তালেবান রাষ্ট্রের দিকে কি বাংলাদেশ?
লিখেছেন লিখেছেন আহমদ জুনেদ ১৭ এপ্রিল, ২০১৩, ০১:৫৫:৫৩ রাত
পরিচিতজনদের এক প্রশ্ন বাংলাদেশ কি তালেবান রাষ্ট্র হয়ে যাচ্ছে? গত ৬ই এপ্রিল হেফাজতে ইসলামের ঢাকা অভিমুখে লং মার্চের পর থেকে বাংলাদেশ আফগানিস্তান হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে বলে রটানো হচ্ছে। হেফাজতে ইসলামের ১৩ দফা কর্মসূচির মধ্যে একটি কর্মসূচি হচ্ছে নারী পুরুষের অবাদ মেলামেশা বন্দ করা। তাদের এ দাবি বাংলাদেশ কে আফগানিস্তান বানানোর পরিকল্পনার প্রাথমিক প্রমান হিসাবে উপস্তাপন করা হচ্ছে। হেফাজতে ইসলামের আরেকটি দাবি হচ্ছে বিভিন্ন স্থানে স্তাপিত মূর্তি সমূহ সরিয়ে ফেলা। তাদের এসব দাবিকে অযৌক্তিক এবং মধ্যযুগীয় বলে মনে করেন তথাকথিত অধুনিক মনস্ক ধর্ম নিরপেক্ষ রাজনীতিবিদ আর বুদ্ধিজীবিরা। হেফাজতে ইসলামের আড়ালে জামাতে ইসলামের এ মহাপরিকল্পনা বুঝতে পেরে অনেককে মুখ গম্ভীর করে বুদ্ধিজিবি ভাব নিয়ে চলা ফেরা আর ফেইসবুকের পোস্ট দিয়ে ঝড় তোলার চেষ্টা করছে। যারা আফগানিস্তান হয়ে যাওয়ার ভয় দেখাচ্ছে তারা সবাই পাশ্চাত্যের সমর্থন লাভের আশায় গনতন্র আর ধর্মনিরপেক্ষতার নীতি আওড়াচ্ছে।
মধ্যযুগ, গনতন্র, ধর্মনিরপেক্ষতা, সমাজতন্ত্র এবং ইসলামের ইতিহাস কি?
গণতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষ এ ধারণা গুলো সাম্প্রতিক সময়ে সবচেয়ে বেশি আলোচিত । বিশেষ করে বাংলাদেশে এ ধারণাগুলো সর্বত্রই আলোচিত হচ্ছে।বাংলাদেশের মানুষ স্বপ্ন দেখছে গণতন্ত্র প্রতিষ্টার মাধ্যমে সম্বৃদ্ধি অর্জনের। আর সেকারণে গনতন্র তাদের কাছে এই মুহুর্তে সবচেয়ে প্রিয় শব্দ। ইউরোপের রাষ্ট্রসমূহের তথাকথিত অর্থনৈতিক মুক্তি আর দৃশত শান্তির দেশ বলে পরিচিত ইউরোপের গনতন্র বাংলাদেশের মানুষের কাছে বড় বেশি প্রিয় বড় বেশি আকাঙ্কিত করে তুলেছে। ইউরোপের এই গনতন্র অনেক রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মধ্যে দিয়ে এসেছে। পঞ্চম থেকে পঞ্চদশ শতাব্দী পর্যন্ত ইউরোপে ছিল অন্ধকারাচ্ছন্ন। শিক্ষা দীক্ষা আর গবেষণায় প্রাচ্য ছিল আলোকোজ্জল। সামন্ত প্রভু আর খ্রিস্টীয় ধর্মযাজকদের শোষণে অতিষ্ট ইউরোপের মানুষ মুক্তির পথ হিসাবে গনতন্র বেছে নেই। রাষ্ট্র বেবস্তা থেকে খ্রিস্টীয় ধর্মের শক্তিশালী অবস্তান চলে যায়। পঞ্চম থেকে পঞ্চদশ সতাপ্দির ধর্মের নামে খ্রিস্টীয় ধর্ম গুরুদের শোষণ বা খ্রিস্টীয় ধর্মের বিরোধিতা থেকে আজকের ধর্মনিরপেক্ষ মতবাদের উত্পত্তি। তখন থেকে মানুষ সিদ্ধান্ত নেয় রাষ্ট্র বেবস্তা পরিচালিত হবে গণতান্ত্রিক উপায়ে। পৃথিবীর ইতিহাসের এই আংশিক ইতিহাস তুলে ধরে মানুষকে ধর্মদ্রোহী বা ধর্মবিমুখ করার চেষ্টা যতটা না ইউরোপের শোষিত মানুষগুলোর তার চেয়ে বেশি আমাদের অঞ্চলের মানুষের। যারা মানুষকে নাস্তিক আর ধর্মদ্রোহী করে তুলছে তারা সবাই কার্ল marxer অনুসারী। ইউরোপের সবচেয়ে গরিব দেশ বলে পরিচিত রাশিয়ার অর্থিনৈতিক মুক্তির জন্য সমাজতন্ত্রের ধারণা দেন কার্ল মার্কস। ১৯১৭ সালে রাশিয়ায় বলশেভিক বিপ্লবের নেতৃত্ব দেন ভ্লাদিমির লেনিন। সমাজতন্তের এ বিপ্লবে অনেক নিরহ মানুষকে প্রাণ দিতে হয়েছে। পৃথিবীর ইতিহাসে এ বিপ্লব এক নির্মমতার প্রতিচ্ছবি হয়ে আছে। এ সময় পুরো রাশিয়া ছিল রক্তাক্ত।পৃথিবীর যে স্থানে সমাজতন্ত্রের ছোয়া পেয়েছে সেখানে এসব কসাইদের নির্মমতায় পুরো অঞ্চল রক্তে লাল হয়ে গিয়েছিল।সমাজতন্ত্র ধারণা এতই অসার যে একটি গল্প বললে পাঠক বুঝতে পারবেন। পাকিস্তানে আইউব শাসন আমলে সেনাবাহিনীদের মধ্যে বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়। আইয়ুব খান বিশৃঙ্খলার কারণ জানতে চাইলে গোয়েন্দারা সেনাবাহিনীর মধ্যে সমাজতন্রের ধারণা জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে বলে রিপোর্ট করে। তখন আইয়ুব খান সেনাবাহিনীর বেতন বৃদ্ধির নির্দেশ দেন। ফলে কিছুদিন পর আবার সেনাবাহিনীর চেইন অব কমান্ড ফিরে আসে। অর্থাত টাকার গন্ধ পেলে সমাজতন্র অকার্যকর হয়ে পড়ে।
পৃথিবীতে এ পর্যন্ত যতদুর জানা যায় প্রায় প্রধান ২৫ ধর্মের অস্তিত্ব রয়েছে। অঞ্চলভেদে এসব ধর্মের শক্তিশালী অবস্তান রয়েছে সমাজ ও রাষ্ট্রে। ভবিষত রাষ্ট্র বেবস্তায় খ্রিস্টধর্মের সম্ভাবনা অনেকটা নেই বললেই চলে কিংবা তাদের অনুসারীরা সেই প্রচেষ্টায় নিয়োজিত নয় বলে সম্ভাবনাটা অনেকটা ক্ষীণ। কিন্তু ইসলাম একটি বিপ্লবী পূর্ণাঙ্গ জীবন বেবস্তা। ইসলামের অনুসারীরা দিন রাত ইসলামের অনুশাসনকে বেক্তি, পরিবার, সমাজ আর রাষ্ট্রবেবস্তার প্রতিষ্টার সংগ্রামে লিপ্ত। ৬৩২ খ্রি থেকে ৬৬১ খ্রি পর্যন্ত ইসলামী খেলাফত প্রতিষ্টিত ছিল। এ শাসন কাল নিয়ে অনেক গবেষণা হয়েছে। রাষ্ট্র বেবস্তায় ইসলামের উপস্তিতি রাষ্ট্রকে যেমন করেছিল শক্তিশালী তেমনি রাষ্ট্রের জনগণ ছিল সুখী ও সমৃদ্ধ। ইসলামী খেলাফতের সময়কাল ছিল সবকিছুর জন্য স্সর্নযোগ। মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তি, সমাজে ইনসাফ প্রতিষ্টা, আইন শৃঙ্খলা, মানবধিকার নিশ্চিতকরনের মাধ্যমে এ খেলাফত আজো অনুসরণীয়। কিন্তু মুসলমানদের কোরান হাদিস থেকে সরে যাওয়া, অগুরুত্বপূর্ণ বিষয়কে সমাজ জীবনে গুরুত্বপূর্ণ করে তোলে সেই সুখ কে স্থায়ী রূপ দিতে পারে নি। ইসলামী খেলাফত মুসলমানদের হাত থেকে চলে যায়। অন্যদিকে ৭১৭ খ্রি থেকে ৭২০ খ্রি পর্যন্ত উমর ইবন আব্দুল আজিজ যাকে দিততীয় উমর বলা হয় তার শাসন বেবস্তা সারা বিশ্বে আলোড়ন তোলে। তার খেলাফত সময়কার মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তি সাধিত হয়ে এ পর্যন্ত গিয়েছিল যে বিত্তবানরা কাউকে যাকাত দেয়ার মত লোক খুঁজে পেত না। তার মাত্র তিন বছরের রাষ্ট্র বেবস্তায় ইসলামী খেলাফত প্রতিষ্টার মাধ্যমে রাষ্ট্রের যে উন্নতি সাধিত হয়েছিল ত়া থেকে প্রমানিত হয় মুসলমানদের জন্য কোরান হাদিস বর্ণিত অনুশাসনই জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে প্রতিফলনই সুখ ও সম্বৃদ্ধির এক মাত্র উপায়। গণতন্ত্র ধর্মনিরপেক্ষতা ধারণ করে আজ পর্যন্ত কোনো রাষ্ট্র উন্নতির চরম শিখরে আরোহন করতে পারে নি। বরং এসব দেশসমূহ কিছুদিন পর পর দেউলিয়া হয়ে যাওয়া, পরিবার ও সমাজ জীবনে চরম বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে। বিশেষ করে কমিউনিস্টরা যে সমাজে অবস্তান করেছে সে সমাজে সর্বত্রই বিশৃঙ্খলা বিরাজ করে । তারা ইসলামকে মানুষের শত্রু বানিয়ে নিজেদের স্বার্থ হাসিল করতে চায়.
আফগানিস্তান হলো একটি পশ্চাদপদ রাষ্ট্র। সেখানে তালেবানরা ইসলামের নাম নিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনার ভার নিয়ে ইসলামের অনেক বিষয় ভুলভাবে interpret করার কারণে মুসলিম বিশ্ব সহ সারা বিশ্বে বিতর্কের ঝড় তোলে । বিশেষ করে নারী সম্পর্কে তাদের দৃষ্টিভঙ্গি ইসলাম সম্পর্কে মানুষের মধ্যে এক ধরনের নেতিবাচক ধারণা জন্ম নেয়। বাংলাদেশে ইসলামপন্তিদের উত্তানে ভীত সংকিত হয়ে এক সময় যারা বলত বাংলাদেশ পাকিস্তান এখন আফগানিস্তান হয়ে যাওয়ার ভয় দেখাচ্ছে।
আফগানিস্তান দেশটা এত আলোচিত কেন বা তালেবান করা?
আফগানিস্তান রাষ্ট্রটি ভৌগলিকভাবে এতই সুবিদাজনক স্থানে যে এ ভুখন্ডের সাথে সমগ্র ভারত উপমহাদেশ আর পুরো মধ্যপ্রাচ্য সংযুক্ত । ফলে শতাদিক বছর ধরে এ ভুখন্ডে শক্তিমানদের দৃষ্টি নিবদ্ধ। ইতিহাস বলে খুব কম সময়ই আফগানিস্তানের মানুষ স্বাধীনভাবে নিজেদের মত করে তাকতে পেরেছে। ফলে সে অঞ্চলের মানুষ শিক্ষা দীক্ষায় অনেক পেছনে। নিজেদের মাতৃভূমি রক্ষার লড়াইয়ে প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম যে জাতি লড়াই করে আসছে তারা নিজেদের বিকশিত করার সময় পেল কোথায়? আফগানিস্তানে রাশিয়ার পতনের পর রাজনৈতিক নেতৃত্বের শুন্যতার সৃষ্টি হয়। যুদ্ধবিদ্ধস্ত আফগান ভুখন্ডে হত্যা, ধর্ষণ, ডাকাতি চরম আকার ধারণ করে। এসব বিশৃঙ্খলার মধ্যে ১৯৯৬ সালে পাকিস্তানের সমর্থন নিয়ে মোল্লা ওমরের নেতৃত্বে তালেবান রাষ্ট্র ক্ষমতা দখলে নেয়। ২০০১ সাল পর্যন্ত তাদের চার বছরের শাসন ক্ষমতা আইন শৃঙ্খলা পরিস্তিতির অনেকটা উন্নতি হয়। ব্রিটিশ সাংবাদিক ইভান রিডলি তালেবানদের হাতে বন্দী জীবন শেষ করে ফিরে এসে তালেবানদের বেবহারে মুগ্ধ হয়ে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। মোয়াজ্জেম বেগ নামক এক ব্রিটিশ নাগরিক আমেরিকার গুয়ান্তানমো কারাগারে বন্দিত্ব থেকে মুক্তি পেয়ে তার আত্মজীবনী গ্রন্তে Enemy Combatant এ আফগানিস্তান বসবাসের সময়কার সৃতি তোলে ধরেছেন।পাকিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট পারভেজ মোশাররফ তার আত্মজীবনী গ্রন্তে তালেবান ও আফগানিস্তান নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা করেছেন। বিদেশীদের সাথে আফগানদের এতই তিক্ত অভিগ্ঘতা যে তাদের সাথে কোনো বিদেশী রাষ্ট্রের এমনকি সৌদি আরবের সাথে তেমন কোনো সম্পর্ক গড়ে উঠেনি। যেহেতু বিদেশীদের সাথে কোনো সম্পর্ক ছিল না সেহেতু বিদেশী সহযোগিতা তাদের ভাগ্যে তেমনটা জোটত না। আন্তর্জাতিক সহযোগিতা ছাড়া একটি রাষ্ট্র অভ্যন্তরীণ ও বহিশত্রুর মোকাবেলা করে প্রতিনিত টিকে তাকতে হয়েছে।ফলে তালেবান শাসিত রাষ্ট্রে কোনো বিশেসগ্ঘ দেখা যায় না।নেই কোনো ইসলামী আইনবিদ, না ছিল ইসলামী অর্থনীতিবিদ। বাপ দাদার গল্প শুনে এবং বাকি বিশ্বের বিস্সয় দেখার কোনো সুযোগ না পেয়ে নিজেদের মত গড়ে তুলতে লাগলো আফগানিস্তানকে তালেবানরা। চারদিকে রব উটলো দেখো দেখো ইসলামী শাসন দেখ। কেউ জানতে চাইল না ইসলাম কি বলে আর তালেবান ইসলামকে কি ভাবে interpret করে।
হেফাজতে ইসলামের অন্যতম দুটি দাবি
ইসলাম একটি সয়ংসম্পূর্ণ জীবন বেবস্তা। ইসলাম বেক্তিকে অর্থনীতি, সমাজ পরিবার , আর রাষ্ট্রকে সাজানোর স্পষ্ট ভাবে দিক নির্দেশনা দিয়েছে। পৃথিবীতে আর কোনো মতবাদ বা জীবন বেবস্তা নেই যা যুগে যুগে মানুষের সামগ্রিক দিক পরিচালনার জন্য নির্দেশনা প্রধানে সক্ষম। ইসলামের এই অতুলনীয় দিকই ইসলামকে মানুষের কাছে জনপ্রিয় করে তুলেছে। হেফাজতে ইসলামের তেরো দফা দাবির দুইটি দফা নিয়ে ততাকথিত আধুনিক প্রজন্মের কাছে অদ্ভুত সেকেলে বলে মনে হচ্ছে। একটি হচ্ছে সমাজে ফ্রি মিক্সিং বন্দ করা। সমাজে ফ্রি মিক্সিং বন্দ হলে আপানর হয়ত রমনা বটমূলে যাওয়া হবে না। টি এস সি চত্তরে গার্লফ্রেন্ড নিয়ে আপনার বিশেষ মুহূর্ত উপভোগ করা যাবে না। ফ্রি মিক্সিং এর ফলে ইউরোপের সমাজ বেবস্তা ভেঙ্গে পড়েছে। পারস্পরিক অবিশ্বাস আর অস্তাহিনতায় ইউরোপের সমাজ আজ জরাজীর্ণ। মা বাবার মধ্যে নিত্য কলহ, ভাই বোনদের মধ্যে প্রতিনিয়ত ঝগড়া এখানে খুব সাধারণ বেপার হয়ে দাড়িয়েছে। ক্রিসমাসে ইউরোপের মানুষ পরিবারের সাথে দেখা সাক্ষাত করে এবং একসাথে ডিনার করার রেওয়াজ আছে। এক জরিপে দেখা গেছে ক্রিসমাসের এই আনন্দঘন দিনে সবচেয়ে বেশি পারিবারিক কলহ হয় এবং পরিবার গুলো ভেঙ্গে যায়।ইউরোপের সমাজে শান্তির যে শুন্যতা বিরাজ করছে ত়া ইউরোপের বসবাসকারী যে কাউকে জিগ্ঘেশ করলে জানা যাবে। অন্যদিকে মূর্তি বা ভাস্কর্যের বেপারে অনেকে বলেন বিভিন্ন মুসলিম দেশসমূহে মূর্তি থাকতে পারলে আমাদের দেশে মূর্তি রাখতে আপত্তি কোথায়। কোনো বেক্তি বা দেশ মুসলিম হলেই ইসলামের বেপারে তিনি অনুসরণীয় হবেন না। একজন বেক্তি বা দল বা রাষ্ট্র ততক্ষণ পর্যন্ত অনুসরণীয় যতক্ষণ পর্যন্ত তারা কোরান ও সুন্নাহ মোতাবেক চলবেন। কাতার বা অন্যান্য মুলসিম দেশ হলেও ইসলামী দেশ নয়। ইসলামের কোনো স্কলার আজ পর্যন্ত এসব মূর্তির সপক্ষে মতামত দেননি। নবী রাসূলগণ এসব মূর্তির বিরোধিতা করেছেন যুগে যুগে। মূর্তি নির্মান শিরকের অন্তর্ভুক্ত। ইসলাম সৃজনশীলতা, কারুকার্য বা সৃষ্টিশীল যে কোনো কিছুকে উত্সাহিত করে।স্পেন মুসলিম শিল্পকলার এক উজ্জল দৃষ্টান্ত। ইসলাম এমন কিছুকে প্রশ্রয় দেয় না যা সমাজের মানুষকে বিভ্রান্ত করে। মূর্তি বা ভাস্কর্য এমনি একটি বিষয় যা মানুষকে সত্যের পথ থেকে বিচ্যুত করে এবং গোমরাহির মধ্যে ফেলে দেয়। আমাদের ঢাকা বিশ্ববিদ্ধালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউট অশ্লীলতার প্রাণ কেন্দ্র বলে পরিচিত।
বাংলাদেশ কি পাকিস্তান, আফগানিস্তান বা তালেবান রাষ্ট্র হবে?
বাংলাদেশ পাকিস্তান, আফগানিস্তান বা তালেবান রাষ্ট্র হবে না একথা নির্দ্ধিধায় বলা যায়। পাকিস্তান হবে না কারণ বাংলাদেশ পাকিস্তানের মধ্যে এক হাজারের মধ্যে বেবধান। সুতরাং এক হওয়ার সম্ভাবনা নেই। অন্যদিকে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানে অনেক উগ্র সন্ত্রাসী দল আছে যারা অনেক শক্তিশালী যা বাংলাদেশে নেই। বাংলাদেশে পাকিস্তানের মত রাজনৈতিক পরিস্তিতি হলে সেটার জন্য আওয়ামিলিগ বি এন পি দায়ী। ইসলামীপন্তিরা রাজনৈতিক মঞ্চে তেমনটা শক্তিশালী নয়।তারা বর্তমান রাজনীতিবিদদের বের্থতা কাদে নেবে কেন? ইসলামপন্তিরা বাংলাদেশের রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসীন হলে বাংলাদেশে পাকিস্তান বা আফগানিস্তানের মত টলটলায়মান পরিস্তিতির সৃষ্টি হবে না। এর কারণ বাংলাদেশে অনেক ইসলামিক স্কলার আছেন যারা দেশ বিদেশে বেশ খ্যাতি অর্জন করেছেন। বাংলাদেশে ইসলামী রাজনীতিবিদেরা অনেক সফল, পরীক্ষিত দেশপ্রেমিক সৎ। বিদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্ধালয়ে বাংলাদেশের ছাত্ররা ইসলামের উপর গবেষণা করে সুখ্যাতি অর্জন করেছে। বাংলাদেশ পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। পাশের দেশ ভারতে যেখানে প্রতিনিয়ত মুসলিম নিধন হচ্ছে সেখানে বাংলাদেশে মুসলমানরা নিজেরা vigilant হয়ে অমুসলিমদের নিরাপত্তা দিচ্ছে।বাংলাদেশের রাষ্ট্র ক্ষমতায় ইসলামপন্তিদের বিজয় হলে বরং ইরানের মত বাংলাদেশ একটি ইসলামী শক্তিশালী প্রজাতন্র হবে। ইরান বর্তমান বিশ্বে সবচেয়ে অধুনিক, প্রযুক্তির দিক দিয়ে খুব অল্প সময়ে উন্নতি সাধন করেছে। mary jane staples নামক এক উপন্যাসিক বলেছিলেন কমিউনিস্টদের কাছে ১০ মিলিয়ন বা বিশ মিলিয়ন লোকের জীবনের চেয়ে কমিউনিস্ট বিপ্লব অনেক বেশি মূল্যবান। ইরানে রাজনৈতিক পরিস্তিতি অস্তিতিশীল করার জন্য আমেরিকানদের প্ররোচনায় সেখানে কমিউনিস্টরা উত্তপ্ত পরিস্তিতির সৃষ্টি করে।বাংলাদেশের গার্মেন্টস শিল্প ধংসের জন্য রাশেদ খান মেননের ছাত্র ইউনিয়নের এক নেত্রী প্রত্যক্ষভাবে জড়িত বলে তথ্য দিয়েছেন বর্তমান যোগাযোগ মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। সেনাবাহিনীর কাছে জবানবন্দির এক ভিডিও ফাস হয়ে গেলে আমরা ত়া জানতে পারি। বাংলাদেশে আজ পর্যন্ত ইসলামপন্তিদের দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্রে পাওয়া যায় নি, বরং দেশের জন্য জীবন বাজি রেখে সব ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করেছে। শায়খ রহমান ও বাংলা ভাইয়ের বোমা হামলার মাধ্যমে দেশে ইসলাম কায়েমের পদ্ধতির বিরদ্ধে এদেশের আলেম উলামারা ঐক্যবদ্ধভাবে রুখে দাড়িয়েছিলেন। এ দেশের আপামর মানুষের হৃদয়ে বিশ্বাসের চূড়ান্ত চূড়ায় আলেম উলামারা, যা কমিউনস্টরা শত বছর সাধনা করে অর্জন করতে পারেনি পৃথিবীর কোনো জনপদের মানুষের হৃদয়।
বাংলাদেশ পাকিস্তান আফগানিস্তান বা তালেবান রাষ্ট্র হবে না বরং বাংলাদেশ বাংলাদেশের মত হবে পৃথিবীর বুকে শির উচু করে দাড়াবে। ইরান তুরস্ক বাংলাদেশের ইসলামপন্তিদের জন্য অনুপ্রেরণা হয়ে কাজ করবে, পাকিস্তান বা আফগানিস্তান নয়.
বিষয়: রাজনীতি
২২০২ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন