ডায়েরির সেই লুকোনো কথা!!
লিখেছেন লিখেছেন ফাহিম মুনতাসির ১১ মার্চ, ২০১৪, ০১:০৬:৪৪ দুপুর
আমার কোন কারণে যখন মন খারাপ হয় তখন আমি আমার পুরোনো ডায়েরিটা খুলে দেখি।
একটা সময় প্রায় প্রতিদিনই ডায়েরি লিখতাম এখন আর লেখা হয় না। এখন ব্লগ কিংবা ফেইসবুকের টাইমলাইটিই আমার ডায়েরি হিসেবে কাজ করে, তবে একটা কথা মায়ের অভাব যেমন মাশি পূরণ করতে পারে না তেমনি ডায়েরির অভাবটাও এই ভার্চুয়াল ক্যানভাস পূরণ করতে পারে না। তাই ডায়েরিটা আমার কাছে সব সময় বিশেষ কিছু, ডায়েরির কথা তুলতেই আমার পুরোনো একটা বন্ধুর কথা মনে পড়ে গেলো আমি কিছু না বললেও যে আমায় বুঝত, এখন আছে ছায়ার মত। জীবনে কোথাও কোন ভুল কিংবা ঠেকে গেলে সৎ পরামর্শে দিয়ে ওই আমায় সহায়তা করে। আর সেই সৎ পরামর্শ গুলো আমার কাছে সবসময় মহা মূল্যবান গিফট। জামান, যে আমায় জীবনের প্রথম অনেক সুন্দর একটা ডায়েরি গিফট করে।
ঐ ডায়েরিটাতে কিছু মহা মূল্যবান কথা আছে, কারো কাছে সেটা মূল্যহীন কিন্তু আমার কাছে সেটা মূল্যবান, আর তাই সেটা বাবার কাছে রাখা বাবাও স্বযতনে যত্ন করে রেখেছে, মাঝেমধ্যে খুলেও দেখতেন। বাবার কিছু কথাও আমার ডায়েরিতে রেখাচিত্র হিসেবে আছে, তবে সেগুলো পড়ে বাবা কাঁদে! দুঃখে নিশ্চয়ই নয় অনেকটা সুখে। বাবাকে কাঁদিয়েছি আমি জীবনে দুই বার! কি আশ্চর্য হচ্ছেন!! বলতে বসবেছেন ছেলেটা তো সাঙ্ঘাতিক খারাপ!! বাবাকে কাঁদায়! না মশায় সেটাও বাবার সুখের অশ্রু বিয়োগ হয়েছিলো। বাবাকে দুইবার কাঁদিয়েছি আর একবার কাঁদানো ইচ্ছে আছে সেটা পূর্ণ হলে আমার জীবনে আফসোস নামক কোন শব্দ থাকবে না। এখন স্রষ্টার কাছে এই প্রার্থনাটাই করি পূর্ণ করা না করা বাদবাকি আল্লাহ ইচ্ছে।
কি করছি এইসব মূল কথা ছেড়ে আমি কথার শাখা-প্রশাখা নিয়ে কথা বলতে শুরু করছি!! হ্যাঁ, হতাশা কিংবা দুঃখ-কষ্ট গোছাতে আমি আমার ডায়েরিটা খোলে এই হাদিসটা পড়ি, যদিও আমি খোদার একটা নগন্য, অদম এবং পাপী বান্দা।হাদিসটি হচ্ছে :
হযরত আবার হুরায়রা ও হযরত আবু সাঈদ (রাঃ) রাসূল (সাঃ) হতে বর্ণনা করেন যে রাসূল (সাঃ) বলেন-মুসলমানদের এমন কোন বিপদ, কোন রোগ, কোন ভাবনা, কোন চিন্তা, কোন দুঃখ-কষ্ট, এমন কি তার গায়ে একটা কাঁটাও ফুটে না যার দ্বারা আল্লাহ তার গুনাহ মাফ না করেন।
(বুখারী, মুসলিম)
অর্থাৎ যারা স্রষ্টাতে বিশ্বাস রাখে এবং ধর্য্য ধারণ করে তাহলে তার প্রত্যেকটা বিপদ আপদ, দুঃখ-কষ্টের বিনিময়ে আল্লাহ তার গুনাহ মাফের উছিলা করে দেয়।
আর এই সূত্রটি আমার মন ভালো করার মহা ঔষধ।
বিষয়: বিবিধ
১১৪৮ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন