তত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে যে কারণে নির্বাচন চাচ্ছে না

লিখেছেন লিখেছেন ফাহিম মুনতাসির ২৪ অক্টোবর, ২০১৩, ১০:১৮:০৩ সকাল

ক্ষমতার লোভ বড় লোভ। আমাদের দেশের রাজনৈতিক দলগুলো ক্ষমতা পেলেই ভুলে যায় জনগণের কথা। ইচ্ছেমত দূর্নীতিতে লিপ্ত হয়। ফলে দ্বিতীয় বার ক্ষমতায় আসা তার জন্য অনিশ্চিত হয়ে পড়ে যেটা আমরা বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে দেখে আসছি। তাই নির্বাচন যদি তত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে হয় তাহলে কোন দলই আর তাঁদের ইচ্ছেমত দলীয় করুণ করতে পারে না। আবার নির্বাচনে হেরে গেলে জোরপূর্বক ক্ষমতা দখলও করতে পারে না। কিন্তু যদি নিজের সরকারের অধীনে নির্বাচন হয় তাহলে নির্বাচনে হেরে গেলে গায়ের জোরে ক্ষমতা আকড়ে থাকার একটা সম্ভাবনা থাকে। এটা এইদিক বিবেচনা করেই মূলত রাজনৈতিক দলগুলো অনেক সময় তত্বাবধায়ক সরকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়।

তবে বর্তমান সরকারের তত্বাবধায়ক সরকার বিরোধীতার আরও একটি কারণ অনেকেই ধারণা করে থাকেন। আর তা হল বর্তমান সরকার অনকেটা জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। নির্বাচনী ইশতেহারে দশ টাক সের চাল আর পাঁচ টাকা সের কাঁচামরিচ দেয়ার কথা থাকলেও তারাই দূর্নীতিগ্রস্ত হয়ে পড়ে। দশ টাকা সের তো দূরের কথা এখন 25 টাকা সেরে নিম্নমানের চালও পাওয়া যায় না! এদিকে দ্রব্যমূল্যের দাম লাগামের বাহিরে হলেও ধানের দাম দিন দিন কমছে ফলে কৃষকরা যে টাকা খরচ করে ধান উৎপাদন করে এখন ধান বিক্রি করে সে টাকাও তুলতে পারে নী। ফলে কৃষি সমাজ এই সরকারকে আযাব হিসেবে দেখছে। আর তাই তারা এখন অধীর আগ্রহে আগামী নির্বাচনে তাদের ক্ষোভের বিস্ফোরণের অপেক্ষা করছে। এইদিকে পদ্মা সেতু কেলেঙ্কারি, হলমার্ক কেলেঙ্কারি, ডেসটিনি কেলেঙ্কারি, বিডিআর বিদ্রোহসহ অন্যায় ভাবে ভারতকে ট্রানজিট ফন্দি সচেতন সমাজ ও সুশীল সমাজকে অথিষ্ট করে তুলেছে। আর ছাত্রলীগ তো এখন দেশের জন্য হুমকি হয়ে দাড়িয়েছে। কলেজের অধ্যাপককে গলা ধাক্কা দিয়ে কলেজ হতে বের করে দিলেও সরকারের কর্তাব্যক্তিরা নিশ্চুপ থাকে! অন্যদিকে সরকার ইসলাম বিরোধী কার্যক্রম আলেম সমাজকে ক্ষেপিয়ে তুলেছে। আর আলেম সমাজ ইসলাম বিদ্বেষী কার্যক্রমের বিরোধিতা করলে তাদের মৌলবাদি সংগঠন বলে কঠোর হাতে দমন করা হচ্ছে। ফলে আলেম সমাজ সহ দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানগনও এখন ক্ষিপ্ত। এমতাবস্থায় তত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে বর্তমান ক্ষমতাসীন আওমীলীগের ক্ষমতায় আসার কোন সম্ভাবনা নেই, এমন একটি জনপ্রতিবেদন কিছু দিন পূর্বে আমরা প্রথম আলো পত্রিকায় দেখেছি। আর যদি তারা হেরে যায় তাহালে তাদের এই কর্মকাণ্ডের দায়ভার বহন করতে হবে ভেবেই ক্ষমতা কুক্ষিগত করতেই তত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি বাতিল করেছে সরকার। আওয়ামিলীগের ধারণা আগামী নির্বাচন নিজেদের অন্তবর্তী সরকারের অধীনে হলে হেরে গেলেও অন্তত জোর করে হলেও কিছুদিন ক্ষমতায় থাকা যাবে। এই বিবেচনা করেই এখন আওমীলীগ সরকার তত্বাবধায়ক সরকারের বিপরীতে অবস্থান করছে।

ফেইসবুকের পাতায় আমি :- http://www.Facebook.com/fmjewel

বিষয়: রাজনীতি

১৩৩১ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File