কুনুতে নাযেলা কখন, কেন, কিভাবে ?
লিখেছেন লিখেছেন শিক্ষানবিস ১৭ মার্চ, ২০১৩, ১১:৫০:২২ সকাল
নেছার উদ্দীন আহমদ
দৈনিক নয়া দিগন্ত, তারিখ: ১৫ মার্চ, ২০১৩
সারা বিশ্বের মুসলমানদের ওপর বালা-মুসিবত, জুলম-নির্যাতন, বন্যা, মহামারী ও অন্য যেকোনো মহাবিপদ থেকে নাজাতের জন্য, সারা দেশের ইমাম সাহেবানদের প্রতি কুনুতে নাজেলা পড়ার আহ্বান জানিয়েছেন দেশের শীর্ষস্থানীয় আলেমগণ। নিজে পড়–ন, অপরকে পড়ার প্রতি উৎসাহিত করুন।
পড়ার নিয়ম : ফজরের ফরজ নামাজের দ্বিতীয় রাকায়াতে রুকু থেকে দাঁড়িয়ে সেজদায় যাওয়ার আগে পড়তে হয়।
উচ্চারণ : ‘আল্লাহুম্মাহ দিনা ফিমান হাদাইতা, ওয়া আফিনা ফিমান আফাইতা, ওয়া তাওয়াল্লানা ফিমান তাওয়াল্লাইতা ওয়া বারিক লানা ফিমা আতইতা ওয়াকিনা শাররা মা কাদইতা ফাইন্নাকা তাকদি ওয়ালা ইউকদা-আলাইকা ওয়া ইন্নাহু লা ইয়াজিল্লু মাও ওয়ালাইতা ওয়ালা ইয়াইজ্জুমান আদাইতা তাবারকতা রব্বানা ওয়া তাআলাইতা নাস্তাগফিরুকা ওয়া নাতুবু ইলাইকা আল্লাহুম্মাগফিরলানা ওয়ালিল মুমিনিনা ওয়াল মুমিনাতি ওয়াল মুসলিমিনা ওয়াল মুসলিমাতি ওয়া আল্লিফ বাইনা কুলুবিহিম ওয়া আসলিহ জাতা বাইনিহিম ওয়ানছুরহুম আলা আদুব্বিকা ওয়া আদুব্বিহিম আল্লাহুম্মা লা তুহলিকনা বিআজাবিকা ওয়া আফিনা কবলা জালিকা আল্লাহুম্মাল আনিল কাফারতা ওয়াল মুশরিকিনা ওয়াল মুলহিদিনা ওয়াশশুউঈনা ওয়াল ইয়াহুদা ওয়ান নাসারা-ওয়াল মাজু-সা ওয়াল হিন্দু-সা ওয়াররাওয়াফিদা ওয়াল কাদিইয়ানি ইনাল্লাজিনা ইয়াসুদ্দুনা আন সাবিলিকা ওয়া ইউকাজ্জিবুনা রাসূলাকা ওয়া ইয়কাতিলুনা আওলিয়া-আকা, আল্লাহুম্মাশাততিত্ শামলাহুম ওয়া মাজ্জিক জাময়াহুম ওয়া দাম্মির দিয়ারাহুম ওয়া খালিফ বাইনা কালিমাতিহিম ওয়া জালজিল আকদামাহুম্ ওয়া আনজিল বিহিম বাসাকাল্লাজি লা তারুদ্দুহু আনিল কাওমিল মুজরিমিনা, ওয়া সাল্লাল্লাহু আআন্নাবিয়্যিল কারিম।’ (বাংলা উচ্চারণ শুদ্ধ হয় না, তাই আরবি দেখে পড়–ন)
অর্থ : হে আল্লাহ! হেদায়েত কর আমায়, যাদের তুমি হেদায়েত করেছ তাদের সাথে। শান্তি স্বস্তি দান করো আমায়, যাদের তুমি শান্তি স্বস্তি দান করেছ তাদের সাথে। অভিভাবকত্ব গ্রহণ করো আমার, যাদের তুমি অভিভাবকত্ব গ্রহণ করেছ তাদের সাথে। বরকত দান করো আমায়, যা তুমি দান করেছ আমায় তাতে এবং রক্ষা করো আমায় পর অনিষ্ট হতে, যা তুমি নির্ধারণ করেছ (আমার জন্য)। কেননা তুমি নির্দেশ দান করো, তোমার ওপর নির্দেশদান করা চলে না। বস্তুত সে ব্যক্তি অপমাানিত হয় না যাকে তুমি মিত্র ভেবেছ। আর সম্মানিত হয় না সেই ব্যক্তি, যাকে তুমি শত্রু ভেবেছ। বরকতময় তুমি হে আমাদের প্রতিপালক আর তুমিই সুউচ্চ। আমরা তোমার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করি এবং তোমার দিকে রুজু হই। হে আল্লাহ! ক্ষমা করো আমাদেরকে এবং মুমিন নর ও মুমিন নারীদেরকে আর মুসলমান নর ও মুসলমান নারীদেরকে তাদের অন্তরসমূহ জুড়িয়ে দাও আর তাদের মাঝে মীমাংসা করে দাও। সাহায্য করো তাদেরকে তোমার শত্রু ও তাদের শত্রুর বিরুদ্ধে। হে আল্লাহ! লানত বর্ষণ করো কাফেরদের প্রতি, যারা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে তোমার পথে এবং অস্বীকার করে তোমার রাসূলদেরকে আর যুদ্ধবিগ্রহ করে তোমার অলিদের সাথে। হে আল্লাহ! বিভেদ সৃষ্টি করে দাও তাদের কথার মাঝে এবং কম্পন সৃষ্টি করে দাও তাদের পদযুগলে আর নাজিল করো তোমার এমন শাস্তি যা তুমি অপরাধীগণ থেকে অপসারণ করো না।
আমরা দেশের নব্বই ভাগ মুসলমান, বাঙালি জাতি মমত্ববোধের সাথে সহাবস্থানের ঐতিহ্যে কয়েক শ’ বছর পেরিয়েছে।
আমাদের খেয়াল রাখতে হবে এ জাতি বিশ্বের সবচেয়ে গুণগ্রাহী চীন, জাপানের গুণীজনের বিবেচনায় কোনো অংশে তেমন পিছিয়ে নেই, শুধু রাষ্ট্রীয় অব্যবস্থাপনা একমাত্র প্রতিবন্ধকতা। আসুন, আমরা নিজেদের মূল্যায়নে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণে একত্র হই।
ইসলামের শত্রুদের পক্ষ থেকে মিথ্যা জঙ্গিবাদসহ নানা অপতৎপরতা অব্যাহত। বর্তমান প্রেক্ষাপটে দেশের সব মুসলমান তথা দেশপ্রেমিক নাগরিকের দুনিয়া ও আখিরাতের মুক্তি পেতে হলে বর্তমান প্রেক্ষাপটে মুরতাদদের প্রতি সর্বোচ্চ ঘৃণা প্রদর্শন করে যেতে ঐক্যবদ্ধ ভূমিকার বিকল্প নেই। ইতোমধ্যে হেফাজতে ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ আহ্বানগুলোর মধ্যে কুনুতে নাজেলা পড়া সব ঈমানদার মুসলমানের ঈমানি দাবি। তাই আসুন, দেশের সব ইসলামপ্রিয় ইসলামি দলের সমর্থক গুণগ্রাহীগণ দেশের স্বার্থে, মানবতার স্বার্থে, ইসলামের স্বার্থে, মাথা উঁচু করে বাঁচার স্বার্থে এ মুহূর্তে একে অপরের অহেতুক সমালোচনা পরিহার করি।
বিষয়: বিবিধ
১৯১৭ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন