একজন জাকারিয়া ইসলাম ও কিছু কথা
লিখেছেন লিখেছেন তাইছির মাহমুদ ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৫, ১১:২৫:১৪ রাত
প্রাণখোলা হাসির মানুষটি জাকারিয়া ইসলাম । ব্যক্তিগতভাবে পরিচয় ছিলোনা তাঁর সাথে । তবে ইস্ট লন্ডন মসজিদে প্রায়ই নামাজ পড়তে দেখতাম। বিশেষকরে মসজিদের ভলান্টিয়ার রুমে শুক্রবার জুমার নামাজে দেখা হতো। আজ শুক্রবার তাঁর অনুপস্থিতি অনুভব করলাম। ভলান্টিয়ার রুমে সকলই আছেন, শুধু নেই তিনি । গত শুক্রবারে হয়তো এই একই জায়গায় নামাজ পড়েছেন। তখন কি তিনি ভেবেছিলেন পরবর্তী শুক্রবার এমন সময় তাঁকে থাকতে হবে পপলার মচুয়ারিতে? আততায়ীর ছুরিকাঘাতে প্রাণ হারাবেন তিনি? হত্যার রহস্য উদঘাটনে ডাক্তার তাঁর দেহে কাঁটাছেড়া করবে । এরপর তাঁর গন্তব্য হবে সেই হেইনুল্টের গার্ডেন অব পিস। যেখানে হবে তাঁর চিরনিবাস।
নাহ, তিনি তো সেটা ভাবেননি, ভাবিনি আমরাও। ভাবিনি আমাকেও এভাবে চলে যেতে হবে যেকোনো সময় । এই শুক্রবার জুমার নামাজ পড়লাম। পরবর্তী শুক্রবার পড়তে পারবো তো? আজ চারজন মানুষের জানাজা পড়লাম। পরবর্তী শুক্রবারতো পাঁচজনের জানাজা হতে পারে । তাদের সহযোগী হতে পারি আমিও।
জাকারিয়া ইসলামের মৃতু্য আমাদেরকে ভাবায়। স্মরণ করিয়ে দেয় মতু্য নামক চিরসত্যকে। আল্লাহ তায়ালার কাছে বিনীত প্রার্থনা, তিনি যেনো তাঁকে জান্নাতের সর্বোত্তম স্থানে সমাসীন করেন। আমিন।
উল্লেখ্য, গত ১৪ সেপ্টেম্বর সোমবার বিকেলে পূর্ব লন্ডনের গ্রেটোরেক্স স্ট্রিটে নিজ অফিস কক্ষে আততায়ীর ছুরিকাঘাতে নির্মমভাকে প্রাণ হারান রোকাইয়া (কুরআন -হাদীস অনুযায়ী শয়তান ও যাদুটোনার কুপ্রভাব থেকে মুক্তির তদবির) চিকিৎসক জাকারিয়া ইসলাম। তাঁর মৃতু্যতে স্বজন ও সুধিজনের মধ্যে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। সকলেরই আক্ষেপ-এরকম একজন ভালো মানুষকে কেন এভাবে হত্যা করা হলো। কী দোষ ছিলো তার? তিনি তো উপকার ছাড়া কোনোদিন অপরকার করেননি কারো।
তবে এ ঘটনায় ইতোমধ্যে ওয়ার্টফোর্ডের বাসিন্দা আশফাব চৌধুরী (৪৩) নামে এক পাকিস্তানী বংশোদ্ভুত বৃটিশ নাগরিককে গ্রেফতার করে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছে পুলিশ।
উল্লেখ্য, পূর্ব লন্ডনের স্টেপনী গ্রীনের বাসিন্দা জাকারিয়া ইসলামের দেশের বাড়ি সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার চন্দরপুর গ্রামে।
বিষয়: বিবিধ
১০৫০ বার পঠিত, ৭ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রজিউন।
আল্লাহ উনার সমস্ত গুনাহ খাতা মাফ করে দিয়ে উনাকে জান্নাতের বাসিন্দা হিসেবে কবুল করে নিন! আমাদেরকে পরকালের পাথেয় সংগ্রহ করার তৌফিক দিন। আমিন।
হ্যা, কারও ওপর শয়তান প্রভাব বিস্তার করলে কুরআনের মাধ্যমে তাকে বিতাড়িত করা যায়। জাকারিয়া ইসলাম সেই সাহায্যটুকু করতেন।
মন্তব্য করতে লগইন করুন