আর কত মিথ্যাচার করবে?
লিখেছেন লিখেছেন জাদুর কাঠি ০৪ মার্চ, ২০১৩, ০৩:৫৯:২৪ রাত
বার বার যে কথাটি বলছি তাহলো শয়তানের কখনও বাহানার অভাব হয়না। মনে পড়লো সেই শিয়াল-মেষ শাবকের গল্পটিও! ‘পানি তুই ঘোলা না করলে তোর দাদা করেছে’! গণজাগরণ মঞ্চকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে ইসলামী ব্যাংক টাকার বান্ডিল নিয়ে নামার পর নুন খাওয়া নানান ‘ নষ্ট’ লোকজন গণজাগরণ মঞ্চ, এর নেতাদের প্রশ্নবিদ্ধ করতে নানান গবেষনায় নেমেছে! এখন বলা শুরু হয়েছে ডা ইমরানের দাদা নাকি রাজাকার ছিলেন, তাই এ আন্দোলন চলতে পারেনা! এমনকি আমারদেশ’এর এই বিশেষ গবেষনা রিপোর্টটি প্রচার করছে ডঃ ইমরান অবশ্য এর একটি দাঁতভাঙ্গা জবাব দিয়েছেন। আমি এর সঙ্গে একটু যোগ করি। ব্রহ্মপুত্র নদী বিচ্ছিন্ন কুড়িগ্রামের রৌমারী-রাজিবপুর মুক্তিযুদ্ধের পুরো নয়মাস ছিল মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ন্ত্রণাধীন মুক্তাঞ্চল। পাকিস্তানিরা সেখানে কখনো যায়নি-যেতে পারেননি বলে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানও ওই এলাকায় ছিলেন! একই কারনে ওই এলাকায় কোন রাজাকারও সৃষ্টি হতে পারেনি। মুক্তিযুদ্ধের ছবি ‘মুক্তির গান’এর শুটিং’ও সেখানে হয়। কাজেই ডা ইমরানের দাদা রাজাকার হয়ে থাকলে মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান এভাবে নিরাপদে রৌমারি-রাজিবপুর থাকলেন কি করে? গত ক’দিন বারবার যে কথাটি বলে আসছি যে, আমাদের চেনাজানা কোন পচা-গলা রদ্দিমাল জড়িত ছিলোনা বলেই শাহবাগের মুক্তিযুদ্ধের নতুন প্রজন্মের গণজাগরণ ঘটেছে। কাজেই জামায়াত-ইসলামী ব্যাংকের মালকড়ি খাওয়া নষ্টের দল শত অপপ্রচার চালিয়েও গণজাগরণকে কলুষিত-কলংকিত করতে পারবেনা।
বিষয়: বিবিধ
৮৬১ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন