একজন জাপানি নারীর কথা শুন 'হে প্রগতিশীলরা'

লিখেছেন লিখেছেন ফাহিম মুনতাসির ২৫ জুন, ২০১৪, ০৭:৫১:৪৬ সন্ধ্যা

‘খাওলা’ নাম্নী একজন জাপানী নারী ২৫/১০/১৯৯৩ তারিখে সঊদী আরবের আল কাসীম বুরাইদা শহরের ইসলামী সেন্টারে এসে ইসলাম গ্রহণ ও পর্দা সম্পর্কে তাঁর অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেন। তা থেকে সংক্ষেপে কিছু কথা এখানে উল্লেখ করা হল।

তিনি ফ্রান্সে অবস্থানকালে ইসলাম গ্রহণ করেন। তারপর থেকে ইসলামী জীবনযাত্রা অব্যাহত রাখেন। তিনি বলেন, ইসলাম গ্রহণ করার পর পর্দার মধ্যে আমি খুবই আনন্দ ও গৌরব করতে লাগলাম। কেননা পর্দা শুধু আল্লাহ্‌র আনুগত্যের প্রতীকই নয়; উপরন্ত তা মুসলিম নারীদের মাঝে আন্তরিকতার বাঁধন। পর্দার মাধ্যমে আমি নিজেকে অত্যন্ত ভদ্র ও সম্মানিত মনে করি।

তিনি বলেন, অনেক নারী এমন পোশাক পরেন যাতে তাদের স্তন ও নিতম্বের আকৃতি পরিস্কার ফুটে উঠে। ইসলাম গ্রহণের আগেও আমি এধরণের পোশাক দেখলে অস্বস্তিবোধ করতাম। আমার মনে হত এমন কিছু অঙ্গ প্রদর্শন করা হচ্ছে যা মূলত: ঢেকে রাখা উচিত, বের করা উচিত নয়। একজন মেয়ের মনে যদি এসকল পোশাক এধরণের অস্তিত্ব বোধ এনে দেয় তাহলে একজন পুরুষ এ পোষাক পরা মেয়েদের দেখলে কিভাবে প্রভাবিত হবেন তা সহজেই অনুমান করা যায়।

তিনি বলেন, আপনি যদি কোন কিছু লুকিয়ে রাখেন তাহেল তার মূল্য বেড়ে যায়। এমনকি অন্য নারীর চোখেও তা অধিকতর আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে। পর্দানশীন বোনদের কাঁধ ও গলা অপূর্ব সুন্দর দেখায়, কারণ তা সাধারণত: আবৃত থাকে। যখন কোন মানুষ লজ্জার অনুভূতি হারিয়ে নগ্ন হয়ে রাস্তাঘাটে চলতে থাকে, প্রকাশ্য জনসমক্ষে পেশাব, পায়খানা ও যৌনতা করতে থাকে, তখন সে পশুর সমান হয়ে যায়, তাকে আর কোনভাবেই পশু থেকে পৃথক করা যায় না। আমার ধারণা, লজ্জার অনুভূতি থেকেই মানব সভ্যতার শুরু।

অনেকে প্রশ্ন করতে পারে, পুরুষকে উত্তেজিত না করার উদ্দেশ্যে নারীর সমস্ত শরীর ঢেকে রাখাটা বাড়াবাড়ি এবং অতি-সতর্কতা। একজন পুরুষ কি শুধুমাত্র যৌন আগ্রহ নিয়েই একজন নারীর দিকে তাকায়? একথা ঠিক যে সব পুরুষই প্রথমেই যৌন অনুভূতি নিয়ে নারীকে দেখে না। তবে নারীকে দেখার পর তার পোশাক ও আচরণ থেকে পুরুষের মনে যে যৌন আগ্রহ সৃষ্টি হয় তা প্রতিরোধ করা তার জন্য খুবই কষ্টকর। এধরণের আবেগ নিয়ন্ত্রণে পুরুষরা বিশেষভাবে দুর্বল। বর্তমান বিশ্বের ধর্ষণ ও যৌন অত্যাচারের পরিমাণ দেখলেই আমরা একথা বুঝতে পারব। নারী-পুরুষের সম্মতিমূলক ব্যভিচার বৈধ করার পরও পশ্চাত্যে জোরপূর্বক ধর্ষণ ও যৌন অত্যাচারের ঘটনা ধারণাতীতভাবে বেড়ে চলছে।

কেবলমাত্র পুরুষদের প্রতি মানবিক আবেদন জানিয়ে এবং তাদেরকে আত্মনিয়ন্ত্রণের আহ্বান জানিয়ে আমরা ধর্ষণ ও যৌন অত্যাচার বন্ধ করতে পারব না। হিজাব বা ইসলামী পর্দা ছাড়া এগুলো রোধের কোন উপায় নেই। একজন পুরুষ নারীর পরিধানের মিনি-স্কার্টের অর্থ এরূপ মনে করতে পারেন: “তুমি চাইলে আমাকে পেতে পার।” অপরদিকে ইসলামী হিজাব পরিস্কারভাবে জানিয়ে দেয়: ‘আমি তোমার জন্য নিষিদ্ধ।’

যারা বেপর্দা হয়ে চলতে ভালবাসেন এবং সেটাকেই সভ্যতা মনে করেন, তাদেরকে আমি প্রশ্ন করব: আপনি কি একজন নুডিস্ট বা নগ্নবাদী? আপনি কি নগ্ন হয়ে চলাফেরা করেন? যদি আপনি নুডিস্ট না হন তাহলে বলুন, যদি কোন নুডিস্ট আপনাকে জিজ্ঞেস করেন: ‘কেন আপনি আপনার স্তন ও নিতম্ব ঢেকে রাখেন, অথচ মুখ ও হাতের ন্যায় স্তন ও নিতম্ব তো শরীরের স্বাভাবিক অংশ?’ তাহলে আপনি কি বলবেন? এ প্রশ্নের উত্তরে আপনি যা বলবেন, আপনার প্রশ্নের উত্তরে আমি ঠিক সেকথাই বলব। আপনি যেমন শরীরের স্বাভাবিক অংশ হওয়া সত্বেও স্তন ও নিতম্বকে গোপনীয় অঙ্গ বলে মনে করেন, আমরা মুসলিম নারীর সমস্ত শরীরকে গোপনীয় অঙ্গ বলে মনে করি, কারণ মহান স্রষ্টা আল্লাহ্‌ এভাবেই আমাদেরকে নির্দেশ দিয়েছেন। আর এজন্যই আমরা নিকটাত্মীয় (মাহরাম) ছাড়া অন্যান্য পুরুষদের থেকে সম্পূর্ণ শরীর আবৃত করে রাখি।’

খন্দকার আ ন ম আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর অনুদিত শাইখ বিন বায (রHappy প্রণীত "ইসলামী হিজাব'' বা পর্দা পুস্তক হতে সংকলিত।

বিষয়: বিবিধ

১৫৫১ বার পঠিত, ৭ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

238860
২৫ জুন ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:৫৬
ভিশু লিখেছেন : ভালো শেয়ার!
Good Luck Rose
238864
২৫ জুন ২০১৪ রাত ০৮:০৪
হতভাগা লিখেছেন : বাংলাদেশে এরকম ''খাওলা'' নেই বললেই চলে ।

সামনে ঈদ আসছে । মার্কেটে খাওলার পোশাকের চেয়ে লিওনিদের পোশাকই বেশী শোভা পাবে ।
238914
২৫ জুন ২০১৪ রাত ০৯:৩৩
মোঃমাছুম বিল্লাহ লিখেছেন : আমাদের দেশে যাই হোক না কেন গল্পটা শুনে ভাল লাগল
238941
২৫ জুন ২০১৪ রাত ১০:৪৫
চিরবিদ্রোহী লিখেছেন : জাযাকাল্লাহ খইর। ঐ বোনের জন্য দুআ ও শুভ কামনা রইলো।
238970
২৬ জুন ২০১৪ রাত ০১:০৬
মাটিরলাঠি লিখেছেন :
Rose Rose Rose Rose
জাজাকাল্লাহু খাইরান।
239011
২৬ জুন ২০১৪ সকাল ০৮:২৮
বাজলবী লিখেছেন : ভালোপড়ে লাগলো। ধন্যবাদ।
239012
২৬ জুন ২০১৪ সকাল ০৮:২৯
বাজলবী লিখেছেন : পড়ে ভালো লাগলো ধন্যবাদ।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File