জওয়ান নাস্তিকরা ব্যর্থ বুড়ো নাস্তিকদের আগমন
লিখেছেন লিখেছেন শিক্ষানবিস ১৯ মার্চ, ২০১৩, ১২:০১:৪৫ দুপুর
একহাজার একজন বুড়ো নাস্তিক মিলে এবার ছোট শাহবাগ মঞ্চ করে আন্দোলন করা হবে। আসলে বাংলাদেশে কি এর চেয়ে বেশী নাস্তিক আছে? মনে হয় না।
আজকের আমার দেশ পত্রিকা থেকে জানা যায় :
আওয়ামীপন্থী মানবাধিকারকর্মী অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল, আইনজীবী ড. শাহদীন মালিক, অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ জাফর ইকবাল, অধ্যাপক ড. মুনতাসীর মামুন, সাংবাদিক আবেদ খান এবং অভিনেত্রী শমী কায়সারের দ্বিতীয় স্বামী মোহাম্মদ আরাফাত আছেন নতুন আন্দোলনের মূল নেতৃত্বে। আওয়ামী লীগ ও বাম সমর্থক বুদ্ধিজীবীরা নতুন এ ফ্রন্টে শাহবাগ আন্দোলন শুরু করার জোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া এবং যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের ইস্যুতে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী বৈতরণী পার হওয়ার ল্যকে সামনে রেখে এ কমিটি গঠন করা হচ্ছে। সরকার সমর্থক পেশাজীবী, সাংস্কৃতিক ও সামাজিক সংগঠনগুলোও নাগরিক সমাজের আন্দোলনে যুক্ত হচ্ছে। দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলা পর্যায়ে এ আন্দোলন চালালে জনসমর্থন পাওয়া যাবে কিনা, তাও সম্প্রতি যাচাই করা হয়েছে আওয়ামী লীগ সমর্থক সংগঠন ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির (ঘাদানিক) নেতাদের দিয়ে।
জানা যায়, নতুন মোড়কে শাহবাগ আন্দোলন পরিচালনার জন্য নাগরিক সমাজের এক হাজার এক সদস্যের কমিটি আগামী মাস দেড়েকের মধ্যে গঠন করা হতে পারে। সংগঠনটি শাহবাগিদের মতো রাজধানীর কোথাও টানা অবস্থান কর্মসূচির আয়োজন করবে না। তবে শাহবাগিদের মতো সমাবেশের পাশাপাশি অন্যান্য কর্মসূচির আয়োজন করবে। এরই মধ্যে ঢাকার চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে ক’দিন আগে তারা একটি অনুষ্ঠান করেছে। কমিটি গঠনের আগে শাহবাগিদের নেতৃত্বে আপাতত শাহবাগে প্রতি শুক্রবার সমাবেশ চলতে থাকবে। কমিটি গঠনের পর শাহবাগের মঞ্চও সরিয়ে ফেলা হতে পারে। শাহবাগের আলোচিত-সমালোচিত কথিত গণজাগরণ মঞ্চ গতকাল সকালে সরিয়ে ফেলা হয়।
তথ্যমতে, গত ৫ ফেব্র“য়ারি থেকে রাজধানীর শাহবাগে শুরু হওয়া নাস্তিক শাহবাগিদের কথিত আন্দোলন চরম বিতর্কিত হয়ে পড়েছে। এ আন্দোলনে জড়িত নাস্তিক বগারদের ইসলামবিদ্বেষ, আল্লাহ ও প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-কে নিয়ে অরুচিকর কটা করার নানা কাহিনী প্রকাশিত হয়ে পড়েছে। এতে দেশের ধর্মপ্রাণ মানুষ তাদের বর্জন করেছে। মতাসীন আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আয়োজিত এ আন্দোলনকে দলটি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যন্ত নানা কৌশলে চালিয়ে নেয়ার পরিকল্পনা করেছিল। শাহবাগিদের আন্দোলন প্রায় ধ্বংসের দিকে এগিয়ে যাওয়ায় আওয়ামী লীগের সেই পরিকল্পনা ভেস্তে যাচ্ছে। সেই আন্দোলন তাই আবার নতুন করে সরকার শুরু করছে। এ ল্েয সরকার সমর্থকদের নিয়ে গত ফেব্র“য়ারি মাসের শেষ দিকে গঠিত হয়েছে ‘নাগরিক সমাজ’ নামের সংগঠনটির। সংগঠনটি গঠনের নেতৃত্বে আছেন অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান, সুলতানা কামাল, আইনজীবী ড. শাহদীন মালিক, অধ্যাপক মুহাম্মদ জাফর ইকবাল, বাংলা একাডেমীর মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান, ড. মুনতাসীর মামুন, সাংবাদিক আবেদ খান, আওয়ামীপš’ী সংগঠন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি নাসির উদ্দীন ইউসুফ বাচ্চু, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন, অভিনেত্রী শমী কায়সারের দ্বিতীয় স্বামী মোহাম্মদ এ আরাফাত। গত শনিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘নাগরিক সমাজ’ প্রথম বারের মতো মহাসম্মেলনের আয়োজন করে। মহাসম্মেলনের অন্যতম আহ্বায়ক ছিলেন অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান। সেখানে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ও জামায়াত শিবিরের রাজনীতি বন্ধের দাবি জানানো হয়। এ ল্েয আন্দোলনের জন্য এক হাজার একজন সদস্যের কমিটি গঠনের ঘোষণাও দেয়া হয়। মাস দেড়েকের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন হতে পারে বলে জানা যায়। কমিটির গঠনের ল্েয নাগরিক সমাজের প থেকে আইনজীবী শাহদীন মালিক, অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন, শমী কায়সার, মোহাম্মদ এ আরাফাতকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
এসব প্রসঙ্গে বক্তব্য জানতে গতকাল যোগাযোগ করলে অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান বলেন, ‘নাগরিক সমাজ সম্প্রতি গঠিত হয়েছে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে জনমত তৈরির জন্য এক হাজার এক সদস্যের একটি কমিটি গঠনের জন্য গত শনিবারের মহাসম্মেলনে ঘোষণা দেয়া হয়েছে। তবে কমিটিতে কারা আছেন, কী নেই, এ বিষয়ে আমি এখন বলতে পারব না।’
মোহাম্মদ এ আরাফাত আমার দেশকে বলেন, ‘শাহবাগের আন্দোলনকে জিইয়ে রাখা ও এগিয়ে নেয়ার জন্যই নাগরিক সমাজ আন্দোলন শুরু করছে। নাগরিক সমাজের কমিটি গঠনের কাজ চলছে। কমিটি গঠনের ব্যাপারে আরও দুটি বৈঠক হবে। এরপর কমিটি ঘোষণা করা হবে। কমিটি কখন ঘোষণা করা হবে, তা এখন বলতে পারছি না।’ যোগাযোগ করলে শমী কায়সারও কমিটি ঘোষণার সময় জানাতে পারেননি। তবে ঘাদানিক নেতা শাহরিয়ার কবির আমার দেশকে বলেন, ‘আমি কখনও নেতৃত্বে ছিলাম না। নাগরিক সমাজের নেতৃত্বে আমি নেই। নাগরিক সমাজের ব্যানারে শাহবাগ আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়ার ইচ্ছাও আমার নেই।’
জানা যায়, আওয়ামীপš’ী অর্থনীতিবিদ ড. কাজী খলীকুজ্জামান, বিচারপতি সৈয়দ আমিরুল ইসলাম, সেক্টর কমান্ডার আবু ওসমান চৌধুরী, ভাস্কর ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণী, পান্না কায়সার, অভিনেতা পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়, শহীদজায়া শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী, মেজর জেনারেল (অব.) আমিন আহমেদ চৌধুরী, বামপš’ী অধ্যাপক এম এম আকাশ, সুজন সভাপতি বদিউল আলম মজুমদার, নাট্যকার ম. হামিদ, অভিনেতা আলী যাকের, ডা. সারোয়ার আলী, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের সভাপতি হেলাল মুর্শিদ, সাংবাদিক হারুন হাবীব, মোজাম্মেল বাবু, সঙ্গীতশিল্পী মিতা হক, অভিনেত্রী তমালিকা কর্মকার, রোকেয়া প্রাচী প্রমুখ ‘নাগরিক সমাজের’ কমিটিতে থাকছেন। এছাড়া কথিত বিচারক ও শাসকের দ্বৈত ভূমিকায় আবির্ভূত হওয়া তথাকথিত বগার অ্যান্ড অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট নেটওয়ার্কের আহ্বায়ক ও আওয়ামী লীগ সমর্থক চিকিৎসকদের সংগঠন স্বাচিপের নেতা ডা. ইমরান এইচ সরকারও কমিটিতে থাকছেন। দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলা পর্যায়ে এ আন্দোলন চালালে জনসমর্থন পাওয়া যাবে কিনা, তাও সম্প্রতি যাচাই করা হয়েছে ঘাদানিক নেতাদের দিয়ে। তাদের মধ্যে ছিলেন শাহরিয়ার কবির, মুনতাসীর মামুন, শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী প্রমুখ।
আজ ষোল কোটি মানুষকে শাসন করছে এই সংখ্যালঘু গোষ্ঠি। যাদের সংখ্যা এক হাজারের কিছু বেশী। আমরা এখন ফিলিস্তিন বা ভারতীয় কাশ্মীরের বাসিন্দা।
বিষয়: বিবিধ
১৬৩৪ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন