ঈমানদাররা প্রকৃত প্রগতিশীল

লিখেছেন লিখেছেন মাটির মানুষ ১৮ জুন, ২০১৩, ০৪:২৫:২১ বিকাল

ঈমানদাররা প্রকৃত প্রগতিশীল

প্রগতিশীল(Progressive) বলতে বোঝায় 1.Favouring new ideas or social reform.2.A person who supports social reform(n)।অর্থাৎ যে সমাজের নতুন চিন্তা ও ধারনায় বিশ্বাসি।আপরদিকে ঈমানদার(Believing in Allah or Islam) অর্থাৎ আল্লাহর উপর বিশ্বাসি।এই দুই প্রকৃতির মানুষ হল একই মুদ্রার এপিট ওপিট।

বিশ্ব এগিয়ে চলছে দ্রত গতিতে।বর্তমানে পুরো পৃথিবী পরিনত হয়েছে একটি গ্রামে নয়, বরং একটি পরিবারে।বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির কল্যানে মানুষ আজ পৃথিবী ছেড়ে মহাশূন্যে পাড়ি জমাতে ব্যস্ত।এমন অবস্থায় অতীত দিনের ধ্যান ধারনায় পরিবর্তন আসা খুব স্বাভাবিক।

মানব জীবনের স্বরুপ , তার কর্মকান্ডের মূল্যায়ন এবং বিশ্বে মানুষের প্রকৃত মর্যাদা নিরুপনে মানুষের চিন্তা চেতনা বার বার পরিবর্ত রুপ গ্রহন করে।তাই বর্তমান বিশ্ব পরিস্থিতিতে মানুষ তার নিজস্ব গতি প্রকৃতি নির্ধারনে নতুন করে ভাবতে শুরু করেছে।

সৃষ্টিকর্তার প্রতি বিশ্বাস নতুন কোন বিষয় নয় ।প্রাগ ঐকিহাসিক কাল হতে এ বিশ্বাস চলে আসছে।শিল্প বিপ্লব এবং রেঁনেসার জন্য বিশ্ব যখন নতুন মোড় নিতে শুরু করে ঠিক তখনই এ প্রশ্ন দেখা দেয় যে, স্রষ্টার বিশ্বাস মানব জীবনের উন্নয়নে ঠিক কতটুকু সহায়ক ভুমিকা পালন করে।

এ প্রশ্নের উত্তর খুজে পেতে হলে আমাদের প্রথমে জানতে হবে উন্নয়নের জন্য কি কি বিষয় প্রয়োজন এবং তা কিভাবে অর্জত হতে পারে।

প্রগতির জন্য প্রয়োজন দৃঢ় মানসিকতা

মানুষকে অগ্রগতির পথে চালিত করে তার দৃঢ় মানসিকতা।যে ব্যক্তি সর্বদা সংসয় এবং সিদ্ধান্তহিনতায় ভোগে তার পক্ষে কঠিন কোন পদক্ষেপ নেওয়া সম্ভব নয়।তাছাড়া যে কোন কর্মতৎপরতায় সাময়িক ব্যর্থতা আসতে পারে।তা স্বত্বেও নিজ পদক্ষেপে অবিচল থাকা গতিশীলতা এবং প্রগতির লক্ষন।সম্মুখে চলতে হলে যে কোন বাঁধা অতিক্রম কারার মনোভাব থাকতে হয়।একজন ঈমানদার ব্যক্তির পক্ষেই এরুপ দৃড়তা আসতে পারে।আল্লাহকে বিশ্বসের কারনে সে পৃথিবীর কোন কিছুকেই ভয় পায় না্।সর্বশক্তিমান আল্লাহর উপর ভরসা করে সে যেকোন কঠিন পদক্ষেপ নিতে পারে।যেহেতু ঈমানদার ব্যক্তি বিশ্বাস করে, সাফল্য নির্ভর করে আল্লাহর ইচ্ছার উপর তাই সাময়িক ব্যর্থতায় সে সাহসহারা হয় না।ঈমানের বদৌলতে সে সম্মুখপানে এগিয়ে চলে সাহসের সাথে।আর এই হল প্রগতিশীলতা।

দৃঢ়তা ভারসাম্যে এবং প্রগতির পরিপন্থি নয়

কোন মুমিন ব্যক্তি নিজ কর্ম ও বক্তব্যে ভারসাম্য হারায় না।দৃঢ়তার নামে সে কোন নীতিকে অতিক্রম করতে পারে না।কারণ জবাবদিহিতার চিন্তা তাকে সীমা লঙ্ঘন করা থেকে বাঁধা দেয়।নিজ জীবনের উন্নয়নের কথা চিন্তা করতে গিয়ে সে অন্যের অনিষ্ঠের কথা চিন্তা করতে পারে না।পার্থব উন্নতির জন্য শত প্রচেষ্টায় লিপ্ত থেকেও সে পরকালের কথা মনে রাখে।তার চরিত্রের দৃঢ়তা তাকে নীতির উপর অটল থাকতে সাহায্য করে।আর অপর দিকে একজন নাস্তিক ব্যক্তি তার কোন জবাবদিহিতার প্রয়োজন থাকে না যার ফলে সে কারও কথা চিন্তা করে না।

উন্নত চরিত্র উন্নত মানসিকতার এবং প্রগতিশীলতার পরিচায়ক

মানুষের মূল্য নির্ধারিত হয় তার চরিত্রের বিচারে।উন্নত চরিত্রের লোকই সমাজের প্রিয়পাত্র হয়ে থাকে।উন্নত চরিত্র ঈমানের পরিচায়ক এবং সেই আসল প্রগতিবাদী।মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,“সর্বাত্তম চরিত্র বিশিষ্ট ব্যক্তিই সবচেয়ে পূর্ন ঈমানের অধিকারী”

চরিত্র দ্বারা মানসিকতার পরিচয় পাওয়া যায়।যার মনোভাব যে রুপ তার আচার আচরন এবং কথা বার্তা সেরুপ হয়ে ওঠে।যে ব্যক্তি স্বচ্ছ মনের অধিকারী তার ক্রিয়া কলাপে স্বচ্ছতা ফুটে ওঠে।মানুষের প্রতি ভালোবাসা যার অন্তরে বদ্ধ মুল থাকে সে কাউকে কষ্ট দিতে পারে না।পক্ষান্তরে যে ব্যক্তি ভোগবাদি চিন্তাধারায় লিপ্ত হয় , তার প্রবনতা শুধু থাকে আত্নতুষ্টি।জগত গোল্লায় গেলেও সে নির্বকারে থাকতে পারে।মূলতঃ মানসিক প্রবনতাই তাকে সৎ কিংবা অসৎ কাজে উদ্বুদ্ধ করে।কর্মই চরিত্রের চিত্র আর চরিত্র উন্নত মানসিকতার দর্পন।আর একজন উন্নত চরিত্রের ধারক হল প্রকৃত প্রগতিশীল।

নাস্তিকরা ভীরু

মাঝ দরিয়ায় যখন তুফান ওঠে, তখন মুমিন ব্যক্তিই অবিচল থাকে।নাস্তিকরা নয়।মুমিন জানে আল্রাহর পক্ষ থেকেই সবকিছুর ফয়সালা হয়।অতএব তিনিই রক্ষা করতে পারেন।নাস্তিকরা কোন কুল কিনারা খুজে পায় না।তাই তারা জীবনের প্রতি নিরাশ হয়ে পড়ে।অপরদিকে একজন মুমিন ব্যক্তি সবসময় আশাবাদি থাকে।ফলে যেকোন বিপদ মুসিবতে সে ধৈর্য ধারণ করে তার নিজ কর্তব্য পালন করে যায়।উন্নয়ন এবং অগ্রগতির জন্য যে দৃড়তা ও অবিচলতা প্রয়োজন তা মুমিনের পক্ষেই সম্ভব।যে ব্যক্তি আল্রাহকে বিশ্বাস করে না, পরকাল মানে না, সে কেবল মাত্র তাৎক্ষনিক লাভ ক্ষতিই বুঝে।তাই বিপদের সময় ধৈর্য ধারন করা তার চরিত্রের পরিপন্থি অথচ পরিস্থিতি মোকাবেলার প্রথম শর্তই হল ধৈর্য।

প্রগতির নামে বিভ্রান্তি

ইসলামের মতে দুনিয়ার বস্তুসমুহের প্রকুত মালিক আল্রাহ।মানুষ তার প্রতিনিধি মাত্র।কেবল আল্লাহর নির্দশ মোতাবেকই সে তার ব্যবহার করতে পারে।কিন্তু প্রগতিবাদীরা স্রষ্টার মেীল মালিকানার বিষয়টি সম্পুর্নরুপে উপেক্ষা করে এবং মানুষকে আসল মালিক বিবেচনা করে।আল্লাহ তথা স্রষ্টার ধারনাকে একবারে পরিত্যাগ করার ফলে দায়িত্ববোধ এবং জবাবদিহিতার মনোভাব তাদের নেই।তাই তারা একবারে হয়ে যায় আত্নপুজারী।চিন্তা ও কর্ম প্রতিটি ক্ষেত্রে তারা বিভ্রান্তিতে লিপ্ত হয়।তাদরে অশূভ চিন্তা এবং অসৎকর্মর ফলে বিজ্ঞান আজ পরিনত হয়েছে মানুষের ধ্বসের হাতিয়ারে।তারা নৈতিকতার পরিবর্ত আত্নপুজা,প্রদর্শনেচ্ছা,অবাধ্যতা এবং উচ্ছশৃঙ্খলতাকে বেছে নয়।অর্থ ব্যবস্থার উপর চাপিয়ে দেয় স্বর্থপরতা এবং প্রবঞ্চনার বোঝা।সমাজজীবনে আত্নকেন্দ্রিকতা এবং বিলাশপ্রিয়তার মারাত্নক বিষ ছড়িয়ে দেয়।রাজনীতিতে জাতিয়তাবাদ,স্বাদেশিকতা,বর্ণ ও গোত্রের পার্থক্য এবং শক্তিপুজার দুষ্ট তীর বিধে মানবতার পক্ষে নিকৃষ্টতম এক অভিষাপ নেমে আসে।ফলকথা তথাকথিত প্রগতিবাদ মূলতঃএক বীষবৃক্ষের বীজ বপন করে যা কৃষ্টি ও সভ্যতার এক বিরুপ মহীরুহে পরিনত হয়।যে বৃক্ষের ফল সুমিস্ট হলেও প্রকৃত পক্ষে তা দূষিত।তার ফুল দেখতে সুন্দর হলেও তাতে রয়েছে কাঁটা।তার শাখা প্রশাখায় শোভাবর্ধন করলেও তা হতে যে বায়ু প্রবাহিত হয় তা অত্যন্ত বিষাক্ত এবং তার প্রভাবে মানবতা ধীরে ধীরে ধ্বসের দিকে এগিয়ে চলে।

তথাকথিত প্রগতিবাদের প্রবক্তারাই এখন নিজেদের দর্শনের প্রতি বীতশ্রদ্ধ।কারণ এতে জীবনের প্রতিটি বিভাগ ও ক্ষেত্রে এমন বিভ্রান্তি ,জটিলতা ,অস্থিরতার সৃষ্টিকরেছে যা সমাধানের কোন উপায় তাদের কাছে আজ আর নেই।বরং এক জটিলতা দুর করার প্রচেষ্টায় অন্য একটি জন্ম নিচ্ছে।তারা পুজিঁবাদের অভিষাপ হতে মুক্তি পাবার জন্য আবিষ্কার করল সমাজবাদের।কিন্ত তা থেকে জন্ম নিল মানবতার আরেক শত্রু কম্যুনিজম।গণতনেত্রর বিকল্প খুজতে গিয়ে আবিষ্কার হল একনায়কতন্ত্রের।সামাজিক সমস্যাবলীর সমাধান করতে গিয়ে তা থেকে আত্নপ্রকাশ ঘটে নারীত্ববাদের।নৈতিক উশৃংখলতা প্রতিকারের জন্য কোন আইন করলে আইনলংঘন এবং অপরাধপ্রবনাতা মাথাচড়া দিয়ে ওঠে।মোটকথা কৃষ্টি এবং সভ্যতার নামে এমন এক বিষবৃক্ষ জন্ম নিয়েছে যা থেকে বিকৃতি ও বিশৃংখলতার দূষিত বায়ু প্রবাহিত হয়ে মানবজীবনকে দুঃখকষ্টের এক অন্তহীন গহবরে নিক্ষেপ করে।মানব সমাজের প্রতিটি অংশ জর্রিত হয় এই সমস্যায়।

তথাকথিত প্রগতিবাদীরা এখন নিজেরাই অর্জত ব্যধির যন্ত্রনায় আর্তনাদ করছে।তারা এখন উদ্বেল।অমৃতরসের সন্ধানে তারা ছটফট করছে।কিন্তু সে অমৃতরসের কথা তাদের জানা নেই।তাই নিজেদের ক্যান্সারদুষ্ট দর্শনকে মলম লাগিয়ে নিরাময়ের ব্যর্থ চেষ্টা চালাচ্ছে।তাদের নিজেদের দর্শনের মেীলিক দুর্বলতা ও অনিষ্ট তাদরে অনেকেই উপলব্ধি করতে পেরেছেন।যেহেতু তারা কয়েক শতাব্দি ধরে ঐ ভাবধারায় গড়ে উঠেছে তাই তাদের মন মগজে বিকল্প কোন ধারনাই আসে না।তারা অত্যন্ত ব্যকুলতার সাথে তাদের যন্ত্রনা নিবারনের কোন উপায় অনুসন্ধান করছে।কিন্তু তাদের অভীষ্ঠ বন্তুটি কি এবং তারা কোথায় পাবে তা তাদের এখনও জানা নেই।

ইসলামের প্রতি অপবাদ

আধুনিককালে অনেক বিদ্যাভীমানি মন্তব্য করে থাকেন-ইসলামী জীবন ব্যবস্থা গ্রহন করার অর্থ বর্বর যুগে এবং তাবুঁর যুগে ফিরে যাওয়া।ইসলামের প্রতি এরুপ সন্দেহ আরোপ করা হয়ে থাকে কোন যুক্তি বিচারের তোয়াক্কা না করে।ইসলামের ইতিহাস সম্পর্ক সামান্য জ্ঞান থাকলেও এ বিষয়ে একমত হবেন যে, ইসলাম সভ্যতা এবং প্রগতির পথে কখনও অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায়নি।ইসলামই সর্বপ্রথম গঠন করেছে একটি আদর্শবাদী এবং প্রগতিশীল সমাজ এবং রাষ্ট্র এবং কিছু সোনার মানুষ যারা সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ প্রগতিশীল আদর্শ মানুষ।

ইসলাম এমন এক জনসমাজের মাঝে নাজিল হয়েছিল, যারা বেশির ভাগই ছিল বেদুইন।তারা ছিল অত্যন্ত নির্মর এবং কঠোর প্রকৃতির।ইসলামর অন্যতাম শ্রেষ্ট কীর্ত হল এসব উগ্র এবং পাষান প্রকৃতির লোকেরা ইসলামরে প্রভাবে একটি উন্নত মানসিক গুনসম্পন্ন জাতিতে পরিনত হয়েছে।তারা কেবল নিজেরাই সুফল প্রাপ্ত হয়নি বরং মানুষকে আল্লাহর পথে পরিচালিত করার ক্ষেত্রে নেতৃত্বও দিয়েছিল।মানুষকে সভ্যতার আলো প্রদান এবং আত্নার বিকাশ সাধন ছিল ইসলামের অলেীকিক ক্ষমতার এক উজ্বল দৃষ্টান্ত।কিন্তু ইসলাম কেবল আত্নিক উন্নতি সাধন করেই কেবল ক্ষান্ত হয়নি।সভ্যাতর যেসব বিশেষ বিষয় মানুয়ের মাঝে আগ্রহের জন্ম দেয় এবং যাকে অনেকে জীবনের কেন্দ্রবিন্দু বলে মনে করে, ইসলাম তার সবগুলোই গ্রহন করেছে।ইসলামের সাথে সুম্পষ্ট ভাবে সাংঘর্ষক না হলে সব দেশের সভ্যতা সংস্কুতিকে সাহায্য, পৃষ্ঠপোষকতার এবং বিকাশ সাধন করেছে।গ্রীক সভ্যতা হতে চিকিৎসা বিজ্ঞান,গণিতশাস্ত্র,পদার্থ বিজ্ঞান, রসায়ন ও দর্শনশাস্ত্র গ্রহন করে ইসলাম এর পৃষ্ঠপোষকতার প্রদান এবং সমৃদ্ধ করেছে।বৈজ্ঞানিক গবেষনায় ইসলাম গভীর ও একনিষ্ট প্রেরনা যুগিয়েছে।স্পেনের ইসলামী বৈজ্ঞানক অবদানের উপরই ইউরোপীস রেনেসাঁ ও তার আধুনিক আবিষ্কার গুলোর ভিত্তি গড়ে ওঠেছে।

মানবতার সেবায় নিয়োজিত কোন মানব সভ্যতাকে ইসলাম কখনোই বিরোধী চোথে দেখেনি।অতীতের প্রতিটি সব্যতার প্রতি ইসলামরে যে মনোভাব ছিল বর্তমানে পাশ্চাত্য সভ্যতার প্রতিও তার মনোভার ঠিক সে রকমই।ইসলাম এসব সভ্যতার মহৎ অবদান গুলো গ্রহন করেছে,আর ক্ষতিকর দিকগুলে পরিহার করেছে।

সভ্যতা যতক্ষন পর্যন্ত মানবতার সেবায় নিয়োজিত থাকে, ততক্ষন ইসলাম তার বিরোধীতা করে না।কিন্তু সভ্যতা ও প্রকৃতি বদলে যদি মদ্যপান,জুয়াখেলা,বেশ্যাবৃত্তি,সুদ,ঘুষ ইত্যাদির মত উশৃংখলতা এবং অনৈতিকতাকে বুঝায়,তাহলে ইসলাম অবশ্যই তাদের বিরোধীতা করে এবং বিষাক্ত ছোবল হতে মানবতাকে রক্ষার জন্য যথাসম্ভব কর্মপন্থা গ্রহন করতে অনুসারীদেরকে অনুপ্রেরনা যোগায়।

প্রগতির সঠিক অর্থ

মানুষকে উদ্দেশ্যহীন,কর্তব্যহীন,দায়িত্বহীন,অর্থহীন ভাবে সৃষ্টি করা হয়নি।নিরুদ্দেশের যাত্রি বানিয়ে মানুষকে ছেড়ে দেওয়া হয়নি এই বিশাল জগৎ পরিসরে।মানুষকে একটা সুস্পষ্ট লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য দিয়ে সৃষ্টি করা হয়েছে।মানব সৃষ্টি মূলে রয়েছে সূক্ষ্ণ যেীক্তিকতা এবং কেীশল।আল্লাহকে জানা এবং তার দাসত্ব ও আনুগত্য করাই মানুষের জীবনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য।মানুষকে আল্লাহর খলিফা রুপে এই জগতে পাঠানো হয়েছে।খিলাফতের দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে তারা সম্মুখিন হতে হয় অনেক বাঁধা বিপত্তির।এসব প্রতিবন্ধকতাকে উপেক্ষা করে সাহসের সাথে সামনে এগিয়ে যাওয়াটাই হল প্রকৃত প্রগতির অর্থ।ইসলাম মানুষকে সেই শিক্ষাই দেয়।ইসলাম বলেঃমানুষ বাঁচবে তার মাহান আল্লাগর জন্য।বেঁচে থাকবে তার পরবর্ত নিরন্তর জীবনের জন্য।এরুপে জীবন পরিচালিত করাই হল প্রকৃত প্রগতি।এর ফলে ইসলাম তার কল অনুসারীদের সঠিক প্রগতির দিকে গিয়ে নিয়ে যায় একটি সুন্দর সমাজ গঠনের জন্য।যার ফলে ইসলামই হল প্রকৃত প্রগতির ধর্ম।ইসলামকে বাদ দিয়ে কোন প্রগতির কাথা চিন্তিা করা যায় না।

বিষয়: বিবিধ

২২৯৭ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File