কোথায় যাচ্ছি কি আমাদের গন্তব্য ..........
লিখেছেন লিখেছেন সবুজেরসিড়ি ০৯ মার্চ, ২০১৩, ০৭:৪৭:১৮ সকাল
জামায়াত নেতা কাদের মোল্লার যাবত জীবন রায় কে প্রশ্নবিদ্ধ করে তার ফাসির রায় চেয়ে সরকাররের ছত্রছায়ায় কিছু ব্লগার দ্বারা শাহাবাগের আন্দোলন গড়ে তুললো । সেই তথাকথিত ব্লগারদের মধ্যে একজনের মৃত্যু । ব্লগের মাধ্যমে ইসলাম ধর্মকে হেও প্রতিপন্ন করে বিভিন্ন লেখা প্রকাশ । সরকার শাহাবাগের প্রতি সমর্থ জানিয়ে সংসদে কন্ঠ ভোটের মাধ্যমে কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে আপিল করার সুযোগ করে নেওয়া । তার পর শুরু হলো আরেক উপখ্যান ।
মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ফাঁসির রায়কে কেন্দ্র করে তার সমর্থকদের সহিংস আন্দোলন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গুলিতে অসংখ্য মানুষের মৃত্যুর ঘটনা এদিনই সারা দেশে গুলিতে অন্তত ৫৬ জনের মৃত্যু হয়। স্বাধীনতার পর দেশে সংহিসতার ঘটনায় এক দিনের এত মৃত্যুর ঘটনা আগে আর ঘটেনি। তা চলে পরপর কয়েক দিন। গত রোববার থেকে টানা দু’দিন হরতাল করে জামায়াত। এর পরের দিন বিএনপি। সরকারের এই রুপ আচরণে ভীষণ ক্ষুব্ধ বিরোধী নেত্রী। সামপ্রতিক হত্যকাণ্ডকে তিনি ‘গণহত্যা’ উল্লেখ করে তা বন্ধের দাবিতে মানুষকে রাস্তায় নেমে আসার আহ্বান জানিয়েছেন।
একদিন বিরতি দিয়ে বৃহস্পতিবার সকাল-সন্ধ্যা হরতার পালন করে ১৮ দলীয় জোট। হরতালের কারণ আগের দিনের বিএনপি-জামায়াতের সমাবেশে বাধা ও পুলিশের হামলা। এদিন নয়া পল্টনে বিএনপির ডাকা সমাবেশে বিশৃঙ্খলার অভিযোগ পুলিশ গুলিবর্ষণ করে। আহত হন দলটির কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতা। এ ঘটনায় বিরোধী দলের পক্ষ থেকে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়। পরের দিন ডাক দেয়া হয় হরতালের। ওই দিনের ঘটনাকে সরকারী দলের পক্ষ থেকেও দুঃখজনক বলা হয়েছে। অভিযোগ তুলা হয়েছে জামায়াত পরিকল্পিতভাবে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে এ ঘটনা ঘটিয়েছে। তবে প্রধান বিরোধী দলের কর্মসূচিতে পুলিশের এমন বাড়াবাড়ির সমালোচনা করেছেন অনেকে।
তবে এদিকে সরকার প্রধান আওয়ামী লীগ সভানেত্রী বিএনপি-জামায়াতকে হুঁশিয়ারি করে বলেছেন, সরকারকে দুর্বল ভাববেন না। অনেক ধৈর্য ধরেছি, আর নয়। তিনি পাড়া মহল্লায় সন্ত্রাস নৈরাজ্য প্রতিরোধে কমিটি গঠনেরও আহ্বান জানিয়েছেন । তিনি বিএনপি নাম দলটির নতুন নাম করন করেছেন বিএনপি ( বাংলাদেশী নয়া পাকিস্থানী দালাল ) এদের তালিকা তৈরী করে নতুন রাজাকার হিসাবে বিচারের হুমকি দিয়েছেন ।
বৃহস্পতিবারের হরতালের আগের দিন রাতে ১৮ দলের নেতাদের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় এখন থেকে সরকার পতনের এক দফা আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার। জোট নেতারা সামনে আরও কঠোর আন্দোলন কর্মসূচি দেয়ার কথা ভাবছেন। সরকারি দলের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে পাড়ায় পাড়ায়, প্রত্যেক এলাকায় সরকার বিরোধীদের তালিকা করতে। প্রশাসনকেও এই নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। বাড়ানো হচ্ছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বুলেট-গোলাবারুদের মজুত। দু’পক্ষের এমন মুখোমুখি অবস্থানে শঙ্কা-উদ্বেগ বাড়ছে। রাজনৈতিক অস্থিরতা ও সহিংসতার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিশ্ব সমপ্রদায়। বাংলাদেশের সামপ্রতিক পরিস্থিতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন। কূটনীতিকদের পক্ষ থেকে উদ্বেগের কথা জানানো হয়েছে। বাংলাদেশের সামপ্রতিক ঘটনায় মুসলিম দুনিয়ায়ও ভাল চোখে দেখছে না। ইতিমধ্যে ওআইসির মহাসচিব বাংলাদেশ পরিস্থিতিতে তার উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন। পুরো বিশ্বের দৃষ্টি এখন বাংলাদেশের দিকে ।
এখন প্রশ্ন হলো এর শেষ কোথায় । সরকার বিরোধী দল মখোমুখি আমরা সাধারণ মানুষ কি করব আর কত দিন আমাদের উদ্বেগ উৎকন্ঠার মধ্যে থাকতে হবে । দেশের বিশিষ্ট জনরা বলছেন সংলাপের বিকল্প নেই । এই সংলাপের পরিবেশ কে সৃষ্টি করবে । আজ সাধারণ মানুষের মিডিয়ার উপড় আর কোন আস্থা নেই । মিডিয়া যে পক্ষপাত দুষ্ট তা সাধারণ মানুষের সামনে প্রতিয়মান হয়ে গত তিন সপ্তাহে তাদের কার্যকলাপে । এখন প্রশ্ন কোথায় যাচ্ছি আমরা কি আমাদের গন্তব্য . . . . . . .
বিষয়: বিবিধ
১৩৬২ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন