ঐশীর মা, বাবাকে হত্যার নির্দেশ দাতা হচ্ছে…
লিখেছেন লিখেছেন ফাহিম মুনতাসির ১৯ আগস্ট, ২০১৩, ০৮:০৫:৩০ রাত
আপনি নিশ্চয়ই বনসাই গাছ দেখেছেন কিংবা বনসাই গাছ সম্পর্কে জানেন যে বনসাই গাছ সর্বচ্চ অর্ধ ফুট কিংবা এক ফুট পর্যন্ত বড় হয়। আসলে এটি অর্ধ কিংবা এক ফুট বড় হয় না এটিকে মানুষই এইভাবে বড় করে তুলে, বনসাই গাছেরও যোগ্যতা আছে কয়েক তলা বিল্ডিং এর সমান বড় হবার।
ঠিক তেমনি একটি শিশু যখন একটি পরিবারে জন্মগ্রহণ করে তখন সে পরিবারই এই শিশুটিকে ভাল কিংবা মন্দ পথে পরিচালনা করার জন্য যথেষ্ট। শিশুটি কথা বলা হতে শুরু করে নীতি নৈতিকতা ভিত্তি এই পরিবার হতেই অর্জন করে। তাই একটি শিশুর ভাল মন্দের সকল দায়ভার পরিবার তথা মা, বাবার উপরই প্রথম আসে।সেটা আপনার আমার কাহারো অস্বীকার করার উপায় নাই, আপনি ইকটুখানি লক্ষ করুণ আপনার সামনে যখন কোন শিশু সুন্দর আচরণ করে তখন আপনি মুগ্ধ হয়ে শিশুটির প্রশংসা করার পাশাপাশি এটাও বলেন যে তার মা, বাবা নিশ্চয়ই অনেক ভদ্র, বাচ্চাটাকে কত সুন্দর শীষ্টাচার শিক্ষা দিয়েছে। পক্ষান্তরে ঐ শিশুটিই যখন কোন মন্দ আচরণ করে শিশুকে আপনি যতখানি না দোষারোপ করেন তারচেয়েও তার মা, বাবাকে দোষ দেন বেশি যে, কেমন মা বাবা যে তার বাচ্চাকে নূন্যতম ভদ্রতা শেখাতে পারে না?
আপনি যে কথাটি বলছেন ইসলাম একই কথা বলে।দেখুন…
রাসূল (সঃ) এরশাদ করেনঃ প্রত্যেক শিশু ফেতরাতের (সত্য গ্রহণের যোগ্যতা) উপর জন্মগ্রহণ করে। অতঃপর তার পিতামাতা তাকে হয়ত ইহুদী বানায়, নয়তো নাসারা কিংবা মাজুসী বানায়। (বুখারী ও মুসলিম)।
এবার মূল পয়েন্টে আসুন যারা আজ ঐশীকে মহা অপরাধে অপরাধী বলছেন তারা ইকটু ভাবুন ঐশীকে এইভাবে তৈরি করেছে তার পরিবার সুতরাং তাদের এই করুণ পরিণতির জন্য তাদের মা বাবাই সিংহভাগ দায়ী।
কেননা কেউ যদি কুকুরকে আইডল মনে করে তাহলে কুকুর তো ঘু খাবেই।
বিষয়: বিবিধ
১৬৭৩ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন