সকল প্রশংসা একমাত্র মহান আল্লাহ'র
লিখেছেন লিখেছেন হরতাল ০৪ মার্চ, ২০১৩, ০৯:৪৯:৫১ সকাল
''তোমরা তাদেরকে মন্দ বলো না, যাদের তারা আরাধনা করে আল্লাহকে ছেড়ে। তাহলে তারা ধৃষ্টতা করে অজ্ঞতাবশতঃ আল্লাহকে মন্দ বলবে।'' সুরা আল আনাম ১০৮।
যেখানে আল্লাহ বিধর্মীদের দেবতাদের গালি দিতে নিষেধ করেছেন সেখানে ভাংচুর জায়েজ করার তো প্রশ্নই আসে না । অসম্ভব । সত্যিকারের মুসলমান এই কাজ কখনই করবে না ।
এই কাজ তারাই করবে যারা নাম মুসলিম কিন্তু বিশ্বাসে শাহবাগী নাস্তিক সেকুলার। বা আওয়ামী সেকুলার। যারা ইসলামের শত্রু তারাই। তারাই এই জঘন্য কাজ করে মুসলমানদের ফাসাতে চেষ্টা করবে । বাংলাদেশের ইতিহাস তাই বলে। অন্তত বিগত কয়েক বছরের ইতিহাস ঘটলে খুব সু স্পষ্ট হয়ে যাবে ইনশা আল্লাহ।
খুবই লজ্জা পেলাম একজন ডক্টরেট করা উচ্চ শিক্ষিত লোকের কমেন্ট দেখে। তিনি খুবই লজ্জিত হচ্ছেন অন্য ধর্মাবলম্বীদের কথা শুনে যে তাদের মন্দির নাকি ভাংচুর করা হচ্ছে ।
এই ভদ্রলোকের লজ্জা হয় না যে মসজিদে পুলিশ নির্বিচারে গুলি টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে যেখানে প্রতি ১০০ জনের মধ্যে ৮৫ জন মুসলমান পরিবারের সন্তান।
এই ধরনের কুলাঙ্গার ধর্ম জ্ঞান পাপী শিক্ষকদের জন্য ছাত্ররা ইসলাম সম্পকে উল্টা শিখছে। এবং খারাপ ধারণা পোষণ করছে যা নাস্তিক্য বাদের মূল কারণ। এই ধরনের মুসলমান নাম ধারীদের ধর্মী জ্ঞানহীন ধর্ম বিরূপ কথার কারণে সমাজে নাস্তিকদের আবির্ভাব ঘটে।
শুনেন মুসলমান ভাই বোন,
কোনো মুসলমান কোনো দিন কখনই ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের উপর হামলা করে না বা তাদের প্রতিমা ভাঙ্গে না। অসম্ভব না । অসম্ভব। কারণ কুরানে আল্লাহ স্পষ্ট নিষেধ করে দিয়েছেন তাদের দেবতাকে ''গালি'' পর্যন্ত না দিতে ।
শুনেন মুসলমান, আপনি মুসলমান আপনার মর্যাদা সমগ্র দুনিয়ার সৃষ্টির মধ্যে উত্তম ।
শুনেন কোনো মুসলমান হিন্দুর মূর্তি ভাঙ্গে না । অসম্ভব না ।
তাহলে ভাঙ্গে কে?
** ভাঙ্গে তারাই যারা নাম মুসলমান বা লেবাসে মুসলমান অন্তরে নাস্তিক সেকুলার!
** ভাঙ্গে তারাই যারা ইসলামকে জঙ্গি বানাতে চায়।
** ভাঙ্গে তারাই যারা ইসলাম বিরোধী আইন করতে চায়।
** ভাঙ্গে তারাই যারা কাফেরদের সমর্থন নেওয়ার কু কৌশলে লিপ্ত ।
** ভাঙ্গে তারাই যারা নাস্তিক কে শহীদ বানায়।
** ভাঙ্গে তারাই যারা নাস্তিকের জানাজা মহিলা পুরুষ একসাথে পড়ায়!
**ভাঙ্গে তারাই যারা দেশে ধর্ম নিরপেক্ষতা কায়েম করতে চায়।
এর প্রমান,
আল্লাহ বলেন,
''তারা ধোঁকা দেয়ার জন্যে একে অপরকে কারুকার্যখচিত কথাবার্তা শিক্ষা দেয়। যদি আপনার পালনকর্তা চাইতেন, তবে তারা এ কাজ করত না।'' সুরা আল আনাম ১১২।
''তারা আল্লাহ এবং ঈমানদারগণকে ধোঁকা দেয়। অথচ এতে তারা নিজেদেরকে ছাড়া অন্য কাউকে ধোঁকা দেয় না অথচ তারা তা অনুভব করতে পারে না।''- সুরা বাক্বারাহ ৯ ।
শিবিরের পোলাপাইন মদ তারি খায় বলে বিশ্বাস করিনা যে ওরা মাতাল হয়ে নিজের পায়ে নিজেরাই কুড়াল মারবে । অসম্ভব। এটা পক্ষ পাতিত্ব বা সাপোর্ট নয়।
শিবিরের পোলাপাইন এমনিতেই নানা সমস্যায় আছে। তারা ভালো করেই জানে মন্দির ভাঙ্গার দায় তাদের উপরেই চাপাবে মিডিয়া ও সরকার। আর এটা তো সহজেই অনুমেয় যারা ধর্মের ধার ধরে না মোটেও তারাই মন্দির ভাঙ্গবে অন্যদের ফাসাতে। যারা নির্দোষ একজন কে অন্যের দোষে মিথ্যা স্বাক্ষী দিয়ে ফাঁসি দিতে পারে তারাই মন্দির ভেঙ্গে ইসলামের পক্ষের লোকদের ফাসাতে চাইবে এটাই তো স্বাভাবিক।
** মুসলমান কখনই অন্য ধর্মের লোকদের আঘাত অবশ্যই দেয়না।
** দিচ্ছে তারাই যারা ইসলামকে ফাসাতে চায়।
**যারা জঙ্গিবাদের আওয়াজ দিয়ে মানুষকে তথা বাংলাদেশের মুসলমানদের দমাতে চায়।
সাম্প্রতিক ঘটনা মেলালে সহজ হয়ে যাবে। চিন্তা করেন যেখানে ১০০ জনের মধ্যে ৮৫ জন মুসলমান সেখানে হ্জিন্দুদের মন্দির ভাঙ্গতে কেনই বা যাবে? এত দিন ভাঙ্গে নাই এখন কেন ভাঙ্গবে?
আরে মুসলমান কি অতি বোকা শাহবাগিদের মতন?
হে মুসলমান শুনে রাখুন, যারা ভিন্ন ধর্মের মূর্তি ভাঙ্গে তাদের কাওকেই আপনি পাবেন না যে একটাও ইসলাম সম্পর্কে নুন্যতম জ্ঞান রাখে। একটাও নামাজি পাবেন না ইনশা আল্লাহ।
যারা ভাঙ্গে তারা নাম মুসলমান হতেও পারে। নাস্তিক বামদের মত নাম মুসলমান কিন্তু বিশ্বাস বা আক্বিদা হচ্ছে ধর্ম নিরপেক্ষতা অএরা তো সু স্পষ্ট কুফরীতে লিপ্ত।
এই এরাই ভাংছে । এই এরাই টুপি মাথায় পড়ে মন্দির ভাংছে যাতে মিডিয়ার দ্বারা কাফের রাষ্ট্রকে দেখাতে পারে সামনে ইলেষণ আমাদেরকে সমর্থন দাও তা না হলে দেশ জঙ্গি হয়ে যাবে! ৮০ জন মুসলমান মরলে মোটেও দোষ নাই একজন হিন্দুর মূর্তি ভাঙ্গলে কঠিনতর অপারধ !
দুখিত মনে কষ্ট নিবেন না। বাস্তব উদাহরণ কষ্ট লাগলেও কিছু করার নাই। সাইদী সাহেব যখন এমপি ছিলেন তার এলাকায় কয়টা মন্দির ভাঙ্গা হয়েছে? অথচ উনি এলাকার এমপি যিনি জামায়াত নামক ধর্মীয় দলের নেতা!! উনি ক্ষমতায় থেকে মন্দির ভাঙ্গলেন না কেন এখন উনার দলের লোকের এমন্দির ভাংতেছে? আরে মাথা কি পুইরাই নষ্ট হইয়ে গেল?
মসজিদের ভিতরে গুলি হলে তাদের প্রতিবাদ নাই।
নাস্তিকেরা আল্লাহ ও রাসুল (সাঃ) কে নিয়ে কত জঘন্য কথাই না বলল মুসলমানের বাচ্চা হলে ওরা অন্তত ঘৃনা প্রকাশ তো করত কিন্তু করে নাই ।
মসজিদের ভিতরে টিয়ার শেল মারা হলো ।
চিন্তা করেন শুধু এই ধরনের মুসলমানদের কথা! ওরা নিজের মসজিদে গুলি হলেও গলা দিয়ে আওয়াজ বের হয়না । আর মন্দিরের মূর্তি কে না কে ভাংছে আদৌ ভাংছে কিনা না জেনেই শুধু শুনেই সে কি মায়া কান্না। এখন সে খুব খুব ইসলামিক হয়ে গেছে। কারণ আল্লাহ অন্য ধর্মকে গালিই দিতে নিষেধ করেছেন সেখানে মূর্তি ভাঙ্গা তো দুরের কথা! তাই তারা এখন কান্না কান্না ভাব ধরে নিজেদের লজ্জা ঢাকার জায়গা খুজতেছেন!!
শাহবাগের বাথরুম গুলোতে গিয়ে মুখ লুকানোর আহবান করছি ।
হিন্দুদের মূর্তি ভাঙ্গা আর ভাস্কর্যের নাম পথে ঘটে মূর্তি ভাঙ্গা অবশ্যই এক বিষয় নয়।
কিছু নিকৃষ্ট কুলাঙ্গার প্রচার করে ''দুর্বৃত্তরা'' অমুক ভাস্কর্য ভাংচুর করেছে! যারা এই কথা বলে তাদের কে জাস্ট স্মরণ করিয়ে দিবেন, মহা নবী রাসুলুল্লাহ (সাঃ) স্বয়ং আদেশ দিয়েছেন ''ভেঙ্গে দাও সকল ছবি মূর্তি - সহিহ মুসলিম''!!
ওই কুলাঙ্গার কাকে দুর্বৃত্ত বলতেছে? রাসুল (সাঃ) বলেছেন মূর্তি ভাঙ্গ আর যারা ভাংতেছে তাদেরকে ওরা বলতেছে ''দুর্বৃত্ত' !!
ওই কুলাঙ্গারেরা কেন প্রতিবাদ করে নাই যখন এই মূর্তি বানানো হয়েছিল? বানানোর সময় কিছু বলে নাই এখন বলে কেন?
হতে পারে সে বহুত বড় পন্ডিত কিন্তু ইসলামের নুন্যতম সঠিক জ্ঞান তার নাই বলেই সে এইধরনের কথা বলতে পারে।
যে-ই এই ধরনের কথা বলে সে এটাই প্রমান করে তার মোটেও ইসলামের বেসিক সঠিক জ্ঞান নাই ।
কোনো মুসলমান যদি নিজেকে মুসলিম দাবি করে সে অবশ্যই কখনই কোনো বিধর্মীর দেবতাকে সামান্য অসম্মান পর্যন্ত করবে না ভাংচুর তো দুরে থাক। কোনো মুসলমান কোনো মুর্তিকেই সম্মানও দিবে না অসম্ভব!
আরে মুসলমান হয়েছিই তো মূর্তির বিরুদ্ধে। সেই মুর্তিকেই আমার সম্মান দিবে মুসলিম?
৮০/৮৫% জনের দুক্ষ তাদের কাছে দুক্ষ নয়। ১৩% হিন্দুর দুক্ষে তারা এত কাতর তারমানে তার মধ্যে সমস্যা আছে।
এ তো সে যে মুসলমানদের সামনে জুম্মার নামাজ পরে দেখায় সে মুসলমান আবার হিন্দুদের কাছে গিয়ে বলে আমরা তোমরা ভাই ভাই! এ তো সে ! এর সম্পর্কেই তো কুরানে সুরা বাকারায় ৮-৯ আয়াতে বলা হয়েছে,
'আর মানুষের মধ্যে কিছু লোক এমন রয়েছে যারা বলে, আমরা আল্লাহ ও পরকালের প্রতি ঈমান এনেছি অথচ আদৌ তারা ঈমানদার নয়। তারা আল্লাহ এবং ঈমানদারগণকে ধোঁকা দেয়। অথচ এতে তারা নিজেদেরকে ছাড়া অন্য কাউকে ধোঁকা দেয় না অথচ তারা তা অনুভব করতে পারে না।'
বিশ্বাস রাখুন আল্লাহর এই আয়াতে,
''তারা ধোঁকা দেয়ার জন্যে একে অপরকে কারুকার্যখচিত কথাবার্তা শিক্ষা দেয়। যদি আপনার পালনকর্তা চাইতেন, তবে তারা এ কাজ করত না।'' সুরা আল আনাম ১১২।
হে মুসলিম ভাই মিথ্যা প্রপাগান্ডায় নিজেকে জড়াবেন না। নিজেরা নিজেরা কলহে যাবেন না ।
'আমাদের আল্লাহর উপর ভরসা না করার কি কারণ থাকতে পারে, অথচ তিনি আমাদেরকে আমাদের পথ বলে দিয়েছেন। তোমরা আমাদেরকে যে পীড়ন করেছ, তজ্জন্যে আমরা সবর করব। ভরসাকারিগণের আল্লাহর উপরই ভরসা করা উচিত।' সুরা ইব্রাহিম - ১২।
হে যুবল তোমাকে যদি কেউ উস্কানি দেয় ধর্মের নাম মূর্তি ভাঙ্গার খবরদার কুরানে তোমাকে স্বয়ং আল্লাহ নির্দেশ দিয়েছেন তাদের দেবতাকে ''মন্দ'' পর্যন্ত বলো না ভাংচুর তো দুরের কথা ।
তোমাকে রাসুল (সাঃ) মূর্তি ভাঙ্গতে নির্দেশ দিয়েছেন সেই মূর্তি যেটা মুসলমান হয়েও বানিয়েছে সাজিয়েছে সম্মান দিয়েছে যাকে আজকাল ভাস্কর্য বলা হয় । তোমার ক্ষমতা থাকলে সেগুলো ভাঙ্গ । তোমার গলায় মূর্তির লোকেট, চাবির রিং, ঘরে মূর্তির শো পিছ, ৮০/৮৫% মুসলমানর দেশের রাস্তার পাশে পাশে প্রতিকৃতি ভাস্কর্য মূর্তি ! এগুলো সম্পর্কেই বলা হয়েছে ''ভেঙ্গে দাও সকল ছবি মূর্তি - সহিহ মুসলিম' । কোনো বিধর্মীর মূর্তি নয় ।
অতএব সাবধান। নিজের ধর্মকে ওদের হাতে তুলে দিও না যুবক! পরিনতি ভালো নয় না ইহকালে আর না পরকালে।
বিষয়: বিবিধ
১৫৪৯ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন