মানুষ কেন নাস্তিক হয় তার একটি বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা
লিখেছেন লিখেছেন ফাহিম মুনতাসির ৩০ মার্চ, ২০১৩, ০৬:৫০:১৫ সন্ধ্যা
সমরেশ মজুমদার বলেন " মানুষ যখন ধর্মচ্যুত হয় তখন তার মস্তিষ্ক স্থির থাকে না।" আর তখনই সে হয়ত বিভিন্ন রকম উদ্ভট প্রশ্ন করে মানুষকে বিভ্রান্ত করার পাশাপাশি নিজেও বিভ্রান্ত হয়।
মানুষের স্বভাবজাত বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, অজানাকে জানা, অচেনাকে চেনার কৌতুহল ও ইচ্ছা। মানুষের মস্তিষ্ক
অজ্ঞাতকে অস্বীকার করতে চাই। ফলে হয় সে জ্ঞান অর্জন করে অজ্ঞাতাকে দূর করে, না হয়
জ্ঞানকে অস্বীকার করে এইটুকু বোঝাতে চায় যে, সে যা জেনেছে, তাই পূর্ণাঙ্গ ও সঠিক। নাস্তিকগণ এই
দ্বিতীয় পর্যায়ের অন্তর্ভুক্ত। তারা তাদের সংকীর্ণ জ্ঞানের পরিধি থেকে বের হয়ে আসতে পারে না।
যেমনভাবে কুনোব্যাঙ আজীবন লাফিয়েও কুয়ো থেকে বের হতে পারে না। কারণ সে সব সময় কুয়োর মাপে লাফ
দেয়। এই জন্য কোরআন মাজিদে ১৪৫০ বছর আগেই ঘোষণা করেছে, "যারা পরকালকে বিশ্বাস করে না, তাদের
অন্তর সত্য বিমুখ এবং তারা অহংকারী। (সূরা নাহলে :২২)"
তবে এই অহংকারের বীজ মানব শিশু জন্মের পর পরই তার জিনের ভেতর ধারণ করে না। পরর্বতীতে বার বার
মন্দকে গ্রহণ ভালোকে বর্জন করার কারণে তার অন্তরে ধীরে ধীরে অহংকারের বীজ বপন করতে থাকে;
তা D.N.A এর মধ্যে সঞ্চিত হয় এবং R.N.A এর মাধ্যমে তার মস্তিষ্কে স্নায়ু কোষের ভেতর অহংকারের
বার্তা পৌঁছে যায়, তখন সে হয়ে ওঠে চরম উচ্ছৃঙ্খল ও চরম স্বেচ্ছাচারী। আর এই অহংকারের
বশবর্তী হয়ে সে শেষ পর্যন্ত মহান স্রষ্টার অস্তিত্বকেই অস্বীকার করে বসে।
বিষয়: বিবিধ
২৭৫২ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন