যে সকল নাস্তিক বলে আমরা আল্লাহকে দেখি না, তাই তাকে বিশ্বাস করি না, তাদের এই প্রশ্নোত্তর।
লিখেছেন লিখেছেন ফাহিম মুনতাসির ৩১ মার্চ, ২০১৩, ০৯:২৩:৪৫ সকাল
সৃষ্টির সাধারণ নিয়ম হচ্ছে-সৃষ্টি করে স্রষ্টাকে সৃষ্টির কাছে নিজেকে পরোক্ষ করে ফেলেন। যে স্রষ্টাই
সৃষ্টি করেন না কেন, সাধারণত তার মূল পদ্ধতি হয় এটিই। কারণ তিনি কামনা করেন-সৃষ্টি তাঁর নিজের আমিত্ব
অতিক্রম আবিষ্কার করুক। কোন গায়ক যদি তার আগুন কিংবা মায়াবী সুরের মাঝে লুকিয়ে থেকে, কোন
কবি যদি তার কবিতার ছন্দে লুকিয়ে থেকে কিংবা কোন ভাষাবিদ যদি তার ভাষার আবরণে থেকে তাঁকে দেখার
আহ্বান জানাতে পারেন, তবে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন কি এতই সস্তা ও সহজ লভ্য যে, চাইলেই তিনি চোখের
সামনে হাজির হবেন?
আমারব্লগ স্রষ্টাকে দেখি না তাই বলে কি স্রষ্টার অস্তিত্ব নেই? যে জন্ম থেকে অন্ধ, সে তো কিছুই
দেখে না। তাই বলে কি কিছুই নেই?
যে সকল বিখ্যাত গায়ক তাদের সুকণ্ঠি গানে বিশ্ব মাতায় চাইলেই কি আমার তাদের দেখতে পারি? পারি না।
তবে তাদের গান শুনে আমরা তাকে বিশ্বাস করি তিনি আছেন। আর ঐ গায়কের যে নিকট তম তারাই
তাকে দেখতে পার। তেমনি যে আল্লাহর প্রিয় বান্দা ও রাসূল হতে পেরেছে তারাই পেরেছেন
স্রষ্টাকে দেখতে যেমনঃ পেরেছেন মুহাম্মাদ (সাঃ), মুসা (আঃ)।
কোন জিনিসকে বিশ্বাস করার জন্য দেখাটাই এক মাত্র শর্ত হতে পারে না। যেমনঃ- বাতাস দেখি না, কিন্ত
গাছের পাতা নড়া দেখে তা বিশ্বাস করি।
শব্দ দেখি না কিন্তু কানে শুনে তা বিশ্বাস করি।
গন্ধ দেখি না, কিন্তু নাকে শুঁকে তা বিশ্বাস করি।
টক -মিষ্টি-জাল দেখি না, অথচ জিহ্বার মাধ্যমে তা বিশ্বাস করি।
তেমনি স্রষ্টাকে তার সৃষ্টি দেখে বিশ্বাস করা উচিত। কেউ তার পিতার পর দাদাকে দেখে না তাই বলে কি কেউ
কাহারো পর দাদা ছিলেন এটা অবিশ্বাস্ করে? আপনি কোন দিন স্ব -চোখে মঙ্গল গ্রহ দেখেছেন অথচ আপনিই
তো বিশ্বাস করেন যে মঙ্গল গ্রহ আছে। অথচ যিনি এতসব সৃষ্টি করেছেন তাকে বিশ্বাসের বেলায় কেন ফালতু
প্রশ্ন তুলেন?
বিষয়: বিবিধ
১২৯১ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন