আপনার সন্তানকে কখন কতটুকু শাসন করা উচিৎ?
লিখেছেন লিখেছেন ফাহিম মুনতাসির ২৯ মার্চ, ২০১৩, ১১:২০:০৭ রাত
অত্যধিক শাসন-অত্যাচারে ছেলেমেয়ে অকালে চরিত্রহীন ও
লম্পট হয়ে ওঠে।
বাপ-মায়ের কাছ হতে সন্তান একের পর এক আঘাত
পেলে সে সুখ ও শান্তির জন্য জঘন্য পথের আশ্রয় খোঁজে।
ছেলেমেয়ের বয়স যখন ১৪-১৬ বৎসর তখন তাদের
দিনরাত্রি কাজে ব্যস্ত রাখুন, কেন বলছি কারণ এই
বয়সে ছেলেমেয়ে গোপন কাজ (অপরাধ) করতে শিখে। এই
সময়টিতে তার দেহ ও মনের কাজ দিন যাতে সে কু-চিন্তা এবং কু-পথে যেতে না পারে।
যাদের সঙ্গে বয়সের পার্থক্য আছে তাদের সঙ্গে ছেলে-মেয়েকে মিশতে দেবেন না, বা এক সঙ্গে শুতেও দেবেন না। এই
সময় ছেলে-মেয়েকে চোখে চোখে রাখা দরকার। তবে ছেলে-
মেয়ে যেন না বুঝতে পার, তার উপর কড়া পাহারা চলছে,
তাকে সন্দেহ করা হচ্ছে, এতে তার বেশি রকম অধঃপতন
হতে পারে।
ছেলে-মেয়ের সামনে স্বামী-স্ত্রীতে ঝগড়া না করা। বাপ
ছেলেকে কোন হুকুম দিলে ভালো হোক মন্দ হোক মায়ের চুপ
থাকাই ভাল। যখন তখন কেউ কাহারও বিরুদ্ধ আচারণ করবেন
না।
আজ কথা বলার সময় আপনার ছেলে-মেয়ে কাহারও
সাথে অপ্রিতীকর কথা বললো, এটি ক্ষুদ্র হতে ক্ষুদ্রতর
আপরাধ মনে করে আপনি তাকে কিছু বললেন না। সামান্য
আপরাধ বলে আপনার অবহেলা করা উচিত হয়নি কারণ বিন্দু
হতেই সিন্দুর সৃষ্টি হয়। তাই আপনি তাকে ঐ জায়গায়
থামিয়ে দিন, সাবধান সাথে সাথে জনসম্মোখে সংশোধন করবেন
না তাতে উল্টো ফল হতে পারে, তাই
একান্তে তাকে বিষয়টি বুঝান।
ছেলে-মেয়েকে মাঝে মাঝে আত্নীয়-স্বজনের
বাড়িতে পাঠানো উচিত। নইলে বড় হলে সে প্রাণহীন হয়ে ওঠে।
আত্নীয়-বন্ধুর জন্য মনে কোন
বেদনা কিংবা ভালবাসা জাগে না।
ছেলে-মেয়েকে ১৪-১৬ বৎসর বয়সে বিলাসদ্রব্যের ব্যবহার
না শেখানোই অতি উত্তম।
কারণটা আপনি নিজে চিন্তা করলেই বুঝতে পারবেন।
বিষয়: বিবিধ
১১১০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন