লন্ডনে প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকদের সমাবেশ মাহমুদুর রহমানকে নির্যাতনের ঘটনার আন্তর্জাতিক তদন্ত দাবী
লিখেছেন লিখেছেন তাইছির মাহমুদ ২৭ এপ্রিল, ২০১৩, ০৭:১১:২১ সন্ধ্যা
লন্ডন, ২৭ এপ্রিল- দৈনিক আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে গ্রেফতার, রিমান্ডের নামে নির্যাতন ও আমার দেশের প্রকাশনা বন্ধের প্রতিবাদে লন্ডনে অনুষ্ঠিত প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিক সমাবেশে বক্তারা অবিল“ে তাঁর মুক্তির দাবী জানিয়েছেন। এছাড়াও বক্তারা দৈনিক আমার দেশের প্রকাশনা বাধামুক্ত করার দাবী জানিয়ে মাহমুদুর রহমানকে নির্যাতনের ঘটনার আন্তর্জাতিক তদন্ত দাবী করেছেন। গত ২৬ এপ্রিল শুক্রবার সন্ধ্যায় পূর্ব লন্ডনের হ্যানবারী ষ্ট্রিটস্থ মন্টিফিউরি সেন্টারে দৈনিক আমার দেশ লন্ডন অফিসের উদ্যোগে আয়োজিত এ বিরাট প্রতিবাদ সমাবেশে বিলেতের প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার বিপূল সংখ্যক সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন।
সাপ্তাহিক সুরমার সাবেক সম্পাদক বিশিষ্ট সাংবাদিক নজরুল ইসলাম বাসন এর সভাপতিত্বে ও দৈনিক আমার দেশ-এর লন্ডন প্রতিনিধি ব্যারিস্টার তারেক চৌধুরীর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন লন্ডন সফররত সিলেট প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি ও দৈনিক জালালাবাদ-এর প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক বিশিষ্ট মিডিয়া ব্যাক্তিত্ব মুকতাবিস-উন-নূর, লন্ডন বাংলা প্রেসক্লাবের সভাপতি ও সাপ্তাহিক জনমত সম্পাদক নবাব উদ্দিন, লন্ডন বাংলা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও সাপ্তাহিক পত্রিকার প্রধান সম্পাদক মোহাম্মদ বেলাল আহমদ, চ্যানেল আই ইউরোপের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর রেজা আহমদ ফয়সল চৌধুরী সুয়েব, লন্ডন বাংলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও সাপ্তাহিক পত্রিকা সম্পাদক এমদাদুল হক চৌধুরী, সাপ্তাহিক বাংলা পোস্টের প্রধান সম্পাদক ও সাপ্তাহিক লন্ডন বাংলার সম্পাদক কেএম আবু তাহের চৌধুরী, সাপ্তাহিক বাংলাদেশ-এর সম্পাদক শেখ মোজাম্মেল হোসেন কামাল, সাপ্তাহিক বাংলা মিরর সম্পাদক আব্দুল করিম গণি, চ্যানেল এস টেলিভিশনের ডেপুটি হেড অব প্রোগ্রাম জনপ্রিয় টিভি উপস্থাপক ফারহান মাসুদ খান, চ্যানেল এস এর চীফ রিপোর্টার মুহাম্মদ জুবায়ের, সাপ্তাহিক নতুন দিন এর নির্বাহী সম্পাদক তাইছির মাহমুদ, সাপ্তাহিক সুরমার সাহিত্য সম্পাদক আহমদ ময়েজ, দৈনিক আমার দেশের বিশেষ প্রতিনিধি ওলিউল্লাহ নোমান, সাপ্তাহিক বাংলা সংলাপ সম্পাদক মোশাহিদ আলী, মাসিক দর্পণ সম্পাদক রহমত আলী, সাপ্তাহিক বাংলাদেশ-এর বার্তা সম্পাদক মোহাম্মদ কয়েস আলী, সাপ্তাহিক পত্রিকার বার্তা সম্পাদক ফায়সাল আইয়ুব, লেখক ও আইনজীবী ব্যারিস্টার নাজির আহমদ, বাংলা টিভির চীফ রিপোর্টার ইব্রাহিম খলিল, নারী ম্যাগাজিন সম্পাদিকা কবি শাহনাজ সুলতানা, বাংলা টিভির বিশেষ প্রতিনিধি মোরূ আব্দুল কাইয়ুম, সাপ্তাহিক ইউরোবাংলার ব্যবস্থাপনা সম্পাদক আব্দুল মুনিম জাহেদী ক্যারল, সাপ্তাহিক পত্রিকার সাব এডিটর মতিউর রহমান চৌধুরী, সাপ্তাহিক ইউরোবাংলার বিশেষ প্রতিনিধি আকবর হোসেইন, কবি ও সাংবাদিক আব্দুল কাইয়ুম, শেখ নিউজ ডটকম সম্পাদক শেখ মহিউদ্দিন, বাংলা টিভির প্রতিনিধি রেজাউল করিম মৃধা, সাপ্তাহিক নতুন দিনের জয়েন্ট নিউজ এডিটর তানজির আহমদ রাসেল, সাপ্তাহিক নতুন দিনের গ্রাফিক ডিজাইনার মোহাম্মদ কাওসার, এটিএন বাংলা ইউকের রিপোর্টার মোস্তাক বাবুল, দ্য মুসলিম উইকলির ম্যানেজিং এডিটর মোহাম্মদ সোবহান, চ্যানেল এস এর চীফ গ্রাফিক ডিজাইনার আব্দুস সাত্তার মিশু, লন্ডন বাংলা প্রেসক্লাবের সাবেক বিনোদন ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক তৌহিদ আহমদ, কবি ও লেখক শাহ সোহেল আমিন, সাপ্তাহিক বাংলা পোস্টের সাহিত্য সম্পাদক কবি শিহাবুজ্জামান কামাল, সাংবাদিক ও ব্যারিস্টার মির্জা জিললুর রহমান, সংস্কৃতিকর্মী ও লেখিকা ফেরদৌসি রহমান, সাপ্তাহিক পত্রিকার গ্রাফিক ডিজাইনার মাসুম মিয়া, বাংলা টাইমস প্রতিনিধি জয়নাল আবেদীন ও সাংবাদিক আফরোজা শফিক।
সাংবাদিকরা জাগ্রত বিবেকের পরিচয় দিয়েছেন
সাংবাদিক মুকতাবিস উন নূর বলেন, আজকের এই সমাবেশে বিলেতের সাংবাদিক বন্ধুরা স্বতরূস্ফুর্তভাবে অংশগ্রহন করে জাগ্রত বিবেকের পরিচয় দিয়েছেন। দল মতের উর্ধে উঠে সকল সাংবাদিক একই সমাবেশে জড়ো হয়ে প্রমাণ করেছেন তাদের বিবেক মারা যায়নি। তিনি বলেন, মাহমুদুর রহমানকে বিএনপির লোক বলে অনেকেই প্রচারণা চালান। আমি তা বিশ্বস করিনা। তবে তাঁর একটি দোষ, তিনি একটু বেশী আবেগপ্রবণ। সাহস থাকা ভালো, তবে দুরূসাহস থাকা ভালো নয়। তিনি বলেন, সাংবাদিকদের দল মত থাকতেই পারে তবে পেশাক্ষেত্রে মতের প্রতিফলন ঘটা উচিত নয়। ব্যাক্তিমত শুধু ব্যালট বাক্সের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখা উচিত। তিনি মাহমুদুর রহমানকে নির্যাতনের ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, একজন ব্যাক্তির বিরুদ্ধে সরকারের এভাবে উঠে পড়ে লাগা কিছুতেই মেনে নেয়া যায়না।
রাষ্ট্রের ৪র্থ স্ত“টিকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে
সাংবাদিক মোহাম্মদ বেলাল আহমদ বলেন, সাধারণ সাংবাদিকরা আজ কোনো অনুষ্ঠানে যেতে ভয় পায়। একটি অনুষ্ঠানে যাওয়ার পর একপক্ষ বলছে নাস্তিক, অন্য পক্ষ বলছে রাজাকার। এই অবস্থা থেকে আমাদেরকে বেরিয়ে আসতে হবে। তিনি বলেন, সংবাদপত্র হচ্চেছ একটি রাষ্ট্রের চতুর্থ স্ত“। এই স্ত“টিকে আমরা বাঁচিয়ে রাখতে হবে। এ জন্য আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
৪ শতাধিক সাংবাদিক চরম অনিশ্চয়তায়
সাংবাদিক রেজা আহমদ ফয়সল চৌধুরী সুয়েব বলেন, মাহমুদুর রহমান দোষ করলে বিচার হতে হবে আইনী প্রক্রিয়ার মধ্যদিয়ে। তাঁকে কেন গ্রেফতার করে রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতন করা হবে। তিনি বলেন, সবচেয়ে লজ্জার বিষয় হচ্চেছ মাহমুদুর রহমানকে গ্রেফতার করেই সরকার ক্ষান্ত হয়নি, তাঁর মালিকানাধীন সংবাদপত্রের প্রকাশনা বন্ধ করে দিয়ে ৪ শতাধিক সাংবাদিকের জীবন অনিশ্চয়তার মুখে ঠেলে দিয়েছে। এটা সম্পুর্ণ অমানবিক। তিনি অবিল“ে আমার দেশের ছাপাখানা খুলে দিয়ে পত্রিকার প্রকাশনা বাধামুক্ত করার জোর দাবী জানান।
তিনি নিজের পরিণতি নিয়ে ভাবেননা
সাংবাদিক কে এম আবু তাহের চৌধুরী বলেন, মাহমুদুর রহমানের উপর ৬০টি মামলা রয়েছে। তিনি নিজেকে বাঁচাতে চাইলে দেশ থেকে পালাতে পারতেন। কিন্তু তিনি পালিয়ে যাওয়ার ব্যাক্তি নন। তিনি স্কাইপ সংলাপ সংক্রান্ত আলোচিত সংবাদের মুল প্রতিবেদক ওয়ালি উল্লাহ নোমানের জীবন নিয়ে আশংকা করেছেন। তাই তাকে নিরাপদে লন্ডনে আসার সুযোগ করে দিয়েছেন। তিনি তাঁর পরিণতি নিয়ে একটি বারও চিন্তা করেননি। তিনি বলেন, কাউকে গ্রেফতার করে নির্যাতন চালিয়ে সাময়িক আটকে রাখা যায়, চিরদিনের জন্য নয়। মাহমুদুর রহমানকে সরকার আটকে রাখতে পারবেনা।
মাহমুদুর রহমান কোনো দলের নয়
সাংবাদিক শেখ মোজাম্মেল হোসেইন বলেন, মাহমুদুর রহমান বিএনপি, আওয়ামীলীগ, জামায়াত, হেফাজত কিংবা খেলাফত কোনো দলেরই নয়। যদি কোনো দলের হতেন তাহলে তাঁকে বারবার জেলে যেতে হতোনা। তিনি অবিল“ে মাহমুদুর রহমানের নিরূশর্ত মুক্তি দাবী করেন।
রাষ্ট্রের ভুমিকা নীপিড়ক হওয়া উচিত নয়
সাংবাদিক এমদাদুল হক চৌধুরী বলেন, মাহমুদুর রহমান আমার মতের বিরোধী হতে পারেন। মতের সাথে একমত না হলেই তাঁকে গ্রেফতার করে নির্যাতন চালানো হবে-এটা কিছুতেই হতে পারেনা। তিনি বলেন, রাষ্ট্রের ভুমিকা নীপিড়ক হওয়া উচিত নয়, শাসক সুলভ হওয়া উচিত। মাহমুদুর রহমানের ভুল থাকতে পারে। এজন্য আইনী প্রক্রিয়ার মধ্যদিয়ে তাঁর যথাযথ বিচার হবে, গ্রেফতার করে আটকে রেখে নির্যাতন চালিয়ে নয়। তিনি আমার দেশ সম্পাদকের অবিল“ে মুক্তি দাবী করেন।
দুর্নীতি তাঁকে স্পর্শ করতে পারেনি
সাংবাদিক ফারহান মাসুদ খান বলেন, আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমান যেমন নন্দিত, তেমনী মহল বিশেষের কাছে নিন্দিতও। তবে তার সবচেয়ে বড় গুণ হচ্চেছ তিনি সর্বোচ্চচ স্ একজন মানুষ। রাজনৈতিকভাবে ক্ষমতার উচ্চচ পর্যায়ে থেকেও তিনি দুর্নীতিমুক্ত ছিলেন। দুর্নীতি তাঁকে স্পর্শ করতে পারেনি। তাঁকে নিয়ে অনেক সমালোচনা আছে। এই সমালোচনার জবাব নির্যাতনের মধ্যদিয়ে হওয়া কিছুতেই উচিত নয়। তিনি বলেন, মাহমুদুর রহমানের মতো ব্যাক্তিরা সব সরকারের আমলেই নির্যাতন ও নিপীড়িনের শিকার হচ্চেছন এবং হবেন। তিনি বলেন, দলমতের উর্ধে উঠে সাংবাদিক সমাবেশে সকল উপস্থিত হওয়ার বিষয়টি আমাদের জন্য অশাব্যঞ্জক।
উপহাস ও বিভাজন সৃষ্টি থেকে বিরত থাকুন
সাংবাদিক তাইছির মাহমুদ বলেন, একটি শীর্ষ স্থানীয় জাতীয় দৈনিকের সম্পাদককে গ্রেফতার করে যখন রিমান্ডের নামে নির্যাতন চালানো হয় তখন কিছু সহকর্মী সাংবাদিক তাঁকে (মাহমুদুর রহমান) নিয়ে উপহাস করেন। সভা-সমাবেশে তাঁকে বাইচান্স সাংবাদিক আখ্যা দিয়ে তুচ্চছ তাচ্চিছল্য করে থাকেন। তাদের বুঝা উচিত সম্পাদনা কিংবা সাংবাদিকতা কেউই মাতৃগর্ভ থেকে শিখে আসেনা। মাহমুদুর রহমানকে যারা বাইচান্স সম্পাদক বলে উপহাস করেন তাদেরকে যদি বাইচান্স সাংবাদিক বলা হয় তখন তাদের কেমন লাগবে। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, রাজনৈতিক নেতাদের প্রেস বিজ্ঞপ্তি লিখে সাংবাদিক হওয়া যায়, কিন্তু মাহমুদুর রহমান হওয়া যায়না। মাহমুদুর রহমান হতে হলে স্ সাহসের প্রয়োজন হয়। তিনি এ ধরনের উপহাসমুলক বক্তব্য দিয়ে সাংবাদিকদের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি থেকে বিরত থাকার আহবান জানান। তিনি বলেন, আপনি যখন কারো বিপদে উপহাস করবেন আপনার বিপদেও অন্যজন হাসবে, আপনাকে নিয়ে উপহাস করবে।
মিডিয়ার স্বাধীনতা হুমকীর মুখে
সাংবাদিক মুহাম্মদ জুবায়ের বলেন, একটি রাষ্ট্রের সভ্যতা, স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের মান কোন পর্যায়ে রয়েছে তা নির্ভর করে সেই রাষ্ট্রের মিডিয়ার স্বাধীনতার উপর। বাংলাদেশের মিডিয়া যথেষ্ট স্বাধীনতার সাথে পরিচালিত হলেও একটি পর্যায়ে এসে সেই স্বাধীনতাকে বাধাগ্রস্থ করা হয়ে থাকে। মাহমুদুর রহমান এবং আমার দেশ সেই সর্বোচ্চচ পর্যায়ের মিডিয়ার স্বাধীনতা ভোগ করার ক্ষেত্রে একটি চরম হুমকীর মুখে পড়েছে-সাম্প্রতিক ঘটনাগুলো তারই প্রমাণ।
অনলাইন সংস্কৃরণের গ্রাহক হোন
সুরমার সাহিত্য সম্পাদক আহমদ ময়েজ বলেন, মাহমুদুর রহমান যে তিনটি দাবীতে অনশন করেছেন এরমধ্যে তার নিজের জন্য কোনো দাবী নেই। তিনটি দাবীর মধ্যে একটি হচ্চেছ আমার দেশের প্রকাশনা বাধামুক্ত করা। কিন্তু যেহেতু সরকার পত্রিকাটি প্রকাশ করতে দিচ্চেছনা তাই কর্মরত সাংবাদিকরা আমার দেশের অনলাইন সংস্করণকে বাঁিচয়ে রাখতে চান। আর এটি পরিচালনার ব্যয় সংকুলানের জন্য বার্ষিক ৭২০ টাকা হারে চাঁদা ধার্য্য করে গ্রাহক করার উদ্যোগ গ্রহন করেছেন। তিনি সকলকে আমার দেশের অনলাইন সংস্করণের গ্রাহক হওয়ার আহবান জানান।
খালেদা জিয়াকে কী বলেছিলেন মাহমুদুর রহমান?
সাংবাদিক ওয়ালি উল্লাহ নোমান বলেন, ওয়ান এলেভেনের সময় ঢাকার বাঘা বাঘা সাংবাদিকরা ছিলেন সরকারের তলবিবাহক। তখন মাহমুদুর রহমানই ছিলেন একমাত্র সোচ্চচার ও প্রতিবাদী। তিনি বলেন, দৈনিক আমার দেশের আর্থিক অবস্থা খুবই নাজুক ছিলো। মাহমুদুর রহমান এই দুরূসময়ে হাল ধরেন। আমার দেশের ৫শ সাংবাদিককে যাতে চাকুরী হারাতে না হয় সে জন্য তিনি অনেকটা মানবিকবোধ থেকেই দায়িত্বটি নিয়েছিলেন। ২০১১ সালে তিনি তাঁর সিরামিক কোম্পানীটি বিক্রি করে সমুদয় অর্থ আমার দেশে বিনিয়োগ করেন। তবুও প্রতি মাসে ২০ লক্ষ টাকা করে ভুর্তুকী দিতে হতো। এটি সংবাদপত্র ও সাংবাদিকতার প্রতি তাঁর গভীর ভালোবাসার এটা একটি উজ্জল দৃষ্টান্ত। তিনি বলেন, মাহমুদুর রহমানের বিরুদ্ধে পক্ষপাত দুষ্টের অভিযোগ আনা হয়। কিন্তু তিনি প্রকৃত পক্ষে কারো পক্ষেই নয়, সর্বদা সত্যের পক্ষে। তিনি বলেন, একবার একটি রিপোর্ট বিএনপির বিপক্ষে চলে গিয়েছিলো তখন বেগম খালেদা জিয়া কারণ জানতে চান। জবাবে মাহমুদুর রহমান বলেছিলেন, আপনারা যতদিন ভুল করবেন ততদিন আমরা লিখবো। ওয়ালি উল্লাহ নোমান বলেন, স্কাইপ সংলাপ নিয়ে সংবাদ প্রকাশের পর মামলা মোকাবেলায় আমাদের সকল আইনী প্রস্তুতি ছিলো। কিন্তু সরকার আইনের আশ্রয় লাভের সুযোগ না দিয়ে গ্রেফতার ও নির্যাতন শুরু করে।
উল্লেখ্য, সমাবেশ কয়েকটি দাবী জানানো হয়। দাবীগুলো হচ্চেছ অন্যায়ভাবে আটক মাহমুদুর রহমানের আশু মুক্তি, আমার দেশের প্রেস খুলে দেয়া এবং আমার দেশের সকল সাংবাদিক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীর উপর থেকে মামলা প্রত্যাহার করা, বৃটেনসহ দেশ বিদেশের সকল মিডিয়াকর্মীর উপর অন্যায় অবিচারের বিরুদ্ধে রুখে দাড়ানো, আমার দেশ প্রকাশনা অক্ষুন্ন রাখতে অনলাইন সংস্কৃরণ এর গ্রাহক হওয়া এবং সর্বোপরি মাহমুদুর রহমানের উপর নির্যাতনের আন্তর্জাতিক তদন্ত দাবী।
পবিত্র কুরআন থেকে তেলাওয়াতের মধ্যদিয়ে শুরু হওয়া সমাবেশে ঢাকার সাভারে ৯ তলা ভবন ধধ্বসে শতশত মানুষের প্রাণহানীর ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করে শোক সন্তপ্ত পরিবার পরিজনের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করা হয়। এসময় নিহতদের রুহের মাগফেরাত কামনায় দোয়া করা হয়।
সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সাপ্তাহিক লন্ডন বাংলার সাবেক সম্পাদক শাহ ইউসুফ, সাপ্তাহিক ইউরোবাংলার রিপোর্টার বদরুজ্জামান বাবুল, সাপ্তাহিক ইউরোবাংলার রিপোর্টার মওদুদ ইবনে হাবিব, বাংলা পোস্টের ম্যানেজার আদনান রশিদ, এনটিভি ইউরোপ এর হেড অব নিউজ শাহনেওয়াজ রকি, ইউকেবিডি নিউজ সম্পাদক সোয়েব কবির, ইউকেবিডি নিউজ এর বার্তা সম্পাদক হেফাজুল করিম রাকিব, চ্যানেল নাইন এর রিপোর্টার নুরুল ইসলাম শাহীন।
বিষয়: বিবিধ
১৭৩৩ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন