‘‘ভারত-আওয়ামীলীগ এর ইসলাম ও মুসলিম বিদ্বেষের কারন’’ - এম.আব্দুল্লাহ..২য় পর্ব

লিখেছেন লিখেছেন দূর্বল ঈমানদার ২১ আগস্ট, ২০১৫, ০৮:০৮:০৮ রাত

Good Luck আগের পর্ব

ভারত-আওয়ামী লীগ সম্পর্ক

আওয়ামী লীগের ইসলাম ও মুসলিম বিদ্বেষের কারন অনুধাবন করতে হলে আওয়ামী লীগের জন্ম, জন্মদাতা এবং জন্মদানের উদ্দেশ্য ও লক্ষ্যকে পর্যালোচনা করতে হবে । এ বিষয়ে স্যার উইনস্টন চার্চিলের অমর উক্তির

(‘‘The Longer you can look back, the farther you can look ahead’’ অর্থাৎ ‘যত দূরবর্তী অতীত ইতিহাস তুমি জানবে- তত দূরতম ভবিষ্যত তুমি দেখবে’)
প্রতি দৃষ্টি নিবন্ধ করতে হবে । ৭১১ খ্রিস্টাব্দে মুহাম্মদ বিন কাসিমের সিন্ধু বিজয় থেকে শুরু করে ১৭৫৭ সালের পলাশী বিপর্যয়, টিপু সুলতানের পরাজয়, দিল্লী পতন, ১৮৫৮ সালের সিপাহী বিপ্লবে মুসলমানদের চূড়ান্ত পতন এবং ১৮৭০ পরবর্তী মুসলমানদের উত্থান প্রক্রিয়া, ১৯৪৭ সালের পাকিস্তান প্রতিষ্ঠা, ১৯৭১ সালের পাকিস্তান ভাঙা এবং ’৭১ পরর্তী পুনরায় মুসলিম শাসনের পতনের ধারাবাহিকতা, কারণ ও উপাদান সমূহ বিশ্লেষণ করলে আওয়ামী লীগের জন্মদাতা ও পালন কর্তাদের লক্ষ্য উদ্দেশ্য দিবালোকের মত সুস্পষ্ট হবে ।

৭১১ সাল থেকে ১৭৫৭ সাল পর্যন্ত নিরবিচ্ছিন্ন মুসলিম শাসনের সময় ভারত বর্ষের জনগণ একজাতির ন্যায় বসবাস করছিল । কেননা মুসলিম শাসনামলে ধর্মের কারণে, বর্ণের কারণে, সম্প্রদায়ের কারণে কখনো প্রতিপক্ষ অত্যাচারিত হয়নি ।
মুসলমানদের উদারতার সুযোগ নিয়ে হিন্দু সম্প্রদায় প্রথমে শক্তি সঞ্চয় করে এবং পরবর্তীতে ভারতবর্ষ থেকে মুসলিম শাসন উৎখাত করতে ইউরোপীয়দেরকে এদেশের শাসন ক্ষমতায় বসায় । দীর্ঘ ১৯০ বছর এই ইঙ্গ-হিন্দু চক্র মুসলমানদেরকে ভারতবর্ষ থেকে নিশ্চিহ্ন করার যাবতীয় প্রচেষ্টা গ্রহণ করে । এ সময়ে মুসলমানদেরকে ভারত বর্ষের জমির মালিকানা থেকে, সরকারি চাকরি থেকে, সেনাবাহিনী থেকে উচ্ছেদ করে ভূমিদাসে পরিণত করে । এতদসত্ত্বেও কিছু দূরদর্শী মুসলিম ধর্মীয় ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ১৯৪৭ সালে বিশাল ভারতবর্ষের একটি ক্ষুদ্র অংশে নিজেদের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে সমর্থ হয় । এই ক্ষুদ্র ভূখণ্ডেও যাতে মুসলমানরা ক্ষমতাসীন থাকতে না পারে সে লক্ষ্যে ইঙ্গ-হিন্দু শক্তি ৪৭ পরবর্তী সময়ে পুনরায় চক্রান্ত শুরু করে ।
এই চক্রান্তের শুরুতেই পাকিস্তানের ইসলামী ঐক্যকে দুর্বল ও ধ্বংস করার লক্ষ্যে প্রথমে মুসলিম ছাত্রলীগ তৎপর আওয়ামী মুসলিম লীগ এবং আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠা করা হয় ।
তাদের সাথে যোগ করা হয় সাম্রাজ্যবাদ সৃষ্ট কমিউনিস্ট পার্টি সমূহ এবং অখণ্ড ভারত প্রতিষ্ঠার সংকল্পবদ্ধ পাকিস্তান জাতীয় কংগ্রেসকে । এভাবেই প্রথমে পাকিস্তানের মুসলমানদেরকে দ্বিধাবিভক্ত করে বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করা হয় ।
অতপর বাংলাদেশী মুসলমানদেরকে দ্বিধাবিভক্ত করার জন্য বাঙালি/বাংলাদেশী, স্বাধীনতার পক্ষ-বিপক্ষ, ধর্মভিত্তিক-ধর্মনিরপেক্ষ শ্রেণীর সৃষ্টি করা হয় ।
ইতোপূর্বে অর্থাৎ ১৭৫৭-১৯৪৭ সময়কালে ভারতের উগ্রহিন্দুরা মুসলমানদের উপর যে অত্যাচার-নির্যাতন চালাত বর্তমান বাংলাদেশের আওয়ামী লীগ নেতৃত্বধীন ধর্মনিরপেক্ষতাবাদী ভারতপন্থীরা ধর্মভিত্তিক ও ধর্মীয় ভাবাপন্ন মুসলমানদের উপর একই প্রকার অত্যাচার-নির্যাতন ও হত্যাযজ্ঞ পরিচালনা করছে । হিন্দু শাসনে ভারতের মুসলমানরা যেরূপ অত্যাচার-নির্যাতনের শিকার, বাংলার মুসলমানরাও আওয়ামী শাসনে একইরূপ অত্যাচার নির্যাতনের শিকার হচ্ছে । প্রশ্ন উঠতে পারে আওয়ামী লীগ কি মুসলমানদের দল নয় ? তার উত্তর হচ্ছে এই যে, যে দল সংবিধান থেকে ‘আল্লাহর উপর আস্থা ও বিশ্বাস’ মুছে দিতে পারে সে দল গায়ের জোরে বা আরবী নামের কারণে মুসলমান থাকে কিভাবে ? আল্লাহর উপর আস্থা বা ঈমান না থাকলে কেউ মুসলমান হয় না,
তার অকাট্য প্রমাণ হলো- আরবী নামধারী আবু জেহেল, আবু লাহাব ও আবু তালেব মুসলমান ছিল না ।
তদুপরি মুসলমানদের চেয়ে অমুসলমানদেরকে বেশী আপন মনে করে সে দলের শীর্ষ পরিবারটি মুসলমানদেরকে বাদ দিয়ে ইহুদী-খ্রিস্টান-হিন্দুদের সাথে আত্মীয়তা করে, যে দলের সেক্রেটারী জেনারেল নামের পূর্বে সৈয়দ রেখে প্রকাশ্যে ঘোষণা দেয়- ‘আমি হিন্দুও না মুসলমানও না’ এবং
যে দলটি মন্দির-গীর্জা-প্যাগোডাকে নিরাপদ মনে করে এবং কেবলমাত্র মসজিদকে ঘিরে রাখে র্যা ব-পুলিশ ও গোয়েন্দা দিয়ে । সে দলটি কোন স্তরের মুসলমানদের প্রতিনিধিত্ব করে তা বোকা লোকটিও বুঝতে পারে ।
এ দলটির সাথে অখণ্ড ভারতে বিশ্বাসী এবং মুসলিম শাসন উৎখাতে প্রয়াসী, বর্ণহিন্দুদের জন্মগত সম্পর্কের ব্যাপারে অসংখ্য তথ্য প্রমাণ রয়েছে । তন্মধ্যে পাঠকদের জ্ঞাতার্থে প্রদত্ত কয়েকটি তথ্য নিম্নরূপ-..............

Good Luck পরের পর্ব..... (৩য় পর্ব)

(চলবে)………. সাথেই থাকুন

[ভাল লাগলে প্রিয়জনদেরকে শেয়ার করতে পারেন ]

বিষয়: বিবিধ

১৮৬৭ বার পঠিত, ৯ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

337354
২১ আগস্ট ২০১৫ রাত ০৯:১০
প্যারিস থেকে আমি লিখেছেন : ভালো লাগছে বেশ। সাথেই আছি ইনশা আল্লাহ।
২১ আগস্ট ২০১৫ রাত ০৯:১৩
279034
দূর্বল ঈমানদার লিখেছেন : আশা করি আরো ভাল লাগবে । সবচেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে, এই ইতিহাস গুলো আপনাদেরকে অনেক কাজ দিবে বলেই ধারণা করি ।
দোয়া করবেন ।
337390
২১ আগস্ট ২০১৫ রাত ১০:৪৬
ফাতেমা চৌধুরী আমেরিকা লিখেছেন : ভালো লাগলো ধন্যবাদ পিলাচ
০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫ রাত ০৮:৪০
281402
দূর্বল ঈমানদার লিখেছেন : আপনাকে পরের পর্বে আহবান করছি:
http://www.bd-monitor.net/blog/blogdetail/detail/4273/sarwark/69085
337400
২১ আগস্ট ২০১৫ রাত ১১:৩৩
নুর আয়শা আব্দুর রহিম লিখেছেন : আপনার এ ধারাবাহিক চলতে থাকুক ....আমরাও অজানা বিষয় গুলো জেনে নিয়ে। ভালো লাগলো ধন্যবাদ।
২৬ আগস্ট ২০১৫ রাত ০৯:৩৫
279526
দূর্বল ঈমানদার লিখেছেন :
আপনাকে পরের পর্বে
আহবান করছি:
http://www.bd-monitor.net/blog/blogdetail/detail/4273/sarwark/68658
২৬ আগস্ট ২০১৫ রাত ১০:০৫
279538
নুর আয়শা আব্দুর রহিম লিখেছেন : এভাবে আহবান খুব একটা গ্রহণ যোগ্য নয়। মন্তব্যের জবাব দেয়ায় শ্রেয়!!
340105
০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৫ দুপুর ০১:৫৯
কুয়েত থেকে লিখেছেন : চালিয়ে যান ধন্যবাদ
০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৫ বিকাল ০৫:৫৬
281538
দূর্বল ঈমানদার লিখেছেন : আপনাকেও ধন্যবাদ

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File