদস্য পিটার পল গোমেজ স্পীকারকে পাগল সাব্যস্ত করে প্রস্তাব উত্থাপন করেন এবং প্রস্তাব যথারীতি পাস হয়।
(গ) আওয়ামী লীগের একাংশের চেয়ারের আঘাতে স্পীকার শাহেদ আলী পরিষদ অভ্যন্তরে গুরুতর আহত হন এবং ২৬-০৯-১৯৫৮ ইং তারিখে ইন্তেকাল করেন। (প্রাগুক্ত-পৃ-২৪৫-২৪৮)
(ঘ) হঠাৎ এর মধ্যে একদিন ঘোড়ার গাড়ি চড়ে মোহন মিয়া সাহেব আমার বাসায় এসে হাজির। শহরে তাদের পরিবার সম্মানিত ও প্রতিষ্ঠিত। কিন্তু তাঁকে কখনো দেখিনি। তিনি খুব আলাপী লোক। অল্পক্ষণের মধ্যেই জমিয়ে ফেললেন। সবিস্তারে পূর্ব পাকিস্তান এসেম্বলির ভিতর শাহেদ আলী খুনের কিচ্ছা শোনালেন। তাঁর ভূমিকা কি ছিল তাও বিস্তারিতভাবে বললেন। শেখ মুজিবর রহমান ও তিনি মিলে কিভাবে ডায়াসে চড়াও হয়ে ধ্বস্তাধ্বস্তি করেছেন, তার একটা ডিমনস্ট্রেসন দিয়ে ফেললেন। (সূত্র : স্মৃতির পাতা থেকে, পিএ নাজির পৃ-৮৯)
[উল্লেখ্য স্পীকার শাহেদ আলী হত্যার পরেই ইস্কান্দার মির্জা ও আইয়ুব খান চক্র পাকিস্তানের ক্ষমতা দখল করে মার্শাল-ল জারি করেছিল।]
৮. পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় সরকারকে বেকায়দায় ফেলিবার জন্য মার্কিন সরকার নানাভাবে প্রচেষ্টা চালাইতে থাকে। এই প্রচেষ্টায় শেখ মুজিবুর রহমান দাবার ঘুঁটি হইতে বিন্দুমাত্র কুণ্ঠাবোধ করেন নাই। শক্তিশালী দোসর হিসেবে তাহার সহিত যোগ দেয় দৈনিক ইত্তেফাক। (প্রাগুক্ত, অলি আহাদ, পৃ-২৮৭)
৯. আইয়ুবের সহযোগী মুজিব- শেখ মুজিবুর রহমান করাচী-পিন্ডিতে সরকারি উচ্চ মহলের দোসর পুঁজিপতি শ্রেণীর একটি বিশেষ অংশের অবাঞ্চিত প্রভাবে আইয়ুব বিরোধী ঐক্য সংস্থা ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টকে জোরদার করিবার প্রয়াস পরিত্যাগ করেন এবং আওয়ামী লীগ পুনরুজ্জীবনের প্রস্তাব লইয়া সোহরাওয়ার্দী সমীপে লন্ডন গমন করেন। সোহরাওয়ার্দী মুজিবের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন এবং জাতীয় ফ্রন্টকে শক্তিশালী করার নির্দেশ দেন।
১৫-০১-১৯৬২ সালে সোহরাওয়ার্দীর আকস্মিক মৃত্যুতে জাতিকে সম্বিত হারা করিয়াছে। কিন্তু বাঁচাইয়াছে আইয়ুব-মুজিব চক্রান্তের রাজনীতিকে। শেখ মুজিব কালবিলম্ব না করিয়াই স্বরূপে আত্মপ্রকাশ করিলেন এবং অদৃশ্য হস্তের আঙ্গুলী হেলনে পশ্চিম পাকিস্তানে পাড়ি জমাইলেন ... পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানে জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট যখন জনগণের সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠায় যুগপৎ আন্দোলন চালাইয়া যাওয়ার প্রচেষ্টায় লিপ্ত, ঠিক তখনই মুজিব আওয়ামী লীগ পুনরুজ্জীবিত করে ফ্রন্টে ভাঙন সৃষ্টি করেন। ... এভাবেই নেতৃবৃন্দের অবিমৃষ্য কারিতায় আইয়ুবের প্রভূত্বব্যঞ্জক শাসন ব্যবস্থা দৃঢ় হইয়াছিল। (প্রাগুক্ত-পৃ-২৯২-৯৩)
১০. ষড়যন্ত্রের অজুহাত দিয়ে পূর্ব পাকিস্তানের পশ্চাদপদতা ব্যাখ্যা দেবার প্রবণতা এমন পর্যায়ে এসে দাঁড়ায় যে, ষাটের দশকে এসে শেখ মুজিব এবং তাঁর সহকর্মীরা যত্রতত্র ষড়যন্ত্রকারীদের সন্ধান পেতেন। অথচ সত্য কথা হচ্ছে পাকিস্তানে গণতন্ত্র এবং শাসনতান্ত্রিক বৈধতার বিরুদ্ধে যতগুলো ষড়যন্ত্র হয়েছে তার মূলে ছিলেন পূর্ব পাকিস্তানের নেতৃবৃন্দ। এদের সমর্থন নিয়েই গোলাম মোহাম্মদ প্রথম গণপরিষদ ভেঙে দিয়েছিলেন। ১৯৫৮ সালে ইস্কান্দার মির্জা এবং জেনারেল আইয়ুব খানের ষড়যন্ত্রের সঙ্গে ও পূর্ব পাকিস্তানের বগুডার মোহাম্মদ আলী এবং শহীদ সোহরাওয়ার্দী জড়িত ছিলেন। মোহাম্মদ আলী তো বটেই সোহরাওয়ার্দী সাহেব ও ইস্কান্দার মির্জার অধীনে মন্ত্রীত্ব গ্রহণ করতে রাজি হয়ে তার আসন সুপ্রতিষ্ঠিত করতে সাহায্য করেন। (সূত্র : একাত্তরের স্মৃতি, ড. সৈয়দ সাজ্জাদ হোসায়েন, পৃ-২৪৬)
১১. আইয়ুব খানের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ পরামর্শদাতা আলতাফ গওহর, আইয়ুব মুজিবের মধ্যে একটা বোঝাপড়া সফল করে তোলার জন্য গুরুত্বের সাথে কাজ করতে লাগলেন। ... বিখ্যাত ২২ পরিবারের একটি হলেও ইউসুফ হারুন ও মাহমুদের সাথে শেখ মুজিবের রয়েছে অনেক দিনের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক। রাজনৈতিক কারণে দীর্ঘদিন ধরে হয়রানি করা হয় মুজিবকে। সে সময় ইউসুফ হারুন ভ্রাতৃদ্বয় মুজিবকে মাসিক ৩০০০ টাকা বেতনসহ বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা দিত। এখন আলতাফ গওহরের সাহায্যে প্রেসিডেন্ট হাউসে এই দুই ভাই এবং শেখ মুজিবের সাথে আন্তরিক পরিবেশে গোপন মিটিংয়ে বসলেন আইয়ুব খান। বৈঠকে আইয়ুব মুজিবের মধ্যে একটি চুক্তির ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয়। প্রস্তাবিত চুক্তিটা ছিল এরকম, শেখ মুজিবের দাবি অনুযায়ী পূর্ব পাকিস্তানকে আঞ্চলিক স্বায়ত্ব শাসন দেয়া হবে এবং একটি সংসদীয় পদ্ধতির অধীনে তিনিই (মুজিব) হবেন দেশের প্রধানমন্ত্রী প্রেসিডেন্ট হিসেবে বহাল থাকবেন আইয়ুব খান। পশ্চিম পাকিস্তানের গভর্নর থাকবেন ইউসুফ হারুন, পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর থাকবেন মুজিবের মনোনীত ড. এমএন হুদা, কিন্তু GHQ -এর জেনারেলরা এবং ভুট্টো ও ভাসানী বিষয়টি জেনে যাওয়ায় আইয়ুব-মুজিব চক্রান্ত আলোর মুখ দেখেনি। (সূত্র : The last days of United pakistan, G.W. Chowdhury, অনুবাদ : ইফতেখার আমিন, পৃ-৪৪-৪৫)
(চলবে, সাথেই থাকুন )
বিষয়: বিবিধ
১০৫২ বার পঠিত, ৫ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন