বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিতে পর্দা
লিখেছেন লিখেছেন ফাহিম মুনতাসির ৩০ মার্চ, ২০১৩, ০৬:৫১:১৯ সকাল
বর্তমানে বিজ্ঞানে বদৌলতে ইসলামের অনেক রীতিনীতি বুঝতে সহজ হয়, সেই আলোকে এখন আমার ক্ষুদ্র চিন্তা ভাবনা দিয় বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিতে পর্দা প্রথার একটি দিক উপস্থাপন করার চেষ্টা করব।
আল্লাহ বলেন "আমি প্রত্যেক বস্তু জোড়ায় জোড়ায় সৃষ্টি করেছি, যাতে তোমারা হৃদয়ঙ্গম করতে পার
"(সূরা জারিয়া :৪৯)
তাই পজেটিভ ও নেগেটিভ ছাড়া কোন বস্তুই কল্পনা করা যায় না। বিদ্যুৎ এর ক্ষেত্রও আমরা তাই দেখতে পাই
পজেটিভ ও নেগেটিভ তার একত্রিত না হলে বিদ্যুৎ উৎপাদন হয় না। যে কোন পদার্থের পরমাণু মূলত পজিটিভ
প্রোটন ও নেগেটিভ ইলেকট্রনের সমষ্টি। এরা পরষ্পরের প্রতি আকর্ষিত হয়, মানুষও তাই। স্বাভাবিকভাবেই নর
ও নারী (যা পজিটিভ ও নেগেটিভ) পরষ্পর দর্শনে যৌন আকর্ষণ সৃষ্টি হয় না-এ কথা মানুষ অস্বীকার করলেও
পদার্থ বিজ্ঞান তা কিছুতেই মেনে নিতে পারে না। একমাত্র পর্দা প্রথার মাধ্যমেই যৌন আকর্ষণ মূলক
দৃষ্টি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।ফটোগ্রাফার্সগণ ছবি উঠানোর জন্য কনভেক্স লেন্স এর সাহায্যে প্রতিবিম্বের
সৃষ্টি করে নেগেটিভ ছবির আবির্ভাব ঘটান। এর পর তা বিশেষ পদ্ধতিতে পজিটিভ ছবির রূপ নেয়। আমাদের
চোখের ভিতর রয়েছে কনভেক্স নামক লেন্স যার ফলে আমরা আমাদের বিশেষ দৃষ্টিকে ইচ্ছে করলে স্পষ্ট দৃশ্যের
মত দেখতে পারি। তাই স্বাভাবিক ভাবে পর্দাহীন মেয়ের প্রতি অনেকেই লোলুপ দৃষ্টিতে তাকাতে দেখা যায়।
পদার্থ বিজ্ঞানে আলোর প্রতিফলন (Reflection of light) বলতে একটা ব্যপার আছে। এর ক্রিয়া যে কত
সুক্ষ্ম এবং অন্তর্ভেদী, তা অস্বীকার করার উপায় নেই। মানব দেহ হচ্ছে কত গুলো call বা কোষের সমন্বয়।
মেয়েদের শরীরের কোষগুলো সাধারণত দুর্বল। গর্ভধারণকালে এগুলো অত্যান্ত দুর্বল হয়ে পড়ে। ফলে পুরুষ
শরীরের প্রতিফলন-ক্রিয়া রোধ করার ক্রিয়াশক্তি একেবারে হারিয়ে ফেলে। এর ফলে গর্ভাবস্থায় পর -পুরুষের
দৃষ্টি নিক্ষেপর ফলে প্রতিফলন আলোক রশ্মি গর্ভস্থ ভ্রুণের গঠন (Configuration) বিকৃত করতে পারে। এই
জন্যই কোন কোন সময় দেখাযায় স্বামী স্ত্রী উভয়েই ধার্মিক, চরিত্রবান -চরিত্রবতী হওয়া সত্ত্বেও তাদের
সন্তান বক -ধার্মিক দুশ্চরিত্রবান কিংবা অন্য পুরুষের চেহারার মত হয়। তবে সর্বক্ষেত্রে এই
ব্যপারটি যে ঘটবে তা নিশ্চিত বলা কঠিন কারণ জ্বীনের বংশগত ব্যপার বলে একটি কথা আছে!
শক্তির অবিনশ্বরতা (Conservation of energy) সূত্রে আমরা জানি-পৃথিবীর কোন শক্তি বা বস্তুরই বিনাশ
নেই। শুধু রূপান্তর হয় মাত্র, বস্তু শক্তির একটা ফসল। চিন্তারও বিনাশ নেই। কুচিন্তা মানুষের মনের অজান্তেই
জমা বাঁধতে থাকে। ফলে মন অজান্তেই সচেতন মনের অন্তরালে থেকে মানুষকে নিয়ন্ত্রণ করতে থাকে।
মাঝি যেমন নৌকাকে নিয়ন্ত্রণ করে অবচেতন মনও তেমনি মানুষকে নিয়ন্ত্রণ করে।
অবশেষে কুচিন্তা ভাবনা মানুষের শরীরের কোষ গুলোকে বিকৃত ও বিষাক্ত করে। আর তাই ইসলামও পর্দা প্রথার
প্রতি গুরুত্ব দিয়েছে।
বিষয়: বিবিধ
১২২৯ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন