"কাফের, মোনাফেক ফতোয়ার ছড়াছড়ি কোন পথে যাবে ধর্মপ্রাণ মানুষ?
লিখেছেন লিখেছেন তাইছির মাহমুদ ১৮ জানুয়ারি, ২০২০, ০৩:৫৫:৫৬ রাত
"কাফের, মোনাফেক, ফাসেক" এই তিনটি শব্দকে খুবই ভয় হয়। বিশেষ করে একজন আলেম যখন আরেক আলেমকে লক্ষ্য করে এইসব শব্দবান ছাড়েন তখন বুকটি কেঁপে ওঠে। ইসলামিক স্কলারদের মতে, যে ব্যক্তি কাফের তাকেও কাফের বলা উচিত নয়, কারণ মৃতু্যর আগে সে আল্লাহ তায়ালার ওপর বিশ্বাস স্থাপন করতে পারে।
বাংলাদেশে এখন ওয়াজের ভয়াবহ অবস্থা। বক্তারা স্টেজে উঠার সাথে সাথে বেসামাল হয়ে পড়েন। কেউ সুরেলা কণ্ঠে হরিনির কিচ্ছা শুনিয়ে মানুষকে ফানাফিল্লাহ করার চেষ্টা করছেন । কেউ মাহফিলের ভেতরে বিড়ি খেয়ে ধোয়া তোলার মিথ্যা কল্প-কাহিনী শুনিয়ে ধর্মপ্রাণ মানুষকে বিনোদন দেয়ার চেষ্ট করছেন, আর কেউ হিংসার আগুনে পুড়ে অন্য বক্তাকে উদ্দেশ্য করে কাফের, মোনাফেক, ফাসেক ফতোয়া দিচ্ছেন।
এসব থেকে সাধারণ ধর্মপ্রাণ মানুষকে বাঁচাতে হবে। কিন্ত কীভাবে? ধর্মীয় বিষয় খুবই সেনসেটিভ। কে কী বলবে? কথা মনোপুত না হলেই তো ভাগ্যে জুটবে কাফের, মুনাফেক ফতোয়া। এই ভয়ে এ নিয়ে কেউ তেমন কথা বলেন না।
বাংলাদেশের তরুণ সমাজ এখন ওয়াজে যায়। ওয়াজ শুনতে চায়। একেকটি মাহফিলে ৪/৫ লক্ষ মানুষের সমাগম হয়। তাই ওয়াজকে একটি শৃংখলার মধ্যে নিয়ে আসা খুবই জরুরী। দলমত নির্বিশেষে দেশের বরেন্য আলেমদের নিয়ে সরকারীভাবে একটি 'ওয়াজ মনিটরিং কমিটি' করা যেতে পারে। যে কমিটি ওয়াজ মাহফিলগুলো মনিটর করবে।
বক্তা যদি আপত্তিকর কিছু বলেন, অর্থাৎ কাউকে কাফের, মুনাফেক, মুশরেক ফতোয়া দেন তাহলে তাঁর কাছে নোটিশ পাঠাবেন । তারপরও করলে সতর্ক করে দেবেন। এরপরও যদি তিনি ফতোয়াবাজী থেকে ক্ষান্ত না হন তাহলে তাকে অফিশিয়ালী নিষিদ্ধ করবেন।
বিষয়: বিবিধ
৮৮৮ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন