ব্রিটেন বনাম বাংলাদেশের পুলিশ: ঘুষি ও ঘুষ সমাচার

লিখেছেন লিখেছেন তাইছির মাহমুদ ০১ সেপ্টেম্বর, ২০১৫, ০১:২০:২০ রাত

দিন-তারিখ মনে নেই। যত দূর মনে পড়ে ২০০৩ সালের ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ। ব্রিটেনে তখন সপ্তাহব্যাপী ক্রিসমাসের উৎসব চলছে। অফিস আদালত, দোকানপাট বন্ধ। রাত ১১টা। পূর্ব লন্ডনের ইলফোর্ড টাউন সেন্টারের একটি বাসস্টপে দাঁড়িয়ে আছি। পাশেই একটি পাব (মদ বার)। সেখান থেকে গান ও মিউজিকের শব্দ ভেসে আসছে।

বাসের জন্য অপেক্ষা করছি। কিন্তু ততক্ষণে গন্তব্যমুখী রুটে যে বাস চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে তা জানতাম না। অনেকক্ষণ বাসের অপেক্ষায় আছি। এমন সময় আচমকা দুর্ঘটনার মুখোমুখি হলাম। পার্শ্ববর্তী ওই পাব থেকে একদল উচ্ছৃঙ্খল যুবক বেরিয়ে এসে আমার পাশ দিয়ে যাচ্ছিল। কিছু শ্বেতাঙ্গ, পাকিস্তানি ও কৃষ্ণাঙ্গ যুবক। ওদের একজন আকস্মিক আমার মুখে একটি ঘুষি মেরে বসল। কিছু বুঝে ওঠার আগেই অন্যজন আরও একটি।

আমি তখন কিংকর্তব্যবিমূঢ়। দৌড় দিতেই ফিরে দেখি পুলিশের গাড়ি সাক্ষাৎ দণ্ডায়মান। একজন পুলিশ বেরিয়ে এসে গাড়ির দরজা খুলে আমাকে ভেতরে ঢোকালেন। এদিকে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে হামলাকারী যুবকেরা দিল দৌড়। পুলিশও ছুটল পিছু পিছু। তারা দুজনকে আটক করে ফেলল। এরই মধ্যে পুলিশের অভিযানে যোগ দিল আরও দুটো গাড়ি। আমাকে একটি গাড়িতে তোলা হলো। হামলাকারী দুই যুবককে তোলা হলো অন্যটিতে।এদিকে ঘুষির আঘাতে আমার নাক দিয়ে রক্ত ঝরছে। পুলিশকে বললাম, কুড ইউ প্লিজ টেক মি টু দ্য হসপিটাল। পুলিশ বলল, নো ওয়ারি। উই হ্যাভ অলরেডি কলড অ্যাম্বুলেন্স। তাদের গাড়িতে করে ইলফোর্ড পুলিশ স্টেশনে পৌঁছে দেখলাম আমাদের আগেই সেখানে অ্যাম্বুলেন্স ও প্যারামেডিক টিম পৌঁছে অপেক্ষা করছে।

পুলিশ আমার ঠিকানা আর মোবাইল নম্বর রেখে অ্যাম্বুলেন্সে তুলে দিল। আমাকে নিয়ে যাওয়া হলো নিকটবর্তী হাসপাতালে। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে রেডব্রিজে আমার ঘরে পৌঁছে দেওয়া হলো। জীবনে এই প্রথম এ ধরনের দুর্ঘটনার মুখোমুখি হলাম। তা ছাড়া লন্ডন এসেছি মাত্র মাস দেড়েক আগে। পরিবার ও বন্ধুবান্ধব ছাড়া একাকী একটি বাসায় থাকি। শুধু মনে হচ্ছিল কেন এ ঘটনার শিকার হলাম।

পরদিন সকালে ঘুম ভাঙল পুলিশের ফোন পেয়ে। পুলিশ প্রথমে আমার শারীরিক অবস্থা জানতে চাইল। বলল, আমি কেমন আছি। চিকিৎসা হয়েছে কি? বললাম ভালো। এবার পুলিশ আমাকে ইলফোর্ড থানায় গিয়ে ঘটনার বিবরণ বা স্টেটমেন্ট দিতে বলল। বললাম, মানসিক অবস্থা ভালো নেই। বাইরে বেরোতে মন চাচ্ছে না। পুলিশ বলল, তুমি চাইলে আমরা তোমার ঘরে আসতে পারি। বললাম, আজ না এলে ভালো হয়। বরং কাল বিকেল ৫টায় আমি পুলিশ স্টেশনে গিয়ে স্টেটমেন্ট দিয়ে আসব।

পরদিন ঠিক সময়মতো পুলিশ স্টেশনে পৌঁছলাম। রিসেপশনে গিয়ে নাম বলার কিছুক্ষণের মধ্যে ভেতর থেকে বেরিয়ে এলেন একজন ইন্সপেক্টর। সম্বোধন করলেন এভাবে—হ্যাই মাহমুদ, হাউ আর ইউ? হোয়াট অ্যাবাউট ইউ? এরপর ভেতরে নিয়ে গেলেন। চা, পানি ও কফি অফার করলেন। বললাম, এক গ্লাস পানি খাব। তিনি নিজে উঠে গিয়ে পানি নিয়ে এলেন। এরপর একটি নোটবুক ও রেকর্ডার নিয়ে এসে আমার সামনে বসলেন।

একটি ছোট টেবিলের ওপাশে পুলিশ অফিসার। এ পাশে আমি। আমার কাছে তিনি ওই দিনের ঘটনার বিস্তারিত জানতে চাইলেন। আমি বিস্তারিত বর্ণনা দিলাম। তিনি সবকিছু নোট করলেন। ঘটনাসংক্রান্ত বেশ কিছু প্রশ্নও জানতে চাইলেন। বিশেষকরে হামলাকারী যুবকদের আনুমানিক বয়স, উচ্চতা, গায়ের রং, চুলের ধরন ইত্যাদি জানতে চেয়ে মূলত আটক দুই যুবক আসলেই ঘটনার সঙ্গে জড়িত কি-না তা নিশ্চিত হতে চাইলেন।

দীর্ঘ ইন্টারভিউ শেষে তিনি আমাকে বিদায় দিলেন। শুধু বললেন, ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে দুজনকে আটক করা হয়েছে। ওরা এখন জামিনে আছে। তাদের আদালতে হাজির করা হবে। বিচারের ব্যাপারে আমাকে পরে জানানো হবে। আমি চলে এলাম। পুলিশের চমৎকার ব্যবহারে মন বেশ ফুরফুরে হয়ে উঠল। নিশ্চিত হলাম, হামলাকারীদের সাজা হবে, ন্যায় বিচার পাব।

এরপর পেরিয়ে গেল অনেক দিন। আর কোনো খবর নেই। দীর্ঘ অপেক্ষার পর একদিন মামলার ব্যাপারে জানতে চেয়ে পুলিশকে একটি চিঠি লিখলাম। চিঠি পোস্টিংয়ের পরের সপ্তাহেই উত্তর এল। চিঠিতে আমাকে ধৈর্য ধরার অনুরোধ জানিয়ে বলা হয়েছে, বিষয়টি এখনো আদালতে বিচারাধীন। সময়মতো আমার সঙ্গে যোগাযোগ করা হবে। এ নিয়ে আমার চিন্তার কোনো কারণ নেই।

কিছুদিন পর ঘটনাটি ভুলেই যাচ্ছিলাম। হঠাৎ একদিন সকালে ঘুম থেকে জেগে লেটার বক্সে একটি খাম পেলাম। হাতে নিয়ে দেখলাম মেট্রোপলিটন পুলিশ থেকে প্রেরিত চিঠি। বেশ কৌতূহল নিয়ে খুললাম। দেখলাম ভেতরে একটি চিঠি ও এক শ পাউন্ডের একটি চেক। চিঠিতে বলা হয়েছে, আদালতে আমার অনুপস্থিতিতেই এ ঘটনার বিচার সম্পন্ন হয়েছে। আমাকে ডাকা হয়নি, কারণ ওরা ঘটনার দায় স্বীকার করে নিয়েছিল। ঘটনার সময় ওরা মাতাল ছিল, বুঝতে পারেনি কী করেছে। আদালত তাদের এক শ ৫৫ পাউন্ড জরিমানা ও তিন দিনের কারাদণ্ড দিয়েছেন। এর মধ্যে ৫৫ পাউন্ড আদালতের খরচ আর ঘুষির ক্ষতিপূরণ এক শ পাউন্ড। এই হলো ব্রিটেনে রাস্তায় বাসের জন্য অপেক্ষমাণ কোনো এক ব্যক্তিকে ঘুষি মারার বিচার।

এবার সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে প্রতিপক্ষের হামলায় আমার এক স্বজনের মাথা ফাটার পর থানায় মামলা করার বিচিত্র অভিজ্ঞতার বর্ণনা দিতে চাই। মাস ছয়েক আগের কথা। একদিন দুপুরে গ্রামের বাড়ি থেকে আকস্মিক একটি কল এল। জানতে পারলাম আমার এক স্বজন প্রতিপক্ষের হামলায় আহত হয়েছেন। মাথায় টর্চ লাইটার দিয়ে আঘাত করে রক্তাক্ত করা হয়েছে। আমি তাকে দ্রুত ওসমানী হাসপাতাল নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিলাম। থানায় মামলাও করতে বললাম। এরপর কয়েকজন আহত স্বজনকে নিয়ে হাসপাতালে গেলেন। অন্যরা গেলেন থানায় মামলা করতে। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার সঙ্গে দেখা করলে তিনি বললেন, মামলাটি ড্রাফট করে নিয়ে আসতে হবে। ওনারা স্থানীয় একজন উকিলের কাছে গেলেন। উকিল সাহেব সবকিছু শুনে বললেন, ড্রাফট লিখতে পাঁচ হাজার টাকা লাগবে। অনেক দর-কষাকষির পর শেষতক তাকে তিন হাজার টাকায় রাজি করানো হলো।

তিনি বাদী পক্ষের কাছ থেকে ঘটনার বর্ণনা শুনলেন। এরপর মনের মাধুরী মিশিয়ে একটা এজাহার রচনা করলেন। এবার হাতে লেখা এজাহারটি কম্পিউটার দোকানে নিয়ে গিয়ে কম্পোজ করানো হলো। এরপর নিয়ে যাওয়া হলো থানায়। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা একনজর চোখ বুলিয়ে জানতে চাইলেন এজাহারটি কে লিখেছেন। উকিল সাহেবের নাম জানালে তিনি বললেন, এই এজাহার দিয়ে মামলা হবে না। বক্তব্য পরিবর্তন করতে হবে। তিনি নিজেই উকিল সাহেবের মোবাইলে কল দিলেন। বললেন, আপনি এজাহারে লিখেছেন মাথায় লাঠি দ্বারা আঘাত করা হয়েছে। এভাবে লিখলে তো কোনো আসামি ধরাই যাবে না। আপনি বরং লাঠির স্থলে লিখে দেন ধারালো দা দিয়ে উপর্যুপরি কুপিয়ে মারাত্মক আহত করা হয়, রোগীর অবস্থা আশঙ্কাজনক।

উকিল সাহেব বললেন, আসল ঘটনা তো বাদীর মাথায় মেগা-লাইটার দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। আমি নিজ দায়িত্বে লাইটারকে লাঠি বানিয়ে দিয়েছি। কিন্তু এবার লাঠিকে ধারালো দা বানালে মামলা কি আদালতে টিকবে? জবাবে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বলেন, আদালত পরের ব্যাপার। আগে আসামি ধরার ব্যবস্থা হোক। আপনি বরং লাঠির স্থলে দা লিখে দিন। উকিল সাহেব বললেন, আপনি যাই বলেন আমার আপত্তি নেই। তবে মামলা আদালতে টিকলেই হলো।

এবার বাদী পক্ষ মোটরসাইকেলযোগে ফের উকিল সাহেবের বাড়ি গেলেন। উকিল সাহেব কলমের খোঁচায় এবার লাঠিকে দা বানিয়ে দিলেন। কিন্তু ততক্ষণে বাজারে কম্পিউটার দোকান বন্ধ হয়ে গেছে। কী আর করা। অগত্যা আরও তিন মাইল ড্রাইভ করে দোকানমালিককে বাড়ি থেকে নিয়ে আসতে হলো। লাঠির স্থলে দা টাইপ করে নতুন এজাহার প্রিন্ট করা হলো। কম্পিউটার দোকান থেকে ফের যাওয়া হলো থানায়। ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কাছে এজাহার দেওয়া হলো।

মামলা রুজু হবে। কিন্তু এবার তিনি শোনালেন অন্য কথা। বললেন, মামলা কী আর এমনিতেই হয়ে যাবে? খরচ লাগবে না! বাদী পক্ষ জানতে চাইলেন কত দিতে হবে। ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বললেন, আপাতত ২০ হাজার টাকা দিলেই চলবে। এত বেশি কেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, একটা মামলায় অনেক খরচ আছে। তদন্তকারী কর্মকর্তা নেবে, কনস্টেবলদের দিতে হবে, দিতে হবে ওপরওয়ালাদের। আরও অনেকেরই ভাগ আছে। অবশেষে অনেক অনুরোধ করে ১৫ হাজার টাকা দেওয়ার পর মামলা রুজু করা হলো।

তখন গভীর রাত। আসামি ধরতে যাওয়ার প্রস্তুতি চলছে। কিন্তু পুলিশের গাড়ি নেই। সাব ইন্সপেক্টর বললেন, গাড়ির ব্যবস্থা করতে হবে। গভীর রাতেও বাদী পক্ষকে একটি গাড়ির ব্যবস্থা করতে হলো। এবার একজন সাব ইন্সপেক্টর আর চারজন কনস্টেবল বের হলেন আসামির বাড়ি অভিমুখে। রাতে আসামিদের তাদের বাড়িতে পাওয়া গেল না। পুলিশ আসামির পরিবারের লোকজনকে শাসালেন, গালিগালাজ করলেন। ঘটনাস্থল থেকে মামলার বাদীকে ফোন করে গালিগালাজ ও শাসানোর হই-হল্লা শোনালেন। এরপর ফিরে গেলেন থানায়। বাদীকে বললেন, মামলাটি যথাযথ প্রক্রিয়ায় রুজু হয়েছে। ধারাগুলোও ঠিকমতো বসেছে। আসামিকে ধরতে পারলেই কোর্টে চালান দেব, সহজে আর জামিন পাবে না। যখনই চাইবেন, অভিযান চালাব। এখন আর বেশি লাগবে না, যাতায়াত খরচ বাবদ প্রতি অভিযানে চার হাজার করে দিলেই চলবে।

এদিকে মামলা হওয়ার পরদিন এলাকার চেয়ারম্যান ও মেম্বারসহ মুরব্বিরা জমায়েত হলেন ঘটনাটি সালিস করে দিতে। এক লাখ টাকা আমানত রেখে বিচার। বিচারে নিষ্পত্তি হলো। এবার মামলা তুলে নিতে হবে। বাদীপক্ষ কাগজে স্বাক্ষর দিলেন মামলা তুলে নেওয়ার পক্ষে। বাদী গিয়ে বললেন, এলাকার চেয়ারম্যান ঘটনাটি শেষ করে দিয়েছেন, আমরা মামলাটি তুলে নিতে চাই। সব শুনে ওসি সাহেব বললেন, বেশ তো ভালোই, শুধু শুধু মামলা মোকদ্দমা করে অর্থ অপচয় করবেন কেন? তবে মামলা তুলে নিতে হলেও কিছু খরচ লাগবে। বাদী পক্ষ জানতে চাইলেন, কত। ওসি সাহেব বললেন, বেশি লাগবে না। আপনারা তো আর মামলা করবেন না, তুলবেন। পাঁচ হাজার টাকা দিলেই চলবে। অবশেষে চার হাজার টাকা দিয়েই মামলা তুলে নিতে হলো।

এই হলো বাংলাদেশে একটি মামলার বিবরণ। ব্রিটেনে আহত হওয়ার পর পুলিশ অ্যাম্বুলেন্সে করে হাসপাতালে পাঠায়। নিজেদের তাগিদে ভিকটিমের এজাহার নেয়। চা-কফি অফার করে। কোনো কিছু না জানিয়েই তদন্ত করে। আদালতে চার্জশিট দেয়। বিচারকার্য হয়। দোষীদের জেল জরিমানা হয়। আহত ব্যক্তিকে এক শ পাউন্ড ক্ষতিপূরণও দেওয়া হয়। কিন্তু বাংলাদেশে মাথা ফাটানোর পরও তিন হাজার টাকা দিয়ে নিজেকে এজাহার লিখাতে হয়। থানাকে মামলা রেকর্ড করার জন্য এককালীন ১৫ হাজার টাকা দিতে হয়। এরপর প্রতিটি অভিযানের জন্য বরাদ্দ রাখতে হয় চার হাজার টাকা করে। আবার আপস-নিষ্পত্তি হওয়ার পর মামলাটি তুলে নিতে দিতে হয় আরও চার হাজার টাকা। এই হলো বাংলাদেশের পুলিশি সেবার নমুনা, এই হলো আইনি সেবার চিত্র। ঢালাও ভাবে বলছি না। ভালো ঘটনাও হয়তো আছে। কিন্তু সেটা নগণ্য।

(৩০ আগস্ট ২০১৫, দৈনিক প্রথম আলো'তে প্রকাশিত).

বিষয়: বিবিধ

১১৩৬ বার পঠিত, ৬ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

338954
০১ সেপ্টেম্বর ২০১৫ রাত ০৪:১৫
প্যারিস থেকে আমি লিখেছেন : এই বেহাল দশা দেশের। উত্তরনের কোন পথও দেখি না।
338965
০১ সেপ্টেম্বর ২০১৫ সকাল ০৫:২৪
মনসুর আহামেদ লিখেছেন : রাষ্ট্র ব্যবস্থা পরিবর্তন ছাড়া সম্ভব না।
338971
০১ সেপ্টেম্বর ২০১৫ সকাল ০৭:৩০
শেখের পোলা লিখেছেন : শুধুই টাকার খেলা৷ আপনার টাকা আছে তাই অন্ততঃ থানা পর্যন্ত যেতে পেরেছেন উল্টা হয়রানী পোয়াতে হয়নি, কিন্তু একজন গরীব যার টাকানেই তার পায় কি? তারাকি চেতনা ধুয়ে পানি খাবে?
338984
০১ সেপ্টেম্বর ২০১৫ সকাল ০৯:২৮
হতভাগা লিখেছেন : বাংলাদেশের পুলিশদের কাজই হল নিরীহ সাধারণ মানুষদের হয়রানি করা
339018
০১ সেপ্টেম্বর ২০১৫ দুপুর ০১:২৯
দ্য স্লেভ লিখেছেন : এমনে এমনে কি আর গজব পড়ে !!!
339054
০১ সেপ্টেম্বর ২০১৫ সন্ধ্যা ০৬:৪০
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি অপরাধি আছে পুলিশে।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File