নির্ঘুম রাত্রি ও বিমানবন্দরে দুর্বিসহ ৫ ঘণ্টা কারস্বার্থে চালু হচ্ছেনা 'সিলেট-লন্ডন' সরাসরি ফ্লাইট
লিখেছেন লিখেছেন তাইছির মাহমুদ ১২ নভেম্বর, ২০১৭, ১০:৩৩:১১ সকাল
২০০৩ সালে যখন প্রথম লন্ডন আসি, তখন আকাশ পথে বাহন ছিলো বাংলাদেশ বিমান । এরপর বিভিন্ন সময় দেশে যাওয়া হয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশ বিমানে নয়, অন্যান্য এয়ারলাইন্সে । কারণ অন্যান্য এয়ারলাইন্স নির্ধারিত সময়ে আকাশে ওড়ে । সময়মতো গন্তব্যে পৌঁছে। সার্ভিস ভালো। ভাড়াও বিমানের চেয়ে কম।
কিন্তু দীর্ঘ চৌদ্দ বছর পর এবার বিমানে যেতে মন চাইলো । কারণ একটিই। লন্ডন-সিলেট সরাসরি ফ্লাইট । ৯ ঘণ্টায় সিলেট পৌছা
যায় । ঢাকায় ট্রানজিটে অপেক্ষা করতে হয়না ।
২০ অক্টোবর (২০১৭) শুক্রবার বিকেল সোয়া ৬টায় ছিলো বিমানের সিলেটগামী ফ্লাইট। সাধারণত ৫টার অনেক আগে বিমানের কাউন্টার বন্ধ হয়ে যায়। তাই ৫টার আগে কাউন্টারে পৌছতে হয়। লন্ডন শহরের প্রচণ্ড ট্রাফিকে আটকা পড়ে বিমানের কাউন্টারে পৌছলাম ৫টা ৪০ মিনিটে। নিশ্চিত ছিলাম ফ্লাইট পাবো না। এয়ারপোর্ট থেকে ফিরে আসতে হবে। কিন্তু কাউন্টারে পৌঁছে দেখলাম তখনও ১৫/১৬জন যাত্রী ব্যাগেজসহ দাঁড়িয়ে আছেন। অপেক্ষা করছেন বোর্ডিং পাসের জন্য।
তাই ফ্লাইট নিয়ে দুশ্চিন্তা কেটে গেলো। ভাবলাম সকলের যে গতি আমারও তা-ই হবে। অন্যদের মতোই বেল্টে ব্যাগেজ ছেড়ে দিয়ে বোর্ডিং পাস নিয়ে ডিপার্চার গেইট হয়ে সিকিউরিটি চেকিং শেষে বিমানে ওঠলাম। অন্যান্য যাত্রীরাও কিছুক্ষণের মধ্যে বোর্ডিং পাস নিয়ে বিমানে আরোহন করলেন।
যাত্রীবোঝাই বিমান । উড্ডয়নের জন্য একেবারেই প্রস্তুত । হঠাৎ ঘোষণা, "সম্মানিত যাত্রীসাধারণ আমাদের কিছু যাত্রী দেরিতে আসার কারণে বিমান উড্ডয়ে দুই ঘণ্টা বিলম্ব হবে। এজন্য আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখিত।" প্রথমে বাংলায় পরে ইংরেজিতে ঘোষনা দেয়া হলো।
ঘোষণাটি শুনে আমার দারুন হাসি পেলো । কারণ এ ধরনের ঘোষণা ইতিপুর্বে কোনো এয়ারলাইন্সে শুনেছি বলে মনে নেই । বাংলাদেশে আন্তনগর ট্রেন দুরের কথা- কোনো দুরপাল্লার বাসকেও কোনোদিন যাত্রীর জন্য অপেক্ষা করতে দেখিনি। সময়ের বাস নির্ধারিত সময়ে ছেড়ে যায়। কিন্তু বাংলাদেশ বিমান এতো দয়ালু যে তারা যাত্রীদের জন্য অপেক্ষা করেন । বিষয়টি ভেবে বুকখানি ছাতি পর্যন্ত ফুলে ওঠেছিলো।
কিন্তু পাশের সীটের যাত্রী ফ্লাইট বিলম্বের গোমর ফাঁস করে দেয়ায় ছাতি পর্যন্ত ফুলেওঠা বুক আবার স্বাভাবিক হয়ে গেলো। তিনি মুখ ভ্যাংচিয়ে বললেন- দেখুন, অ্যানাউন্সমেন্টের ধরন দেখুন। তারা কাউন্টারে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে যাত্রীদের বোর্ডিং পাস দিতে পারেনি। এটা তাদের ব্যর্থতা। কাজ করে আস্তে আস্তে। আর এখন ঘোষণা দিচ্ছে যাত্রী দেরিতে আসার কারণে ফ্লাইট দেরি হচ্ছে।
আমার বাম পাশে ছিলেন একজন বৃটিশ যাত্রী। ইংলিশ ঘোষণা শুনে তিনিও হেসে ওঠলেন। আমাকে লক্ষ্য করে বললেন, বিমানের যাত্রী হওয়ায় চমৎকার একটি অ্যানাউন্সমেন্ট শুনতে পেলাম। এধরনের অ্যানাউন্সমেন্ট আগে কখনো শুনিনি।
সে যাক। আমার লেখার উদ্দেশ্য সিলেটগামী ফ্লাইট নয়। বিষয়বস্তু ফিরতি ফ্লাইট। অর্থাৎ 'সিলেট-লন্ডন' ফ্লাইট নিয়ে। যেহেতু প্রায় সাড়ে তিনশত যাত্রী ধারণক্ষমতা সম্পন্ন বোয়িং এয়ারক্রাফটি সিলেট সরাসরি যায়, তাই ধারণা ছিলো ওই ফ্লাইটই সম্ভবত সিলেট থেকে যাত্রী নিয়ে লন্ডন ফিরবে । হয়তো ঢাকায় ঘণ্টা খানেক রেখে নতুন যাত্রী নিয়ে লন্ডন অভিমুখে ফ্লাইট দিবে। আর এজন্যই বিমানে গিয়েছিলাম। কিন্তু আমার ধারণা যে একেবারেই ভুল, তা টের পেলাম ফিরতি ফ্লাইটের দিন। অর্থ্যাৎ পয়লা নভেম্বর ভোর পৌনে ৬টার ফ্লাইটে।
ফিরতি ফ্লাইট যখন ভোরে, তাই শহর থেকে ৮০ মাইল দূরের গ্রামের বাড়ি থেকে গভীর রাতে এসে ফ্লাইট ধরা যায়না । তাই বিকেলের আগেই শহরে পৌঁছতে হলো । এক বন্ধুর বাসায় অর্ধরাত্রি যাপন করবো । তিনি রাতের বেলা ওঠে ড্রাইভ করে আমাকে এয়ারপোর্ট পৌছে দেবেন। যেহেতু সোয়া ৫টায় ফ্লাইট তাই দুই ঘণ্টা আগে অর্থাৎ ৩টার মধ্যে এয়ারপোর্ট পৌঁছতে হবে। তাহলে শহর থেকে বের হতে হবে কমপক্ষে আড়াইটার মধ্যে। আর ঘুম থেকে ওঠে হাত মুখ ধুয়ে চা খাওয়ার জন্য দরকার হবে কমপক্ষে আরো আধঘণ্টা। তাহলে ঘুম থেকে জাগতে হবে রাত ২টার মধ্যে। বিছানায় গড়াগড়ি করে ঘুমানোর চেষ্টা করি । কিন্তু ঘুম হয়না । কারণ ২টায় বের হতে হবে। খামাখা একটা টেনশন মাথায় ঘুরপাক খায় । মেটেও ঘুম হয়না ।
চা-নাস্তা সেরে রাত ২টার মধ্যে বাসা থেকে বের হলাম। আড়াইটার মধ্যে সিলেট ওসমানী বিমানবন্দরে পৌছে যাত্রীদের লাইনে দাড়ালাম। ঘন্টা খানেক সময় লাগলো বোর্ডিং পাস পেতে। এরপর সিকিউরিটি চেক শেষে কনকোর্স হলে ফ্লাইটের জন্য অপেক্ষায় বসে থাকলাম । ফ্লাইট এলো যথাসময়ে । ছাড়লোও সময় মতো। ৬টার মধ্যেই হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌছে গেলাম । ছোট দুটো এয়ারক্রাফটে করে আমাদেরকে ঢাকা নিয়ে যাওয়ার কারণে আমার সন্দেহ হলো, ঢাকাতে বোধহয় অপেক্ষা করতে হবে। ঢাকায় পৌছে জানতে পারলাম আমাদের ফ্লাইট হবে সকাল সোয়া ১০টায়। অর্থাৎ সোয়া ৪ ঘণ্টা এয়ারপোর্টে বসে থাকতে হবে। সারারাত একবারও ঘুমাইনি। আগেরদিন দুপুর ১টায় বাড়ি থেকে বেরিয়েছি। আর পরদিন সকাল সোয়া ১০টায় ফ্লাইট। ৯ ঘণ্টার লন্ডন ফ্লাইটে ওঠার আগেই ২০ ঘণ্টা ট্রাভেলিং হয়ে গেছে।
করার কিছু নেই। ঘুমে ঢুলুঢুল দুচোখ। শুধু আমিই নয়। আমার মতো অবস্থা প্রায় তিন শতাধিক লন্ডন যাত্রীর । এয়ারপোর্টে তন্দ্রাচ্ছ অবস্থায় পড়ে আছেন। কেউ বেঞ্চে হেলান দিয়ে, কেউ শুয়ে নাক ডাকাচ্ছেন। সকলেই নির্ঘুম ক্লান্ত-শ্রান্ত । কারণ প্রত্যেককে আমার মতো আগের দিন দুপুরে বাড়ি থেকে বের হতে হয়েছে। কেউ মৌলভীবাজার, কেউবা হবিগঞ্জ, নবীগঞ্জ কিংবা সুনামগঞ্জ থেকে এসেছেন। শহরে কোনো স্বজনের বাসায় রাত্রিযাপন করেছেন। নতুবা হোটেলে অর্ধরাত কাটিয়ে মধ্যরাতে এয়ারপোর্ট পৌছেছেন। সারারাত একটুও ঘুম হয়নি। এখন শাহজালাল এয়ারপোর্টে সোয়া ৪ ঘণ্টা বসে থাকতে হবে। নির্ঘুম রাত্রি কাটিয়ে সকালে ফ্লাইটের জন্য এয়ারপোর্টে অপেক্ষা করা যে কত কষ্টের তা ভুক্তভোগী ছাড়া কেউ উপলব্ধি করতে পারার কথা নয়।
সকালের নাস্তা নেই। একফোটা পানিও নাই। সোয়া ১০টায় ফ্লাইট ছাড়ার কথা থাকলেও ফ্লাইট ছাড়লো সকাল সাড়ে ১১টায়। কারণ বিমানের খাসলত দেরিতে ছাড়া। তাই দুই-এক ঘণ্টা বিলম্ব হওয়া যেনো স্বাভাবিক। তাহলে আগেরদিন দুপুর ১টা থেকে পরদিন সকাল সাড়ে ১১টা পর্যন্ত সাড়ে ২২ ঘণ্টা বিমানে ওঠার আগেই ট্রাভেল করতে হলো।
আরো একটি ব্যাপার হলো। বিমানে যেসকল যাত্রীর সাথে লন্ডন এলাম তার শত ভাগই সিলেটী। ঢাকা থেকে এসেছেন এমন কোনো যাত্রী চোখে পড়েনি। তাহলে একটা প্রশ্ন মাথায় ঘুরপাক খায় । বড় এয়ারক্রাফটে সিলেট থেকে সরাসরি ফ্লাইট না দিয়ে কেন এতো ভোরে ছোট ছোট এয়ারক্রাফটে করে ঢাকা এনে আরো সাড়ে ৫ ঘণ্টা অপেক্ষায় রাখা হচ্ছে । যাত্রী তো সবই সিলেটী। সিলেট থেকে বড় একটা এয়ারক্রাফটে করে সরাসরি লন্ডন ফ্লাইট করা যায়। আর তা সরাসরি না করে ঢাকা থেকে যাত্রী তুলতে চাইলে তাতেও তো অসুবিধা নেই। ঢাকায় একঘণ্টা ল্যান্ড করে যাত্রী তুলে নিলে হয়।
তাছাড়া এত ভোরে সিলেট থেকে ফ্লাইট দেয়ার কারণ কী? ফ্লাইটটি যদি দুপুরে কিংবা বিকেলে সিলেট থেকে হতো তাহলে যাত্রীরা গ্রামের বাড়ি থেকে সরাসরি এয়ারপোর্ট এসে বিমানে চড়তে পারতেন । আগের দিন পরিবার পরিজন ফেলে শহরে এসে আত্মীয়-স্বজনের বাসায় থাকতে হতো না। থাকতে হতোনা আবাসিক হোটেলে । রাতে এয়ারপোর্ট পৌছার রয়েছে নানা ঝুঁকি। গভীর রাতে সিলেট শহর থেকে এয়ারপোর্ট যাওয়া মোটেও নিরাপদ নয়। যেকোনো সময় ডাকাত কিংবা ছিন্তাইকারীর কবলে পড়ার আশংকা রয়েছে।
জানিনা, কার স্বর্থে সিলেট-লন্ডন ফ্লইট চালু হচ্ছেনা । সিলেট থেকে যখন কোনো এমপি, মন্ত্রী লন্ডন আসেন তখন সভা-সমাবেশে প্রবাসীদের জন্য খুব দরদী কথাবার্তা বলেন । বলেন, ওসমানী বিমানবন্দরে রিফুউলিং (বিমানে তেল লোড করা) সিস্টেম চালু না হওয়ার কারণে সিলেট-লন্ডন সরাসরি ফ্লাইট চালু হচ্ছে না। গত ১৪-১৫ বছর ধরে এই একই বক্তব্য শুনে আসছি । সিলেট এয়ারপোর্ট আগে থেকে অনেক প্রশস্ত হয়েছে। একটা শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। অনেক সুন্দরও হয়েছে। দালালের দৌরাত্ম কমেছে। কিন্তু রিফুউলিং ব্যবস্থা যেনো আলোর মুখ দেখছেনা। আসলে রিফুউলিং কী?
লন্ডন থেকে যদি বড় এয়ারক্রাফট ওসমানী বিমানবন্দরে সরাসরি অবতরন করতে পারে তাহলে ঢাকার পথে উড্ডয়ন করতে অসুবিধা কোথায়? যে ফ্লইটটি লন্ডন থেকে সরাসরি সিলেট অবতরণ করে সেই ফ্লাইটটিই তো যাত্রীবোঝাই করে সরাসরি লন্ডন ফিরতে পারে? সিলেট এয়ারপোর্টে যদি রিফুউলিং ব্যবস্থা না থাকে তাহলে ঢাকায় পৌছে যাত্রীদের বিমানে বসিয়ে রেখে কি রিফুউলিং করা যায়না? কার স্বার্থে, কেন সিলেট-লন্ডন সরাসরি ফ্লাইট চালু হচ্ছে না?
কিছুদিন আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিমান কর্মকর্তাদের উপর তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। বিমানমন্ত্রী রাশেদ খান মেননকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন, "আপনার বিমানের অফিসাররা দুর্নীতিবাজ, ঘুষখোর। বিশেষকরে বহির্বিশ্বের বিমানের স্টেশন ম্যানেজারদের প্রতি বিষোদগার করে বলেছেন, "ওরা চোর। ওদেরকে দেশে ফিরিয়ে আনুন।"
অভিজ্ঞ বৃটিশ কর্মকর্তা কেভিন স্টিল যখন বাংলাদেশ বিমানের ম্যানেজিং ডাইরেক্টরের চাকরি ইস্তফা দিয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরে এসেছিলেন তখন পুর্ব লন্ডনে এক সভায় তাঁর সাথে দেখা হয়েছিলো। বিমান নিয়ে তাঁর একটি ইন্টারভিউ নিতে চেয়েছিলাম। কিন্তু তিনি রাজি হননি। বলেছিলেন, চাকরি ইস্তফা দিয়ে ফিরে আসার পেছনে এমনসব কথা আছে বলা যাবেনা।
বিমানে উচ্চপদে কর্মরত আমার এক বন্ধুর কাছে কেভিন স্টিলের চাকরি ছেড়ে আসার কারণ জানতে চেয়েছিলাম । তিনি আমাকে এক কথায় উত্তর দিয়েছিলেন। বলেছিলেন, বিমান একটি সিন্ডিকেট দ্বারা পরিচালিত। কেভিন স্টিল প্রথম যেদিন এমডি হয়ে বিমানে যোগ দিয়েছিলেন, ওইদিন থেকেই তাঁর বিদায় ঘণ্টা বাজানোর জন্য একটি সিন্ডিকেট কাজ করছিলো। তারা সফল হয়েছে। কেভিন পরাজিত হয়েছেন। পরাজিত হয়েছেন প্রধানমন্ত্রীও । কারণ প্রধানমন্ত্রীইতো বিমানকে ভালো করতে একজন অভিজ্ঞ বৃটিশ কর্মকর্তাকে এমডি করেছিলেন। কিন্তু তিনি তাকে রাখতে পারেননি।
বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষের মধ্যে কমপক্ষে ৫ কোটি মানুষের ভরন-পোষন দিয়ে থাকেন বহির্বিশ্বের প্রবাসীরা। হিসাবটা একেবারেই সহজ। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এক কোটি বাংলাদেশী বসবাস করেন। তাদের প্রত্যেকেই অন্তত ৫ সদস্যের একটি পরিবারের ভরন-পোষনসহ যাবতীয় দেখভাল করে থাকেন। সুতরাং, একজন প্রবাসী যদি ৫ জনের দেখভাল করেন, তাহলে ১ কোটি প্রবাসী দেখভাল করেন ৫ কোটি মানুষকে। যারা দেশের ৫ কোটি মানুষকে ভরন পোষন দিয়ে থাকেন তাদের প্রতি সরকারের কি কোনো দায়-দায়িত্ব নেই? যুক্তরাজ্যের প্রবাসী বাংলাদেশিরা কি সিলেট-লন্ডন একটি সরাসরি ফ্লাইটও আশা করতে পারেনা।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উদ্দশ্যে বলতে চাই, বিমানের অভ্যন্তরিণ সমস্যা সম্পর্কে আপনি সবচেয়ে ভালো জানেন। আপনি যখনই যুক্তরাজ্যে আসেন প্রবাসীদের অবদানের কথা বলেন। প্রবাসীদের প্রতি আপনি সবসময়ই আন্তরিক। লন্ডন-সিলেট সরাসরি ফ্লাইটের মতোই সিলেট-লন্ডন ফ্লাইট চালুর ব্যবস্থা গ্রহণ করুন। এই কাজের মধ্যদিয়েই প্রবাসীদের প্রতি আপনার আন্তরিকতা প্রমাণিত হবে।
তাইসির মাহমুদ
সম্পাদক, সাপ্তাহিক দেশ
লন্ডন, যুক্তরাজ্য
১১ নভেম্বর ২০১৭
বিষয়: বিবিধ
৭৪৬ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন