"হযরত শাহজালাল (রহঃ) কি জাতীয় নির্বাচনে কোনো ভুমিকা রাখতে পারেন"?
লিখেছেন লিখেছেন তাইছির মাহমুদ ২২ ডিসেম্বর, ২০১৮, ০৪:৫৫:৫০ বিকাল
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সিলেট গেছেন। তিনি হযরত শাহজালাল ও শাহপরানসহ আরো বেশ ক'জন ওলির মাজার জেয়ারত করেছেন। বক্তব্য রাখবেন সরকারী আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে নির্বাচনী সমাবেশে। একাদশ জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে এটি সম্ভবত দ্বিতীয় সিলেট সফর মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর।
নাহ, শুধু তিনিই সিলেট সফর করেননি। ইতোমধ্যে প্রধান বিরোধীদলগুলোর অধিকাংশই সিলেটে মাজার জেয়ারত শেষে তাঁদের আনুষ্ঠানিক নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেছে। ড. কামাল হোসেন, মীর্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, চৌধুরী জাফর উল্লাহসহ ঐক্যফন্টের শীর্ষ নেতারা গিয়েছেন। গিয়েছেন জাপা চেয়ারম্যান হোসাইন মোহাম্মদ এরশাদও।
এটা নতুন কিছু নয়। নির্বাচন এলেই সকল রাজনীতিক সিলেটে ছুঁটে যান। মাজার জেয়ার শেষে আনুষ্ঠানিক ক্যাম্পেইন শুরু করেন। এটি একটি রেওয়াজ হয়ে গেছে।
যাঁরা মাজার জেয়ারতে যান, তাঁরা নিশ্চয় একটা উদ্দেশ্য নিয়ে গিয়ে থাকেন। হয়তো মনে করেন, হযরত শাহজালাল একজন বড় ওলি ছিলেন। তিনি সিলেটে শায়িত আছে। তাঁর কাছে চাইলে তিনি নির্বাচনে পাশ করিয়ে দিতে পারবেন। জাপা চেয়ারম্যান হোসাইন মুহাম্মদ এরশাদ এই তো কয়েকমাস আগে সিলেটে মাজার জেয়ারত করতে গিয়েছিলেন। তিনি জেয়ারত শেষে টিভি ক্যামেরায় প্রকাশ্যে বললেন, বাবার কাছে (শাহজালাল রহঃ) দোয়া করলাম। তিনি যেনো তা কবুল করেন।
আল্লাহর একজন ওলি সিলেটের মাটিতে শুয়ে আছেন। যদি কেউ
এমনিতেই সিলেট যায়, আর দরগা মসজিদের নামাজ শেষে জেয়ারত করে আসে তাহলে তাতে ক্ষতির কিছু দেখি না। কিন্তু শুধু যদি মাজার জেয়ারতের উদ্দেশ্যে সিলেট যাওয়া হয়, আর জেয়ারত শেষে শাহজালালের কাছে সাহায়্য চাওয়া হয়, তাহলে তা কতটতু যৌক্তিক ও শরীয়তসম্মত হবে?
ছয় শত বছর আগে কবরে শায়িত হযরত শাহজালাল (রহঃ) আসলেও কি কাউকে কোনোভাবে সাহায্য করতে পারবেন? তাঁর কোনও কিছু করার ক্ষমতা আছে কি?
এ নিয়ে বিশিষ্ট ইসলামিক স্কলারদের মতামতের আলোকে একটি বিশ্লেষণমুলক প্রতিবেদন লিখার চেষ্টা করছি । চোখ রাখুন, অপেক্ষা করুন এবং এ ব্যাপারে আপনার ব্যক্তিগত মতামত জানিয়ে সহযোগিতা করুন।
বিষয়: বিবিধ
৮০৮ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন