আল্লামা শফির তেতুল তত্ত্ব ও বাস্তবতাঃ

লিখেছেন লিখেছেন দৃপ্ত কন্ঠ ১৭ নভেম্বর, ২০১৩, ০২:০৪:০৬ রাত

বিষয়টি সময়োচিত না.তবুও এরকম বিশ্লেষন আমাদের জানা থাকা জরুরী.লেখাটি আমার না...ফেসবুক থেকে সংগ্রীহিত এক ভাইয়ের স্টাটাস থেকে.ভাষাগত মাধূর্য ঠিক রাখতে ইষৎ পরিবর্তিত.

শফী সাহেব তেতুলের সাথে তুলনা করেছেনন, কারন তেতুলের দৃশ্য ওগন্ধের ভিজুয়াল স্টিমুলাস মানুষের স্যালাইভাকে অটো ট্রিগার করে যা আপনি চাইলেও থামাতে পারবেন না. এটা এক ধরনের ইনভলান্টারী একশন যা

স্টিমুলাস এর প্রভাবে অটো রেসপন্স করে. এটাকে রিফ্লেক্স বলা হয়. তেতুল দেখে ইনভলান্টারি রেসপন্সের সাথে উত্তেজক মেয়েদের দেখে হওয়া ইনভলান্টারি রেসপন্সের উদাহরনে অনেক মিল.অনেক মেয়েদের প্রভোকেটিভ অবস্হায় দেখলে ছেলেদের এই রিফ্লেক্স কাজ করেএবংছেলেদের শরীরে সিগনিফিকেন্ট রিএকশন দেখা দেয়. এইড্রাইভ অনেকসময় এতটাই স্ট্রং হয় যে ছেলেরা তাদের মোরাল এবিলিটির উপর কন্ট্রোল হারিয়ে ফেলে.ড্যান আরিলি(সরি উনিশফী হুজুরের ভক্ত না, উনিএকজন সম্মানিত ইহুদী)এটা তার এক্সপেরিমেন্টে ফাইন্ডিংস হিসেবে পাইছেন যে, সেক্সুয়ালি উত্তেজিত অবস্হায় ছেলেরা তাদের মোরাল ক্যাপাবিলিটি হারিয়ে সেক্সের জন্য পসিবল সব কিছুই করতে পারে.(http://en.wikipedia.org/wiki/Predictably_Irrational )

এই সেক্সুয়াল স্টিমুলাস দ্বারা ছেলেদের সেক্স ড্রাইভ অটোট্রিগার হওয়া ঠেকাতে পর্দা খুব চমৎকার কাজ করে.যেখানেএকটা মেয়ের একমাত্র আইডেন্টিটি হিসেবে থাকে চেহারা, তার সেনসিটিভ অংশ গুলিনা. ফলাফল যেটা হয়, সমাজে মেয়েদের সৌন্দর্য ওযৌন আবেদনের ভালগার ডিসপ্লে বন্ধ হয়ে যায়. যেহেতু যৌনতা উন্মুক্ত অবস্হায় থাকেনা, তাই একটা মেয়েকে সমাজের শ্রেষ্ঠ সুন্দরী ওচৌকশ যৌন আবেদন ময়ীদের জৌলুসের কম্পিটিশনে হারতে হয় না. এই হার কিন্তু ওই মেয়েটার জীবনের অন্যতম ট্রাবলে পরিণত হয় যখন তার স্বামী যোগ্য স্ত্রী নিয়েও মনে অসন্তুষ্টি পুষে রাখে. চারপাশে একজনের থেকে একজন বেশী যৌন আবেদনময়ী মেয়ে দেখলে প্যারাডক্স অব চয়েস তো হবেই. কাউন্টারে ছেলেদের ডিল করতে হয় টাকা ও ক্ষমতার দৌড়ে এগিয়ে থাকা সুপার স্টারদের. এই প্রতিযোগিতায় টিকতে ছেলেরা হয় দূর্নীতিবাজ এবং নীতিহীন.

যাই হোক, শফী সাহেব মেয়েদের তেতুল বলেন নাই, বলেছেন তেতুলের মত. কিন্তু তিনি স্পষ্ট ভাবে বলেছেন, মেয়েরা হল রাজরাণী.এই কনসেপ্ট মুসলিমদের জন্য রিকমেন্ডেড কনসেপ্ট. নিজের বউকে আরেকটা স্লাটের সাথে তুলনা করে তাকে মানসিক ভাবে রিজেক্ট করার আগে ভাবেন যে শফী হুজুর তার স্ত্রীকে রাজরাণীর মর্যাদা দিচ্ছেন আর আপনি একটা স্লাটের সাথে নিজের বউকে তুলনা করে মনেকষ্ট পাচ্ছেন. কাজেই হুদাই শফী হুজুরকে গালিনা দিয়ে আনবায়াসড ভাবে অন্যের মতকে সঠিক ভাবে বুঝেন আর অন্যের মত প্রকাশের অধিকারকে শ্রেণী স্বার্থে হরন কইরেন না. শফী হুজুর আপনাদের ভন্ড সুশীলতার থেকে অনেক বেশী পবিত্র.

বিষয়: বিবিধ

১৫৬৩ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File