জ্ঞানবিজ্ঞানের আধুনিক জয়যাত্রায় নেতৃত্ব দিতে হলে মুসলিম বিশ্বের করণীয়।
লিখেছেন লিখেছেন মহাকালের চাকা ১৮ এপ্রিল, ২০১৩, ১১:৩০:১৩ রাত
আজকের জ্ঞান-বিজ্ঞান বটবৃক্ষ মহীরুহে পরিনত হয়েছে। আর এর ফাউন্ডেশন তথা গোড়াপত্তন করেছিলেন আরব এবং মুসলিম মনীষীরা। তারা ছিলেন বহুমাত্রিক জ্ঞানে বিশেষজ্ঞ এবং আবিস্কারক। ততকালীন আলখারেজামী, ইবনে সিনা, আলবিরুনী, জাবের ইবনে হাইয়্যানরা কোরআন, হাদীস, ফিকহ শাস্ত্রের পাশাপাশি গনিত, চিকিতসাবিজ্ঞান, পদার্থবিজ্ঞান, জোর্তিবিজ্ঞান, রসায়নশাস্ত্রে বিশেষজ্ঞ ছিলেন। আর আজকের কাওমী ও আলিয়া মাদ্রাসার আলেম ও শিক্ষার্থীরা জ্ঞানবিজ্ঞানের বিষয়ে তেমন একটা আগ্রহী এবং অবগত নহেন। এ ব্যাপারে পরবর্তীকালের মুসলিমদের অবহেলার জন্যই জার্মান, ব্রীটিশ, অ্যামেরিকান, ইহুদীরা আজকের এই আধুনিক জ্ঞানবিজ্ঞানের জয়যাত্রায় রাজত্ব করছে। জ্ঞানবিজ্ঞানে অধিকতর উতকর্ষ সাধনের ক্ষেত্রে অমুসলিমরা অনেক বিখ্যাত জার্নাল, প্যাট্যান্টসংস্থা এবং নোবেল কমিটির মত অনেক পুরস্কার কমিটি গঠন করে। এর ফলে, তাদের কোন আবিষ্কারের খবর খুব ফলাও করে প্রচারিত হয় এবং আবিষ্কারটি প্যাট্যান্ট প্রাপ্ত হওয়ার পর বিভিন্ন মর্যাদা সম্পন্ন পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়। কিন্তু মুসলমানদের কোন গুরত্বপূর্ণ আবিস্কার হলেও তা প্রচারিত হয়না এবং প্যাট্যান্ট প্রাপ্ত হয়না। কাজেই জ্ঞানবিজ্ঞানে মুসলিমদের অধিকতর অগ্রসর হতে হলে প্রথমেই আলেম সমাজের মধ্যে থেকে জ্ঞানবিজ্ঞানের ব্যাপারে সকল ভূলধারনা দুর করতে হবে। মুসলিম দেশসমূহের মধ্যে জ্ঞানবিজ্ঞানের নতুন আবিস্কৃত তত্ত্ব ও তথ্য বিনিময়ের জন্য শক্তিশালী সংবাদসংস্থা তথা জার্নাল সহ বিভিন্ন প্যাট্যান্ট কমিটি ও পুরস্কার কমিটি গঠন করতে হবে। মুসলিম বিজ্ঞানীদের নতুন আবিস্কৃত তত্ত্ব,তথ্য ও ইন্স্ট্রুমেন্টগুলো নিজেদের প্রতিষ্ঠিত বিজ্ঞানী-বিশেষজ্ঞ-বিচারক সংস্থার দ্বারা যাচাই বাছাই করে নিজেদের জার্নালে প্রচারিত করার ব্যাবস্থা করতে হবে। তাহলে বিভিন্ন উদ্যোগ্তা ক্ষুদে বিজ্ঞানীদের আবিস্কার প্রচারিত হলে মুসলিম বিজ্ঞানীদের মধ্যে অনেক আগ্রহের সৃষ্টি হবে। পরবর্তীতে জ্ঞানবিজ্ঞানের ক্ষেত্রে মুসলমানরাও খুব অগ্রসর হয়ে যাবে।
বিষয়: বিবিধ
১৩৭৭ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন