্জামাত শিবিরের জ্বালাও পোড়াও সহিংষতা তান্ডবে বিএনপির মদদ, খালেদার মঙ্গলবার
লিখেছেন লিখেছেন মা মাটি ০৩ মার্চ, ২০১৩, ০৬:৫০:১১ সন্ধ্যা
বিরোধীদল কারনে অকারনে হরতাল ডাকলেও রাজনীতিতে হরতাল সাধারণ মানুষ গ্রহন করছে না। ছোট আমার সোনার বাংলাদেশটাকে সরকারের বিরোধী অবস্থানে থাকা রাজনৈতিক দলগুলো নিজ হীন স্বাথে একের পর এক হরতাল দিয়ে ধ্বংস করতে মেতে আছে। সবাই বলে দেশের উন্নয়নের কথা, অথচ দেশ ধ্বংস করে নিজের ক্ষমতা ও নিজের স্বার্থ হাছিল করায় ব্যস্ত সবাই। হরতাল নামের শব্দটি অনাকাংখিত ভাবে মুহুর্তের মধ্যেই কেড়ে নেয় এদেশের নিরিহ সাধারণ মানুষের তাজা প্রান। অনেক স্বপ্ন কষ্টের ফসল প্রিয় শখের কিংবা আয় উপার্যনের একমাত্র অবলম্বন গাড়িটি যখন পিকেটার নামক ছোটলোকের বিজন্মা বাচ্চারা পুড়িয়ে মুহুর্তের মধ্যেই নিশ্চিহ্ন করে দেয়, তখন অসহায় হয়ে পড়ে জনগন নামের একজন।
মুখে বড় বড় বুলি ফুটিয়ে হরতাল আহবান কারীরা জনগনের অধিকার আদায়ের জন্য ডাকা হয়েছে হরতাল শ্লোগান দিলেও মুলত কেড়ে নিল জনগনেরই অধিকার। বেশির ভাগ সময়ে সরকারী সম্পদের ধারে কাছেও যেতে পারে না পিকেটার নামের ঘৃন্য প্রানীগুলো, যারা আমাদের রাজনৈতিক সমাজের কুলাঙ্গার। অবরোধ ও হরতালে চলতি সময়ে গাড়িতে আগুন লাগিয়ে পিতার সামনে পুত্রকে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়েছে।
বর্তমানে গণ-মাধ্যম সোচ্চার হওয়ায় মুখোশ খুলে গেছে রাজনৈতিক নেতাদের। সুন্দর মুখের আড়ালে লুকিয়ে আছে দানবের আত্মা। যার কারনে রাজনৈতিক ছোট বড় শকুন দলগুলোর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ হিংস থাবায় পুড়ানো হলো আমার স্বাধীন লাল সবুজের পতাকা। শয়তানের বাচ্চা দেশের শত্রু নারী ধর্ষক, পাকিস্তানের দালাল যুদ্ধাপরাধীদের বাচাতে চললো শহীদ মিনারে তান্ডব।
গলাবাজি করে বলা হচ্ছে ইসলাম ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে অথচ তারাই আবার মসজিদে, জায়নামাজে আগুন লাগিয়ে ইসলাম কে মুছলমানকে কলংকিত করলো। আল্লাহকে সিজদার পবিত্র জায়গাটুকুকোও যেন এই অসভ্যদের হাত থেকে রক্ষা পাচ্ছে না। সাবধান হয়ে যান যারা মসজিদ আল্লাহর ঘরকে অসম্মান করেছেন।মনে রাখবেন, সব কিছুই আল্লাহ দেখেন, শুনেন ও জানেন।
পবিত্র কোরআনে আল্লাহ মানব জাতীকে বলেছেন তোমার ঘরে খাবার আছে অথচ তোমার প্রতিবেশি না খেয়ে মরলে তুমি বেহেস্তে প্রবেশ করবে না। ইসলাম ধর্ম বিশ্ব মানবতার ধর্ম। ইসলাম মানুষ হত্যা ও নারী ধর্ষন ও লুটপাট কখনই মেনে নেয়নি। যারা ইসলামের কথা মুখে বলে মানুষ হত্যায় উসকানি দিচ্ছে, সংখ্যালঘুদের বাড়ি ঘরে আগুন জ্বালিয়ে লুটপাট করছে তারা কোরআন ও হাদিস মোতাবেক মোছলমানদের অন্তর্ভূক্ত নয়।
১৯৭১ এর ইতিহাস পড়ে জেনেছি মুক্তিযুদ্ধে জামাত শিবির ঘৃনিত কর্মকান্ড নিয়ে দেশের স্বাধীনতার বিরোধীতা করেছিল।বর্তমানে কর্মকান্ডে অতিতের ইতিহাসের সত্যতা প্রমানিত করেছে। স্বপরিবারে জাতীর জনকের হত্যার পরে প্রধান বিরোধীদল বিএনপি'র প্রতিষ্ঠাতা মেজর জিয়াউর রহমান রাষ্ট্রক্ষমতায় এসে জামাতকে প্রতিষ্ঠিত করার পাশাপশি জাতির জনকের হত্যার বিচার করা যাবে না এমন আইন তৈরী করে জাতীকে কলংকিত করে রেখেছিল। জাতীর দাবিতে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের বিচারসহ সকল যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের আওতায় এনে বিচার কাজ শুরু করে জাতির জনকের কন্যা শেখ হাসিনার সদ ইচ্ছায় বর্তমান সরকার।
দলীয় নেতা ও যুদ্ধাপরাধীদের বাচাতে জামাত শিবির দেশ জুড়ে নারকিয়ভাবে ইসলাম ধর্ম বিরোধী তান্ডব চালাতে শুরু করলে বিএনপি পিছন থেকে দোষ না লাগিয়ে সাপোর্ট দিয়ে গেলেও এখন তা প্রকাশ্যে চলে আসে।
আদালতে প্রমানিত যুদ্ধাপরাধী রাজাকার কসাই কাদের মোল্লার অপ্রত্যাশিত রায়ের পরে ব্লগারদের আহবানে শাহবাগে তরুন প্রজন্ম কাদের মোল্লাসহ সকল যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির দাবীতে আন্দোলনে যখন স্বোচ্চার হয়ে জাতিকে জাগিয়ে তুললো তখন বিএনপির মদদে জামাত শিবিরের নারকীয় তান্ডব শুরু হয় দেশ জুড়ে। খুন করা হয় রাজিবকে। খুনকরে আবার নাস্তিক সাজানোর চেষ্টাও চলছে। হত্যাকারী সন্দেহে গ্রেফতার হয়েছে যারাতারা মুল হত্যাকারী হলে বেড়িয়ে আসবে সব তথ্য।
নারকীয় তান্ডবের চিত্র দেখে দেশের সর্বস্তরের মানুষ ঘৃনার চেখে দেখে জামাত শিবিরকে নিষিদ্ধ করার দাবি নিয়ে আন্দোলনে রাজপথে বেড় হয়ে আসে, তখন বিরোধীদল হতাশ হয়েই অগনতান্ত্রিক কর্মকান্ড শুরু করে।
২৮ ফেব্রুয়ারী জামাত নেতা দেলোয়ার হোসেন সাঈদী ওরফে দেলু রাজাকারের ফাসির রায়ে জামাত শিবির দেশ জুড়ে তান্ডবের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। পুলিশ খুন করে ফারি দখল করে অস্ত্র লুট করে নেয় । হরতাল ডেকে সংখ্যালগুদের উপর হামলা চালানো হয়। বাড়ীঘরে অগ্নি সংযোগ করে পুড়িয়ে মানুষ হত্যা করছে। পুলিশ আইন শৃংখলা রাক্ষায় এগিয়ে পুশিশের উপর বোমা নিক্ষেপ ও খুলি করে পুলিশ হত্যায় মেতে উঠলে পুলিমও পাল্টা গুলি কররে সংঘর্ষ ভয়াবহতার রূপ নেয়।
শাহবাগের আন্দোলনে জড়ো হওয়া মানুষেরা যখন শান্তিপূর্ণ ভাবে তাদের গনতান্ত্রি অধিকার আদায়ের চেষ্টা চালিযে সফল হয়ে যাচ্ছে তখন খালেদা জিয়া প্রকাশ্যেই অংশ নিলেন তার স্বামী জিযার প্রতি সম্মান জানিয়ে তার প্রতিষ্ঠিত জামাতের রাজাকারদের বাচানোর জঙ্গি তৎপরতায় জামাত শিবিরের তান্ডবে ।
শনি থেকে সোমবার পর্যন্ত জামাতের ডাকা তিন দিনের হরতালে তিনি সন্তুষ্ট না হতে পেরে বাড়িয়ে দিলেন আরো একদিন। জামাতের জঙ্গি চোরাগুপ্তা হামলার উসকানি দিয়ে আবার সংবাদ সম্মেলন করে যুদ্ধাপরাধী ফেরাউনের প্রতাত্তাদের বাচাতে অপবিত্র সাজে বললেন, আল্লাহ ও রসূলের দোহাই দিয়ে রসুলের আদর্শের বাহিরে চলে গেলেন প্রকাশ্যেই, মানুষের দুভোর্গ বাড়াতে মানুষের প্রান কেড়ে নিতে ডাকলেন হরতাল। ভালই নিজেই নিজের মুখোশ খোলে দেওযার জন্য বেগম জিয়াকে দেশবাসী ধন্যবাদ জানিয়েছেন। গনহত্যায় শিবিরের ছেলে পেলেদের লেলিয়ে দিয়ে দাবি করলেন সরকার গণহত্যা চালিয়ে যাচ্ছে। ভালই মারা যাচ্ছে শিবিরের মগজ ধোরাই করা কোরআন ও হাদিস এর মূল আদর্শ থেকে দুরে থাকা নিরিহ পিতা মাতার সন্তানরা। আপনার মতো রাজনৈতিক প্রধানরাতো ভালই আছেন বেগম জিয়া। আপনার মুখোশ খুলে গেছে। আমি রাজনীতি করিনা।
বাংলাদেশে আপনাদের চলমান নোংরা রাজনীতিকে ঘৃনা করি। তবে দেশ কে ভালবেসে সরকারী ও বিরোধী সকল শক্তির কাছে দাবি করি যে, মানুষকে বাচাতে স্বাধীন বাংলার রাজনীতি থেকে আইন করে হরতাল ও অবরোধকে নিষিদ্ধ করুন ।
শেখ হাসিনাতো একবার এই মহৎ উদ্যোগ নিয়েছিলেন, তখন বেগম জিয়া এগিয়ে আসেননি। হরতাল যেন বিরোধী রাজনৈতিক দলের কিংবা দল প্রধান নেতৃস্থানীয়দের হয়ে থাকে আবরনের চাদর। সরকারের প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিরোধী দলের নেত্রী বেগম জিয়া আপনাদের কাছে জাতির আশা রাজনীতি থেকে হরতাল নামের নোংরা চাদরটি খুলে ফেলুন। যে চাদরে ঢাকা পড়ে বাংলাদেশের মানুষের প্রান যায় এবং গিয়েছে অনেকেরই। ফিরে আসবে না বিশ্বজিৎ, জাফর মুন্সী ও রাজিবরা।
আমি মা মাটি বাংলাদেশকে ভালবাসি্। ভালবাসি এদেশের সাধারণ সকল মানুসকে। তাই ছাত্র শিবিরের ভাইদের প্রতি আহবান করবো যে জামাত বলতেই ইসলাম কে বুঝবেন না। ইসলাম বলতে আল্লাহর কোরআন ও সহি হাদিস বৃঝবেন। কোরআন ও হাদিসে কি বলা হয়েছে সেগুলো নিজে পড়ুন ও বুঝুন। জামাতের নেতাদের মুখের কথা মুনে ও বিশ্বাস করে আপনারা বিপদগামী হয়েই মানুষ হত্যায় মেতে উঠেছেন এবং নিজে নিজের প্রান উৎসর্গ করছেন। ধোকাবাজ শয়তানের হাত থেকে নেজেকে বাচান । দেশ জুড়ে নসহিংসতা বন্ধ করুন।
বিষয়: বিবিধ
১৫৯৬ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন