ঐশীর বাবা, মার মৃত্যুর রহস্য উম্মোচন!

লিখেছেন লিখেছেন ফাহিম মুনতাসির ১৮ আগস্ট, ২০১৩, ০৩:৫১:২৯ দুপুর

বর্তমানে ফেইসবুকে আলোচিত একটি নাম হচ্ছে ঐশী! একজন মানুষ আলোচনার মধ্যমণি হয় সর্বাধিক ভাল কিংবা ঘৃণ্য কাজ করে। তবে ঐশী ভাল কোন কাজের জন্য এতটা সমালোচিত নয় এই সন্তান নামের কু -সন্তানটি তার আপন মা, বাবাকে হত্যা করে এই সমালোচনার স্থান দখল করে। ঐশীর জীবন চলাচল কেমন ছিলো আমি জানি না।এখানে শুধু ঐশী দায়ী নয়, ঐশীর মা, বাবাও দায়ী হবেন তাদের মৃত্যুর জন্য যদি তারা তাদের সন্তান লালন পালনে এই দ্বায়িত্ব পালন না করেন । ড. লুৎফর রহমানের কোন একটি বইয়ে সন্তানকে মানুষ করার কিছু উপদেশ মূলক কথ অনেক দিন পূর্বে পড়েছিলাম তাই এখন আমি হুবহু বলতে পরব না কিছুটা সংযোজন বিয়োজন হতে পারে কথা গুলো ছিলো এই রকম, অত্যধিক শাসন- অত্যাচারে ছেলেমেয়ে অকালে চরিএহীন ও লম্পট হয়ে ওঠে। বাপ-মায়ের কাছ হতে সন্তান একের পর এক আঘাত পেলে সে সুখ ও শান্তির জন্য জঘন্য পথের আশ্রয় খোঁজে। ছেলেমেয়ের বয়স যখন ১৪-১৬ বৎসর তখন তাদের দিনরাত্রি কাজে ব্যস্ত রাখুন, কেন বলছি কারণ এই বয়সে ছেলেমেয়ে গোপন কাজ (অপরাধ) করতে শিখে। এই সময়টিতে তার দেহ ও মনের কাজ দিন যাতে সে কু-চিন্তা এবং কু-

পথে যেতে না পারে। যাদের সঙ্গে বয়সের পার্থক্য আছে তাদের সঙ্গে ছেলে-মেয়েকে মিশতে দেবেন না, বা এক সঙ্গে শুতেও দেবেন না। এই সময় ছেলে- মেয়েকে চোখে চোখে রাখা দরকার। তবে ছেলে- মেয়ে যেন না বুঝতে পার, তার উপর কড়া পাহারা চলছে, তাকে সন্দেহ করা হচ্ছে, এতে তার বেশি রকম অধঃপতন হতে পারে।

ছেলে-মেয়ের সামনে স্বামি- স্ত্রীতে ঝগড়া না করা। বাপ ছেলেকে কোন হুকুম দিলে ভালো হোক মন্দ হোক মায়ের চুপ থাকাই ভাল। যখন তখন কেউ কাহারও বিরুদ্ব আচারণ করবেন না।

আজ কথা বলার সময় আপনার ছেলে-মেয়ে কাহারও সাথে অপ্রিতীকর কথা বললো, এটি ক্ষুদ্র হতে ক্ষুদ্রতর আপরাধ মনে করে আপনি তাকে কিছু বললেন না। সামান্য আপরাধ বলে আপনার অবহেলা করা উচিত হয়নি কারণ বিন্দু হতেই সিন্দুর সৃষ্টি হয়। তাই আপনি তাকে ঐ জায়গায় থামিয়ে দিন, সাবধান

সাথে সাথে জনসম্মোখে সংশোধন করবেন না তাতে উল্টো ফল হতে পারে, তাই একান্তে তাকে বিষয়টি বুঝান। ছেলে-মেয়েকে মাঝে মাঝে আত্নীয়-স্বজনের বাড়িতে পাঠানো উচিত। নইলে বড় হলে সে প্রাণহীন হয়ে ওঠে। আত্নীয়-বন্ধুর জন্যমনে কোন বেদনা কিংবা ভালবাসা জাগে না.ছেলে-মেয়েকে ১৪-১৬ বৎসর বয়সে বিলাসদ্রব্যের ব্যবহার না শেখানোই অতি উত্তম। কারণটা আপনি নিজে চিন্তা করলেইবুঝতে পারবেন।

ঐশীর জীবন তার মা, বাবা এইভাবে পরিচালনা করেছিল কিনা কে জানে, তবে এইভাবে পরিচালিত হলে আমার মনে হয় সন্তান তার কু -সন্তান হবার কথা নয়।

মানুষ ভুল করে তবে ভুলকে যদি জীবনে ফুল হিসেবে ফুটাতেছে পারে তবেই জীবন সার্থক এবং সুন্দর হবে আর ভুলে ভুলে যদি জীবন যায় সুখের স্বপ্ন দেখা তার জন্য আকাশ কুসুম কল্পনা।

বিষয়: বিবিধ

২৬৭৫ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File