চিনি নাকি মধু , বিজ্ঞানের দৃষ্টিতে কোনটি ?
লিখেছেন লিখেছেন সবুজেরসিড়ি ১০ জুন, ২০১৪, ১১:১৫:৩৯ রাত
চিনির চেয়ে কী মধু অনেক বেশি উপকারী? এর জবাব আমরা সবাই জানি। মধু মহৌষধ নামে পরিচিত। আর চিনি তো বরং ক্ষতিকর। একই প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন ছোটদের বই 'দ্য গ্রিন বক্স লিগ অব নিউট্রিয়াস জাস্টিস'-এর লেখক ও পুষ্টি বিজ্ঞানী কিথ ক্যান্টর।কিথ বলেন, চিনি তো চিনিই। আর মধুর বেশিরভাগটাই চিনি। তবে দুইটির মধ্যে যদি বেশি স্বাস্থ্যসম্মতটি বেছে নিতে হয়, তবে মধুর বিষয়ে কিছু ভুল ধারণা ত্যাগ করতে হবে।আমাদের দেহ খাদ্যকে ভেঙে গ্লুকোজ করে নেয় শক্তির যোগান দিতে। আরেকটি উপাদান কার্বহাইড্রেট যাকে ভাঙতে বেশি কাজ করতে হয় দেহকে। চিনির অর্ধেকটাই অর্থাৎ ৫০ শতাংশ গ্লুকোজ এবং বাকি অর্ধেক ফ্রুকটোজ। সাধারণত চিনি পাওয়া যায় ফল থেকে এবং খুব সহজেই তা ভেঙে গ্লুকোজে রূপান্তরিত হয়। অন্যদিকে, মধুর অধিকাংশটাই চিনি। তবে এর মাত্র ৩০ শতাংশ গ্লুকোজ এবং ফ্রুকটোজ ৪০ শতাংশরও কম। এতে আরো জটিল ধরনের চিনি এবং ডেক্সট্রিন নামের এক ধরনের স্টার্চি ফাইবার রয়েছে ২০ শতাংশ। এসব উপাদানকে ভেঙে গ্লুকোজ করতে দেহকে আরো বেশি কাজ করতে হয়। আর এত কাজের পর ক্যালোরি আসে খুব কম।এ ছাড়া মধুতে আরো কিছু ক্ষতিকর পদার্থ থাকতে পারে। এটি নির্ভর করে মৌমাছি এক ফুল থেকে অন্য কী কী ফুলে যায় এবং তা কোন স্থানের মধু তার ওপর। তা ছাড়া এতে জিঙ্ক, সেলেনিয়ামের মতো খনিজের পরিমাণ ও ভিটামিন কম রয়েছে। তবে মধু যেহেতু প্রকৃতিতে তৈরি হয়, তাই এটি সংরক্ষণে কৃত্রিম পদার্থ ব্যবহার করা হয় না।অবশেষে বলা যায়, দেহকে কম কাজ করে বেশি ক্যালরি উৎপাদন করতে হলে চিনি অনেক ভালো। আর ভিন্ন স্বাদের মিষ্টি উপভোগ করতে চাইলে মধু ব্যবহার করতে পারেন।
বিষয়: বিবিধ
১১৯৫ বার পঠিত, ৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
অজান্তে গড়ে উঠে বন্ধুত্ব
তা হতে পারে অপ্রত্যাসিত কোন ব্যক্তির
সাথে , সময়ের প্রয়োজনে জীবনের
বাস্তবতায় আবার তার বিচ্ছেদ ও ঘটে ,
প্রয়োজনের তাকিদে অনেক
দূরে চলে গেলেও যেনো মুছে না ফেলি সৃতির
পাতা থেকে কেউ কাউকে ।
চিনি আর মধু এক ? ???
মধু সম্পুর্ণ প্রকৃতিক উপাদানে তৈরী তাই নয়,এটি মৌমাছির পরিপাকতন্ত্রে গিয়ে বিশেষ উপাদান সমৃদ্ধ হয় এবং সেটা ওষুধী গুন সম্পন্ন। দুনিয়ার কোথায় মধু আর চিনির দাম সমান ? চিনি যদি ভাল হয় তাইলে মধুর ডিমান্ড সারা দুনিয়া গুড়ে ক্যান ??
আমেরিকার ডাক্তাররাও বাচ্চাদের জন্যে মধু প্রেসক্রাইব করে। পৃথিবীর সর্বত্রই এটি অত্যন্ত উপাদেয় এবং পরিশুদ্ধ মিস্টি।
কিছু ইসলাম বিদ্বেষী বিজ্ঞানী বা ডাক্তার আছে, এরা মধুর গুষ্টি উদ্ধার করে,কারন এটা নিয়ে হাদীসে কিছু কথা আছে। কালো জিরে নিয়েও তারা আজেবাজে কথা বলে।.....
মন্তব্য করতে লগইন করুন