যারা নাস্তিক্যবাদ নিয়ে নিজের ঘুম হারাম করছেন তাদের জন্যে কিছু কথা
লিখেছেন লিখেছেন জাদুর কাঠি ০২ মে, ২০১৩, ০৮:৫৮:১১ রাত
যারা নাস্তিক্যবাদ নিয়ে নিজের ঘুম হারাম করছেন তাদের জন্যে কিছু কথা,যদি ইসলামকে ও আল্লাহকে বিশ্বাস তথা ভরসা করেন তবে,আমার এই লিখা গুলো অবশ্যই আপনাদের মানতে হবে।যে কোনো কোরান অভিজ্ঞ আলেম জানেন যে,বিভিন্ন সময়ে নবীগণ কি ভাবে অপমানিত হয়েছেন,,তা আল্লাহ তা'আলা কোরানে সংরক্ষণ করেছেন।কীভাবে তাদের তিরস্কার করা হয়েছে,,কীভাবে নিকৃষ্টতম উপায়ে তাদেরকে অগ্রাহ্য করা হয়েছে।এমনকি অবিশ্বাসীরা নবীদের তিরস্কার করায়,নবীদের ব্যথিত হওয়ার কথা ও উল্লেখ রয়েছে।নূহ(আতাদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ করেছিলেন।
তিনি যখন রাস্তা দিয়ে হেটে যেতেন,,তখন তারা কানে আঙ্গুল দিয়ে রাখত,বিবস্র হয়ে উলঙ্গ থাকতো।আমাদের নবী হজরত মোহাম্মদ(সা কে ও এক ই সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছিলো।কোরআনে এক ই সাথে নবীজিকে সম্মান দেখানোর সাথে সাথে সমালোচকেরা যে সকল তীব্র অবমাননাকর কথা বলেছিল,সে গুলো ও বর্ণিত আছে।যাতে নবীজি (সাবার বার এই কথা গুলো স্মরণ করতে পারেন।যেমন: সাহির(জাদুকর) শ্রেষ্ঠ পাগল (মজনুন) মিথ্যাবাদী (কাজ্জাব) নবীজি(সা এর বিরদ্ধে এমন বহু অভিযোগ আনা হয়েছে।যার,সব কিছুই কোরানে লিপিবদ্ধ করা হয়েছে।আল্লাহ আমাদের স্মরণ রাখতে বলেছেন যে,,নবী রাসুলগণ যদিও আল্লাহর পবিত্র সৃষ্টি,,আল্লাহ নিজেই তাদের সম্মান দেখিয়েছেন,,তার পর ও তাদের কতনা অপমানের সম্মুখীন হতে হয়েছে।কখনো কখনো ঘৃন্যতম বিদ্রুপের ও সম্মুখীন হতে হয়েছে,,কিন্তু তখন আমাদের দৃষ্টিতে প্রতিবাদ কেমন হওয়া উচিত?যদি কেউ ভীষণ ক্রোধে যেন মাথায় আগুনের সমতুল্য থাকে তখন? যেসব লোকেরা নবীজিকে ঠাট্রা বিদ্রুপ করেছিলো,,তাদের মধ্যে কেউ সাহাবী ছিলোনা এই ব্যপারটি পরিষ্কার,,সাহাবীরা এই ধরনের কাজ করলে তো সাহাবী ই হতোনা।
আমাদের বিশ্বাস যাদের বিশ্বাসের তুলনায় আকাশ মাটির ব্যবধান রাখে,,কিন্তু বর্তমান সময়ে আমরা যে ভাবে,,উগ্র হয়ে উঠেছি,,সে সময়ের সাহাবীরা কিভাবে নিজেদের উগ্রপন্থা থেকে দুরে রেখেছিলেন? কেন কোনো প্রতিবাদ করেননি? কেন উগ্র ধর্মান্ধ হয়ে মিছিল নিয়ে রাস্তায় অগ্নিসংযোগ ও ভাংচুর করেন নি?কেন লংমার্চ এর মত সমাবেশ করেননি,,আবদ্ধ করে গণমানুষের জীবন চলাচল? কারণ,,তারা জানতেন যে পবিত্র কোরানে শুধুই রাসুল(সা কে ভালবাসতে বলা হয়নি!বরং সেই ভালোবাসাকে কিভাবে জীবনের সকল ক্ষেত্রে উপস্থাপন করতে হবে সেই নির্দেশনা ও দেয়া আছে।এবং,,কোরআন ই তাদের শিখিয়েছে কি ভাবে সে সকল অপমান ও বিদ্রুকারীর প্রতিক্রিয়া কি হওয়া উচিত।নবী(সা কে বলা হয়েছিলো,,তারা যাই কিছু বলুক,,সংযত হও,,তবে আমরা কেন,,মানিনা? সেখানে শব্দটি হচ্ছে (তারা যাই বলুক) মানে পরে ও বলবে বা আরো অনেক মিথ্যা প্রচারণা ও চালাতে পারে,,প্রাচীন আরবরা বা মুদারিফ রা বলে থাকেন,,শুধু তারা যা বলে এসেছে তাই নয়,,এখন যা বলে ও ভবিষ্যতে যা বলবে।আমাদের নবী(সা এর নিজের পন্থা ছিল যে নিজেকে উনি সর্বস্থায় সংযত রাখতেন।
কোরানে কোথাও এমন ভাবে রেগে যেতে বলা হয়নাই।আমরা কেউ বুজতেই চাইনা যে আমাদের ধৈর্য পরীক্ষা করা হচ্ছে।যেসব লোকেরা ইসলামকে ও মুসলিমকে ঘৃনা তথা বিদ্রুপ করে,,তাদের জন্যে আমাদের মন থেকে একটাই অনুভুতি করা উচিত,,সেটা হলো দুঃখ।তাদের জন্যে দুঃখিত হওয়া ছাড়া,,রেগে যাওয়া বা মিছিল মিটিং মোটেই উচিত নয়।তারা তো ইসলামকে বা নবী(সা কে আঘাত করতে পারছেনা!!তারা তো তার সম্মান ও কেড়ে নিতে পারছেনা!!সেই সম্মান তো শয়ন আল্লাহ দিয়েছেন।এই পৃথিবীর কোনো শক্তি ই সেই সম্মানের বিন্দু পরিমান ক্ষতি করতে পারবেনা,,যদি আল্লাহকে সর্বশক্তিমান বা স্রষ্টা হিসেব বিশ্বাস করি তাহলে এমন ই ভরসা আল্লাহর উপর না থাকলে আমরা নিজেকে কেমন মুসলিম দাবি করি? কোনো কার্টুন,,বা ঘৃণ লিখা বা কুটুক্তি ই নবী(সা এর সেই সম্মানে আচড় আকতে পারবেনা,,যে সম্মান খোদ আল্লাহ দিয়েছেন।এবং যারা সেইসব ঘৃণিত কাজ করে তারা শুধুই ইসলামের সততা লোকানোর জন্যই করে থাকে,,যাকিনা কিয়ামত পর্যন্ত আল্লাহ নিজেই সংরক্ষণের দায়িত্ব নিয়েছেন।
অথচ আমরা নিজেদের উগ্র ভাবনায় রাগান্নিত ব্যবহারে সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে সেইসব কুটুক্তি কারীদের উত্সাহিত করছি,,যারা চায়যে আমরা ইসলামের নৈতিক আদর্শের বিপরীত পন্থায় নিজের পথ ভ্রষ্ট করে দেই,,একটি বার ও ভেবে দেখিনা যে কোরান আমাদের কি নির্দেশ করেছে। আমরাও ঠিক তাদের ন্যায় ইসলামের নামে ইসলামের অবমাননা ই করছি,,যদি ও নামাজ ঠিক আছে,,দাড়ি আছে,,টুপি আছে,,কিন্তু আসল ব্যবহার নেই।সেসব আচরণ কি ইসলামের অবমাননা নয়? আমরা সেটাই করছি যা আমাদের দিয়ে অবিশ্বাসী বা শয়তান করাতে চাচ্ছে।এক মাত্র কোরানের দেয়া নির্দেশকে ভূল ব্যখ্যা করেই আমাদের মধ্যে ব্যবধানের সৃষ্টি করা হয়েছে,,তার ও একটি প্রমান আছে।মুসলিম শরীফের একটি হাদীস (আব্দুল্লাহ ইবনে আমর ইবনে আ'স (রা থেকে বর্ণিত,,সমুদ্রের মধ্যে বহু সংখ্যক শয়তান বন্দিবস্থায় রয়েছে,,যাদেরকে হযরত সোলাইমান (আবন্দী করে গেছেন।অচিরেই এরা সেখান থেকে বেরিয়ে এসে,,লোকদেরকে কোরআন পথ করে শোনাবে)।তাহলে তো আর বুঝতে বাকি নেই যে শয়তানের কাজ হলো কোরআনের বিরদ্ধে,, সে কেন,,আমাদের কোরআন পড়ে শোনাবে?(আব্দুল্লাহ ইবনে দিনার (রা থেকে বর্ণিত,,তিনি ইবনে উমরকে বলতে শুনেছেন।রসুল(সা বলেছেন যদি কোনো লোক তার মুসলিম ভাইকে কাফের বলে,,তা তাদের দুজন থেকে কোনো একজনের উপর পতিত হবে,,সে যাকে বলেছে সে যদি সত্য সত্যই তা হয়ে থাকে,,তাহলে তো ঠিক আছে,,নতুবা কুফুরী তার নিজের দিকেই প্রত্যাবর্তন করবে) এখনকার জামাত বলেন বা হেফাজত বলেন তাদের সেসব আচরণ কিন্তু পরিষ্কার যে,,তারা ইসলামের নামে শয়তানি কর্মকান্ডে লিপ্ত হয়ে আছে।মুখে মুখে নবীজি(সা কে জীবনের চেয়েও বেশি ভালবাসে,,কিন্তু ব্যবহার নবীজি(সা নয়।অতএব তাদের পন্থা যে আল্লাহ বা রাসুলের নির্দেশের বিপরীত তার কোনো সন্দেহ নাই।হয়তো অনেকে বলবে এই লিখা আওয়ামীলীগের,,তাই এড়িয়ে যাবে,,কারণ তারা ইসলামের নামে শুধুই নিজেদের প্রবিদ্ধি চিন্তা করে।সঠিক পথ উন্মুক্ত,,কারো জন্যে বাধা নেই,,তবে ইচ্ছা যদি সঠিক হয়!!!
বিষয়: বিবিধ
১৮৭৩ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন