এ কেমন স্বাধীনতা!!!!!!!!!!!!!!!!!!
লিখেছেন লিখেছেন হরতাল ০৯ মার্চ, ২০১৩, ১০:৩৩:২৭ রাত
নবীর দুশমনদের ফাঁসির দাবীতে রাজধানীতে ইসলামী আন্দোলনের বিক্ষোভ দেশের ইসলামী জনতার সেন্টিমেন্টকে সরকার গুলি দিয়ে শেষ করতে চায় -ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ বলেছেন, সরকারের অযোগ্যতা, প্রতিহিংসাপরায়ণতা ও অদূরদর্শিতার কারণে দেশব্যাপী সহিংসতা ও হত্যাযজ্ঞের ঘটনা ঘটেছে। বিগত কয়েকদিনে সারাদেশে নারী-শিশু ও পুলিশসহ প্রায় শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছে। হাজার হাজার মানুষ গুলিবিদ্ধ ও আহত হয়েছে। অসংখ্য মানুষ গ্রেফতার হয়েছে। সারাদেশে অসংখ্য ঘর-বাড়ী দোকান-পাট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে, ধ্বংস করা হয়েছে সংখ্যালঘুদের বাড়ী-ঘর, উপাসনালয়সহ কোটি কোটি টাকার সরকারী-বেসরকারী সম্পদ। ভয়াবহ হত্যাযজ্ঞ আর ধ্বংসলীলার কারণে জাতি স্তম্ভিত, আতংকিত। ইসলামী জনতার আন্দোলনে সরকার ভীত হয়ে মসজিদ গেট বন্ধ বন্ধ করে দিয়েছে। তিনি আরো বলেন, সরকারের ইসলামবিদ্বেষী মনোভাবের বিরুদ্ধে যখন দেশের আলেম সমাজ, ইমাম-খতীব, মাদরাসার শিক্ষক, মুয়াজ্জিনসহ সর্বোপরি ঈমানদার জনতা জেগে উঠেছে, ঠিক তখনই সরকার আলেমদের ওপর গুলি আর গুলি করছে। আলেম-ওলামাদের ডেকে নিয়ে ইসলামী রাজনীতি না করার জন্য চাপ দিচ্ছে এবং ভয়ভীতি দেখাচ্ছে এই অবস্থা কোনভাবেই মেনে নেয়া যায় না।
আজ শনিবার ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগরীর উদ্যোগে দেশে বিরাজমান চরম হত্যাযজ্ঞ, সীমাহীন নৈরাজ্য, আল্লাহ ও রাসূলের অবমাননাকারীদের বিরুদ্ধে শাস্তির আইন পাশ, নাস্তিক মুরতাদসহ নষ্ট, ভ্রষ্ট ব্লগারদের ঔদ্ধত্বপূর্ণ কার্যক্রম বন্ধ এবং নাগরিক নিরাপত্তা বিধানের লক্ষ্যে আয়োজিত বিশাল সমাবেশে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখছিলেন। পল্টন হাউজ বিল্ডিং চত্বরে ঢাকা মহানগর সভাপতি অধ্যাপক মাওলানা এটিএম হেমায়েত উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন যুগ্ম মহাসচিব অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, মাওলানা আহমাদ আবদুল কাইয়ূম, মাওলানা ইমতিয়াজ আলম, ফজলুল হক মৃধা, মাওলানা এইচ এম সাইফুল ইসলাম, নুরুজ্জামান সরকার, আলহাজ্ব শফিকুল আমীন খান, এডভোকেট মোঃ মানিক মিয়া, মাওলানা নজরুল ইসলাম, মাওলানা বাছিরউদ্দিন মাহমুদ, ডা. শহিদুল ইসলাম, মোঃ ঈমান উদ্দিন, মাওলানা আলআমিন সাইফী প্রমুখ।
সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক এটিএম হেমায়েত উদ্দিন বলেন, জনগণের জানমালের নিরাপত্তা বিধান, নাগরিকদের মধ্যে ঐক্য সংহতি ও সহিষ্ণুতার মনোভাব জাগিয়ে তোলা এবং সামাজিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখার দায়িত্ব ও কর্তৃত্ব ক্ষমতাসীন সরকারের। কিন্তু অত্যন্ত দু:খজনক বাস্তবতা হলো, সরকারের মাঝে বিগত দিনে আমরা এসব দায়িত্ব পালনের মনোভাব দেখি নাই বরং সরকার নিজেই জনগণের মাঝে বিভক্তি সৃষ্টি করেছে। এক পক্ষকে আরেক পক্ষের বিরুদ্ধে উস্কে দিচ্ছে এবং প্রতিপক্ষ দমনে পুলিশ, বিজিবিকে পৈশাচিকভাবে ব্যবহার করেছে। আচরণে মনে হচ্ছে তারা নাগরিকদের এক অংশকে রক্ষা এবং আরেক অংশকে ধ্বংস করার জন্য ক্ষমতায় এসেছে। কোন বিবেকবান মানুষের পক্ষে সরকারের এহেন কান্ডজ্ঞানহীন আচরণ মেনে নেয়া সম্ভব নয়।
তিনি আরো বলেন, সরকার সারাদেশে বিক্ষুব্ধ জনতার ওপর পুলিশ, বিজিবি দিয়ে গুলি চালিয়ে বিরোধী দলকে রুখে দিচ্ছে কিন্তু শাহবাগে মাসব্যাপী অবস্থানকারীদেরকে সহযোগিতা করছে। শুধু দাড়ি, টুপিওয়ালাদেরকে রাজাকার সাজিয়ে দেশের ধর্মপ্রাণ ইসলামী জনতাকেও আঘাত করছে। তিনি বলেন, সরকার নবম শ্রেণির ধর্ম ও নৈতিকতা শিক্ষা পাঠ্যে ‘দেব-দেবির নামে জবেহ করা পশুর গোস্ত খাওয়া হালাল’ বলে ইসলাম নিয়ে তামাশা শুরু করেছে। সরকার কৌশলে নতুন প্রজন্মকে নাস্তিক বানাতে চায়।
দ্রব্যমূলের উর্ধ্বগতিতে জনগণের নাভিশ্বাস এমতাবস্থায় জনগণের কথা বেমালুম ভুলে সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য মরিয়া হয়ে উঠছে।
তিনি বলেন, সরকার মিডিয়ার ওপর দমনপীড়ন শুরু করেছে। বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনের দায়ে আমার দেশ পত্রিকা ও সসম্পাদকের কণ্ঠরোধ করতে চাইছে। অপরদি সাংবাদিকদের ওপর পুলিশী নির্যাতন চলছে। যা কোনভাবেই সমর্থন যোগ্য নয়। যারা সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ঘরবাড়ী, মন্দির আক্রমণ করছে, যারা সরকারী স্থাপনা, রেল, সড়ক পথ ধ্বংস করছে, আগুন দিচ্ছে, থানা-ফাড়ি লুট করছে, পুলিশকে হত্যা করছে তাদের খুঁজে বের করে গ্রেফতার করুন। আর যেসব ব্লগার নাস্তিকরা ইসলাম বিরোধী প্রচারণা চালিয়েছে তাদেরকে অবিলম্বে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনুন। নয়তো পরিস্থিতি আরো খারাপ হবে। আপনাদের পরিণতিও ভয়াবহ হবে। কর্মসুচী : আগামী ১২ মার্চ মঙ্গলবার দেশব্যাপী জেলা প্রশাসকের বরাবর স্মারকলিপি ১৩ মার্চ জাতীয় সংসদের স্পিকারের নিকট স্মারকলিপি প্রদান।
বিষয়: রাজনীতি
১১৫৪ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন