কেন এই পরিণতি?
লিখেছেন লিখেছেন ফাহিম মুনতাসির ০৪ এপ্রিল, ২০১৩, ০৬:০৬:৩৫ সন্ধ্যা
এইদেশের রাজনৈতিক ব্যক্তিগণ দেশের উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করে না, তারা তাদের স্বার্থ উদ্ধারের জন্য রাজনীতি করে। তা না হলে কেন আমরা স্বাধীনতার ৪২ বছর পরও দারিদ্র্যের শিকলে আবদ্ধ? তারা হয়ত যুক্তি দেখাবেন এই দেশ কৃষি প্রধান দেশ তাই এইদেশের উন্নতি দ্রুত সম্ভব নয়! বাহ্ কি চমৎকার খোড়া যুক্তি!!
কেন, দক্ষিণ কোরিয়াও তো বাংলদেশের মত অনুন্নত কৃষিভিত্তিক দেশ ছিল এবং শিল্প-ব্যবস্থাগত ঐতিহ্যও কোরিয়ার ছিল না। ফলে পঞ্চাশের দশক পর্যন্ত কোরিয়া বাংলদেশের মতই দরিদ্র ছিল। পঞ্চাশের দশকের শুরুতে সৃষ্ট গৃহযুদ্ধে কোরিয়া বিভক্ত হয়ে যাবার পর উত্তর কোরিয়া সমাজতন্ত্রের পথে অগ্রসর হয় এবং দক্ষিণ কোরিয়া মার্কিন প্রভাবে পুঁজিবাদী উন্নয়ন কৌশল গ্রহণ করে। এর ফলে এ দেশটিতে মার্কিন পুজি ও প্রযুক্তির ব্যপক অনুপ্রবেশ ঘটে। এই পরিস্থিতিতে দক্ষিণ কোরিয়া সরকার বেসরকারি খাতে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প প্রতিস্থাপনের অনুকূল বিধিমালা প্রণয়ন এবং অবকাঠামোগত সুবিধা ও প্রত্যাক্ষ ঋণ প্রধানের কর্মসূচি গ্রহণ করে। ফলে এইসব রাষ্ট্রীয় সুযোগ সুবিধা কাজে লাগিয়ে বেসরকারি খাত দ্রুত উজ্জীবিত হয়ে উন্নতি দিকে অগ্রসর হয়।
বাংলদেশও বেসরকারি খাতে সরকারি সুযোগ সুবিধা দেওয়া উচিৎ কারণ বেসরকারি শিল্প প্রতিষ্ঠানে সরকারি প্রতিষ্ঠানের মত দুর্নীতি হয় না ফলে ঐ প্রতিষ্ঠানটি দ্রুত উন্নতির দিকে অগ্রসর হয়। আর এক একটা প্রতিষ্ঠানের উন্নতির উপর নির্ভর করে দেশের উন্নতি।
আমাদেরও উচিৎ কোন উন্নত দেশের নীতি ফলো করে দেশকে স্বনির্ভরশীলতার দিকে নিয়ে যাওয়া। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে কে এই জাতির ভাগ্য পরিবর্তনে কাজ করবে? আমাদের দেশে কি একজন দেশ প্রেমিক মাহাতির জন্ম নিতে পারে না? নাকি প্রতিহিংসার রাজনীতিতেই শুধু আমরা ব্যস্ত থাকব?
বিষয়: রাজনীতি
৭৯২ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন